কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৮১৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১৬
হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
মুহরিম ব্যক্তির জন্য যে শিকার ভক্ষণ করা বৈধ
২৮১৮. কুতায়বা (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলেন। যখন তিনি মক্কায় কোন এক রাস্তায় পৌঁছলেন, তখন তিনি তার কয়েকজন মুহরিম সঙ্গিসহ পেছনে রয়ে গেলেন, আর তিনি নিজে মুহরিম ছিলেন না। এমন সময় তিনি একটি বন্য গাধা দেখতে পেলেন। তিনি একটি ঘোড়ায় আরোহণ করলেন। তারপর তিনি তাঁর সাথীদেরকে তাকে চাবুক মারতে বললেনঃ কিন্তু তারা অস্বীকার করলেন। পরে তিনি তাঁদেরকে তীর ছুড়তে বললেন, তারা তা-ও অস্বীকার করলেন। এরপর তিনি নিজে গাধার প্রতি তীর নিক্ষেপ করলেন এবং তা শিকার করলেন। তা থেকে নবী (ﷺ) এর কোন কোন সাহাবী খেলেন আর কেউ কেউ খেতে অস্বীকৃতি জানালেন। তারপর তাঁরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে পেয়ে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেনঃ ইহা তো খাদ্য বিশেষ, যা আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে খাওয়ালেন ।
كتاب مناسك الحج
مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ عَنْ مَالِكٍ عَنْ أَبِي النَّضْرِ عَنْ نَافِعٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِبَعْضِ طَرِيقِ مَكَّةَ تَخَلَّفَ مَعَ أَصْحَابٍ لَهُ مُحْرِمِينَ وَهُوَ غَيْرُ مُحْرِمٍ وَرَأَى حِمَارًا وَحْشِيًّا فَاسْتَوَى عَلَى فَرَسِهِ ثُمَّ سَأَلَ أَصْحَابَهُ أَنْ يُنَاوِلُوهُ سَوْطَهُ فَأَبَوْا فَسَأَلَهُمْ رُمْحَهُ فَأَبَوْا فَأَخَذَهُ ثُمَّ شَدَّ عَلَى الْحِمَارِ فَقَتَلَهُ فَأَكَلَ مِنْهُ بَعْضُ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَى بَعْضُهُمْ فَأَدْرَكُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّمَا هِيَ طُعْمَةٌ أَطْعَمَكُمُوهَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ
হাদীস নং: ২৮১৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১৭
হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
মুহরিম ব্যক্তির জন্য যে শিকার ভক্ষণ করা বৈধ
২৮১৯. আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... মুয়ায ইবনে আব্দুর রহমান তায়মী তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমরা তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহর সঙ্গে ছিলাম। আর আমরা সকলে ছিলাম মুহরিম। তাকে একটি পাখি হাদিয়া দেওয়া হলো। তখন তিনি ছিলেন নিদ্রিত। আমাদের মধ্যে কেউ তা আহার করলো আর কেউ তা আহার করলো না। ইত্যবসরে তালহা (রাযিঃ) নিদ্রা থেকে জাগলেন। যারা তা খেয়েছিলেন, তিনিও তাদের অনুসারী হলেন এবং বললেন, আমরা তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সঙ্গে আহার করেছি।
كتاب مناسك الحج
مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كُنَّا مَعَ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَأُهْدِيَ لَهُ طَيْرٌ وَهُوَ رَاقِدٌ فَأَكَلَ بَعْضُنَا وَتَوَرَّعَ بَعْضُنَا فَاسْتَيْقَظَ طَلْحَةُ فَوَفَّقَ مَنْ أَكَلَهُ وَقَالَ أَكَلْنَاهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ২৮১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১৮
হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ
মুহরিম ব্যক্তির জন্য যে শিকার ভক্ষণ করা বৈধ
২৮২০. মুহাম্মাদ ইবনে সালামা ও হারিছ ইবনে মিসকীন (রাহঃ) ......... বাহযী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহরাম অবস্থায় মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন। যখন তঁরা রওহা নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন আহত অবস্থায় একটি জংলী গাধা দেখতে পেলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এ সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ এটা ছেড়ে দাও, হয়তো তার মালিক এসে পড়বে। তারপর তার মালিক বাহযী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই গাধার ব্যাপারটি আপনাদের হাতে। পরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু বকর (রাযিঃ)-কে আদেশ করলে তিনি তা সাথীদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন। তারপর যখন তিনি রুয়াইসাহ ও আরয এর মধ্যবর্তী উসাইয়াহ্ নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন দেখা গেল একটি হরিণ ছায়ায় শায়িত রয়েছে, ভার গায়ে একটি তীর বিন্ধ আছে। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে আদেশ করলেন, যে ব্যক্তি তার নিকট দণ্ডায়মান ছিল, কোন ব্যক্তি যেন তাকে অতিক্রম করে যাওয়ার সময় তাকে উত্যক্ত না করে।
كتاب مناسك الحج
مَا يَجُوزُ لِلْمُحْرِمِ أَكْلُهُ مِنْ الصَّيْدِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عُمَيْرِ بْنِ سَلَمَةَ الضَّمْرِيِّ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ الْبَهْزِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ يُرِيدُ مَكَّةَ وَهُوَ مُحْرِمٌ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالرَّوْحَاءِ إِذَا حِمَارُ وَحْشٍ عَقِيرٌ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ دَعُوهُ فَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يَأْتِيَ صَاحِبُهُ فَجَاءَ الْبَهْزِيُّ وَهُوَ صَاحِبُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْكَ وَسَلَّمَ شَأْنَكُمْ بِهَذَا الْحِمَارِ فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ فَقَسَّمَهُ بَيْنَ الرِّفَاقِ ثُمَّ مَضَى حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْأُثَايَةِ بَيْنَ الرُّوَيْثَةِ وَالْعَرْجِ إِذَا ظَبْيٌ حَاقِفٌ فِي ظِلٍّ وَفِيهِ سَهْمٌ فَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ رَجُلًا يَقِفُ عِنْدَهُ لَا يُرِيبُهُ أَحَدٌ مِنْ النَّاسِ حَتَّى يُجَاوِزَهُ
tahqiq

তাহকীক: