কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ৪২৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৬
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৬৬। আবু বকর ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ মানব দেহের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মাটির সাথে মিশে যাবে, কিন্তু একটি হাড় গলবে না। সেটা হচ্ছে মেরুদণ্ডের হাড়। এই হাড় থেকেই কিয়ামতের দিন সৃষ্টির শারীরিক অবকাঠামো তৈরী করা হবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ : " لَيْسَ شَىْءٌ مِنَ الإِنْسَانِ إِلاَّ يَبْلَى إِلاَّ عَظْمًا وَاحِدًا وَهُوَ عَجْبُ الذَّنَبِ وَمِنْهُ يُرَكَّبُ الْخَلْقُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৭
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৬৭। মুহাম্মাদ ইব্ন ইসহাক (রাহঃ)... উসমান (রাযিঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উসমান ইব্ন আফফান (রাযিঃ) যখন কোন কবরের পাশে দাঁড়াতেন, তখন তিনি এমন কাঁদতেন তাঁর দাঁড়ি অশ্রুসিক্ত হয়ে যেতো। তখন তাঁকে বলা হলোঃ আপনি তো জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা করেন এবং আপনি রোদন করেন না। অথচ আপনি কবর দেখলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, (এর কারণ কি? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ নিশ্চয় কবর আখিরাতের প্রথম মনযিল। কেউ যদি এ থেকে মুক্তি পায়, তাহলে এর পরে যা আছে, তা এর চাইতে সহজ হবে। আর এখান থেকে সে যদি নাজাত না পায়, তাহলে এর পরে যা আছে, তা এর চাইতে আরও কঠিন হবে। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি কবরের চাইতে ভয়াবহতম কোন দৃশ্য কখনো দেখিনি।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَحِيرٍ، عَنْ هَانِئٍ، - مَوْلَى عُثْمَانَ - قَالَ : كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِذَا وَقَفَ عَلَى قَبْرٍ يَبْكِي حَتَّى يَبُلَّ لِحْيَتَهُ فَقِيلَ لَهُ : تَذْكُرُ الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَلاَ تَبْكِي وَتَبْكِي مِنْ هَذَا قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ : " إِنَّ الْقَبْرَ أَوَّلُ مَنَازِلِ الآخِرَةِ فَإِنْ نَجَا مِنْهُ فَمَا بَعْدَهُ أَيْسَرُ مِنْهُ وَإِنْ لَمْ يَنْجُ مِنْهُ، فَمَا بَعْدَهُ أَشَدُّ مِنْهُ " . قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ : " مَا رَأَيْتُ مَنْظَرًا قَطُّ إِلاَّ وَالْقَبْرُ أَفْظَعُ مِنْهُ " .
হাদীস নং: ৪২৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৮
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৬৮। আবু বাকর ইব্ন আবু শায়বা (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয়, তখন নেক লোক হলে তাকে এমনভাবে বসানো হয়, যাতে সে ভয়-ভীতি শূন্য হয় এবং পেরেশানীমুক্ত হয়। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করা হয়ঃ তুমি কিসের উপর কায়েম ছিলে? তখন সে বলবেঃ আমি ইসলামের উপরে কায়েম ছিলাম। অতঃপর তাকে প্রশ্ন করা হবে এই ব্যক্তি কে? তখন সে বলবেঃ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে স্পষ্ট প্রমাণাদি সহ আমাদের কাছে এসেছিলেন, তখন আমরা তাঁকে সত্য নবী বলে স্বীকার করেছিলাম। অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হবেঃ তুমি কি আল্লাহকে দেখেছিলে? তখন সে বলবেঃ আল্লাহকে দেখা কারোর পক্ষে সম্ভব নয়। এরপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি সুড়ঙ্গ পথ খুলে দেয়া হবে। তখন সে সেদিকে (জাহান্নামের দিকে) তাকিয়ে দেখতে পাবে, তার এক অংশ অপরাংশকে ভক্ষণ করছে। অনন্তর তাকে বলা হবেঃ দেখে নাও, যা থেকে আল্লাহ তা'আলা তোমাকে রক্ষা করেছেন। অতঃপর তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি সুড়ংগ পথ খুলে দেওয়া হবে। তখন সে তথাকার সবুজ বন-বীথিকা এবং যা তার মধ্যে আছে, তা দেখতে পাবে। তখন তাকে বলা হবেঃ এই হলো তোমার আবাসস্থল। আর তাকে আরও বলা হবেঃ তুমি ঈমানের পরে দৃঢ়ভাবে অটল ছিলো, এর উপরই মারা গেছ, এবং এর উপরই হাশরের ময়দানে উত্থিত হবে- ইনশাআল্লাহ তা'আলা । পক্ষান্তরে, মন্দ প্রকৃতির লোককে তার কবরে পেরেশানী ও অস্থির অবস্থায় বসানো হবে। তখন তাকে প্রশ্ন করা হবেঃ তুমি কিসে (কোন দ্বীনে) ছিলে ? সে বলবেঃ আমি তো জানি না। এরপর তাকে প্রশ্ন করা হবেঃ এ ব্যক্তিকে? সে বলবেঃ আমি লোকদের একটা কথা বলাবলি করতে শুনেছি, আমিও তাই বলতাম। এরপর তার জন্য জান্নাতের সবুজ শ্যামলীমা বন-বীথিকা এবং তার ভিতরে যা আছে তা দেখতে পাবে। তাকে বলা হবেঃ তা দেখে নাও, যা আল্লাহ তা'আলা তোমার থেকে ফিরিয়ে নিয়েছিল। অতঃপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটা দরজা খুলে দেওয়া হবে। তখন সে তার দিকে (জাহান্নামের দিকে) তাকাবে, যার একাংশ অপরাংশকে ভক্ষণ করছে। তারপর তাকে বলা হবেঃ এই হলো তোমার ঠিকানা। তুমি (দুনিয়াতে) সন্দেহের উপর ছিলে এবং এর উপরেই মারা গেছ এবং ইনশাআল্লাহ এই শংশয়ের উপরই তোমাকে উঠানো হবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ : " إِنَّ الْمَيِّتَ يَصِيرُ إِلَى الْقَبْرِ فَيُجْلَسُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فِي قَبْرِهِ غَيْرَ فَزِعٍ وَلاَ مَشْعُوفٍ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ : فِيمَ كُنْتَ فَيَقُولُ : كُنْتُ فِي الإِسْلاَمِ . فَيُقَالُ لَهُ : مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُ : مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ فَصَدَّقْنَاهُ . فَيُقَالُ لَهُ : هَلْ رَأَيْتَ اللَّهَ فَيَقُولُ : مَا يَنْبَغِي لأَحَدٍ أَنْ يَرَى اللَّهَ . فَيُفْرَجُ لَهُ فُرْجَةٌ قِبَلَ النَّارِ فَيَنْظُرُ إِلَيْهَا يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَيُقَالُ لَهُ : انْظُرْ إِلَى مَا وَقَاكَ اللَّهُ . ثُمَّ يُفْرَجُ لَهُ فُرْجَةٌ قِبَلَ الْجَنَّةِ فَيَنْظُرُ إِلَى زَهْرَتِهَا وَمَا فِيهَا فَيُقَالُ لَهُ : هَذَا مَقْعَدُكَ . وَيُقَالُ لَهُ : عَلَى الْيَقِينِ كُنْتَ وَعَلَيْهِ مُتَّ وَعَلَيْهِ تُبْعَثُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ . وَيُجْلَسُ الرَّجُلُ السُّوءُ فِي قَبْرِهِ فَزِعًا مَشْعُوفًا فَيُقَالُ لَهُ : فِيمَ كُنْتَ فَيَقُولُ : لاَ أَدْرِي . فَيُقَالُ لَهُ : مَا هَذَا الرَّجُلُ فَيَقُولُ : سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ قَوْلاً فَقُلْتُهُ . فَيُفْرَجُ لَهُ قِبَلَ الْجَنَّةِ فَيَنْظُرُ إِلَى زَهْرَتِهَا وَمَا فِيهَا فَيُقَالُ لَهُ : انْظُرْ إِلَى مَا صَرَفَ اللَّهُ عَنْكَ . ثُمَّ يُفْرَجُ لَهُ فُرْجَةٌ قِبَلَ النَّارِ فَيَنْظُرُ إِلَيْهَا يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا فَيُقَالُ لَهُ : هَذَا مَقْعَدُكَ عَلَى الشَّكِّ كُنْتَ وَعَلَيْهِ مُتَّ وَعَلَيْهِ تُبْعَثُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৬৯
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৬৯। মুহাম্মাদ ইব্ন বাশশার (রাহঃ)...... বারা ইবন আযিব (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃيُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ অর্থাৎ আল্লাহ তা'আলা ঈমানদার বান্দাদের দৃঢ় বাক্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখবেন। (রাবী বলেন); এই আয়াত কবর-আযাব সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। তাকে (কবরবাসীকে) প্রশ্ন করা হবেঃ তোমার রব কে? সে উত্তর দিবেঃ আমার রব আল্লাহ এবং আমার নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) । এই হচ্ছে তাঁর (আল্লাহর) বাণীঃ يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ। আল্লাহ তা'আলা ঈমানদার বানদাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয়স্থানে অনঢ় বাক্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখবেন"-এর তাৎপর্য। (১৪ঃ ২৭)।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ : " (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ ) قَالَ : نَزَلَتْ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ يُقَالُ لَهُ : مَنْ رَبُّكَ فَيَقُولُ : رَبِّيَ اللَّهُ وَنَبِيِّي مُحَمَّدٌ فَذَلِكَ قَوْلُهُ (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ) " .
হাদীস নং: ৪২৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭০
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৭০। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)...... ইবন উমর (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন তোমাদের কেউ মারা যায়, তখন তার সামনে সকাল-সন্ধ্যায় তার ঠিকানা পেশ করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তাহলে জান্নাতীদের অবস্থা তাকে দেখানো হবে। আর যদি সে জাহান্নামী হয়, তাহলে তাকে জাহান্নামীদের অবস্থা দেখানো হবে। তাকে বলা হবেঃ আর যদি সে জাহান্নামী হয়, তাহলে তাকে জাহান্নামীদের অবস্থা দেখানো হবে। তাকে বলা হবেঃ এটাই তোমার আবাসস্থল। অবশেষে এখান থেকেই কিয়ামতের দিকে তোমাকে উঠানো হবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ : " إِذَا مَاتَ أَحَدُكُمْ عُرِضَ عَلَى مَقْعَدِهِ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ إِنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَمِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ، وَإِنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَمِنْ أَهْلِ النَّارِ يُقَالُ هَذَا مَقْعَدُكَ حَتَّى تُبْعَثَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭১
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৭১। সুওয়ায়দ ইবন সাঈদ (রাহঃ)...আব্দুর রহমান ইবন কা'ব আনসারী (রাযিঃ)-এর পিতার সূত্রে বর্ণিত কা'ব আনসারী (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ মু'মিনের রূহ একটি পাখির আকৃতিতে জান্নাতের বৃক্ষরাজির মাঝে আনন্দে বিচরণ করবে। অবশেষে কিয়ামতের দিন তা তার শরীরে ফিরে আসবে।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ الأَنْصَارِيِّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ : " إِنَّمَا نَسَمَةُ الْمُؤْمِنِ طَائِرٌ يَعْلُقُ فِي شَجَرِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى جَسَدِهِ يَوْمَ يُبْعَثُ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪২৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৭২
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
কবরের অবস্থা ও মুসীবতের বর্ণনা
৪২৭২। ইসমাঈল ইব্ন হাফস উবুলী (রাহঃ)..... আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয়, তখন সে সূর্যকে অস্তমিত দেখতে পায়। সে বলে তার চক্ষুদ্বয় মুছে এবং বলেঃ আমাকে ছেড়ে দাও, আমি সালাত আদায় করবো, (অর্থাৎ দুনিয়ার অভ্যাস অনুসারে সে সালাত আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিবে)।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ الْقَبْرِ وَالْبِلَى
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ حَفْصٍ الأُبُلِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ : " إِذَا أُدْخِلَ الْمَيِّتُ الْقَبْرَ مُثِّلَتِ الشَّمْسُ لَهُ عِنْدَ غُرُوبِهَا فَيَجْلِسُ يَمْسَحُ عَيْنَيْهِ وَيَقُولُ : دَعُونِي أُصَلِّي " .
তাহকীক: