আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

৩. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬১
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ১৬. আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আরম্ভ করার সময় উভয় হাত কাঁধ বরাবর তুলিতেন এবং যখন রুকু হইতে মাথা তুলিতেন তখনও দুই হাত অনুরূপভাবে তুলিতেন এবং বলতেন (سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ) অবশ্য সিজদার সময় তিনি হাত উঠাইতেন না।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا كَذَلِكَ أَيْضًا وَقَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ وَكَانَ لَا يَفْعَلُ ذَلِكَ فِي السُّجُودِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬২
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ১৭. আলী ইবনে হুসায়ন আলী ইবনে আবি তালিব (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের মধ্যে যখন নীচের দিক ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন তখন তকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন। তিনি আল্লাহর সহিত মিলিত হওয়া পর্যন্ত এইভাবে নামায পড়িয়াছেন।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلَاةِ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ، فَلَمْ تَزَلْ تِلْكَ صَلَاتَهُ حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৬৩
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ১৮. সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযে দুই হাত উপরে উঠাইতেন।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ فِي الصَّلَاةِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৬৪
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ১৯. আবি সালামা ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রাহঃ) বর্ণনা করিয়াছেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) তাহাদের (শিক্ষাদানের) উদ্দেশ্যে নামায পড়িতেন এবং তিনি যতবার নীচের দিকে ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন ততবার তকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতেন। নামায শেষ করার পর তিনি বলিতেনঃ তোমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নামাযের সঙ্গে আমি অধিকতর সামঞ্জস্য-রক্ষাকরী।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فَيُكَبِّرُ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ فَإِذَا انْصَرَفَ قَالَ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَشْبَهُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং:১৬৫
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ২০. সলিম ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) যখন নীচের দিকে ঝুঁকিতেন ও মাথা উপরে তুলিতেন তখন তকবীর বলিতেন।

নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) নামায আরম্ভ করার সময় উভয় হাত কাঁধ বরাবর তুলিতেন। আর যখন রুকৃ হইতে মাথা তুলিতেন তখন দুই হাত কাঁধের একটু নিচ পর্যন্ত তুলিতেন।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ يُكَبِّرُ فِي الصَّلاَةِ كُلَّمَا خَفَضَ وَرَفَعَ
وَحَدَّثَنِي يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ رَفَعَهُمَا دُونَ ذَلِكَ
হাদীস নং:১৬৬
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ২১. আবু নঈম ওয়াহব ইবনে কায়সান (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) তাহাদিগকে নামাযের ‘তকবীর শিক্ষা দিতেন। তিনি আরও বর্ণনা করিয়াছেনঃ নীচের দিকে ঝুঁকিবার ও মাথা উপরে তুলিবার সময় ‘তকবীর’ বলার জন্য তিনি [জাবির (রাযিঃ)] আমাদিগকে নির্দেশ দিতেন।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ التَّكْبِيرَ فِي الصَّلَاةِ قَالَ فَكَانَ يَأْمُرُنَا أَنْ نُكَبِّرَ كُلَّمَا خَفَضْنَا وَرَفَعْنَا
হাদীস নং:১৬৭
৪. নামাযের আরম্ভ
রেওয়ায়ত ২২. মালিক (রাহঃ) ইবনে শিহাব (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন- তিনি বলিয়াছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি এক রাকআত নামায পায় এবং একবার তকবীর বলে তাহার জন্য ঐ এক ‘তকবীর যথেষ্ট হইবে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) মালিক (রাহঃ) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন- ঐ এক ‘তকবীরই যথেষ্ট হইবে যদি সে উক্ত তকবীর দ্বারা ‘তকবীর-এ তাহরীমা’-এর নিয়ত করে।
ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইলঃ এক ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে নামাযে শরীক হইল কিন্তু সে তববীর-এ তাহরীমা’ ও রুকূর ‘তকবীর বলিতে ভুলিয়া গেল। নামায এক রাকআত পড়ার পর তাহার স্মরণ হইল যে, সে ‘তাহরীমা’ ও রুকূর তকবীর বলে নাই। অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে সে তকবীর বলিল। তাহার কি করা উচিত? তিনি উত্তর দিলেন, সেই ব্যক্তির জন্য নামায শুরু হইতে পুনরায় পড়া আমি ভাল মনে করি। আর যদি কোন ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ বলিতে ভুলিয়া যায়, প্রথম রুকূর সময় তকবীর’ বলে, রুকূর তকবীরের সঙ্গে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’রও নিয়ত করে, তবে আমার মতে উক্ত রুকূর ‘তকবীর’ই তাহার জন্য যথেষ্ট হইবে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি একা একা নামায পড়িতেছে সে ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ ভুলিয়া গেলে তাহাকে নামায পুনরায় পড়িতে হইবে।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, মালিক (রাহঃ) বলিয়াছেনঃ ইমাম যদি ‘তকবীর-এ-তাহরীমা’ বলিতে ভুলিয়া গেলেন এবং নামায সমাপ্ত করিলেন, তবে আমার মতে ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের নামায পুনরায় পড়া উচিত, এমন কি মুক্তাদীগণ তকবীর বলিয়া থাকিলেও।
بَاب افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ إِذَا أَدْرَكَ الرَّجُلُ الرَّكْعَةَ فَكَبَّرَ تَكْبِيرَةً وَاحِدَةً أَجْزَأَتْ عَنْهُ تِلْكَ التَّكْبِيرَةُ . قَالَ مَالِكٌ وَذَلِكَ إِذَا نَوَى بِتِلْكَ التَّكْبِيرَةِ افْتِتَاحَ الصَّلاَةِ . وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ مَعَ الإِمَامِ فَنَسِيَ تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ وَتَكْبِيرَةَ الرُّكُوعِ حَتَّى صَلَّى رَكْعَةً ثُمَّ ذَكَرَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ كَبَّرَ تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ وَلاَ عِنْدَ الرُّكُوعِ وَكَبَّرَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ قَالَ يَبْتَدِئُ صَلاَتَهُ أَحَبُّ إِلَىَّ وَلَوْ سَهَا مَعَ الإِمَامِ عَنْ تَكْبِيرَةِ الاِفْتِتَاحِ وَكَبَّرَ فِي الرُّكُوعِ الأَوَّلِ رَأَيْتُ ذَلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ إِذَا نَوَى بِهَا تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ . قَالَ مَالِكٌ فِي الَّذِي يُصَلِّي لِنَفْسِهِ فَنَسِيَ تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ إِنَّهُ يَسْتَأْنِفُ صَلاَتَهُ . وَقَالَ مَالِكٌ فِي إِمَامٍ يَنْسَى تَكْبِيرَةَ الاِفْتِتَاحِ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ صَلاَتِهِ قَالَ أَرَى أَنْ يُعِيدَ وَيُعِيدُ مَنْ خَلْفَهُ الصَّلاَةَ وَإِنْ كَانَ مَنْ خَلْفَهُ قَدْ كَبَّرُوا فَإِنَّهُمْ يُعِيدُونَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান