কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪১২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৫
দরিদ্রদের সাথে উঠা-বসা
৪১২৫। আব্দুল্লাহ ইবন সাঈদ আল-কিনদী (রাযিঃ)...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জা'ফর ইব্ন আবু তালিব (রাযিঃ) মিসকীনদের ভালবাসতেন, তাদের সাথে কথাবার্তা বলতেন এবং তারাও তাঁর সাথে আলাপ করতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে' আবুল মাসাকীন' অর্থাৎ 'দরিদ্রদের পিতা' উপনামে ভূষিত করেন।
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ الْكِنْدِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ أَبُو يَحْيَى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ أَبُو إِسْحَاقَ الْمَخْزُومِيُّ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ جَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ يُحِبُّ الْمَسَاكِينَ وَيَجْلِسُ إِلَيْهِمْ وَيُحَدِّثُهُمْ وَيُحَدِّثُونَهُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَكْنِيهِ أَبَا الْمَسَاكِينِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪১২৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৬
দরিদ্রদের সাথে উঠা-বসা
৪১২৬। আবু বাকর ইব্ন আবু শায়বাও আব্দুল্লাহ ইবন সাঈদী (রাহঃ)...... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমারা মিস্কীনদের ভালবাসবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর দু'আয় বলতে শুনেছিঃ “হে আল্লাহ! আমাকে মিসকীন হিসেবে জীবিত রেখো, মিসকীন হিসেবে আমার মৃত্যু দান করো এবং মিসকীনদের দলভূক্ত করে আমাকে হাশরের ময়দানে উঠিয়ো।"
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَحِبُّوا الْمَسَاكِينَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ " اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مِسْكِينًا وَأَمِتْنِي مِسْكِينًا وَاحْشُرْنِي فِي زُمْرَةِ الْمَسَاكِينِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪১২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৭
দরিদ্রদের সাথে উঠা-বসা
৪১২৭। আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ ইব্ন ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ কাত্তান (রাহঃ)....... খাববার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি মহান আল্লাহর বাণী এ আয়াত সম্পর্কে বলেনঃ
ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجـهـه ماعليك من حسابهم من شيئ ومـا مـن حـسـابـك علـيـهـم مـن شـيـي فـتـطـردهـم فـتكون من الظالمين
“যারা তাদের প্রতিপালককে প্রাতে ও সন্ধ্যায় তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ডাকে, তাদের তুমি তাড়িয়ে দিয়ো না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কর্মের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের উপর ন্যস্ত নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে। যদি তাড়িয়ে দাও, তাহলে তুমি যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হবে।" (৬ঃ৫২)
রাবী বলেন, আক্রা ইবন হাবিস তামিমী ও উয়ায়নাহ ইবন হিসন (এরা উভয়ে গোত্র প্রধান ও বিত্তবান ছিলেন) তারা রাসূলূল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আসলেন। তারা রাসূলূল্লাহ (ﷺ) কে সুহাইব (রাযিঃ), বিলাল (রাযিঃ), আম্মার (রাযিঃ) খাববার (রাযিঃ) প্রমুখ দরিদ্র অসহায় মু'মিনদের সাথে বসা পেলেন। তারা নবী (ﷺ) এর চার পাশে এঁদের বসা দেখেতে পেয়ে, তাদের হেয় জ্ঞান করলেন। তাঁরা রাসূলূল্লাহ (ﷺ) -এর নিকটকে এলেন এবং নির্জনে তাঁর সাথে আলাপ আলোচনা শুরু করলেন। তারা বললেন যে, আমরা চাই, আপনি আমাদের
জন্য স্বতন্ত্রভাবে বসার ব্যবস্থা করবেন, যাতে আরবরা আমাদের মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত হতে পারে। কেননা, আপনার কাছে আরবের প্রতিনিধিদল আসে। সুতরাং এই দাসদের সাথে আরবরা আমাদেরকে বসা দেখলে এতে আমরা লজ্জাবোধ করি। তাই আমরা যখন আপনার কাছে আসি তখন আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে উঠিয়ে দিবেন। আমরা আপনার কাছ থেকে বিদায় দিলে, আপনি ইচ্ছা করলে, তাদের সাথে বসতে পারেন। তিনি বললেনঃ ঠিক আছে। (নেতা গোছের লোকগুলোর চিত্তাকর্ষণের জন্য ইসলামের গৌরব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এতে সম্মতি দান করলেন) তারা বললেনঃ আপনি আমাদের জন্য এই মর্মে একটি চুক্তি লিখে দিন। রাবী বলেনঃ তখন তিনি কাগজ আনালেন এবং আলী (রাযিঃ) কে লেখার জন্য ডাকলেন। আর আমরা এক পাশে বসা ছিলাম। তখন জিবরাঈল (আ) নাযিল হলেন এবং বললেনঃ
ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجـهـه مـاعليك من حـسـابـهـم مـن شـيئ ومـا مـن حـسـابـك علـيـهـم مـن شــي فـتـطـردهـم فتكون من الظالمين
“যারা তাদের রবকে সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য, তাদের আপনি তাড়িয়ে দিবেন না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব আপনার নয় এবং আপনার কর্মের জাবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, আপনি তাদের বিতাড়িত করবেন। যদি আপনি তাদের সরিয়ে দিন, তাহলে যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হবেন"। (সূরা আনআম, ৬ঃ ৫২)
অতঃপর আল্লাহ তা'আলা আকরা ইবন হাবিস ও উয়ায়নাহ্ ইবন হিসন এর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ করেনঃ
وكذالك فتنا بعضهم ببعض ليقولوا أهؤلاء من الله عليهم من بيننا أليس الله بأعلم بالشاكرين.
“এইভাবে আমি তাদের একদলকে অন্যদল দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যেন তারা বলেঃ আমাদিগের মধ্যে কি এদের প্রতিই আল্লাহ অনুগ্রহ করলেন? আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকদের সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত নন"? (সূরা আনআম, ৬ঃ ৫৩)
এর পর আল্লাহ তা'আলা বললেনঃ
وإذا جائك الذين يؤمنون بايـأتـنـا فـقـل سـلام عليكم كتب ربكم على نفسه الرحمة
"যারা আমার আয়াত সমূহের প্রতি ঈমান এনেছে, তারা যখন আপনার নিকটে আসে, তখন আপনি বলবে 'তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক 'তোমাদের রব (তোমাদের জন্য) রহমত বর্ষণ করা তার উপর স্থির করেছেন"। (সূরা আনআম, ৬৪৫৪)
রাবী বলেন, তখন আমরা তাঁর নিকটবর্তী হলাম, এমনকি আমাদের জানু তাঁর জানুর সাথে লাগিয়ে বসলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সাথে বসতেন এবং যখন উঠার ইচ্ছা করতেন, তখন আমাদের ছেড়ে দাঁড়িয়ে যেতেন। তখন আল্লাহ তা'আলা এই আয়াত নাযিল করলেন واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجهه ولا تعد عيناك عنهم
“আপনি নিজকে ধৈর্য সহকারে রাখবেন তাদেরই সংঙ্গে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁদের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং আপনি পার্থিব জীবনের শোভা কামান করে তাদের থেকে আপনার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিবেন না।"- (কাহফ, ১৮ঃ ২৮)
আর আপনি অভিজাতদের সাথে বসবে না। “আপনি তার অনুগত্য করো না, যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছিল (অর্থাৎ উয়ায়নাহ ও আকরা ইবনে হাবিস-এর কথায় কান দিবেন না), যে তার খেয়াল-খুলীর অনুসরণ করেও যার কাজ কর্ম সীমা অতিক্রম করে। (রাবী বলেনঃ সে ধ্বংস হয়েছে)। তিনি বলেনঃ উরায়নাহ ও আকরা ইবন হারিস-এর কর্মকান্ড বরবাদ হয়েছে। অতঃপর তিনি তাদের সামনে দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত পার্থিক জীবনের উপমা পেশ করলেন (সূরা কাফ্ফের ৩২ নং ও ৪৫ নং আয়াতে এর উল্লেখ রয়েছে)। খাব্বাব (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর এমন অবস্থা হয়ে গেল যে, আমরা নবী (ﷺ) এর সাথে উঠা-বাস করতাম। যখন তাঁর উঠার সময় হতো, তখন আমরা উঠে দাঁড়াতাম এবং তাঁকে উঠার জন্য সুযোগ করে দিতাম।
ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجـهـه ماعليك من حسابهم من شيئ ومـا مـن حـسـابـك علـيـهـم مـن شـيـي فـتـطـردهـم فـتكون من الظالمين
“যারা তাদের প্রতিপালককে প্রাতে ও সন্ধ্যায় তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ডাকে, তাদের তুমি তাড়িয়ে দিয়ো না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব তোমার নয় এবং তোমার কোন কর্মের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের উপর ন্যস্ত নয় যে, তুমি তাদের বিতাড়িত করবে। যদি তাড়িয়ে দাও, তাহলে তুমি যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হবে।" (৬ঃ৫২)
রাবী বলেন, আক্রা ইবন হাবিস তামিমী ও উয়ায়নাহ ইবন হিসন (এরা উভয়ে গোত্র প্রধান ও বিত্তবান ছিলেন) তারা রাসূলূল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে আসলেন। তারা রাসূলূল্লাহ (ﷺ) কে সুহাইব (রাযিঃ), বিলাল (রাযিঃ), আম্মার (রাযিঃ) খাববার (রাযিঃ) প্রমুখ দরিদ্র অসহায় মু'মিনদের সাথে বসা পেলেন। তারা নবী (ﷺ) এর চার পাশে এঁদের বসা দেখেতে পেয়ে, তাদের হেয় জ্ঞান করলেন। তাঁরা রাসূলূল্লাহ (ﷺ) -এর নিকটকে এলেন এবং নির্জনে তাঁর সাথে আলাপ আলোচনা শুরু করলেন। তারা বললেন যে, আমরা চাই, আপনি আমাদের
জন্য স্বতন্ত্রভাবে বসার ব্যবস্থা করবেন, যাতে আরবরা আমাদের মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত হতে পারে। কেননা, আপনার কাছে আরবের প্রতিনিধিদল আসে। সুতরাং এই দাসদের সাথে আরবরা আমাদেরকে বসা দেখলে এতে আমরা লজ্জাবোধ করি। তাই আমরা যখন আপনার কাছে আসি তখন আপনি এদেরকে আপনার নিকট থেকে উঠিয়ে দিবেন। আমরা আপনার কাছ থেকে বিদায় দিলে, আপনি ইচ্ছা করলে, তাদের সাথে বসতে পারেন। তিনি বললেনঃ ঠিক আছে। (নেতা গোছের লোকগুলোর চিত্তাকর্ষণের জন্য ইসলামের গৌরব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এতে সম্মতি দান করলেন) তারা বললেনঃ আপনি আমাদের জন্য এই মর্মে একটি চুক্তি লিখে দিন। রাবী বলেনঃ তখন তিনি কাগজ আনালেন এবং আলী (রাযিঃ) কে লেখার জন্য ডাকলেন। আর আমরা এক পাশে বসা ছিলাম। তখন জিবরাঈল (আ) নাযিল হলেন এবং বললেনঃ
ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجـهـه مـاعليك من حـسـابـهـم مـن شـيئ ومـا مـن حـسـابـك علـيـهـم مـن شــي فـتـطـردهـم فتكون من الظالمين
“যারা তাদের রবকে সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য, তাদের আপনি তাড়িয়ে দিবেন না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব আপনার নয় এবং আপনার কর্মের জাবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, আপনি তাদের বিতাড়িত করবেন। যদি আপনি তাদের সরিয়ে দিন, তাহলে যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হবেন"। (সূরা আনআম, ৬ঃ ৫২)
অতঃপর আল্লাহ তা'আলা আকরা ইবন হাবিস ও উয়ায়নাহ্ ইবন হিসন এর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ করেনঃ
وكذالك فتنا بعضهم ببعض ليقولوا أهؤلاء من الله عليهم من بيننا أليس الله بأعلم بالشاكرين.
“এইভাবে আমি তাদের একদলকে অন্যদল দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যেন তারা বলেঃ আমাদিগের মধ্যে কি এদের প্রতিই আল্লাহ অনুগ্রহ করলেন? আল্লাহ কি কৃতজ্ঞ লোকদের সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত নন"? (সূরা আনআম, ৬ঃ ৫৩)
এর পর আল্লাহ তা'আলা বললেনঃ
وإذا جائك الذين يؤمنون بايـأتـنـا فـقـل سـلام عليكم كتب ربكم على نفسه الرحمة
"যারা আমার আয়াত সমূহের প্রতি ঈমান এনেছে, তারা যখন আপনার নিকটে আসে, তখন আপনি বলবে 'তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক 'তোমাদের রব (তোমাদের জন্য) রহমত বর্ষণ করা তার উপর স্থির করেছেন"। (সূরা আনআম, ৬৪৫৪)
রাবী বলেন, তখন আমরা তাঁর নিকটবর্তী হলাম, এমনকি আমাদের জানু তাঁর জানুর সাথে লাগিয়ে বসলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সাথে বসতেন এবং যখন উঠার ইচ্ছা করতেন, তখন আমাদের ছেড়ে দাঁড়িয়ে যেতেন। তখন আল্লাহ তা'আলা এই আয়াত নাযিল করলেন واصبر نفسك مع الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجهه ولا تعد عيناك عنهم
“আপনি নিজকে ধৈর্য সহকারে রাখবেন তাদেরই সংঙ্গে, যারা সকাল ও সন্ধ্যায় তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁদের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং আপনি পার্থিব জীবনের শোভা কামান করে তাদের থেকে আপনার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিবেন না।"- (কাহফ, ১৮ঃ ২৮)
আর আপনি অভিজাতদের সাথে বসবে না। “আপনি তার অনুগত্য করো না, যার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করে দিয়েছিল (অর্থাৎ উয়ায়নাহ ও আকরা ইবনে হাবিস-এর কথায় কান দিবেন না), যে তার খেয়াল-খুলীর অনুসরণ করেও যার কাজ কর্ম সীমা অতিক্রম করে। (রাবী বলেনঃ সে ধ্বংস হয়েছে)। তিনি বলেনঃ উরায়নাহ ও আকরা ইবন হারিস-এর কর্মকান্ড বরবাদ হয়েছে। অতঃপর তিনি তাদের সামনে দুই ব্যক্তির দৃষ্টান্ত পার্থিক জীবনের উপমা পেশ করলেন (সূরা কাফ্ফের ৩২ নং ও ৪৫ নং আয়াতে এর উল্লেখ রয়েছে)। খাব্বাব (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর এমন অবস্থা হয়ে গেল যে, আমরা নবী (ﷺ) এর সাথে উঠা-বাস করতাম। যখন তাঁর উঠার সময় হতো, তখন আমরা উঠে দাঁড়াতাম এবং তাঁকে উঠার জন্য সুযোগ করে দিতাম।
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ الْعَنْقَزِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ نَصْرٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِي سَعْدٍ الأَزْدِيِّ، وَكَانَ، قَارِئَ الأَزْدِ عَنْ أَبِي الْكَنُودِ، عَنْ خَبَّابٍ، فِي قَوْلِهِ تَعَالَى (وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ) إِلَى قَوْلِهِ (فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ) قَالَ جَاءَ الأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ وَعُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ الْفَزَارِيُّ فَوَجَدُوا رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مَعَ صُهَيْبٍ وَبِلاَلٍ وَعَمَّارٍ وَخَبَّابٍ قَاعِدًا فِي نَاسٍ مِنَ الضُّعَفَاءِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَلَمَّا رَأَوْهُمْ حَوْلَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ حَقَرُوهُمْ فَأَتَوْهُ فَخَلَوْا بِهِ وَقَالُوا إِنَّا نُرِيدُ أَنْ تَجْعَلَ لَنَا مِنْكَ مَجْلِسًا تَعْرِفُ لَنَا بِهِ الْعَرَبُ فَضْلَنَا فَإِنَّ وُفُودَ الْعَرَبِ تَأْتِيكَ فَنَسْتَحْيِي أَنْ تَرَانَا الْعَرَبُ مَعَ هَذِهِ الأَعْبُدِ فَإِذَا نَحْنُ جِئْنَاكَ فَأَقِمْهُمْ عَنْكَ فَإِذَا نَحْنُ فَرَغْنَا فَاقْعُدْ مَعَهُمْ إِنْ شِئْتَ . قَالَ " نَعَمْ " . قَالُوا فَاكْتُبْ لَنَا عَلَيْكَ كِتَابًا . قَالَ فَدَعَا بِصَحِيفَةٍ وَدَعَا عَلِيًّا لِيَكْتُبَ وَنَحْنُ قُعُودٌ فِي نَاحِيَةٍ فَنَزَلَ جِبْرَائِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ فَقَالَ (وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ مَا عَلَيْكَ مِنْ حِسَابِهِمْ مِنْ شَىْءٍ وَمَا مِنْ حِسَابِكَ عَلَيْهِمْ مِنْ شَىْءٍ فَتَطْرُدَهُمْ فَتَكُونَ مِنَ الظَّالِمِينَ) ثُمَّ ذَكَرَ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ وَعُيَيْنَةَ بْنَ حِصْنٍ فَقَالَ (وَكَذَلِكَ فَتَنَّا بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لِيَقُولُوا أَهَؤُلاَءِ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنْ بَيْنِنَا أَلَيْسَ اللَّهُ بِأَعْلَمَ بِالشَّاكِرِينَ) . ثُمَّ قَالَ (وَإِذَا جَاءَكَ الَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِآيَاتِنَا فَقُلْ سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ كَتَبَ رَبُّكُمْ عَلَى نَفْسِهِ الرَّحْمَةَ ) . قَالَ فَدَنَوْنَا مِنْهُ حَتَّى وَضَعْنَا رُكَبَنَا عَلَى رُكْبَتِهِ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَجْلِسُ مَعَنَا فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَقُومُ قَامَ وَتَرَكَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ (وَاصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ وَلاَ تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ) وَلاَ تُجَالِسِ الأَشْرَافَ (تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَلاَ تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَنْ ذِكْرِنَا) - يَعْنِي عُيَيْنَةَ وَالأَقْرَعَ - (وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ أَمْرُهُ فُرُطًا ) - قَالَ هَلاَكًا - قَالَ أَمْرُ عُيَيْنَةَ وَالأَقْرَعِ . ثُمَّ ضَرَبَ لَهُمْ مَثَلَ الرَّجُلَيْنِ وَمَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا . قَالَ خَبَّابٌ فَكُنَّا نَقْعُدُ مَعَ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَإِذَا بَلَغْنَا السَّاعَةَ الَّتِي يَقُومُ فِيهَا قُمْنَا وَتَرَكْنَاهُ حَتَّى يَقُومَ .
হাদীস নং:৪১২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪১২৮
দরিদ্রদের সাথে উঠা-বসা
৪১২৮। ইয়াহইয়া ইবন হাকীম (রাহঃ)...... সা'দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এই আয়াত আমাদের ছয়জনের ব্যাপারে নাযিল হয়েছেঃ আমি, ইবন মাসউদ, সুহাইব, আম্মার, মিকদাদ ও বিলাল (রাযিঃ)। রাবী বলেনঃ কুরায়শরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বললেন, আমরা এসব লোকদের অনুসরণে আপনার সাথে একত্রে (বসতে) সম্মত নই, আপনি আপনার নিকট থেকে এদের সরিয়ে দিন। রাবী বলেন, এই কথা শোনার পরে রাসুলূল্লাহ (ﷺ) -এর অন্তকরণে সেই কথাই প্রবিষ্ট হলো, যা আল্লাহর মঞ্জুর ছিল। অতঃপর মহান আল্লাহ এই আয়াত নাযিল করলেন-
ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجـهـه ماعليك من حـسـابـهـم مـن شـيـي ومـا مـن حـسـابـك علـيـهـم مـن شـيـي فـتطردهم فتكون من الظالمين
“যারা তাদের রবকে সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য, তাদের আপনি তাড়িয়ে দিবেন না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব আপনার নয় এবং আপনার কোন কর্মের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, আপনি তাদের বিতাড়িত করবেন যদি আপনি তাদের সরিয়ে দিন, তাহলে আপনি যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হবেন।” (সূরা আনআম, ৬ঃ৫২)।
ولا تطرد الذين يدعون ربهم بالغداة والعشي يريدون وجـهـه ماعليك من حـسـابـهـم مـن شـيـي ومـا مـن حـسـابـك علـيـهـم مـن شـيـي فـتطردهم فتكون من الظالمين
“যারা তাদের রবকে সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য, তাদের আপনি তাড়িয়ে দিবেন না। তাদের কর্মের জবাবদিহির দায়িত্ব আপনার নয় এবং আপনার কোন কর্মের জবাবদিহির দায়িত্বও তাদের নয় যে, আপনি তাদের বিতাড়িত করবেন যদি আপনি তাদের সরিয়ে দিন, তাহলে আপনি যালিমদের অন্তর্ভূক্ত হবেন।” (সূরা আনআম, ৬ঃ৫২)।
بَاب مُجَالَسَةِ الْفُقَرَاءِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعْدٍ، قَالَ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا سِتَّةٍ فِيَّ وَفِي ابْنِ مَسْعُودٍ وَصُهَيْبٍ وَعَمَّارٍ وَالْمِقْدَادِ وَبِلاَلٍ . قَالَ قَالَتْ قُرَيْشٌ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِنَّا لاَ نَرْضَى أَنْ نَكُونَ أَتْبَاعًا لَهُمْ فَاطْرُدْهُمْ عَنْكَ . قَالَ فَدَخَلَ قَلْبَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِنْ ذَلِكَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْخُلَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (وَلاَ تَطْرُدِ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُمْ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجْهَهُ) الآيَةَ .