কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
১৩. নামাযে সাহু তথা ভূলের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১২১৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৬
নামাযে কথা বলা।
১২১৯। কাসীর ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (একদা) নামাযে দাঁড়ালেন আমরাও তাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম, তখন এক বেদুঈন নামাযরত অবস্থায় বলে উঠছেন, “ইয়া আল্লাহ! তুমি আমার এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর রহম কর, আর আমাদের সাথে আর কারো উপর রহম করো না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সালাম ফিরালে ঐ বেদুঈনকে বললেন, তুমি একটি প্রশস্ত বস্তুকে সংকুচিত করে দিলে। এর দ্বারা তিনি আল্লাহর রহমতকে বুঝিয়েছেন।*
* এ হাদীস দ্বারা বোঝা যায় যে, নামাযের মধ্যে কথা বলা বৈধ নয়। তা না হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের মধ্যেই বেদুঈনকে উপরোক্ত কথা বলতেন।
* এ হাদীস দ্বারা বোঝা যায় যে, নামাযের মধ্যে কথা বলা বৈধ নয়। তা না হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামাযের মধ্যেই বেদুঈনকে উপরোক্ত কথা বলতেন।
أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الصَّلاَةِ وَقُمْنَا مَعَهُ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا . فَلَمَّا سَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلأَعْرَابِيِّ " لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا " . يُرِيدُ رَحْمَةَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৭
নামাযে কথা বলা।
১২২০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক বেদুঈন (একদা) মসজিদে প্রবেশ করল এবং দু’রাকআত নামায আদায় করে বললো, হে আল্লাহ! আমার ও মুহাম্মাদ (ﷺ) এর ওপর রহম কর এবং আমাদের সাথে আর কারো উপর রহম করো না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি একটি প্রশস্ত বস্তুকে সংকুচিত করে দিলে।
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ أَحْفَظُهُ مِنَ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ ارْحَمْنِي وَمُحَمَّدًا وَلاَ تَرْحَمْ مَعَنَا أَحَدًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ تَحَجَّرْتَ وَاسِعًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২১৮
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৮
নামাযে কথা বলা।
১২২১। ইসহাক ইবনে মনসূর (রাহঃ) ......... মুআবিয়া ইবনে হাকাম সুলামী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা নিকট অতীতে জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত ছিলাম, তারপর আল্লাহ তাআলা ইসলাম পাঠালেন। আমাদের মধ্যে কিছু লোক শুভ অশুভ লক্ষণ মানে। তিনি বললেন, তা এক প্রকার কুসংস্কার, যা তাদের মনে উদ্রেক হয়ে থাকে এটা যেন তাদের কোন কাজ থেকে বিরত না রাখে। আমি আরো বললাম, আমাদের মধ্যে কিছু লোক গণকদের কাছে যাতায়াত করে।
তিনি বললেন, তোমরা গণকদের কাছে যেয়ো না। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা টেনে থাকে, তিনি বললেন নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা টানতেন। [ ইদ্রীস (আলাইহিস সালাম) অথবা দানিয়াল (আলাইহিস সালাম)] অতএব, যার রেখা তাঁর রেখার সাথে মিলে যায় তা সঠিক বলে প্রতিপন্ন হবে।
রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে নামাযে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি হাচি দিলে আমি يَرْحَمُكَ اللَّهُ বললাম, তখন উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতে থাকলে আমি বললাম, তোমাদের মাতারা তোমাদের হারিয়ে ফেলূক! তোমাদের কি হল তোমরা আমার দিকে এরূপ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন লোকজন (আাশ্চর্যান্বিত হয়ে) তাদের উরুদেশে তাদের হাত মারতে আরম্ভ করলো, আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে আমি (রাগান্বিত না হয়ে) চুপ হয়ে গেলাম।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নামায শেষ করলেন আমাকে তাকলেন, তাঁর উপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক। তিনি (নামাযে তিনি আমার অবাঞ্চিত কথা বার্তার জন্য) আমাকে তিরস্কার করলেন না এবং কটু কথাও বললেন না। আমি এর পূর্বে বা পরে তার থেকে উত্তম কোন শিক্ষক দেখিনি। তিনি বললেন আমাদের এ নামাযে কারো কথা বলা সমীচীন নয়। এতো হলো তাসবীহ তাকবীর ও তিলাওয়াতে কুরআনের সমষ্টি।
রাবী বলেন, এরপর আমার একটি বকরীর পাল আমার দিকে এগিয়ে আসল যা আমার দাসী উহুদ এবং জাওয়ানীয়ায় চরাচ্ছিল। আমি দেখলাম যে, বাঘে পাল থেকে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো এক আদম সন্তান তাই আমি (দাসীর উপর) রাগান্বিত হয়ে গেলাম, যেমন অন্যরাও রাগান্বিত হয়ে থাকে। অতএব, আমি দাসীকে একটা চড় মারলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে তাঁর সংবাদ দিলাম। তিনি চড় মারাকে খুবই অন্যায় কাজ মনে করলেন।
আমি বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ আমি কি তাকে (এর প্রায়শ্চিত স্বরূপ) আযাদ করে দের? তিনি বললেন, আযাদ করে দাও। সে দাসীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বললো, আসমানে। তিনি তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন আমি কে? সে বললো, আপনি আল্লাহর রাসুল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, “সে মুমিনা, অতএব তাকে আযাদ করে দাও”।
তিনি বললেন, তোমরা গণকদের কাছে যেয়ো না। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে কিছু লোক রেখা টেনে থাকে, তিনি বললেন নবীদের মধ্যে একজন নবী রেখা টানতেন। [ ইদ্রীস (আলাইহিস সালাম) অথবা দানিয়াল (আলাইহিস সালাম)] অতএব, যার রেখা তাঁর রেখার সাথে মিলে যায় তা সঠিক বলে প্রতিপন্ন হবে।
রাবী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে নামাযে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি হাচি দিলে আমি يَرْحَمُكَ اللَّهُ বললাম, তখন উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতে থাকলে আমি বললাম, তোমাদের মাতারা তোমাদের হারিয়ে ফেলূক! তোমাদের কি হল তোমরা আমার দিকে এরূপ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছ কেন? তখন লোকজন (আাশ্চর্যান্বিত হয়ে) তাদের উরুদেশে তাদের হাত মারতে আরম্ভ করলো, আমি যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে আমি (রাগান্বিত না হয়ে) চুপ হয়ে গেলাম।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নামায শেষ করলেন আমাকে তাকলেন, তাঁর উপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক। তিনি (নামাযে তিনি আমার অবাঞ্চিত কথা বার্তার জন্য) আমাকে তিরস্কার করলেন না এবং কটু কথাও বললেন না। আমি এর পূর্বে বা পরে তার থেকে উত্তম কোন শিক্ষক দেখিনি। তিনি বললেন আমাদের এ নামাযে কারো কথা বলা সমীচীন নয়। এতো হলো তাসবীহ তাকবীর ও তিলাওয়াতে কুরআনের সমষ্টি।
রাবী বলেন, এরপর আমার একটি বকরীর পাল আমার দিকে এগিয়ে আসল যা আমার দাসী উহুদ এবং জাওয়ানীয়ায় চরাচ্ছিল। আমি দেখলাম যে, বাঘে পাল থেকে একটি বকরী নিয়ে গেছে। আমিও তো এক আদম সন্তান তাই আমি (দাসীর উপর) রাগান্বিত হয়ে গেলাম, যেমন অন্যরাও রাগান্বিত হয়ে থাকে। অতএব, আমি দাসীকে একটা চড় মারলাম। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে তাঁর সংবাদ দিলাম। তিনি চড় মারাকে খুবই অন্যায় কাজ মনে করলেন।
আমি বললাম, ইয়া রাসুলল্লাহ আমি কি তাকে (এর প্রায়শ্চিত স্বরূপ) আযাদ করে দের? তিনি বললেন, আযাদ করে দাও। সে দাসীকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহ কোথায়? সে বললো, আসমানে। তিনি তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করলেন আমি কে? সে বললো, আপনি আল্লাহর রাসুল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, “সে মুমিনা, অতএব তাকে আযাদ করে দাও”।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ الْحَكَمِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ فَجَاءَ اللَّهُ بِالإِسْلاَمِ وَإِنَّ رِجَالاً مِنَّا يَتَطَيَّرُونَ . قَالَ " ذَاكَ شَىْءٌ يَجِدُونَهُ فِي صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ " . وَرِجَالٌ مِنَّا يَأْتُونَ الْكُهَّانَ . قَالَ " فَلاَ تَأْتُوهُمْ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرِجَالٌ مِنَّا يَخُطُّونَ . قَالَ " كَانَ نَبِيٌّ مِنَ الأَنْبِيَاءِ يَخُطُّ فَمَنْ وَافَقَ خَطُّهُ فَذَاكَ " . قَالَ وَبَيْنَا أَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّلاَةِ إِذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَقُلْتُ يَرْحَمُكَ اللَّهُ فَحَدَّقَنِي الْقَوْمُ بِأَبْصَارِهِمْ فَقُلْتُ وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ مَا لَكُمْ تَنْظُرُونَ إِلَىَّ قَالَ فَضَرَبَ الْقَوْمُ بِأَيْدِيهِمْ عَلَى أَفْخَاذِهِمْ فَلَمَّا رَأَيْتُهُمْ يُسَكِّتُونِي لَكِنِّي سَكَتُّ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَانِي بِأَبِي وَأُمِّي هُوَ مَا ضَرَبَنِي وَلاَ كَهَرَنِي وَلاَ سَبَّنِي مَا رَأَيْتُ مُعَلِّمًا قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أَحْسَنَ تَعْلِيمًا مِنْهُ قَالَ " إِنَّ صَلاَتَنَا هَذِهِ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ كَلاَمِ النَّاسِ إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَتِلاَوَةُ الْقُرْآنِ " . قَالَ ثُمَّ اطَّلَعْتُ إِلَى غُنَيْمَةٍ لِي تَرْعَاهَا جَارِيَةٌ لِي فِي قِبَلِ أُحُدٍ وَالْجَوَّانِيَّةِ وَإِنِّي اطَّلَعْتُ فَوَجَدْتُ الذِّئْبَ قَدْ ذَهَبَ مِنْهَا بِشَاةٍ وَأَنَا رَجُلٌ مِنْ بَنِي آدَمَ آسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ فَصَكَكْتُهَا صَكَّةً ثُمَّ انْصَرَفْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَعَظَّمَ ذَلِكَ عَلَىَّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلاَ أَعْتِقُهَا قَالَ " ادْعُهَا " . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيْنَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ " . قَالَتْ فِي السَّمَاءِ . قَالَ " فَمَنْ أَنَا " . قَالَتْ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ " إِنَّهَا مُؤْمِنَةٌ فَاعْتِقْهَا " .
হাদীস নং:১২১৯
আন্তর্জাতিক নং: ১২১৯
নামাযে কথা বলা।
১২২২। ইসমাঈল ইবনে মাসউদ (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যামানায় নামাযে তাঁর সঙ্গীর সাথে কোন প্রয়োজনে কথা বলছিলেন। তখন এ আয়াত নাযিল হলঃ حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ
অর্থঃ তোমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাযের এবং আল্লাহর উদ্দেশে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে (২: ২৩৮)। তখন আমাদের (নামাযে) চুপ থাকতে আদেশ করলেন।
অর্থঃ তোমরা নামাযের প্রতি যত্নবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী নামাযের এবং আল্লাহর উদ্দেশে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে (২: ২৩৮)। তখন আমাদের (নামাযে) চুপ থাকতে আদেশ করলেন।
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي الْحَارِثُ بْنُ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كَانَ الرَّجُلُ يُكَلِّمُ صَاحِبَهُ فِي الصَّلاَةِ بِالْحَاجَةِ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ ) فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১২২০
আন্তর্জাতিক নং: ১২২০
নামাযে কথা বলা।
১২২৩। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আম্মার (রাহঃ) ......... আব্দূল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর কাছে তাঁর নামাযরত অবস্থায় আসতাম, আমি তাঁকে সালাম করতাম, তিনি উত্তর দিতেন। একদিন আমি তাঁর কাছে এসে তাঁকে সালাম করলাম, তখন তিনি নামায আদায় করছিলেন কিন্তু তিনি উত্তর দিলেন না। যখন তিনি সালাম ফিরালেন মুসল্লীদের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তাআলা নামাযের ব্যাপারে একটি নতুন হুকুম নাযিল করেছেন যে, তোমরা (এতে) আল্লাহর যিক্র ছাড়া অন্য কোন কথা বলবে না। আর তা তোমাদের জন্য সমীচীনও নয় আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াবে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي غَنِيَّةَ، - وَاسْمُهُ يَحْيَى بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ - وَالْقَاسِمُ بْنُ يَزِيدَ الْجَرْمِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ كُلْثُومٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، - وَهَذَا حَدِيثُ الْقَاسِمِ - قَالَ كُنْتُ آتِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُصَلِّي فَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ فَيَرُدُّ عَلَىَّ فَأَتَيْتُهُ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ فَلَمَّا سَلَّمَ أَشَارَ إِلَى الْقَوْمِ فَقَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ - يَعْنِي - أَحْدَثَ فِي الصَّلاَةِ أَنْ لاَ تَكَلَّمُوا إِلاَّ بِذِكْرِ اللَّهِ وَمَا يَنْبَغِي لَكُمْ وَأَنْ تَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ " .
হাদীস নং:১২২১
আন্তর্জাতিক নং: ১২২১
নামাযে কথা বলা।
১২২৪। হুসাইন ইবনে হুরায়ছ (রাহঃ) ......... (আব্দুল্লাহ) ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)-কে সালাম বললে তিনি উত্তর দিতেন (কিন্তু) আমরা হাবশা (ইথিওপিয়া) থেকে ফিরে এসে তাঁকে সালাম বললে তিনি উত্তর দিলেন না। তখন আমি নিকট-অতীত এবং দূর-অতীতের স্বীয় ঘটিত কোন অপরাধের কথা চিন্তা করতে লাগলাম ও বসে গেলাম। এরপর তিনি নামায শেষ করে বললেন, আল্লাহ তা'আলা যখনই ইচ্ছা করেন নতুন নতুন হুকুম নাযিল করেনঃ তিনি একটি (নতুন) হুকুম নাযিল করেছেন যে, নামাযে কথা বলা যাবে না।
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَيَرُدُّ عَلَيْنَا السَّلاَمَ حَتَّى قَدِمْنَا مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَىَّ فَأَخَذَنِي مَا قَرُبَ وَمَا بَعُدَ فَجَلَسْتُ حَتَّى إِذَا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يُحْدِثُ مِنْ أَمْرِهِ مَا يَشَاءُ وَإِنَّهُ قَدْ أَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ أَنْ لاَ يُتَكَلَّمَ فِي الصَّلاَةِ " .