কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২৩. যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২৪৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৩৫
যাকাত ফরয হওয়া
২৪৩৭. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মু’আয (রাযিঃ)-কে ইয়ামনে পাঠিয়েছিলেন তখন তিনি তাঁকে বলেছিলেন যে, তুমি এমন এক জাতির কাছে যাচ্ছো যারা গ্ৰন্থধারী, যখন তুমি তাদের কাছে পৌছবে তখন তাদের তুমি এ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আহবান করবে যে, “আল্লাহ্ তাআলা ভিন্ন কোন মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ(ﷺ) আল্লাহর রাসূল।” যদি তারা তোমার এই আহবানে সাড়া দেয় তবে তাদের তুমি অবহিত করবে যে, আল্লাহ্ তাআলা তাদের উপর দিবা-রাত্রি পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। যদি তারা অর্থাৎ তোমার এই আহবানে সাড়া দেয় তবে তাদের তুমি অবহিত করবে যে, আল্লাহ তাআলা তাদের উপর যাকাত ফরয করেছেন যা তাদের মধ্যকার বিত্তবানদের থেকে নেয়া হবে এবং বিত্তহীনদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। যদি তারা তোমার এই দাওয়াতের সাড়া দেয়। তবে তুমি নিজেকে অত্যাচারিত্যের ফরিয়াদ থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।
بَاب وُجُوبِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ الْمَوْصِلِيُّ عَنْ الْمُعَافَى عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَقَ الْمَكِّيِّ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِىٍّ عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُعَاذٍ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ إِنَّكَ تَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ فَإِذَا جِئْتَهُمْ فَادْعُهُمْ إِلَى أَنْ يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوكَ بِذَلِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ فَإِنْ هُمْ يَعْنِي أَطَاعُوكَ بِذَلِكَ فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوكَ بِذَلِكَ فَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ
হাদীস নং:২৪৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৩৬
যাকাত ফরয হওয়া
২৪৩৮. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... বাহয (রাহঃ)-এর দাদা থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমি আপনার কাছে আসিনি স্বীয় হস্তদ্বয়ের অঙ্গুলিসমূহের সংখ্যারও অধিক এ শপথ না করা পর্যন্ত যে, আমি আপনার কাছেও আসিব না আর আপনার ধর্মও গ্রহণ করব না। আর এখন আমি এমন হয়েছি যে, আল্লাহ তাআলা এবং তদীয় রাসূল আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তাছাড়া আমি আর কিছুই জানি না। আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি আল্লাহ তাআলার ওহী সম্পর্কে যা দিয়ে আপনার রব আপনাকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। (তখন) তিনি আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বললেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে, ইসলামের চিহ্ন কি কি? তিনি বললেন, তোমার এ কথা বলা যে, আমি স্বীয় চেহারাকে (নিজকে) আল্লাহ তাআলার অনুগত বানিয়ে নিলাম, অন্য সব কিছু থেকে সম্পর্কচ্ছেদ করে।
بَاب وُجُوبِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ سَمِعْتُ بَهْزَ بْنَ حَكِيمٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا أَتَيْتُكَ حَتَّى حَلَفْتُ أَكْثَرَ مِنْ عَدَدِهِنَّ لِأَصَابِعِ يَدَيْهِ أَنْ لَا آتِيَكَ وَلَا آتِيَ دِينَكَ وَإِنِّي كُنْتُ امْرَأً لَا أَعْقِلُ شَيْئًا إِلَّا مَا عَلَّمَنِي اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَرَسُولُهُ وَإِنِّي أَسْأَلُكَ بِوَحْيِ اللَّهِ بِمَا بَعَثَكَ رَبُّكَ إِلَيْنَا قَالَ بِالْإِسْلَامِ قُلْتُ وَمَا آيَاتُ الْإِسْلَامِ قَالَ أَنْ تَقُولَ أَسْلَمْتُ وَجْهِي إِلَى اللَّهِ وَتَخَلَّيْتُ وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:২৪৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৩৭
যাকাত ফরয হওয়া
২৪৩৯. ঈসা ইবনে মুসাবির (রাহঃ) ......... আবু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উচিত বলেছেনঃ উত্তমভাবে ওষু করা ঈমানের অর্ধেক। আর আলহামদুলিল্লাহ মীযানকে পরিপূর্ণ করে ফেলবে, তাসবীহ এবং তাকবীর আসমান এবং যমীনসমূহকে পরিপূর্ণ করে ফেললে। নামায হল আলো আর যাকাত হল দলীল, ধৈর্য (রোযা) হল নূর এবং কুরআন হল তোমার পক্ষের অথবা বিপক্ষের প্রমাণ।
بَاب وُجُوبِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ مُسَاوِرٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ شَابُورَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ سَلَّامٍ عَنْ أَخِيهِ زَيْدِ بْنِ سَلَّامٍ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ جَدِّهِ أَبِي سَلَّامٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غُنْمٍ أَنَّ أَبَا مَالِكٍ الْأَشْعَرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ شَطْرُ الْإِيمَانِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلَأُ الْمِيزَانَ وَالتَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ يَمْلَأُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ وَالصَّلَاةُ نُورٌ وَالزَّكَاةُ بُرْهَانٌ وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২৪৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৩৮
যাকাত ফরয হওয়া
২৪৪০. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা এবং আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেন যে, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে সম্বোধন করে তিনবার বললেনঃ ঐ সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ। তিনবার বলার পর তিনি উপুড় হয়ে পড়ে গেলেন। আমাদের প্রত্যেকেই উপুড় হয়ে পড়ে গিয়ে ক্ৰন্দন করতে লাগল। আমরা বুঝতেই পারলাম না যে, তিনি কোন কথার উপর শপথ করলেন। অতঃপর তিনি স্বীয় মস্তক উত্তোলন করলেন। তাঁর চেহারাতে তখন আনন্দের বিচ্ছুরণ পরিলক্ষিত হচ্ছিল, যা আমাদের কাছে সব রকমের নিয়ামত অপেক্ষা অধিক প্রিয় ছিল। অতঃপর তিনি বললেনঃ যে বান্দা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে, রমযান মাসে রোযা পালন করে, যাকাত প্ৰদান করে এবং সাতটি কবিরা গুনাহ পরিত্যাগ করে থাকে, অবশ্যই তার জন্য জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হবে এবং তাকে বলা হবে যে, তুমি প্রশান্ত চিত্তে জান্নাতে প্রবেশ কর।
بَاب وُجُوبِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ عَنْ شُعَيْبٍ عَنْ اللَّيْثِ قَالَ أَنْبَأَنَا خَالِدٌ عَنْ ابْنِ أَبِي هِلَالٍ عَنْ نُعَيْمٍ الْمُجْمِرِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَخْبَرَنِي صُهَيْبٌ أَنَّهُ سَمِعَ مِنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَمِنْ أَبِي سَعِيدٍ يَقُولَانِ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ أَكَبَّ فَأَكَبَّ كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا يَبْكِي لَا نَدْرِي عَلَى مَاذَا حَلَفَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فِي وَجْهِهِ الْبُشْرَى فَكَانَتْ أَحَبَّ إِلَيْنَا مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ ثُمَّ قَالَ مَا مِنْ عَبْدٍ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ وَيَصُومُ رَمَضَانَ وَيُخْرِجُ الزَّكَاةَ وَيَجْتَنِبُ الْكَبَائِرَ السَّبْعَ إِلَّا فُتِّحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَقِيلَ لَهُ ادْخُلْ بِسَلَامٍ
হাদীস নং:২৪৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৩৯
যাকাত ফরয হওয়া
২৪৪১. আমর ইবনে উসমান (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় স্বীয় সম্পদ হতে এক জোড়া বস্তুও দান করে, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ হতে আহবান করা হবেঃ হে আল্লাহর বান্দা, এ তোমার জন্য উত্তম। জান্নাতের অনেক দরজা আছে। যে নামায আদায়কারী হবে তাকে নামাযের দরজা হতে ডাকা হবে, যে ব্যক্তি জিহাদকারী হবে তাকে জিহাদের দরজা হতে আহবান করা হবে। যে ব্যক্তি যাকাত প্ৰদানকারী হবে তাকে যাকাতের দরজা হতে আহবান করা হবে। যে ব্যক্তি রোযা পালনকারী হবে তাকে রাইয়্যান নামক দরজা হতে আহবান করা হবে। আবু বকর (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কারো কি এমন আমল থাকবে যাকে প্রত্যেক দরজা দিয়ে আহবান করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে? কাউকে কি প্রত্যেক দরজা দিয়েই আহবানকরা হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ; এবং আমি আশা করি যে, তুমি তাদের মধ্য থেকেই হবে অর্থাৎ আবু বকর (রাযিঃ)।
بَاب وُجُوبِ الزَّكَاةِ
أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ كَثِيرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ شُعَيْبٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ مِنْ شَيْءٍ مِنْ الْأَشْيَاءِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ دُعِيَ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا خَيْرٌ لَكَ وَلِلْجَنَّةِ أَبْوَابٌ فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلَاةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلَاةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الْجِهَادِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ قَالَ أَبُو بَكْرٍ هَلْ عَلَى مَنْ يُدْعَى مِنْ تِلْكَ الْأَبْوَابِ مِنْ ضَرُورَةٍ فَهَلْ يُدْعَى مِنْهَا كُلِّهَا أَحَدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ نَعَمْ وَإِنِّي أَرْجُو أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান