কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৭১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৮
সাত রাক’আত কিভাবে বেজোড় করা হবে?
১৭২১। ইসমাঈল ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বয়স বেড়ে গেল এবং শরীর ভারী হয়ে গেল তিনি সাত রাকআত নামায আদায় করতেন, শুধুমাত্র শেষ রাকআতেই বসতেন আর সালাম ফিরানোর পর বসা অবস্থায় আরো দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। হে বৎস! তাহলে মোট নয় রাকআত নামায আদায় করা হল। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন কোন নামায আদায় করতেন তা সর্বদা আদায় করতে ভালবাসেন। (সংক্ষিপ্ত)
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِسَبْعٍ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أَسَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ صَلَّى سَبْعَ رَكَعَاتٍ لاَ يَقْعُدُ إِلاَّ فِي آخِرِهِنَّ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ قَاعِدٌ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ فَتِلْكَ تِسْعٌ يَا بُنَىَّ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهَا . مُخْتَصَرٌ . خَالَفَهُ هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ .
হাদীস নং:১৭১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭১৯
সাত রাক’আত কিভাবে বেজোড় করা হবে?
১৭২২। যাকারিয়্যা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নয় রাকআত দ্বারা বেজোড় করতেন কেবলমাত্র আট রাকআতেই বসতেন এবং আল্লাহ তাআলার প্রশংসা এবং যিক্‌র করতেন (তাশাহহুদ পড়তেন) আর দোয়া করতেন (ছানা পড়তেন)। তারপর উঠে যেতেন এবং সালাম ফিরাতেন না। অতঃপর নবম রাকআত আদায় করতেন এবং বসে যেতেন ও আল্লাহ তাআলার যিক্‌র করতেন আর দু'আ করতেন। তারপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যা আমরা শুনতে পেতাম।

অতঃপর বসা অবস্থায় আরো দু’রাকআত নামায আদায় করতেন। যখন তার বয়স বেড়ে গেল এবং দুর্বলতা এসে গেল তখন সাত রাকআত দ্বারা বেজোড় করে দিতেন, শুধুমাত্র ষষ্ঠ রাকআতেই বসতেন। তারপর উঠে যেতেন এবং সালাম ফিরাতেন না। অতঃপর সপ্তম রাকআত আদায় করতেন, তারপর সালাম ফিরাতেন। অতঃপর বসা অবস্থায় দু’রাকআত নামায আদায় করতেন।
باب كَيْفَ الْوِتْرُ بِسَبْعٍ
أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَوْتَرَ بِتِسْعِ رَكَعَاتٍ لَمْ يَقْعُدْ إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ فَيَحْمَدُ اللَّهَ وَيَذْكُرُهُ وَيَدْعُو ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ ثُمَّ يُصَلِّي التَّاسِعَةَ فَيَجْلِسُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَيَدْعُو ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ فَلَمَّا كَبِرَ وَضَعُفَ أَوْتَرَ بِسَبْعِ رَكَعَاتٍ لاَ يَقْعُدُ إِلاَّ فِي السَّادِسَةِ ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ فَيُصَلِّي السَّابِعَةَ ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمَةً ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَهُوَ جَالِسٌ .