কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

المجتبى من السنن للنسائي

২০. দিবারাত্রির নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৬৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬৪
তাহাজ্জুদের নামাযে কিয়াম, রুকু, রুকুর পরে দাঁড়ানো, সিজদা এবং উভয় সিজদার মধ্যে বসায় সমতা বিধান করা
১৬৬৭। হুসাইন ইবনে মনসুর (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একরাত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে নামায আদায় করলাম। তিনি সূরা বাকারা শুরু করলেন, আমি মনে মনে বললাম যে, হয়তো তিনি একশত আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করে থেমে যাবেন। কিন্তু তিনি তিলাওয়াত চালিয়েই যেতে থাকলেন, আমি মনে মনে বললাম, হয়তো তিনি দু’শত আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করে রুকুতে যাবেন, কিন্তু তিনি তিলাওয়াত চালিয়েই যেতে থাকলেন।

আমি মনে মনে বললাম, হয়তো তিনি পূর্ণ সূরা এক রাকআতেই তিলাওয়াত করে ফেলবেন। কিন্তু তিনি তিলাওয়াত চালিয়ে যেতে থাকলেন এবং সূরা “নিসা” শুরু করে তাও তিলাওয়াত করে ফেললেন। তারপর সূরা ″আলে ইমরান″ শুরু করে তাও তিলাওয়াত করে ফেললেন। তিনি ধীরে ধীরে তিলাওয়াত করতেন। যদি তিনি এমন কোন আয়াত তিলাওয়াত করে ফেলতেন যাতে কোন তাসবীহ রয়েছে তবে তাসবীহ পাঠ করতেন, যদি কোন যাঞ্ছা করার আয়াত তিলাওয়াত করে ফেলতেন তবে যাঞ্ছা করতেন।

যদি কোন বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত তিলাওয়াত করে ফেলতেন, তবে অশ্রেয় প্রার্থনা করতেন। তারপর রুকু করতেন এবং বলতেন, ″সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম″ তার রুকু প্রায় তাঁর কিয়ামের সমান হত। পরে তার মাথা উঠাতেন এবং বলতেন ″সামিআল্লাহু লিমান হামিদা″। তার দাঁড়ানো প্রায় তার রুকুর সমান হত। তারপর সিজদা করতেন এবং বলতেন, ″সুবহানা রাব্বিয়াল আলা″ তার সিজদা প্রায় তার রুকুর সমান হত।
باب تَسْوِيَةِ الْقِيَامِ وَالرُّكُوعِ وَالْقِيَامِ بَعْدَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَالْجُلُوسِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً فَافْتَتَحَ الْبَقَرَةَ فَقُلْتُ يَرْكَعُ عِنْدَ الْمِائَةِ فَمَضَى فَقُلْتُ يَرْكَعُ عِنْدَ الْمِائَتَيْنِ فَمَضَى فَقُلْتُ يُصَلِّي بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَمَضَى فَافْتَتَحَ النِّسَاءَ فَقَرَأَهَا ثُمَّ افْتَتَحَ آلَ عِمْرَانَ فَقَرَأَهَا يَقْرَأُ مُتَرَسِّلاً إِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَسْبِيحٌ سَبَّحَ وَإِذَا مَرَّ بِسُؤَالٍ سَأَلَ وَإِذَا مَرَّ بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ ثُمَّ رَكَعَ فَقَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ " . فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . فَكَانَ قِيَامُهُ قَرِيبًا مِنْ رُكُوعِهِ ثُمَّ سَجَدَ فَجَعَلَ يَقُولُ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى " . فَكَانَ سُجُودُهُ قَرِيبًا مِنْ رُكُوعِهِ .
হাদীস নং:১৬৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৬৫
তাহাজ্জুদের নামাযে কিয়াম, রুকু, রুকুর পরে দাঁড়ানো, সিজদা এবং উভয় সিজদার মধ্যে বসায় সমতা বিধান করা
১৬৬৮। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে এক রমযান নামায আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রুকু করলেন এবং রুকুতে বললেনঃ ″সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম″ তার রুকু তার দাঁড়ানো থাকার সমপরিমাণ ছিল। তারপর উভয় সিজদার মধ্যে বসে বললেন, رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي তার বসাও তার কিয়ামের সমপরিমাণ হত। তারপর সিজদা করলেন এবং বললেন, ″সুবহানা রবিয়াল আ’লা″ তার সিজদাও তার কিয়ামের সমপরিমাণ হত। মাত্র চার রাকআত নামায আদায় করতেই বিলাল (রাযিঃ) এসে ফজরের নামাযের সংবাদ দিলেন।
باب تَسْوِيَةِ الْقِيَامِ وَالرُّكُوعِ وَالْقِيَامِ بَعْدَ الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَالْجُلُوسِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، - ثِقَةٌ - قَالَ حَدَّثَنَا الْعَلاَءُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَرَكَعَ فَقَالَ فِي رُكُوعِهِ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ " . مِثْلَ مَا كَانَ قَائِمًا ثُمَّ جَلَسَ يَقُولُ " رَبِّ اغْفِرْ لِي رَبِّ اغْفِرْ لِي " . مِثْلَ مَا كَانَ قَائِمًا ثُمَّ سَجَدَ فَقَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى " . مِثْلَ مَا كَانَ قَائِمًا فَمَا صَلَّى إِلاَّ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ حَتَّى جَاءَ بِلاَلٌ إِلَى الْغَدَاةِ . قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذَا الْحَدِيثُ عِنْدِي مُرْسَلٌ وَطَلْحَةُ بْنُ يَزِيدَ لاَ أَعْلَمُهُ سَمِعَ مِنْ حُذَيْفَةَ شَيْئًا وَغَيْرُ الْعَلاَءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ طَلْحَةَ عَنْ رَجُلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ .