আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

كتاب الموطأ للإمام مالك

২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৭১
৮. পদাবরণী বা মোজা মাসাহ্‌
রেওয়ায়ত ৪১. মুগীরা ইবনে শু’বা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, তাবুকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্ৰস্ৰাব-পায়খানার প্রয়োজনে বাহিরে গেলেন। মুগীরা বলেন, আমি পানি লইয়া তাহার সঙ্গে গমন করিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (তাহার প্রয়োজন পূর্ণ করিয়া) আসিলেন, আমি তাহার হস্তদ্বয়ের উপর পানি ঢালিলাম, তিনি তাহার মুখমণ্ডল ধুলেন। তারপর তাহার হস্তদ্বয জুব্বার আস্তিন হইতে বাহির করিতে চেষ্টা করিলেন। জুব্বার আস্তিনের সংকীর্ণতার দরুন তিনি (বাহির করিতে) সক্ষম হইলেন না। তাই জুব্বার নিচ দিয়া উভয় হাত বাহির করিলেন, তারপর দুই হাত ধুলেন, মাথা মাসাহ্‌ করলেন এবং মোজার উপর মাসাহ্‌ করিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তশরীফ আনিলেন, তখন আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) (লোকের) ইমামতি করিতেছিলেন, তিনি এক রাকআত সমাপ্তও করিয়াছেন। যেই এক রাকআত তাঁহাদের অবশিষ্ট ছিল, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদের সহিত সেই রাকআত পড়িলেন। লোকজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখিয়া (তাহার অনুপস্থিতিতে নামায আরম্ভ করায় বেআদবী হইয়াছে ভাবিয়া) ঘাবড়াইয়া গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার নামায সমাপ্ত করার পর বলিলেনঃ তোমরা ভাল করিয়াছ।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبَّادِ بْنِ زِيَادٍ مِنْ وَلَدِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَهَبَ لِحَاجَتِهِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ قَالَ الْمُغِيرَةُ فَذَهَبْتُ مَعَهُ بِمَاءٍ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَكَبْتُ عَلَيْهِ الْمَاءَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثُمَّ ذَهَبَ يُخْرِجُ يَدَيْهِ مِنْ كُمَّيْ جُبَّتِهِ فَلَمْ يَسْتَطِعْ مِنْ ضِيقِ كُمَّيْ الْجُبَّةِ فَأَخْرَجَهُمَا مِنْ تَحْتِ الْجُبَّةِ فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَمَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ يَؤُمُّهُمْ وَقَدْ صَلَّى بِهِمْ رَكْعَةً فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ عَلَيْهِمْ فَفَزِعَ النَّاسُ فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَحْسَنْتُمْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৭২
৮. পদাবরণী বা মোজা মাসাহ্‌
রেওয়ায়ত ৪২. সা’দ ইবনে ওয়াক্কাস (রাযিঃ) যখন কূফার আমীর ছিলেন তখন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কূফায় সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাযিঃ)-এর নিকট আসিলেন এবং তাহাকে মোজার উপর মাসাহ্‌ করিতে দেখিলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) তাহার এই মাসাহ্‌-এর প্রতি অস্বীকৃতি জানাইলেন। সা’দ (রাযিঃ) তাঁহাকে বলিলেনঃ আপনার পিতার নিকট গেলে ইহা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিবেন। আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) (মদীনায়) আগমন করিলেন; কিন্তু তাহার পিতাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিতে ভুলিয়া গেলেন। সা’দ পরে (মদীনায়) আসিলেন এবং ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিলেনঃ আপনার পিতার নিকট সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিয়াছেন কি? তিনি বলিলেনঃ না। অতঃপর আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাহার পিতাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করিলেন। উমর (রাযিঃ) উত্তরে বলিলেন; যদি মোজাদ্বয়ের মধ্যে তোমার উভয় পা পবিত্র অবস্থায় (ওযুর পরে) ঢুকাও তবে (পুনরায় ওযুর সময়) তুমি মোজার উপর মাসাহ্‌ কর। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বলিলেনঃ আমাদের এক ব্যক্তি পায়খানা-প্রস্রাব হইতে আসিলে তাহার জন্যও কি এই হুকুম? উমর (রাযিঃ) বললেনঃ হ্যাঁ, তোমাদের কেউ মলমূত্র ত্যাগ করিয়া আসিলে তাহার জন্যও এই হুকুম।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، أَنَّهُمَا أَخْبَرَاهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَدِمَ الْكُوفَةَ عَلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَهُوَ أَمِيرُهَا فَرَآهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ سَلْ أَبَاكَ إِذَا قَدِمْتَ عَلَيْهِ فَقَدِمَ عَبْدُ اللَّهِ فَنَسِيَ أَنْ يَسْأَلَ عُمَرَ عَنْ ذَلِكَ حَتَّى قَدِمَ سَعْدٌ فَقَالَ أَسَأَلْتَ أَبَاكَ فَقَالَ لاَ . فَسَأَلَهُ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ عُمَرُ إِذَا أَدْخَلْتَ رِجْلَيْكَ فِي الْخُفَّيْنِ وَهُمَا طَاهِرَتَانِ فَامْسَحْ عَلَيْهِمَا . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَإِنْ جَاءَ أَحَدُنَا مِنَ الْغَائِطِ فَقَالَ عُمَرُ نَعَمْ وَإِنْ جَاءَ أَحَدُكُمْ مِنَ الْغَائِطِ .
হাদীস নং:৭৩
৮. পদাবরণী বা মোজা মাসাহ্‌
রেওয়ায়ত ৪৩. নাফি’ হইতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ) বাজারে (প্রস্রাবের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে) প্রস্রাব করিলেন। তারপর উযু করিলেন এবং তাহার মুখমণ্ডল ও উভয় হাত ধুলেন এবং মাথা মাসাহ্‌ করিলেন। তারপর তিনি মসজিদে প্রবেশ করার পর তাহাকে জানাযার নামায পড়াইবার জন্য আহবান করা হইল, তিনি মোজার উপর মাসাহ্‌ করিলেন, তারপর জানাযার নামায পড়িলেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، بَالَ فِي السُّوقِ ثُمَّ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ وَمَسَحَ رَأْسَهُ ثُمَّ دُعِيَ لِجَنَازَةٍ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهَا حِينَ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهَا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৭৪
৮. পদাবরণী বা মোজা মাসাহ্‌
রেওয়ায়ত ৪৪. সাঈদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে রুকাইশ আশআরী (রাহঃ) বলেন, আমি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ)-কে দেখিয়াছি, তিনি কোবা আসিলেন, তারপর প্রস্রাব করিলেন। অতঃপর তাহার নিকট পানি আনা হইলে তিনি ওযু করিলেন, মুখমণ্ডল ধুলেন, হস্তদ্বয় ধুলেন কনুই পর্যন্ত, মাথা মাসাহ্‌ করিলেন, আর মোজার উপর মাসাহ্‌ করিলেন, তারপর মসজিদে আসিলেন এবং নামায পড়িলেন।

ইয়াহইয়া (রাহঃ) বলেনঃ মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এক ব্যক্তি সম্পর্কে যে ব্যক্তি ওযু করিয়াছে নামাযের ওযুর মত, অতঃপর তাহার মোজা পরিধান করিয়াছে। তারপর সে প্রস্রাব করিয়াছে। তারপর মোজা বাহির করিয়া লইয়াছে। অতঃপর মোজা উভয় পায়ে পরিধান করিয়াছে। সেই ব্যক্তি ওযু পুনরায় করিবে কি? তিনি বলিলেনঃ সে মোজা বাহির করিয়া লইবে। তারপর ওযু করিবে এবং উভয় পা ধুইবে। যে লোক উভয় পা মোজায় ওযুর মত পবিত্রাবস্থায় দাখিল করিয়াছে, সেই লোক মোজায় মাসাহ্‌ করিতে পারবে। আর যে ওযুর মত পবিত্রাবস্থায় উভয় পা মোজায় দাখিল করে নাই সে মোজা মাসাহ্‌ করিবে না।

মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক লোক সম্পর্কে, যে ব্যক্তি ওযু করিয়াছে তাহার পরিধানে মোজা থাকা অবস্থায়, কিন্তু সে মোজায় মাসাহ্‌ করিতে ভুলিয়া গিয়াছে। (এই অবস্থায়) তাহার ওযু (ওয়ূর অঙ্গসমূহ) শুকাইয়া গিয়াছে এবং সে নামায পড়িয়াছে। (তাহার হুকুম কি ) তিনি বলিলেনঃ সেই ব্যক্তি মোজার উপর মাসাহ্‌ করিবে এবং নামায পুনরায় পড়িবে, ওযু পুনরায় করিতে হইবে না।

মালিক (রাহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল এমন এক লোক সম্পর্কে, যে তাহার দুই পা (প্রথমে) ধুইয়াছে, তারপর মোজা পরিধান করিয়াছে, অতঃপর ওযু শুরু করিয়াছে। তিনি বলিলেনঃ সে মোজা খুলিয়া ফেলিবে, তারপর ওযু করিবে এবং (যথারীতি) উভয় পা ধুইবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رُقَيْشٍ، أَنَّهُ قَالَ رَأَيْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أَتَى قُبَا فَبَالَ ثُمَّ أُتِيَ بِوَضُوءٍ فَتَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَمَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ ثُمَّ جَاءَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى . قَالَ يَحْيَى وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ رَجُلٍ تَوَضَّأَ وُضُوءَ الصَّلاَةِ ثُمَّ لَبِسَ خُفَّيْهِ ثُمَّ بَالَ ثُمَّ نَزَعَهُمَا ثُمَّ رَدَّهُمَا فِي رِجْلَيْهِ أَيَسْتَأْنِفُ الْوُضُوءَ فَقَالَ لِيَنْزِعْ خُفَّيْهِ وَلْيَغْسِلْ رِجْلَيْهِ وَإِنَّمَا يَمْسَحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ مَنْ أَدْخَلَ رِجْلَيْهِ فِي الْخُفَّيْنِ وَهُمَا طَاهِرَتَانِ بِطُهْرِ الْوُضُوءِ وَأَمَّا مَنْ أَدْخَلَ رِجْلَيْهِ فِي الْخُفَّيْنِ وَهُمَا غَيْرُ طَاهِرَتَيْنِ بِطُهْرِ الْوُضُوءِ فَلاَ يَمْسَحْ عَلَى الْخُفَّيْنِ . قَالَ وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ رَجُلٍ تَوَضَّأَ وَعَلَيْهِ خُفَّاهُ فَسَهَا عَنِ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ حَتَّى جَفَّ وَضُوءُهُ وَصَلَّى قَالَ لِيَمْسَحْ عَلَى خُفَّيْهِ وَلْيُعِدِ الصَّلاَةَ وَلاَ يُعِيدُ الْوُضُوءَ . وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ رَجُلٍ غَسَلَ قَدَمَيْهِ ثُمَّ لَبِسَ خُفَّيْهِ ثُمَّ اسْتَأْنَفَ الْوُضُوءَ فَقَالَ لِيَنْزِعْ خُفَّيْهِ ثُمَّ لْيَتَوَضَّأْ وَلْيَغْسِلْ رِجْلَيْهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান