কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ

৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা

হাদীস নং: ৪২৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫৩
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫৩। রাশিদ ইব্‌ন সাঈদ রামলী (রাহঃ).......আব্দুল্লাহ ইবন আমর (রাযিঃ)-এর সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ জাল্লাশানুহু বান্দার প্রাণ কণ্ঠনালীতে না পৌঁছা পর্যন্ত তার তাওবা কবুল করবেন।
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا رَاشِدُ بْنُ سَعِيدٍ الرَّمْلِيُّ، أَنْبَأَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ ‏:‏ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ ‏"‏ ‏.‏

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, তাওবা কবুলের শেষ সীমা হচ্ছে মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হওয়া। মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হয়ে গেলে তাওবার সুযোগ শেষ হয়ে যায়। কেননা তাওবার একটি শর্ত হল পুনরায় গুনাহে লিপ্ত না হওয়ার অঙ্গীকার করা। সেই অঙ্গীকার তখনই করা যায়, যখন গুনাহ করার সময় থাকে। কিন্তু মৃত্যু হয়ে গেলে সেই সময় কোথায়? বান্দা তো এ সময় জীবন সম্পর্কে হতাশ হয়ে পড়ে। হতাশাকর এই অবস্থায় ফের গুনাহ না করার অঙ্গীকার অবান্তর। তো যেহেতু এই অবস্থায় তাওবা কবুলের শর্ত পূরণ হয় না, তাই তাওবাও কবুল হয় না। কুরআন মাজীদেও সুস্পষ্ট ইরশাদ হয়েছে-

وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّى إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ

অর্থ : তাওবা কবুল তাদের প্রাপ্য নয়, যারা অসৎকর্ম করতে থাকে, পরিশেষে তাদের কারও যখন মৃত্যুক্ষণ এসে পড়ে, তখন সে বলে, এখন আমি তাওবা করলাম। -নিসাঃ ১৮
বি. দ্র. : হাদীছ শাস্ত্রে 'হাসান' একটি পরিভাষার নাম। এর দ্বারা দ্বিতীয় স্তরের বিশুদ্ধ হাদীছ বোঝানো হয়ে থাকে। এরকম হাদীছও প্রমাণ ও অনুসরণযোগ্য।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

তাওবার জন্য কালক্ষেপণ করা অনুচিত, কারণ জানা নেই কখন মৃত্যু এসে যাবে। ফলে তাওবা ছাড়াই কবরে চলে যেতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
সুনানে ইবনে মাজা - হাদীস নং ৪২৫৩ | মুসলিম বাংলা