কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

كتاب السنن للإمام ابن ماجة

৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪২৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৭
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৪৭। আবু বাকর ইবন আবু শায়বা (রাযিঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের কেউ (গুনাহ থেকে) তাওবা করলে মহান আল্লাহ্ এত খুশী হন, যেমন কেউ হারানো বস্তু ফিরে পেলে খুশী হয়।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنْهُ بِضَالَّتِهِ إِذَا وَجَدَهَا ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৮
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৪৮। ইয়াকূব ইবন হুমায়দ ইবন কাসির মাদিনী (রাহঃ)......আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যদি তোমরা এত অধিক পরিমাণ গুনাহ কর, যা আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, এর পর যদি তোমরা তাওবা কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের তাওবা কবুল করবেন।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدِ بْنِ كَاسِبٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ بُرْقَانَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الأَصَمِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ لَوْ أَخْطَأْتُمْ حَتَّى تَبْلُغَ خَطَايَاكُمُ السَّمَاءَ ثُمَّ تُبْتُمْ لَتَابَ عَلَيْكُمْ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৪৯
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৪৯। সুফিয়ান ইব্‌ন ওয়াকী (রাহঃ)......আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ তা'আলা তাঁর কোন তাওবাকারী বান্দার প্রতি সেই ব্যক্তির চাইতেও অধিকতর সন্তুষ্ট হন, যে ব্যক্তির উট কোন জনমানবহীন খাদ্য শষ্যবিহীন জঙ্গলে হারিয়ে গেছে, সে তাকে তালাশ করে এমন কি ক্লান্ত হয়ে নিজের কাপড় মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে। (কেননা, এখন বাঁচার কোন উপায় নেই। পানাহারের একমাত্র ভরসা ছিল সেই উটটি। সে জঙ্গলে, এক ফোঁটা পানিও নেই)। যখন সে এ অবস্থায় ছিল হঠাৎ সে সেখানে উটের পায়ের শব্দ শুনতে পেল যেখানে সে তাকে হারিয়েছিল তখন সে তার মুখ থেকে আবরণ উঠিয়ে দেখে যে, সেটি হলো তার সেই উট।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ عَبْدِهِ مِنْ رَجُلٍ أَضَلَّ رَاحِلَتَهُ بِفَلاَةٍ مِنَ الأَرْضِ فَالْتَمَسَهَا حَتَّى إِذَا أَعْيَى تَسَجَّى بِثَوْبِهِ فَبَيْنَا هُوَ كَذَلِكَ إِذْ سَمِعَ وَجْبَةَ الرَّاحِلَةِ حَيْثُ فَقَدَهَا فَكَشَفَ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ فَإِذَا هُوَ بِرَاحِلَتِهِ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫০
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫০। আহমাদ ইবন সাঈদ দারিমী (রাহঃ)...... আবু উবায়দা ইবন আব্দুল্লাহ (রাহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ গুনাহ থেকে তাওবাকারীর উপমা হচ্ছে সেই ব্যক্তির মত, যার কোন গুনাহ নেই।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لاَ ذَنْبَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫১
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫১। আহমাদ ইব্‌ন মানী (রাহঃ)........ আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ সমস্ত আদম সন্তানই গুনাহগার। আর উত্তম গুনাহগার হলো তাওবাকারীরা।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫২
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫২। হিশাম ইব্‌ন আম্মার (রাহঃ)...... ইব্‌ন মা'কিল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম। আমি তাকে বলতে শুনলামঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ “শরমিন্দা হওয়াই তাওবা”। তখন আমার পিতা তাঁকে বললেনঃ আপনি কি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন যে, “গুনাহ থেকে শরমিন্দা হওয়াই তাওবা”? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنِ ابْنِ مَعْقِلٍ، قَالَ ‏:‏ دَخَلْتُ مَعَ أَبِي عَلَى عَبْدِ اللَّهِ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏"‏ النَّدَمُ تَوْبَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ أَبِي ‏:‏ أَنْتَ سَمِعْتَ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ ‏:‏ ‏"‏ النَّدَمُ تَوْبَةٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ نَعَمْ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৩
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫৩। রাশিদ ইব্‌ন সাঈদ রামলী (রাহঃ).......আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ)-এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ জাল্লাশানুহু বান্দার প্রাণ কণ্ঠনালীতে না পৌঁছা পর্যন্ত তার তাওবা কবুল করবেন।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا رَاشِدُ بْنُ سَعِيدٍ الرَّمْلِيُّ، أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৪
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫৪। ইসহাক ইব্‌ন ইবরাহীম ইব্‌ন হাবীব (রাহঃ)....... ইবন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর নিকট হাযির হয়ে বললো যে, সে এক অপরিচিতা মহিলাকে চুম্বন করেছে। সে এই চুম্বনের কাফ্ফারা সম্পর্কে জানতে চাইলো। কিন্তু তিনি তাকে কিছুই বললেন না। তখন আল্লাহ জাল্লাশানুহু এই আয়াত নাযিল করলেনঃ

وَأَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ

“দিনের উভয় প্রান্তে সালাত আদায় করবে এবং রাতের প্রথম অংশেও। নিশ্চয় নেক কাজ মন্দকাজকে মিটিয়ে দেয়। এই উপদেশ তাদের জন্য, যারা উপদেশ গ্রহণ করে"। (১১ঃ ১১৪)।
তখন সেই ব্যক্তি বললোঃ হে আল্লাহর রাসূল! এ নির্দেশ কি কেবল আমার জন্যই? তিনি বললেন ঃ বরং আমার উম্মাতের যে কেউ এর উপর আমল করবে, তার জন্যই। (অর্থাৎ সবাই এই আমলের অংশীদার)।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، ‏:‏ أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَذَكَرَ أَنَّهُ أَصَابَ مِنِ امْرَأَةٍ قُبْلَةً فَجَعَلَ يَسْأَلُ عَنْ كَفَّارَتِهَا فَلَمْ يَقُلْ لَهُ شَيْئًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَأَقِمِ الصَّلاَةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ إِنَّ الْحَسَنَاتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ ذَلِكَ ذِكْرَى لِلذَّاكِرِينَ)‏ فَقَالَ الرَّجُلُ ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِي هَذِهِ فَقَالَ ‏:‏ ‏ "‏ هِيَ لِمَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ أُمَّتِي ‏"‏ ‏.‏
হাদীস নং:৪২৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৫
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫৫। মুহাম্মাদ ইবন ইয়াহ্ইয়া ও ইসহাক ইব্‌ন মনসুর (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি তার নাফসের উপর বাড়াবাড়ি করেছিল (অর্থাৎ নাফরমানী করেছিল)। যখন তার মৃত্যু ঘনিয়ে এলো, তখন সে তার পুত্রদের অসীয়্যত করে বললোঃ আমি মারা গেলে তোমরা আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্মীভূত করে ফেলবে। অতঃপর পিষে চূর্ণ-বিচূর্ণ করবে। তারপর প্রবল বায়ুর মধ্যে আমার ছাই ভস্ম সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে। (এতে কিছু অংশ বাতাসে উড়ে যাবে এবং বাকী অংশ সমুদ্রের পানিতে মিশে যাবে)। আল্লাহর শপথ! যদি আমার রব (আল্লাহ) আমাকে পাঁকড়াও করেন তাহলে তিনি আমাকে এমন ভয়ানক শাস্তি দিবেন, যা অন্য কাউকে দেননি।

রাবী বললেন, তখন তারা (তার পুত্ররা) তার অসীয়্যত মত কাজ করলো। তখন আল্লাহ তা'আলা যমীনকে নির্দেশ দিলেনঃ তুমি (এই ব্যক্তির দেহ ভস্ম থেকে) যা গ্রহণ করলে, তা (আমার) সামনে পেশ কর। আচানক সে দণ্ডায়মান হবে। তখন তিনি (আল্লাহ) তাকে জিজ্ঞাসা করবেনঃ এই কাজে কি সে তোমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে ? সে বলবেঃ হে আমার প্রতিপালক! আপনার ভয়, কিংবা আপনার ভয়েই এমনটি করেছি। তখন আল্লাহ তাকে এজন্য ক্ষমা করে দেন।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ ‏:‏ أَلاَ أُحَدِّثُكَ بِحَدِيثَيْنِ عَجِيبَيْنِ ‏:‏ أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ أَسْرَفَ رَجُلٌ عَلَى نَفْسِهِ فَلَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ أَوْصَى بَنِيهِ فَقَالَ ‏:‏ إِذَا أَنَا مِتُّ فَأَحْرِقُونِي ثُمَّ اسْحَقُونِي ثُمَّ ذَرُّونِي فِي الرِّيحِ فِي الْبَحْرِ فَوَاللَّهِ لَئِنْ قَدَرَ عَلَىَّ رَبِّي لَيُعَذِّبُنِي عَذَابًا مَا عَذَّبَهُ أَحَدًا ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَفَعَلُوا بِهِ ذَلِكَ فَقَالَ لِلأَرْضِ ‏:‏ أَدِّي مَا أَخَذْتِ ‏.‏ فَإِذَا هُوَ قَائِمٌ فَقَالَ لَهُ ‏:‏ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ قَالَ ‏:‏ خَشْيَتُكَ - أَوْ مَخَافَتُكَ - يَا رَبِّ ‏.‏ فَغَفَرَ لَهُ لِذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৬
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫৬। যুহরী (রাহঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক মহিলা একটি বিড়ালকে নির্যাতনের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল। এই বিড়ালটি সে বেঁধে রেখেছিল, সে তাকে খাবার দেয়নি ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে ভূ-পৃষ্ঠের কীট-পতঙ্গ খেতে পারে, অবশেষে সে অনাহারে মারা গেল।

যুহরী (রাহঃ) বলেন, এই দুই হাদীস দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যক্তির পক্ষে তার আমলের উপর ভরসা করা উচিত নয়, এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়াও ঠিক নয়।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
قَالَ الزُّهْرِيُّ وَحَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ دَخَلَتِ امْرَأَةٌ النَّارَ فِي هِرَّةٍ رَبَطَتْهَا فَلاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ هِيَ أَرْسَلَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ ‏:‏ لِئَلاَّ يَتَّكِلَ رَجُلٌ وَلاَ يَيْأَسَ رَجُلٌ ‏.‏
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪২৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৭
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫৭। আব্দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রাহঃ)...... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাবারাকা ও তা'আলা বলেনঃ হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই গুনাহগার, তবে যাদের আমি ক্ষমা করবো (তারা ব্যতিত)। কাজেই তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত চাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিব, আর তোমাদের মধ্যে যারা জানে যে, আমি ক্ষমা করে দিতে সক্ষম এবং সর্বশক্তিমান, তারা যেন আমার উপর বিশ্বাস রেখে মাগফিরাত কামনা করে, তাহলে আমি তাদের ক্ষমা করে দেব। (হে আমার বান্দারা)! তোমরা সবাই পথভ্রষ্ট, তবে যাকে আমি হিদায়েত দান করেছি, সে ব্যতীত। সুতরাং তোমরা আমার কাছে হিদায়েত কামনা কর, আমি তোমাদের সুপথ দেখাবো। তোমরা সবাই অভাবী, তবে আমি যার অভাব মোচন করেছি (সে ব্যতিত)। অতএব তোমরা আমার কাছেই জীবিকা চাও, আমি তোমাদের পর্যাপ্ত জীবীকা দান করব। তোমাদের জীবিত, মৃত, অগ্রবর্তী-পরবর্তী, পানিতে অবস্থানকারী, স্থলভাগে বসবাসকারী চেতন-অচেতন নির্বিশেষে সকলেই যদি আমার সেই বান্দার মত হয়ে যাও, যে আমার নিকট সর্বাপেক্ষা বড় পরহেযগার ও বিশুদ্ধ অন্তর সম্পন্ন (যেমন মুহাম্মাদ (ﷺ)); তাহলে আমার সালতানাত একটি মশার ডানার সমানও বৃদ্ধি পাবে না। পক্ষান্তরে, এরা সবাই যদি যৌথভাবে সেই দুর্বৃত্তের মত হয়ে যায়, সে সর্বাপেক্ষা বদবখত ও নিকৃষ্টতর ছিল (যেমন নমরূদ, ফির'আউন, শাদ্দাদ); তাহলে এতেও আমার রাজত্বে এক মশার ডানা পরিমাণও ঘাটতি হবে না। তোমাদের জীবিত, মৃত, অগ্রবর্তী-পরবর্তী, পানিতে অবস্থানকারী স্থলভাগে বসবাসকারী নির্বিশেষে সবাই যদি একত্র হয়ে তোমাদের দাবী-দাওয়ার সীমারেখা যতটাই হোক আমার কাছে চাও, সকলের চাহিদা পূরণ করলেও আমার ধনাগারের বিন্দুমাত্রও হ্রাস পাবে না। তবে হ্যাঁ, এই পরিমাণ ঘাটতি হবে, যেমন তোমাদের কেউ সমুদ্রের তীরে গিয়ে তার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম সুঁই ডুবিয়ে দিয়ে তা বের করে আনে। এর কারণ হচ্ছে এই যে, আমি মহাদাতা, আমার দেওয়ার পদ্ধতি হচ্ছে এই যে, যখন আমি কোন কিছুর ইরাদা করি, তখন আমি বলিঃ 'হও', অমনি তা হয়ে যায়।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُوسَى بْنِ الْمُسَيَّبِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَقُولُ يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ مُذْنِبٌ إِلاَّ مَنْ عَافَيْتُ فَسَلُونِي الْمَغْفِرَةَ فَأَغْفِرَ لَكُمْ وَمَنْ عَلِمَ مِنْكُمْ أَنِّي ذُو قُدْرَةٍ عَلَى الْمَغْفِرَةِ فَاسْتَغْفَرَنِي بِقُدْرَتِي غَفَرْتُ لَهُ، وَكُلُّكُمْ ضَالٌّ إِلاَّ مَنْ هَدَيْتُ فَسَلُونِي الْهُدَى أَهْدِكُمْ، وَكُلُّكُمْ فَقِيرٌ إِلاَّ مَنْ أَغْنَيْتُ فَسَلُونِي أَرْزُقْكُمْ، وَلَوْ أَنَّ حَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ وَأَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا فَكَانُوا عَلَى قَلْبِ أَتْقَى عَبْدٍ مِنْ عِبَادِي - لَمْ يَزِدْ فِي مُلْكِي جَنَاحُ بَعُوضَةٍ، وَلَوِ اجْتَمَعُوا فَكَانُوا عَلَى قَلْبِ أَشْقَى عَبْدٍ مِنْ عِبَادِي لَمْ يَنْقُصْ مِنْ مُلْكِي جَنَاحُ بَعُوضَةٍ وَلَوْ أَنَّ حَيَّكُمْ وَمَيِّتَكُمْ، وَأَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَرَطْبَكُمْ وَيَابِسَكُمُ اجْتَمَعُوا، فَسَأَلَ كُلُّ سَائِلٍ مِنْهُمْ مَا بَلَغَتْ أُمْنِيَّتُهُ - مَا نَقَصَ مِنْ مُلْكِي إِلاَّ كَمَا لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ مَرَّ بِشَفَةِ الْبَحْرِ فَغَمَسَ فِيهَا إِبْرَةً ثُمَّ نَزَعَهَا، ذَلِكَ بِأَنِّي جَوَادٌ مَاجِدٌ عَطَائِي كَلاَمٌ إِذَا أَرَدْتُّ شَيْئًا فَإِنَّمَا أَقُولُ لَهُ ‏:‏ كُنْ فَيَكُونُ ‏"‏ ‏.‏