আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

১৫. কুরআনে কারীম সংশ্লিষ্ট - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬০
৪. কুরআন সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৫. আব্দুর রহমান ইবনে আব্দিল কারী (রাহঃ) বলেনঃ আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি হিশাম ইবনে হাকিম ইবনে হিযামকে সূরা আল-ফুরকান আমি যেইরূপ পড়িয়া থাকি উহার ভিন্নরূপ পড়িতে শুনিলাম। অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে সেই সূরাটি পড়াইয়াছেন। (আমি ক্রোধে) তাঁহাকে ধরিবার উপক্রম করিয়াছিলাম। কিন্তু নামায সমাপ্ত করা পর্যন্ত তাহাকে আমি সময় দিলাম। অতঃপর তাহার চাদর দ্বারা আমি তাহাকে পেচাইয়া লইলাম। পরে তাহাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খেদমতে নিয়া আসিলাম এবং আরয করিলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সূরায়ে আল-ফুরকান আপনি আমাকে যেরূপ পড়াইয়াছেন, আমি ইহাকে উহার ভিন্নরূপ পড়িতে শুনিয়াছি। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তুমি তাঁহাকে ছাড়িয়া দাও। অতঃপর তাহাকে বললেনঃ তুমি পাঠ কর। তারপর আমি যেরূপ কিরাআত পড়িতে তাহাকে শুনিয়াছি সেই কিরাআতই তিনি পড়িলেন। (এই কিরাআত শুনিয়া) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, এইরূপ অবতীর্ণ করা হইয়াছে। অতঃপর আমাকে (উদ্দেশ্য করিয়া) বলিলেনঃ তুমি পড়। আমি উহা (ফুরকান) পাঠ করিলাম। তিনি বলিলেনঃ এইরূপ অবতীর্ণ করা হইয়াছে এবং কুরআন সাত অক্ষরের উপর নাযিল হইয়াছে, ফলে তোমরা তাহা হইতে যেইটি সহজ হয় সেইটি পাঠ কর।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقُرْآنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ أَنَّهُ قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَؤُهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْرَأَنِيهَا فَكِدْتُ أَنْ أَعْجَلَ عَلَيْهِ ثُمَّ أَمْهَلْتُهُ حَتَّى انْصَرَفَ ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ فَجِئْتُ بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ عَلَى غَيْرِ مَا أَقْرَأْتَنِيهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسِلْهُ ثُمَّ قَالَ اقْرَأْ يَا هِشَامُ فَقَرَأَ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَكَذَا أُنْزِلَتْ ثُمَّ قَالَ لِي اقْرَأْ فَقَرَأْتُهَا فَقَالَ هَكَذَا أُنْزِلَتْ إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬১
৪. কুরআন সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৬. আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কুরআনওয়ালা রশিতে বাধা উটওয়ালার মত; যদি উহাকে তদারক করে, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখিতে পারবে; আর যদি উহাকে ছাড়িয়া দেয়, তবে উহা চলিয়া যাইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّمَا مَثَلُ صَاحِبِ الْقُرْآنِ كَمَثَلِ صَاحِبِ الْإِبِلِ الْمُعَقَّلَةِ إِنْ عَاهَدَ عَلَيْهَا أَمْسَكَهَا وَإِنْ أَطْلَقَهَا ذَهَبَتْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬২
৪. কুরআন সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৭. নবী করীম (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, (একবার) হারিস ইবনে হিশাম (রাযিঃ) নবী করীম (ﷺ) এর নিকট প্রশ্ন করলেন, আপনার নিকট ওহী কিরূপে আসে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (উত্তরে) বলিলেনঃ কখনও কখনও আমার নিকট (ওহী) আসে ঘন্টাধ্বনির মত, এই (প্রকারে অবতীর্ণ) ওহী আমার উপর অতি কঠিন হয়। তারপর আমা হইতে (এই অবস্থার) অবসান হয়, (এই দিকে) তিনি যাহা বলিয়াছেন আমি তাহা হিফাযত করিয়াছি। আর কোন কোন সময় ফিরিশতা কোন ব্যক্তির রূপ ধারণ করিয়া আমার নিকট আসেন এবং আমার সঙ্গে কথা বলেনঃ তিনি যাহা বলেন আমি উহা হিফাযত করি।

আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি অবশ্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখিয়াছি প্রচণ্ড শীতের দিনে তাহার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হইতেছে। অতঃপর সেই অবস্থার অবসান হইয়াছে, তখন তাহার ললাট হইতে ঘাম টপকাইতেছে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يَأْتِيكَ الْوَحْيُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْيَانًا يَأْتِينِي فِي مِثْلِ صَلْصَلَةِ الْجَرَسِ وَهُوَ أَشَدُّهُ عَلَيَّ فَيَفْصِمُ عَنِّي وَقَدْ وَعَيْتُ مَا قَالَ وَأَحْيَانًا يَتَمَثَّلُ لِي الْمَلَكُ رَجُلًا فَيُكَلِّمُنِي فَأَعِي مَا يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ يَنْزِلُ عَلَيْهِ فِي الْيَوْمِ الشَّدِيدِ الْبَرْدِ فَيَفْصِمُ عَنْهُ وَإِنَّ جَبِينَهُ لَيَتَفَصَّدُ عَرَقًا
হাদীস নং:৪৬৩
৪. কুরআন সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৮. হিশাম ইবনে উরওয়াহ (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন- তিনি বলিয়াছেন, সূরা আবাসা অবতীর্ণ করা হইয়াছে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাযিঃ)-এর শানে। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট আসিয়া বলিতে লাগিলেনঃ হে মুহাম্মাদ! আমাকে আপনার নিকট বসিতে দিন, সেই সময় নবী করীম (ﷺ) এর নিকট মুশরিকগণের নেতাদের একজন বড় নেতা উপস্থিত ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহা ইহতে মনোযোগ ফিরাইয়া সেই নেতা ব্যক্তির দিকে মনোনিবেশ করিলেন এবং বলিতেছিলেনঃ হে আবু ফুলান (অমুকের পিতা), আমি যাহা বলি উহাতে কোন ক্রটি দেখিয়াছ কি? (উত্তরে) সে বলিতেছিলঃ মূর্তির কসম, না, আপনি যাহা বলেন উহাতে কোন প্রকার ক্রটি দেখিতেছি না। অতঃপর এই সূরা* عَبَسَ وَتَوَلَّى أَنْ جَاءَهُ الْأَعْمَى অবতীর্ণ হয়।

*সে ভ্রূকুঞ্চিত করিল এবং মুখ ফিরাইয়া লইল; কারণ তাহার নিকট এক অন্ধ আসিল। ৮০:১২
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ قَالَ أُنْزِلَتْ عَبَسَ وَتَوَلَّى فِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَعَلَ يَقُولُ يَا مُحَمَّدُ اسْتَدْنِينِي وَعِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنْ عُظَمَاءِ الْمُشْرِكِينَ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرِضُ عَنْهُ وَيُقْبِلُ عَلَى الْآخَرِ وَيَقُولُ يَا أَبَا فُلَانٍ هَلْ تَرَى بِمَا أَقُولُ بَأْسًا فَيَقُولُ لَا وَالدِّمَاءِ مَا أَرَى بِمَا تَقُولُ بَأْسًا فَأُنْزِلَتْ عَبَسَ وَتَوَلَّى أَنْ جَاءَهُ الْأَعْمَى
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৪
৪. কুরআন সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৯. যায়দ ইবনে আসলাম (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার সফরসমূহের কোন এক সফরে পথ চলিতেছিলেন। রাত্রে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-ও তাহার সঙ্গে চলিতেছিলেন। তখন উমর (রাযিঃ) কোন বিষয়ে তাহাকে প্রশ্ন করিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহাকে কোন উত্তর দিলেন না। উমর (রাযিঃ) পুনরায় সওয়াল করিলেন। কিন্তু তিনি উহার জবাব দিলেন না। অতঃপর তাহার নিকট (উমর) আবার সওয়াল করিলেন, কিন্তু (এইবারও) তিনি উহার জবাব দিলেন না। তখন উমর (রাযিঃ) (মনে মনে) বলিলেন, উমর, তোমার মাতা তোমাকে হারাইয়া ফেলুন (এবং কাঁদিতে থাকুন অর্থাৎ তোমার সর্বনাশ)। তুমি বিনয় সহকারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট সওয়াল করিলে, আর তিনি তোমাকে কোন জবাব দিলেন না।

উমর (রাযিঃ) বলেনঃ তারপর আমার উটকে আমি চালিত করিলাম, এমন কি আমি লোকের আগে আগে চলিয়া গেলাম। আমি আশঙ্কা করিলাম আমার বিষয়ে কুরআন অবতীর্ণ হইতে পারে। তারপর আমি (বেশীক্ষণ) অবস্থান করি নাই, (হঠাৎ) এক উচ্চঃস্বরে আহবানকারী আমাকে ডাকিতেছিল। তিনি (উমর) বলেনঃ আমি আশঙ্কা করিতেছিলাম আমার বিষয়ে হয় তো কুরআন নাযিল হইয়াছে। (উমর) বলেন, অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আসিলাম এবং সালাম করিলাম। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ অবশ্য এই রাত্রে আমার উপর একটি সূরা অবতীর্ণ হইয়াছে। নিঃসন্দেহে সেই সূরাটি আমার নিকট অধিক প্রিয়, সেই সব বস্তু অপেক্ষা যাহার উপর সূর্য উদিত হইয়াছে। অতঃপর তিনি পাঠ করিলেন (إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُّبِينًا) এই সূরাটি।*

*আমরা তোমাদের জন্য অবধারিত করিলাম প্রকাশ্য বিজয় ৷ ৪৮ঃ১
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا فَسَأَلَهُ عُمَرُ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ ثُمَّ سَأَلَهُ فَلَمْ يُجِبْهُ فَقَالَ عُمَرُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ عُمَرُ نَزَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ لَا يُجِيبُكَ قَالَ عُمَرُ فَحَرَّكْتُ بَعِيرِي حَتَّى إِذَا كُنْتُ أَمَامَ النَّاسِ وَخَشِيتُ أَنْ يُنْزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ فَمَا نَشِبْتُ أَنْ سَمِعْتُ صَارِخًا يَصْرُخُ بِي قَالَ فَقُلْتُ لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ نَزَلَ فِيَّ قُرْآنٌ قَالَ فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ لَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيَّ هَذِهِ اللَّيْلَةَ سُورَةٌ لَهِيَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ ثُمَّ قَرَأَ إِنَّا فَتَحْنَا لَكَ فَتْحًا مُبِينًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৫
৪. কুরআন সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১০. আবু সাইদ খুদরী (রাযিঃ) বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছিঃ তোমাদের মধ্যে এক সম্প্রদায় বাহির হইবে যাহারা তুচ্ছ মনে করিবে তোমাদের নামাযকে তাহাদের নামাযের মুকাবিলায় এবং তোমাদের রোযাসমূহকে তাহদের রোযার মুকাবিলায় এবং তোমাদের আমলসমূহকে তাহদের আমলসমূহের মুকাবিলায়। তাহারা কুরআন পাঠ করিবে কিন্তু কুরআন তাহাদের গলদেশের নীচে যাইবে না। তাহারা ধর্ম হইতে এমনভাবে বাহির হইয়া যাইবে, যেমন তীর শিকারকে ভেদ করিয়া বাহির হইয়া যায়। তীরের ফলা দেখিবে, তাহাতেও কোন কিছু দেখিবে না; তীরের লাকড়ি দেখিবে, সেখানেও কিছু দেখিতে পাইবে না; পালকের প্রতি লক্ষ করিবে, পালকেও কিছু দেখিবে না; ধনুকের ছিলার দিকে দেখিবে, সেখানে কিছু রক্ত লাগিয়াছে কিনা সন্দেহ করবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَخْرُجُ فِيكُمْ قَوْمٌ تَحْقِرُونَ صَلَاتَكُمْ مَعَ صَلَاتِهِمْ وَصِيَامَكُمْ مَعَ صِيَامِهِمْ وَأَعْمَالَكُمْ مَعَ أَعْمَالِهِمْ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَلَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنْ الرَّمِيَّةِ تَنْظُرُ فِي النَّصْلِ فَلَا تَرَى شَيْئًا وَتَنْظُرُ فِي الْقِدْحِ فَلَا تَرَى شَيْئًا وَتَنْظُرُ فِي الرِّيشِ فَلَا تَرَى شَيْئًا وَتَتَمَارَى فِي الْفُوقِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৬
৪. কুরআন সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রাহঃ) বলেন, তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) সূরা বাকারা শিক্ষা করিতে আট বৎসর অতিবাহিত করিয়াছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْقُرْآنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ مَكَثَ عَلَى سُورَةِ الْبَقَرَةِ ثَمَانِيَ سِنِينَ يَتَعَلَّمُهَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান