কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
كتاب السنن للإمام ابن ماجة
৫. নামাযের আদ্যোপান্ত বর্ণনা এবং সুন্নাতসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬১
সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত) প্রসঙ্গে
১২৬১। মুহাম্মাদ ইবন 'আব্দুল্লাহ ইবন নুমায়র (রাহঃ)...... আবু মাসউদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ মানুষের মধ্যে কারোর মৃত্যুর কারণে চন্দ্র ও সূর্যের গ্রহণ হয় না। অতএব যখন তোমরা গ্রহণ দেখবে, তখন দাঁড়িয়ে যাবে এবং সালাত আদায় করবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَقُومُوا فَصَلُّوا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১২৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬২
সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত) প্রসঙ্গে
১২৬২। মুহাম্মাদ ইবন মুসান্না, আহমদ ইবন সাবিত ও জামিল ইবন হাসান (রাহঃ) …… নু'মান ইবন বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যামানায় একবার সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। তখন তিনি শংকিত অবস্থায় বেরিয়ে পড়েন এবং তাঁর কাপড় (যমীনে) হেঁচড়াচ্ছিল, অবশেষে তিনি মসজিদে এসে হাযির হন। আর সূর্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সালাতে থাকেন। এরপর তিনি বলেনঃ মানুষের ধারণা, কোন মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুর কারণেই চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ হয়ে থাকে। কিন্তু আসলে তা নয়। কোন ব্যক্তির জন্ম বা মৃত্যুর কারণে চন্দ্র-সূর্য গ্রহণ হয় না, বরং আল্লাহ্ যখন তাঁর কোন সৃষ্টির প্রতি তাজাল্লী নিক্ষেপ করেন, তখন তা তাঁর ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ، وَجَمِيلُ بْنُ الْحَسَنِ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَرَجَ فَزِعًا يَجُرُّ ثَوْبَهُ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَلَمْ يَزَلْ يُصَلِّي حَتَّى انْجَلَتْ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ أُنَاسًا يَزْعُمُونَ أَنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنَ الْعُظَمَاءِ وَلَيْسَ كَذَلِكَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا تَجَلَّى اللَّهُ لِشَىْءٍ مِنْ خَلْقِهِ خَشَعَ لَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬৩
সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত) প্রসঙ্গে
১২৬৩। আহমদ ইবন 'আমর ইবন সারহ মিসরী (রাহঃ)..... 'আয়েশা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে মসজিদে যান। তিনি দাঁড়ান এবং তাকবীর বলেন এবং লোকেরা তাঁর পেছনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘ কিরাআত পাঠ করেন। এরপর তিনি তাকবীর বলেন এবং দীর্ঘ রুকূ করেন। তারপর তিনি তাঁর মাথা উঠিয়ে "সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ" - "রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ" বলেন। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে দীর্ঘ কিরা'আত পাঠ করেন। তবে তা ছিল প্রথম রাক'আতের তুলনায় কম। এরপর তিনি তাকবীর বলেন এবং দীর্ঘ রুকূ করেন। তবে তা ছিল প্রথম রুকূর চাইতে কম। এরপর তিনি “সামি'আল্লাহু লিমান হামিদাহ"-"রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ" বলেন। তারপর তিনি অনুরূপভাবে পরবর্তী রাক'আত আদায় করেন। এভাবে চার রাক'আত ও চার সিজদা পূর্ণ হয় এবং সালাত শেষ হওয়ার আগেই সূর্য গ্রহণ কেটে যায়। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করেন এবং বলেনঃ চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে দু'টো নিদর্শন, এ দু’টোর গ্রহণ কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে হয় না। তাই তোমরা যখন এ দু'য়ের গ্রহণ দেখতে পাবে, তখন দ্রুত সালাত আদায়ে রত হবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ فَكَبَّرَ فَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَقَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬৪
সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত) প্রসঙ্গে
১২৬৪। 'আলী ইবন মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রাহঃ)..... সামুরা ইবন জুন্দুব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদের নিয়ে কুসূফের সালাত আদায় করেন। তবে আমরা তাঁর থেকে কোন শব্দ শুনতে পাইনি।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ عِبَادٍ، عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فِي الْكُسُوفِ فَلاَ نَسْمَعُ لَهُ صَوْتًا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১২৬৫
সালাতুল কুসূফ (সূর্যগ্রহণের সালাত) প্রসঙ্গে
১২৬৫। মুহরিয ইবন সালামা 'আদানী (রাহঃ)...... আসমা বিনত আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কুসূফের সালাত আদায় করেন। তিনি দীর্ঘ কিয়াম করেন এবং দীর্ঘ রুকূ করেন। তারপর তিনি রুকূ থেকে উঠেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করেন। এরপর দীর্ঘ রুকূ করেন, তারপর তিনি উঠেন এবং দীর্ঘ সিজদা করেন। এরপর তিনি উঠেন এবং দীর্ঘ সিজদা করেন। তারপর তিনি উঠেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করেন। এরপর তিনি দীর্ঘ রুকূ করেন। তারপর তিনি উঠেন এবং দীর্ঘ কিয়াম করেন। তারপর তিনি দীর্ঘ রুকূ শেষে মাথা উঠান। তারপর দীর্ঘ সিজদা করেন। তারপর তিনি উঠেন এবং দীর্ঘ সিজদা করেন। তারপর তিনি সালাত শেষ করেন। তিনি বললেনঃ জান্নাত আমার নিকটবর্তী হয়েছিল। এমন কি আমি যদি সাহস করতাম, তবে আমি তোমাদের জন্য আংগুরের ছড়া নিয়ে আসতে পারতাম। আর জাহান্নামও আমার নিকটবর্তী হয়েছিল। এমন কি আমি বললামঃ হে আমার রব! আর আমি তো তোমাদের মাঝে আছি।
নাফি' (রাহঃ) বলেনঃ আমার ধারণা, তিনি বলেছেনঃ আমি এক মহিলাকে তার বিড়াল কর্তৃক দংশিত হতে দেখেছি। তখন আমি বললামঃ এ অবস্থা কেন? জাহান্নামের ফিরিশতারা বললেনঃ এ মহিলা সে বিড়ালটিকে আব্দ্ধ করে রেখেছিল সে ক্ষুধার্ত অবস্থায় মারা যায়। সে মহিলা বিড়ালটিকে খাবার দেয়নি, আর তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের কীট-পোকামাকড় খেতে পারত।
নাফি' (রাহঃ) বলেনঃ আমার ধারণা, তিনি বলেছেনঃ আমি এক মহিলাকে তার বিড়াল কর্তৃক দংশিত হতে দেখেছি। তখন আমি বললামঃ এ অবস্থা কেন? জাহান্নামের ফিরিশতারা বললেনঃ এ মহিলা সে বিড়ালটিকে আব্দ্ধ করে রেখেছিল সে ক্ষুধার্ত অবস্থায় মারা যায়। সে মহিলা বিড়ালটিকে খাবার দেয়নি, আর তাকে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের কীট-পোকামাকড় খেতে পারত।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ الْجُمَحِيُّ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ صَلاَةَ الْكُسُوفِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ " لَقَدْ دَنَتْ مِنِّي الْجَنَّةُ حَتَّى لَوِ اجْتَرَأْتُ عَلَيْهَا لَجِئْتُكُمْ بِقِطَافٍ مِنْ قِطَافِهَا وَدَنَتْ مِنِّي النَّارُ حَتَّى قُلْتُ أَىْ رَبِّ وَأَنَا فِيهِمْ " . قَالَ نَافِعٌ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ " وَرَأَيْتُ امْرَأَةً تَخْدِشُهَا هِرَّةٌ لَهَا فَقُلْتُ مَا شَأْنُ هَذِهِ قَالُوا حَبَسَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ هِيَ أَرْسَلَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خِشَاشِ الأَرْضِ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান