কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
১০. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২০৬২
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬২
যিহার প্রসঙ্গে
২০৬২। আবু বকর ইবন আবু শায়বা (রাহঃ)....সালামা ইবন সাখর বায়াযী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি স্ত্রীদের প্রতি অধিক আসক্ত ছিলাম, অন্য পুরুষের তুলনায় আমি তাদের সাথে বেশী সহবাসে লিপ্ত হতাম। একবার রমযান মাস আসলো। আমি আমার স্ত্রী থেকে রমযান মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত যিহার করেছিলাম। একদিন রাতের বেলায় সে আমার সাথে কথা বলছিল। এমন সময় তার দেহের একটি অংশ আমার সামনে খুলে গেল। আমি তখন তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম এবং তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হলাম। যখন সকাল হলো, তখন আমি আমার সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে গেলাম এবং তাদেরকেও আমার ঘটনাটি জানালাম। আর আমি তাদের বললামঃ তোমরা আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা কর। তারা বললোঃ আমরা তা করতে পারব না। কেননা, হয়ত আল্লাহ আমাদের প্রসঙ্গে কুরআনে কোন আয়াত নাযিল করে ফেলবেন, অথবা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কিছু বলে ফেলবেন। ফলে আমরা চিরদিনের জন্য লজ্জিত হব। বরং আমরা তোমার অপরাধ সহ সোপর্দ করবো, তুমি নিজেই গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে তোমার ঘটনাটি খুলে বল। রাবী বলেনঃ তখন আমি বেরিয়ে পড়লাম এবং তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম এবং তাকে আমার ঘটনাটি জানালাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমিই এরূপ করেছ? আমি বললামঃ আমি-ই এরূপ করেছি। আর আমি এখানে ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) ! সবরের সাথে, আমার প্রতি আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য প্রস্তুত। তিনি বললেনঃ একটি গোলাম আযাদ করে দাও। আমি বললামঃ ঐ সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন, আমি তো আমার এই দেহটি ছাড়া অন্য কিছুর মালিক নই। তিনি বললেনঃ তাহলে ক্রমাগত দু'মাস সাওম পালন কর। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার উপর যে বিপদ এসেছে, তা তো সাওমের কারণেই। তিনি বললেনঃ তাহলে সদকা কর অথবা ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও। রাবী বলেন, আমি বললাম, সে সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন; আমরা এ রাতটি তো এভাবে অতিবাহিত করেছি যে, আমাদের রাতের খাবারও ছিল না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তুমি বনু যুরায়ক এর সদকা বন্টনকারীর কাছে যাও এবং তাকে বল, সে যেন তোমাকে সদকার কিছু মাল প্রদান করে। এখান থেকে ষাটজন মিসকীনকে তুমি আহার দান কর ও অবশিষ্ট অংশ দ্বারা নিজের প্রয়োজন মিটিয়ে নাও।
بَاب الظِّهَارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِيِّ قَالَ كُنْتُ امْرَأً أَسْتَكْثِرُ مِنْ النِّسَاءِ لَا أَرَى رَجُلًا كَانَ يُصِيبُ مِنْ ذَلِكَ مَا أُصِيبُ فَلَمَّا دَخَلَ رَمَضَانُ ظَاهَرْتُ مِنْ امْرَأَتِي حَتَّى يَنْسَلِخَ رَمَضَانُ فَبَيْنَمَا هِيَ تُحَدِّثُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ انْكَشَفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَوَثَبْتُ عَلَيْهَا فَوَاقَعْتُهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ خَبَرِي وَقُلْتُ لَهُمْ سَلُوا لِي رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا مَا كُنَّا نَفْعَلُ إِذًا يُنْزِلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِينَا كِتَابًا أَوْ يَكُونَ فِينَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَوْلٌ فَيَبْقَى عَلَيْنَا عَارُهُ وَلَكِنْ سَوْفَ نُسَلِّمُكَ لِجَرِيرَتِكَ اذْهَبْ أَنْتَ فَاذْكُرْ شَأْنَكَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَخَرَجْتُ حَتَّى جِئْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْتَ بِذَاكَ فَقُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ صَابِرٌ لِحُكْمِ اللهِ عَلَيَّ قَالَ فَأَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ إِلَّا رَقَبَتِي هَذِهِ قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ وَهَلْ دَخَلَ عَلَيَّ مَا دَخَلَ مِنْ الْبَلَاءِ إِلَّا بِالصَّوْمِ قَالَ فَتَصَدَّقْ أَوْ أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا هَذِهِ مَا لَنَا عَشَاءٌ قَالَ فَاذْهَبْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ وَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَانْتَفِعْ بِبَقِيَّتِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: