কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
২২. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২০৯০
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯০
রোযা ফরয হওয়া
২০৯৪। আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এলোমেলো চুল বিশিষ্ট এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বললো, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে নামাযসমূহ ফরয করেছেন সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আল্লাহ তাআলা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করবে।
তারপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে রোযা ফরয করেছেন সে সম্বন্ধে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রমযান মাসের রোযা। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করবে। অতঃপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে যাকাত ফরয করেছেন সে সম্বন্ধে অবহিত করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইসলামী শরীয়ার আহকাম সম্পর্কে অবহিত করলেন।
অতঃপর সে বললো, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন আমি অতিরিক্ত কোন নফলও আদায় করবনা এবং আল্লাহ তাআলা আমার উপর যা যা ফরয করেছেন তাতে কোন কম করব না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে কৃতকার্য হয়ে যাবে অথবা তিনি বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
তারপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে রোযা ফরয করেছেন সে সম্বন্ধে অবহিত করুন। তিনি বললেন, রমযান মাসের রোযা। তবে হ্যাঁ, তুমি যা খুশী নফল আদায় করবে। অতঃপর সে বললো, আপনি আমাকে আল্লাহ তাআলা আমার উপর যে যাকাত ফরয করেছেন সে সম্বন্ধে অবহিত করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে ইসলামী শরীয়ার আহকাম সম্পর্কে অবহিত করলেন।
অতঃপর সে বললো, ঐ সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সম্মানিত করেছেন আমি অতিরিক্ত কোন নফলও আদায় করবনা এবং আল্লাহ তাআলা আমার উপর যা যা ফরয করেছেন তাতে কোন কম করব না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে কৃতকার্য হয়ে যাবে অথবা তিনি বললেন, যদি সে সত্যই বলে থাকে তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
باب وُجُوبِ الصِّيَامِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَائِرَ الرَّأْسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي مَاذَا فَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ مِنَ الصَّلاَةِ قَالَ " الصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا " . قَالَ أَخْبِرْنِي بِمَا افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ مِنَ الصِّيَامِ قَالَ " صِيَامُ شَهْرِ رَمَضَانَ إِلاَّ أَنْ تَطَوَّعَ شَيْئًا " . قَالَ أَخْبِرْنِي بِمَا افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ مِنَ الزَّكَاةِ فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَرَائِعِ الإِسْلاَمِ . فَقَالَ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لاَ أَتَطَوَّعُ شَيْئًا وَلاَ أَنْقُصُ مِمَّا فَرَضَ اللَّهُ عَلَىَّ شَيْئًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْلَحَ إِنْ صَدَقَ " . أَوْ " دَخَلَ الْجَنَّةَ إِنْ صَدَقَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২০৯১
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯১
রোযা ফরয হওয়া
২০৯৫। মুহাম্মাদ ইবনে মা’মার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআনে আমাদের নিষেধ করা হয়েছে যেন নবী (ﷺ) এর কাছে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন না করি। তাই আমরা মনে মনে আশঙ্কা করতাম যেন গ্রাম থেকে কোন জ্ঞানী ব্যক্তি এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে প্রশ্ন করে। ইতিমধ্যে একজন গ্রাম্য ব্যক্তি এসে বলল, হে মুহাম্মাদ! আমাদের কাছে আপনার দুত এসেছিলেন। তিনি আমাদের বললেন যে, আপনি নাকি দাবী করেন যে, আল্লাহ তাআলা আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন যে, সে সত্যই বলেছে। অতঃপর সে প্রশ্ন করলঃ তবে আসমান কে সৃষ্টি করেছে?
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা, অতঃপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। তারপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীনে পাহাড় সমূহ কে স্থাপন করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। এরপর সে প্রশ্ন করলঃ তাতে উপকারী বৃক্ষসমূহ কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করেছেন আর তাতে পাহাড়সমুহ স্থাপন করেছেন এবং তাতে উপকারী (বৃক্ষসমূহ সৃষ্টি করেছেন- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
অতঃপর সে বললোঃ আপনার দুত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি-আপনাকে রাসুল রূপে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দুত বলেন যে, আমাদের উপর স্বীয় ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললোঃ সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক বছর রমযানের রোযা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বলল, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের মধ্যে যারা খরচ বহনে সামর্থবান তাদের উপর হজ্জ ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললো, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আমি-এগুলোর উপর কোন কিছু কখনো বৃদ্ধিও করবো না আর এর থেকে (কিছু) হ্রাসও করবো না। যখন সে ফিরে গেলো, তখন নবী (ﷺ) বললেন, যদি সে তার কথায় সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা, অতঃপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীন কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। তারপর সে প্রশ্ন করলঃ যমীনে পাহাড় সমূহ কে স্থাপন করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। এরপর সে প্রশ্ন করলঃ তাতে উপকারী বৃক্ষসমূহ কে সৃষ্টি করেছে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আসমান এবং যমীন সৃষ্টি করেছেন আর তাতে পাহাড়সমুহ স্থাপন করেছেন এবং তাতে উপকারী (বৃক্ষসমূহ সৃষ্টি করেছেন- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ।
অতঃপর সে বললোঃ আপনার দুত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক দিন রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি-আপনাকে রাসুল রূপে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দুত বলেন যে, আমাদের উপর স্বীয় ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললোঃ সেই সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের উপর প্রত্যেক বছর রমযানের রোযা ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বলল, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ আপনার দূত বলেন যে, আমাদের মধ্যে যারা খরচ বহনে সামর্থবান তাদের উপর হজ্জ ফরয? তিনি বললেনঃ সে তো সত্যই বলেছে। সে বললো, ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে এর নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর সে বললোঃ ঐ সত্তার শপথ যিনি আপনাকে প্রেরণ করেছেন, আমি-এগুলোর উপর কোন কিছু কখনো বৃদ্ধিও করবো না আর এর থেকে (কিছু) হ্রাসও করবো না। যখন সে ফিরে গেলো, তখন নবী (ﷺ) বললেন, যদি সে তার কথায় সত্যবাদী হয়ে থাকে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
باب وُجُوبِ الصِّيَامِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ نُهِينَا فِي الْقُرْآنِ أَنْ نَسْأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ شَىْءٍ فَكَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَجِيءَ الرَّجُلُ الْعَاقِلُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَيَسْأَلَهُ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ أَتَانَا رَسُولُكَ فَأَخْبَرَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَرْسَلَكَ قَالَ " صَدَقَ " . قَالَ فَمَنْ خَلَقَ السَّمَاءَ قَالَ " اللَّهُ " . قَالَ فَمَنْ خَلَقَ الأَرْضَ قَالَ " اللَّهُ " . قَالَ فَمَنْ نَصَبَ فِيهَا الْجِبَالَ قَالَ " اللَّهُ " . قَالَ فَمَنْ جَعَلَ فِيهَا الْمَنَافِعَ قَالَ " اللَّهُ " . قَالَ فَبِالَّذِي خَلَقَ السَّمَاءَ وَالأَرْضَ وَنَصَبَ فِيهَا الْجِبَالَ وَجَعَلَ فِيهَا الْمَنَافِعَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ قَالَ " صَدَقَ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا زَكَاةَ أَمْوَالِنَا قَالَ " صَدَقَ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي كُلِّ سَنَةٍ . قَالَ " صَدَقَ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا الْحَجَّ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً . قَالَ " صَدَقَ " . قَالَ فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لاَ أَزِيدَنَّ عَلَيْهِنَّ شَيْئًا وَلاَ أَنْقُصُ . فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ " .
হাদীস নং:২০৯২
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯২
রোযা ফরয হওয়া
২০৯৬। ঈসা ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে উটের উপর আরোহণ করে এক ব্যক্তি আসলো এবং সেই উটকে মসজিদের (আঙ্গিনায়) বসালো ও বাঁধলো আর উপস্থিত লোকদের জিজ্ঞাসা করলোঃ তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ (ﷺ) কে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন উপস্থিতদের মধ্যে ঠেস দিয়ে বসা ছিলেন। আমরা তাকে বললাম, এই ঠেস দিয়ে বসা ফর্সা ব্যক্তি।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সেই ব্যক্তি বললোঃ হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। তখন সেই ব্যক্তি বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশ্নের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করব। আপনি কিছু মনে করবেন না। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন করো।
তখন সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে শপথ দিয়ে বলছি আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন নিশ্চয়ই। সে বললো, এখন আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাত-দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন নিশ্চয়ই।
অতপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে বছরের এ (রমযান) মাসে রোযা পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়। হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর সে ব্যক্তি বললোঃ আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দুতরূপে এসেছি এবং আমার নাম হল দিমাম ইবনে ছা’লাবা; আমি সাদ ইবনে বকর গোত্রের লোক।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে সেই ব্যক্তি বললোঃ হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। তখন সেই ব্যক্তি বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশ্নের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করব। আপনি কিছু মনে করবেন না। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন করো।
তখন সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে শপথ দিয়ে বলছি আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ “হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন নিশ্চয়ই। সে বললো, এখন আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাত-দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন নিশ্চয়ই।
অতপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে বছরের এ (রমযান) মাসে রোযা পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়। হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর সে ব্যক্তি বললোঃ আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দুতরূপে এসেছি এবং আমার নাম হল দিমাম ইবনে ছা’লাবা; আমি সাদ ইবনে বকর গোত্রের লোক।
باب وُجُوبِ الصِّيَامِ
أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ بَيْنَا نَحْنُ جُلُوسٌ فِي الْمَسْجِدِ جَاءَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ فَقَالَ لَهُمْ أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ - وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ - قُلْنَا لَهُ هَذَا الرَّجُلُ الأَبْيَضُ الْمُتَّكِئُ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ أَجَبْتُكَ " . فَقَالَ الرَّجُلُ إِنِّي سَائِلُكَ يَا مُحَمَّدُ فَمُشَدِّدٌ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ فَلاَ تَجِدَنَّ فِي نَفْسِكَ . قَالَ " سَلْ مَا بَدَا لَكَ " . فَقَالَ الرَّجُلُ نَشَدْتُكَ بِرَبِّكَ وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . فَقَالَ الرَّجُلُ آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ وَأَنَا رَسُولُ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ . خَالَفَهُ يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ .
হাদীস নং:২০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯৩
রোযা ফরয হওয়া
২০৯৭। উবাইদুল্লাহ ইবনে সা’দ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে মসজিদে বসা ছিলাম। ইতিমধ্যে উটের উপর আরোহণ করে এক ব্যক্তি আসলো এবং সেই উটকে মসজিদের (আঙ্গিনায়) বসিয়ে বেঁধে ফেললো। অতঃপর বললোঃ তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ (ﷺ) কে? তিনি তখন আমাদের মধ্যে ঠেস দিয়ে বসা ছিলেন।
তখন আমরা তাকে বললাম, এই ঠেস দিয়ে বসা ফর্সা ব্যক্তি। তৎপর সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বললোঃ হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। অতঃপর সে বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশ্নের ব্যাপারে আপনার সাথে কঠোরতা অবলম্বন করবো। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন করো।
সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে প্রত্যেক বছরের এ (রমযান) মাসে রোযা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন?
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললো, আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দূত স্বরূপ এসেছি। আর আমার নাম হল দিমাম ইবনে ছা’লাবা, আমি সা’দ ইবনে বকর গোত্রের লোক।
তখন আমরা তাকে বললাম, এই ঠেস দিয়ে বসা ফর্সা ব্যক্তি। তৎপর সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বললোঃ হে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়েছি। অতঃপর সে বললোঃ হে মুহাম্মাদ! আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো এবং প্রশ্নের ব্যাপারে আপনার সাথে কঠোরতা অবলম্বন করবো। তখন তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন করো।
সে বললোঃ আমি আপনাকে আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে সমস্ত মানুষের হিদায়াতের জন্য পাঠিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে প্রত্যেক বছরের এ (রমযান) মাসে রোযা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন?
রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের মধ্যে বন্টন করার নির্দেশ দিয়েছেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। অতঃপর সে বললো, আপনি যা নিয়ে এসেছেন তার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। আর আমি নিজ গোত্রের অবশিষ্ট লোকদের জন্য দূত স্বরূপ এসেছি। আর আমার নাম হল দিমাম ইবনে ছা’লাবা, আমি সা’দ ইবনে বকর গোত্রের লোক।
باب وُجُوبِ الصِّيَامِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، مِنْ كِتَابِهِ قَالَ حَدَّثَنَا عَمِّي، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلاَنَ، وَغَيْرُهُ، مِنْ إِخْوَانِنَا عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جُلُوسٌ فِي الْمَسْجِدِ دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ ثُمَّ قَالَ أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ - وَهُوَ مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ - فَقُلْنَا لَهُ هَذَا الرَّجُلُ الأَبْيَضُ الْمُتَّكِئُ فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ أَجَبْتُكَ " . قَالَ الرَّجُلُ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي سَائِلُكَ فَمُشَدِّدٌ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ . قَالَ " سَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ " . قَالَ أَنْشُدُكَ بِرَبِّكَ وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . فَقَالَ الرَّجُلُ إِنِّي آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ وَأَنَا رَسُولُ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ . خَالَفَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ .
হাদীস নং:২০৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০৯৪
রোযা ফরয হওয়া
২০৯৮। আবু বকর ইবনে আলী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) নিজ সাহাবীদের সাথে ছিলেন, ইতিমধ্যে একজন গ্রাম্য ব্যক্তি তাদের কাছে এসে বললোঃ তোমাদের মধ্যে আব্দুল মুত্তালিবের বংশজাত কে? সাহাবীগণ বললেনঃ এই হেলান দেওয়া লালবর্ন মিশ্রিত ফর্সা ব্যক্তি। হামযা (রাহঃ) বলেনঃامغر শব্দের অর্থ হল লালবর্ণ মিশ্রিত ফর্সা। অতঃপর সেই ব্যক্তি বললোঃ আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবো। আর প্রশ্নের ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কঠোরতা অবলম্বন করবো।
তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন কর। সে বললোঃ আমি আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে আপনাকে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো, তারপর সে বললোঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করবো। আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাতদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো।
তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের ধন-সম্পদ থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে বার মাসের মধ্যে এ (রমযান) মাসে রোযা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন।
তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের মধ্যে রাস্তার খরচ বহনের উপর সামর্থ্যবানদের জন্য কাবা ঘরের হজ্জ করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর সে বললোঃ আপনার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনাকে সত্যবাদীরূপে মেনে নিলাম। আর আমার নাম হল দিমাম ইবনে ছা’লাবা।
তিনি বললেনঃ তোমার যা মনে চায় প্রশ্ন কর। সে বললোঃ আমি আপনার প্রভু এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রভুর নামে আপনাকে শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে প্রেরণ করেছেন? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো, তারপর সে বললোঃ আমি আল্লাহর শপথ দিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করবো। আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে রাতদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থেকো।
তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের বিত্তশালীদের ধন-সম্পদ থেকে এ যাকাত নিয়ে তা আমাদের অভাবীদের দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে বার মাসের মধ্যে এ (রমযান) মাসে রোযা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন।
তারপর সে বললোঃ আমি আপনাকে আল্লাহর শপথ দিয়ে প্রশ্ন করছি, আল্লাহ তাআলা কি আপনাকে আমাদের মধ্যে রাস্তার খরচ বহনের উপর সামর্থ্যবানদের জন্য কাবা ঘরের হজ্জ করার নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়, হে আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন। তারপর সে বললোঃ আপনার উপর আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম এবং আপনাকে সত্যবাদীরূপে মেনে নিলাম। আর আমার নাম হল দিমাম ইবনে ছা’লাবা।
باب وُجُوبِ الصِّيَامِ
أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عُمَارَةَ، حَمْزَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَذْكُرُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَ أَصْحَابِهِ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ قَالَ أَيُّكُمُ ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالُوا هَذَا الأَمْغَرُ الْمُرْتَفِقُ - قَالَ حَمْزَةُ الأَمْغَرُ الأَبْيَضُ مُشْرَبٌ حُمْرَةً - فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ فَمُشْتَدٌّ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ قَالَ " سَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ " . قَالَ أَسْأَلُكَ بِرَبِّكَ وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ وَرَبِّ مَنْ بَعْدَكَ آللَّهُ أَرْسَلَكَ قَالَ " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تُصَلِّيَ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ قَالَ " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْ أَمْوَالِ أَغْنِيَائِنَا فَتَرُدَّهُ عَلَى فُقَرَائِنَا قَالَ " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا قَالَ " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَأَنْشُدُكَ بِهِ آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ يَحُجَّ هَذَا الْبَيْتَ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً قَالَ " اللَّهُمَّ نَعَمْ " . قَالَ فَإِنِّي آمَنْتُ وَصَدَّقْتُ وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান