কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২৪. হজ্ব আদায়ের পদ্ধতির বিবরণ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৮০৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৩
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮০৫. মুহাম্মাদ ইবনে কুদামা (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে বের হলাম। আর হজ্জ ব্যতীত আমাদের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না, পরে যখন আমরা মক্কায় পৌঁছলাম তখন বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আদেশ করলেনঃ যে কুরবানীর জন্তু সাথে নিয়ে আসেনি, সে যেন হালাল হয়ে যায়। ফলে, যে কুরবানীর জন্তু সাথে নিয়ে আসেনি। সে হালাল হয়ে গেল। আর তাঁর সহধর্মিণীগণ ও কুরবানীর জন্তু সাথে আনেন নি, তাঁরাও হালাল হয়ে গেলেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি ঋতুবতী হলাম। তাই আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলাম না। এরপর যখন মুহাসসাব নামক স্থানে রাত্রি যাপনের সময় হলো, তখন আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! অন্যান্য লোক তো এক হজ্জ ও এক উমরাহসহ প্ৰত্যাবর্তন করবে, আর আমি শুধু এক হজ্জ নিয়েই প্রত্যাবর্তন করবো? তিনি বললেনঃ তুমি কি আমাদের মক্কা আগমনের রাত্রে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করনি? আমি বললামঃ না। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে তানঈম চলে যাও এবং উমরার ইহরাম করে আস। এরপর তোমার ওয়াদা পূর্ণ হওয়ার স্থান হবে অমুক অমুক জায়গা।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نُرَى إِلَّا الْحَجَّ فَلَمَّا قَدِمْنَا مَكَّةَ طُفْنَا بِالْبَيْتِ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْيَ أَنْ يَحِلَّ فَحَلَّ مَنْ لَمْ يَكُنْ سَاقَ الْهَدْيَ وَنِسَاؤُهُ لَمْ يَسُقْنَ فَأَحْلَلْنَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَحِضْتُ فَلَمْ أَطُفْ بِالْبَيْتِ فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الْحَصْبَةِ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ يَرْجِعُ النَّاسُ بِعُمْرَةٍ وَحَجَّةٍ وَأَرْجِعُ أَنَا بِحَجَّةٍ قَالَ أَوَ مَا كُنْتِ طُفْتِ لَيَالِيَ قَدِمْنَا مَكَّةَ قُلْتُ لَا قَالَ فَاذْهَبِي مَعَ أَخِيكِ إِلَى التَّنْعِيمِ فَأَهِلِّي بِعُمْرَةٍ ثُمَّ مَوْعِدُكِ مَكَانُ كَذَا وَكَذَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮০৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৪
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮০৬. আমর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সাথে বের হলাম। হজ্জ ব্যতীত আমাদের আর কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমরা যখন মক্কার নিকটবর্তী হলাম, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আদেশ করলেন, যার সাথে কুরবানীর জন্তু রয়েছে, সে যেন তার ইহরাম অবস্থায় থাকে। আর যার সাথে কুরবানীর জন্তু নেই, সে যেন হালাল হয়ে যায়।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ يَحْيَى عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نُرَى إِلَّا أَنَّهُ الْحَجُّ فَلَمَّا دَنَوْنَا مِنْ مَكَّةَ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ أَنْ يُقِيمَ عَلَى إِحْرَامِهِ وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ أَنْ يَحِلَّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮০৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৫
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮০৭. ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... জাবির (রাযিঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা নবী (ﷺ) এর সাহাবীগণ শুধু হজ্জের ইহরাম করেছিলাম, তার সাথে আর কোন কিছুর নিয়ত ছিল না। যিলহজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখ ভোরে আমরা মক্কায় উপনীত হলাম। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে আদেশ করলেন, তোমরা হালাল হয়ে যাও, আর একে উমরাহ করে ফেল। (অর্থাৎ হজ্জের নিয়্যতের ইহরামকে উমরার নিয়্যতে পরিবর্তিত করে ফেল।) আমাদের পক্ষ থেকে তার নিকট এ খবর পৌঁছলো যে, আমরা বলছি, আমাদের আরাফার মধ্যে মাত্র পাঁচ দিন বাকী থাকতে আমাদেরকে তিনি হালাল হতে আদেশ করলেন? তাহলে কি আমরা এমন অবস্থায় মিনায় উপস্থিত হব, যখন আমাদের বীর্য নিৰ্গত হতে থাকবে?
নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে আমাদেরকে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ তোমরা যা বলেছ তা আমার নিকট পৌছেছে। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে অধিক নেককার এবং পরহেযাগার। যদি কুরবানীর জন্তু না হতো, তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম। আমি পরে যা বুঝতে পেরেছি, তা যদি পূর্বে বুঝতাম, তাহলে কুরবানীর জন্তু সাথে আনতাম না।
বর্ণনাকারী বলেন, ইত্যবসরে আলী (রাযিঃ) ইয়ামন থেকে আগমন করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছা? তিনি বললেনঃ নবী (ﷺ) যার ইহরাম বেঁধেছেন তার। তিনি বললেনঃ তাহলে কুরবানীর জন্তুসহ ইহরাম অবস্থায় থাকে। বর্ণনাকারী বলেন, সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জা’সুম বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন? আমাদের এ উমরাহ কি এ বৎসরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? তিনি বললেনঃ চিরদিনের জন্য।
নবী (ﷺ) দাঁড়িয়ে আমাদেরকে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেনঃ তোমরা যা বলেছ তা আমার নিকট পৌছেছে। নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মধ্যে অধিক নেককার এবং পরহেযাগার। যদি কুরবানীর জন্তু না হতো, তাহলে আমি অবশ্যই হালাল হয়ে যেতাম। আমি পরে যা বুঝতে পেরেছি, তা যদি পূর্বে বুঝতাম, তাহলে কুরবানীর জন্তু সাথে আনতাম না।
বর্ণনাকারী বলেন, ইত্যবসরে আলী (রাযিঃ) ইয়ামন থেকে আগমন করলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছা? তিনি বললেনঃ নবী (ﷺ) যার ইহরাম বেঁধেছেন তার। তিনি বললেনঃ তাহলে কুরবানীর জন্তুসহ ইহরাম অবস্থায় থাকে। বর্ণনাকারী বলেন, সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জা’সুম বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন? আমাদের এ উমরাহ কি এ বৎসরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? তিনি বললেনঃ চিরদিনের জন্য।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ عَنْ جَابِرٍ قَالَ أَهْلَلْنَا أَصْحَابَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ خَالِصًا لَيْسَ مَعَهُ غَيْرُهُ خَالِصًا وَحْدَهُ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَأَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَحِلُّوا وَاجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَبَلَغَهُ عَنَّا أَنَّا نَقُولُ لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلَّا خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ فَنَرُوحَ إِلَى مِنًى وَمَذَاكِيرُنَا تَقْطُرُ مِنْ الْمَنِيِّ فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَنَا فَقَالَ فَقَدْ بَلَغَنِي الَّذِي قُلْتُمْ وَإِنِّي لَأَبَرُّكُمْ وَأَتْقَاكُمْ وَلَوْلَا الْهَدْيُ لَحَلَلْتُ وَلَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ قَالَ وَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنْ الْيَمَنِ فَقَالَ بِمَا أَهْلَلْتَ قَالَ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَأَهْدِ وَامْكُثْ حَرَامًا كَمَا أَنْتَ قَالَ وَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ عُمْرَتَنَا هَذِهِ لِعَامِنَا هَذَا أَوْ لِلْأَبَدِ قَالَ هِيَ لِلْأَبَدِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৬
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮০৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জ’শম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আপনার কি অভিমত, আমাদের এ উমরাহ কি এ বৎসরের জন্যই, না চিরদিনের জন্য? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ ইহা চিরদিনের জন্য।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ طَاوُسٍ عَنْ سُرَاقَةَ بْنِ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ أَنَّهُ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ عُمْرَتَنَا هَذِهِ لِعَامِنَا أَمْ لِأَبَدٍ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هِيَ لِأَبَدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৮০৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৭
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮০৯. হান্নাদ ইবনে সারী (রাহঃ) ......... আতা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন যে, সুরাকা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জে তামাত্তু করলেন, তাঁর সঙ্গে আমরাও তামাত্তু করলাম, পরে আমরা বললামঃ ইহা কি বিশেষভাবে আমাদের জন্য, না চিরদিনের জন্য? তিনি বললেনঃ চিরদিনের জন্য।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ عَنْ عَبْدَةَ عَنْ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ قَالَ سُرَاقَةُ تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَمَتَّعْنَا مَعَهُ فَقُلْنَا أَلَنَا خَاصَّةً أَمْ لِأَبَدٍ قَالَ بَلْ لِأَبَدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৮০৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৮
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১০. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... হারিস ইবনে বিলাল তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! হজ্জ পরিত্যাগ করার বিধান কি শুধু আমাদের জন্য, না সকল লোকের জন্য? তিনি ইরশাদ করলেনঃ বরং শুধু আমাদের জন্য।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ وَهُوَ الدَّرَاوَرْدِيُّ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ الْحَارِثِ بْنِ بِلَالٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَسْخُ الْحَجِّ لَنَا خَاصَّةً أَمْ لِلنَّاسِ عَامَّةً قَالَ بَلْ لَنَا خَاصَّةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৮০৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৮০৯
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১১. আমর ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি হজ্জে তামাত্তু সম্বন্ধে বলেনঃ এর অনুমতি শুধু আমাদের জন্যই দান করা হয়েছে। (অর্থাৎ হজ্জ পরিত্যাগ করে উমরাহ করার অনুমতি শুধু আমাদের জন্য ছিল।)
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ وَعَيَّاشٌ الْعَامِرِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ فِي مُتْعَةِ الْحَجِّ قَالَ كَانَتْ لَنَا رُخْصَةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৮১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১০
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১২. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না ও মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি হজ্জে তামাত্তু সম্বন্ধে বলেনঃ ইহা তোমাদের জন্য নয়। ইহা পরিত্যাগ করার অনুমতি শুধু আমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীদের জন্য।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْوَارِثِ بْنَ أَبِي حَنِيفَةَ قَالَ سَمِعْتُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيَّ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ فِي مُتْعَةِ الْحَجِّ لَيْسَتْ لَكُمْ وَلَسْتُمْ مِنْهَا فِي شَيْءٍ إِنَّمَا كَانَتْ رُخْصَةً لَنَا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৮১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১১
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১৩. বিশর ইবনে খালিদ (রাহঃ) ......... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেনঃ হজ্জে তামাত্তু আমাদের জন্য (বিশেষ) সুযোগের অনুমদোন ছিল।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ أَنْبَأَنَا غُنْدَرٌ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ سُلَيْمَانَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ كَانَتْ الْمُتْعَةُ رُخْصَةً لَنَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৮১২
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১২
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১৪. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে আবু শা’ছা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় আমি ইবরাহীম নাখায়ী এবং ইবরাহীম তায়মীর সাথে ছিলাম। আমি বললামঃ আমি ইচ্ছা করেছি এ বৎসর হজ্জ ও উমরাহ একত্রে করবো। তখন ইবরাহীম বললেনঃ তোমার পিতা হলে এর ইচ্ছা করতেন না। তিনি বললেনঃ ইবরাহীম তায়ামী তাঁর পিতার সূত্রে আবু যর (রাযিঃ) থেকে বলেন, তিনি বলেছেনঃ হজ্জে তামাত্তু তো আমাদের জন্য খাস ছিল।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ قَالَ حَدَّثَنَا مُفَضَّلُ بْنُ مُهَلْهَلٍ عَنْ بَيَانٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ قَالَ كُنْتُ مَعَ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَإِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ فَقُلْتُ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَجْمَعَ الْعَامَ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لَوْ كَانَ أَبُوكَ لَمْ يَهُمَّ بِذَلِكَ قَالَ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ إِنَّمَا كَانَتْ الْمُتْعَةُ لَنَا خَاصَّةً

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৮১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১৩
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১৫. আব্দুল আ’লা ইবনে ওয়াসিল ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহিলী যুগে লোক মনে করতো পৃথিবীতে হজ্জের মাসে উমরাহ করা গুরুতর পাপ। তারা মুহররম মাসকে সফর মাস হিসেবে গণ্য করতো। এবং তারা বলতঃ
إِذَا بَرَأَ الدَّبَرْ وَعَفَا الْوَبَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ - أَوْ قَالَ دَخَلَ صَفَرْ - فَقَدْ حَلَّتِ الْعُمْرَةُ لِمَنِ اعْتَمَرْ
যখন উটের পিঠে ক্ষত শুকিয়ে যায়, উটের পশম বৃদ্ধি পায় এবং সফর অর্থাৎ (তাদের বিশ্বাসানুযায়ী) মুহররম অতিবাহিত হয়।” অথবা বলতোঃ সফর মাস এসে যায়, তখন উমরাহ হালাল হয়ে যায়, যে উমরাহ করতে চায়। তার জন্য।
তারপর নবী (ﷺ) এবং তার সাহাবীগণ যিলহজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখে ভোরে হজের ইহরাম বাধেন। তিনি তাদেরকে আদেশ করেন, তারা যেন হজ্জকে উমরায় পরিবর্তিত করে ফেলে। ইহা তাদের নিকট কষ্টকর মনে হলো, তাঁরা প্রশ্ন করলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোনটি হালাল? তিনি ইরশাদ করলেন, হালাল সবই।
إِذَا بَرَأَ الدَّبَرْ وَعَفَا الْوَبَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ - أَوْ قَالَ دَخَلَ صَفَرْ - فَقَدْ حَلَّتِ الْعُمْرَةُ لِمَنِ اعْتَمَرْ
যখন উটের পিঠে ক্ষত শুকিয়ে যায়, উটের পশম বৃদ্ধি পায় এবং সফর অর্থাৎ (তাদের বিশ্বাসানুযায়ী) মুহররম অতিবাহিত হয়।” অথবা বলতোঃ সফর মাস এসে যায়, তখন উমরাহ হালাল হয়ে যায়, যে উমরাহ করতে চায়। তার জন্য।
তারপর নবী (ﷺ) এবং তার সাহাবীগণ যিলহজ্জ মাসের চতুর্থ তারিখে ভোরে হজের ইহরাম বাধেন। তিনি তাদেরকে আদেশ করেন, তারা যেন হজ্জকে উমরায় পরিবর্তিত করে ফেলে। ইহা তাদের নিকট কষ্টকর মনে হলো, তাঁরা প্রশ্ন করলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কোনটি হালাল? তিনি ইরশাদ করলেন, হালাল সবই।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ وَاصِلِ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ وُهَيْبِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانُوا يُرَوْنَ أَنَّ الْعُمْرَةَ فِي أَشْهُرِ الْحَجِّ مِنْ أَفْجَرِ الْفُجُورِ فِي الْأَرْضِ وَيَجْعَلُونَ الْمُحَرَّمَ صَفَرَ وَيَقُولُونَ إِذَا بَرَأَ الدَّبَرْ وَعَفَا الْوَبَرْ وَانْسَلَخَ صَفَرْ أَوْ قَالَ دَخَلَ صَفَرْ فَقَدْ حَلَّتْ الْعُمْرَةُ لِمَنْ اعْتَمَرْ فَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ مُهِلِّينَ بِالْحَجِّ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً فَتَعَاظَمَ ذَلِكَ عِنْدَهُمْ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْحِلِّ قَالَ الْحِلُّ كُلُّهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮১৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১৪
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১৬. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... মুসলিম (রাহঃ) বলেনঃ আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমরার ইহরাম বাঁধলেন, আর তাঁর সাহাবীগণ হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন, যাদের সাথে কুরবানীর জন্তু ছিল না, তিনি তাদেরকে আদেশ করলেন যেন তারা হালাল হয়ে যায়। আর যাদের সাথে কুরবানীর জন্তু ছিল না, তাদের মধ্যে ছিলেন তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ্ এবং অন্য এক ব্যক্তি। অতএব, তারা উভয়ে হালাল হয়ে গেলেন।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُسْلِمٍ وَهُوَ الْقُرِّيُّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعُمْرَةِ وَأَهَلَّ أَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ وَأَمَرَ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الْهَدْيُ أَنْ يَحِلَّ وَكَانَ فِيمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الْهَدْيُ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ وَرَجُلٌ آخَرُ فَأَحَلَّا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৮১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১৫
যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্তু পাঠায়নি তার জন্য হজ্জের পরিবর্তে উমরাহ করা বৈধ
২৮১৭. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এই উমরাহ্ আমরা উপভোগ করলাম, অতএব যার সাথে কুরবানীর জন্তু নেই, সে যেন সর্বোতভাবে হালাল হয়ে যায়। এভাবে উমরার নিয়্যত হজ্জের নিয়্যতের মধ্যে শামিল হলো।
إِبَاحَةُ فَسْخِ الْحَجِّ بِعُمْرَةٍ لِمَنْ لَمْ يَسُقْ الْهَدْيَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ هَذِهِ عُمْرَةٌ اسْتَمْتَعْنَاهَا فَمَنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَهُ هَدْيٌ فَلْيَحِلَّ الْحِلَّ كُلَّهُ فَقَدْ دَخَلَتْ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান