আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৫. কুরআনে কারীম সংশ্লিষ্ট - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬৭
৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১২. আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাঁহাদের উদ্দেশ্যে* (إِذَا السَّمَاءُ انشَقَّتْ) পাঠ করিলেন এবং এই সূরায় সিজদা করিলেন। তিনি নামায সমাপ্ত করিলে পর তাহাদিগকে জানাইলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই সূরায় সিজদা করিয়াছেন।

*সূরা ইনশিকাক, ৮৪
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ مَوْلَى الْأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَرَأَ لَهُمْ إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ فَسَجَدَ فِيهَا فَلَمَّا انْصَرَفَ أَخْبَرَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَ فِيهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৮
৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৩. মিসরের বাসিন্দাদের একজন নাফি (রাহঃ)-কে বলিয়াছেন যে, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) একবার সূরা হজ্জ পাঠ করিলেন এবং তিনি এই সূরায় দুইটি সিজদা করিলেন। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ নিশ্চয় এই সূরাকে দুইটি সিজদা দ্বারা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হইয়াছে।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ مِصْرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَرَأَ سُورَةَ الْحَجِّ فَسَجَدَ فِيهَا سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ هَذِهِ السُّورَةَ فُضِّلَتْ بِسَجْدَتَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৯
৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন- আমি আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে সূরা-এ হজ্জে দুইটি সিজদা করিতে দেখিয়াছি।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَسْجُدُ فِي سُورَةِ الْحَجِّ سَجْدَتَيْنِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৭০
৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৫. আরজ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) (وَالنَّجْمِ إِذَا هَوَىٰ) (সূরাটি) পাঠ করলেন এবং উহাতে সিজদা করিলেন। তিনি দাঁড়াইলেন এবং অন্য একটি সূরা পাঠ করিলেন।

*সূরা আন-নাজমঃ৫৩
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ الْأَعْرَجِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَرَأَ بِالنَّجْمِ إِذَا هَوَى فَسَجَدَ فِيهَا ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ بِسُورَةٍ أُخْرَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৭১
৫. কুরআনের সিজদাসমূহ
রেওয়ায়ত ১৬. উরওয়াহ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত- উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) একটি সিজদার আয়াত পাঠ করিলেন জুম’আ দিবসে। আর তিনি ছিলেন মিম্বরের উপর। অতঃপর তিনি অবতরণ করিলেন এবং সিজদা করিলেন এবং তাহার সঙ্গে লোকেরাও সিজদা করিলেন।

পরবর্তী জুম’আয় তিনি সেই সূরা পাঠ করিলেন। লোকেরা সিজদার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করিতে লাগিলেন। উমর (রাযিঃ) তখন বলিলেনঃ আপনারা অপেক্ষা করুন। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের উপর সিজদা ফরয করেন নাই, তবে আমরা যদি ইচ্ছা করি তা স্বতন্ত্র কথা! (ইহা শুনিয়া) তাহারা আর সিজদা করিলেন না। তিনি তাহাদিগকে সিজদা হইতে বিরত রাখিলেন।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সিজদার আয়াত মিম্বরের উপর পাঠ করিলে, ইমামের মিম্বর হইতে অবতরণ করিয়া সিজদা করার প্রতি (আমাদের) আমল নাই (অর্থাৎ মিম্বর হইতে অবতরণ জরুরী নহে)।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ আমাদের অভিমত এই যে, কুরআন শরীফে সিজদাসমূহের মধ্যে তাকিদী সিজদা হইতেছে এগারটি। ইহাদের একটিও মুফাসসালাতে নাই।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সুজুদুল কুরআন (কুরআনের সিজদাসমূহ) হইতে কোন সিজদার আয়াত ফজরের নামাযের এবং আসরের নামাযের পর পাঠ করা কাহারও পক্ষে উচিত নহে। কারণ ফজরের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত এবং আসরের পর (সূর্য) অস্ত যাওয়া পর্যন্ত নামায পড়িতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিষেধ করিয়াছেন। আর সিজদাও নামাযে গণ্য, কাজেই কাহারও পক্ষে উচিত নহে যে, সেই দুই সময়ে কোন সিজদার আয়াত পাঠ করা।

মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইয়াছে ঐ ব্যক্তি সম্বন্ধে যিনি একটি সিজদার আয়াত পাঠ করিয়াছেন, আর একজন ঋতুবতী মহিলা উহা শুনিল। তবে সেই মহিলা কি সিজদা করিবে? (উত্তরে) মালিক (রাহঃ) বলিলেনঃ পুরুষ বা নারী, পবিত্রাবস্থা ব্যতীত সিজদা করিবে না।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেন, মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হয় একজন মহিলা সম্পর্কে যিনি সিজদার আয়াত পাঠ করিয়াছেন, অন্য এক ব্যক্তি তাহা শুনিতেছে। সেই ব্যক্তির জন্য সিজদা করা জরুরী কি? (উত্তরে) মালিক (রাহঃ) বলেনঃ সিজদা করা এই ব্যক্তির জন্য জরুরী নহে। সিজদা ওয়াজিব হয় সেই লোকের উপর যেসব লোক কোন ব্যক্তির সাথে নামাযে শরীক থাকেন এবং তাহার পিছনে ইক্তিদা করেন। অতঃপর তাহাদের ইমাম সিজদার আয়াত পাঠ করিলে তাহারাও তাহার সহিত সিজদা করিবেন। আর যে ব্যক্তি সিজদার আয়াত শুনিয়াছে কোন লোকের মুখে (যিনি উহা পাঠ করিতেছেন), কিন্তু সেই ব্যক্তি এই লোকের ইমাম নহেন, তাহার জন্য এই সিজদা জরুরী নহে।
بَاب مَا جَاءَ فِي سُجُودِ الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَرَأَ سَجْدَةً وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَنَزَلَ فَسَجَدَ وَسَجَدَ النَّاسُ مَعَهُ ثُمَّ قَرَأَهَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى فَتَهَيَّأَ النَّاسُ لِلسُّجُودِ فَقَالَ عَلَى رِسْلِكُمْ إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكْتُبْهَا عَلَيْنَا إِلَّا أَنْ نَشَاءَ فَلَمْ يَسْجُدْ وَمَنَعَهُمْ أَنْ يَسْجُدُوا قَالَ مَالِك لَيْسَ الْعَمَلُ عَلَى أَنْ يَنْزِلَ الْإِمَامُ إِذَا قَرَأَ السَّجْدَةَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَيَسْجُدَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّ عَزَائِمَ سُجُودِ الْقُرْآنِ إِحْدَى عَشْرَةَ سَجْدَةً لَيْسَ فِي الْمُفَصَّلِ مِنْهَا شَيْءٌ قَالَ مَالِك لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ يَقْرَأُ مِنْ سُجُودِ الْقُرْآنِ شَيْئًا بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ وَلَا بَعْدَ صَلَاةِ الْعَصْرِ وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَعَنْ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَالسَّجْدَةُ مِنْ الصَّلَاةِ فَلَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقْرَأَ سَجْدَةً فِي تَيْنِكَ السَّاعَتَيْنِ سُئِلَ مَالِك عَمَّنْ قَرَأَ سَجْدَةً وَامْرَأَةٌ حَائِضٌ تَسْمَعُ هَلْ لَهَا أَنْ تَسْجُدَ قَالَ مَالِك لَا يَسْجُدُ الرَّجُلُ وَلَا الْمَرْأَةُ إِلَّا وَهُمَا طَاهِرَانِ وَسُئِلَ عَنْ امْرَأَةٍ قَرَأَتْ سَجْدَةً وَرَجُلٌ مَعَهَا يَسْمَعُ أَعَلَيْهِ أَنْ يَسْجُدَ مَعَهَا قَالَ مَالِك لَيْسَ عَلَيْهِ أَنْ يَسْجُدَ مَعَهَا إِنَّمَا تَجِبُ السَّجْدَةُ عَلَى الْقَوْمِ يَكُونُونَ مَعَ الرَّجُلِ فَيَأْتَمُّونَ بِهِ فَيَقْرَأُ السَّجْدَةَ فَيَسْجُدُونَ مَعَهُ وَلَيْسَ عَلَى مَنْ سَمِعَ سَجْدَةً مِنْ إِنْسَانٍ يَقْرَؤُهَا لَيْسَ لَهُ بِإِمَامٍ أَنْ يَسْجُدَ تِلْكَ السَّجْدَةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান