কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৭২০
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২০
নয় রাক’আত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হবে?
১৭২৩। হারুন ইবনে ইসহাক (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে হিশাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, আমরা রাসুল (ﷺ) এর জন্য মিসওয়াক এবং উযুর পানি তৈরী করে রাখতাম। রাত্রের যে অংশে তাকে জাগ্রত করার আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা তিনি সে অংশে তাকে জাগ্রত করে দিতেন। (জাগ্রত হয়ে) তিনি মিসওয়াক এবং উযু করতেন ও নয় রাকআত নামায আদায় করতেন। শুধুমাত্র অষ্টম রাকআতে বসতেন এবং আল্লাহর প্রশংসা ও নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করতেন এবং দু'আ করতেন, সালাম ফিরাতেন। অতঃপর নবম রাকআত আদায় করতেন এবং বসে যেতেন অনুরূপভাবে আল্লাহর যিক্‌র করতেন, তার প্রশংসা করতেন এবং নবী (ﷺ) এর উপর দরুদ পাঠ করতেন ও দু'আ করতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম। অতঃপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন।
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِتِسْعٍ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدَةَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِمَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَسْتَاكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهِنَّ إِلاَّ عِنْدَ الثَّامِنَةِ وَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيُصَلِّي عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم وَيَدْعُو بَيْنَهُنَّ وَلاَ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا ثُمَّ يُصَلِّي التَّاسِعَةَ وَيَقْعُدُ وَذَكَرَ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيُصَلِّي عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ قَاعِدٌ .
হাদীস নং:১৭২১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২১
নয় রাক’আত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হবে?
১৭২৪। যাকারিয়্যা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... যুরারহ ইবনে আওফা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, সা’দ ইবনে হিশাম আমাদের কাছে এসে বললেন যে, তিনি ইবনে আব্বাসের নিকট গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিতরের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে সন্ধান দেব না? অথবা (তিনি বললেন) আমি কি তোমাকে ধরাবাসীদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিতরের নামায সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত ব্যক্তির সংবাদ দেব না? আমি বললাম, তিনি কে? তিনি বললেনঃ আয়িশা (রাযিঃ)। তখন আমরা তার কাছে আসলাম এবং তাকে সালাম বলে তার ঘরে প্রবেশ করলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম।

আমি বললাম আপনি আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিতরের নামায সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, আমরা তার জন্য তার মিসওয়াক এবং উযুর পানি তৈরী করে রাখতাম। আল্লাহ তাআলা তাকে রাত্রে যখন জাগাতে ইচ্ছা করতেন জাগিয়ে দিতেন। তিনি মিসওয়াক করে উযু করতেন এবং নয় রাকআত নামায আদায় করতেন। শুধুমাত্র অষ্টম রাকআতেই বসতেন। (বসে) আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করতেন এবং তার যিক্‌র করতেন আর দু'আ করতেন। তারপর উঠে যেতেন; সালাম ফিরাতেন না।

অতঃপর নবম রাকআত আদায় করতেন এবং বসে যেতেন ও আল্লাহ তাআলার প্রশংসা বর্ণনা করতেন, তার যিক্‌র এবং দু'আ করতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম। অতঃপর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস! তাহলে মোট এগার রাকআত নামায আদায় করা হত। যখন তিনি বয়স্ক হয়ে গেলেন এবং শরীর ভারী হয়ে গেল, তখন তিনি সাত রাকআত পড়ে বেজোড় করে দিতেন। তারপর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস! তাহলে সেটি নয় রাকআত নামায আদায় করা হল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন কোন নামায আদায় করতেন তা সর্বদা আদায় করতে ভালবাসতেন।
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِتِسْعٍ
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، أَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، لَمَّا أَنْ قَدِمَ، عَلَيْنَا أَخْبَرَنَا أَنَّهُ، أَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنْ وَتْرِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَلاَ أَدُلُّكَ أَوْ أَلاَ أُنَبِّئُكَ بِأَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ بِوَتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قُلْتُ مَنْ قَالَ عَائِشَةُ . فَأَتَيْنَاهَا فَسَلَّمْنَا عَلَيْهَا وَدَخَلْنَا فَسَأَلْنَاهَا فَقُلْتُ أَنْبِئِينِي عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ ثُمَّ يُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ وَلاَ يَقْعُدُ فِيهِنَّ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَذْكُرُهُ وَيَدْعُو ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ ثُمَّ يُصَلِّي التَّاسِعَةَ فَيَجْلِسُ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَذْكُرُهُ وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ فَلَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ فَتِلْكَ تِسْعًا أَىْ بُنَىَّ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهَا .
হাদীস নং:১৭২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২২
নয় রাক’আত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হবে?
১৭২৫। যাকারিয়্যা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে হিশাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করতেন। তারপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। যখন তিনি বয়স্ক হয়ে গেলেন তখন সাত রাকআত দ্বারা রেজোড় করতেন। তারপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন।
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِتِسْعٍ
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالَ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهُ سَمِعَهَا تَقُولُ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِتِسْعِ رَكَعَاتٍ ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَلَمَّا ضَعُفَ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ .
হাদীস নং:১৭২৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২৩
নয় রাক’আত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হবে?
১৭২৬। মুহাম্মাদ ইবনে বাশাশার (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করতেন এবং বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন।
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِتِسْعٍ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُوتِرُ بِتِسْعٍ وَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ .
হাদীস নং:১৭২৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২৪
নয় রাক’আত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হবে?
১৭২৭। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুলাহ খালানজী (রাহঃ) ......... সা’দ ইবনে হিশাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট এসে তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায সষ্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] রাত্রে আট রাকআত নামায আদায় করতেন এবং নবম রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিতেন এবং বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। (সংক্ষিপ্ত)
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِتِسْعٍ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَلَنْجِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، - يَعْنِي مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ - قَالَ حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نَافِعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ وَفَدَ عَلَى أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ فَسَأَلَهَا عَنْ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ ثَمَانَ رَكَعَاتٍ وَيُوتِرُ بِالتَّاسِعَةِ وَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ . مُخْتَصَرٌ .
হাদীস নং:১৭২৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২৫
নয় রাক’আত দ্বারা বেজোড় কিভাবে করা হবে?
১৭২৮। হান্নাদ ইবনে সারি (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রে নয় রাকআত নামায আদায় করতেন।
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِتِسْعٍ
أَخْبَرَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ، عَنِ الأَعْمَشِ، أُرَاهُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تِسْعَ رَكَعَاتٍ .