কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
المجتبى من السنن للنسائي
৬. নামাযের সময়সূচী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫০২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০২
যোহরের নামাযের শেষ সময়।
৫০৩। হুসাইন ইবনে হুরায়স (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ ইনি জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম), যিনি তোমাদেরকে তোমাদের দ্বীন শিক্ষা দেয়ার জন্য এসেছিলান। তিনি উষা উদিত হলে ফজরের নামায আদায় করেন। যোহরের নামায আদায় করেন সুর্য ঢলে পড়লে, তারপর আসরের নামায আদায় করেন যখন ছায়া তাঁর সমান দেখেন। তারঃপর যখন সূর্য অস্তমিত হলো, আর রোযা পালনকারীর জন্য ইফতার করা হালাল হল তখন মাগরিবের নামায আদায় করলেন। তারপর ইশার নামায আদায় করেন সুর্য অস্তমিত হওয়ার পর যে শাফাক দেখা[১] যায়, তা অদৃশ্য হওয়ার পর।
জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আবার পরদিন আসলেন এবং নবী (ﷺ)-কে সাথে নিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন যখন কিছুটা ফর্সা হলো তখন। পরে তাকে নিয়ে যোহরের নামায আদায় করেন যখন ছায়া তার সমান হলো। তারপর আসরের নামায আদায় করেন যখন ছায়া তার দিগুণ হলো। পরে মাগরিবের নামায একই সময়ে পূর্বের দিনের ন্যায় আদায় করেন। যখন সূর্য অস্তমিত হলো এবং রোজা পালনকারীর জন্য ইফতার করা হালাল হলো। এরপর রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে গেলে ইশার নামায আদায় করেন। পরে তিনি বলেন, আপনার আজকের নামায ও গতকালকের নামাযের মধ্যবর্তী সময়ই হলো নামাযের সময়।
[১] ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমদ, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মতে- অস্তাচলে যে লালিমা দৃষ্ট হয় তাই ‘শফক'। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে- লালিমা অস্ত যাওয়ার পর যে সাদা বর্ণ দেখা যায়, তাই শফক । এটা অদৃশ্য হলে ইশার সালাতের সময় আরম্ভ হয়।
জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আবার পরদিন আসলেন এবং নবী (ﷺ)-কে সাথে নিয়ে ফজরের নামায আদায় করলেন যখন কিছুটা ফর্সা হলো তখন। পরে তাকে নিয়ে যোহরের নামায আদায় করেন যখন ছায়া তার সমান হলো। তারপর আসরের নামায আদায় করেন যখন ছায়া তার দিগুণ হলো। পরে মাগরিবের নামায একই সময়ে পূর্বের দিনের ন্যায় আদায় করেন। যখন সূর্য অস্তমিত হলো এবং রোজা পালনকারীর জন্য ইফতার করা হালাল হলো। এরপর রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে গেলে ইশার নামায আদায় করেন। পরে তিনি বলেন, আপনার আজকের নামায ও গতকালকের নামাযের মধ্যবর্তী সময়ই হলো নামাযের সময়।
[১] ইমাম মালিক, শাফিঈ, আহমদ, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মতে- অস্তাচলে যে লালিমা দৃষ্ট হয় তাই ‘শফক'। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে- লালিমা অস্ত যাওয়ার পর যে সাদা বর্ণ দেখা যায়, তাই শফক । এটা অদৃশ্য হলে ইশার সালাতের সময় আরম্ভ হয়।
آخر وقت الظهر
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ جَاءَكُمْ يُعَلِّمُكُمْ دِينَكُمْ " . فَصَلَّى الصُّبْحَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ وَصَلَّى الظُّهْرَ حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ رَأَى الظِّلَّ مِثْلَهُ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَحَلَّ فِطْرُ الصَّائِمِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ ذَهَبَ شَفَقُ اللَّيْلِ ثُمَّ جَاءَهُ الْغَدَ فَصَلَّى بِهِ الصُّبْحَ حِينَ أَسْفَرَ قَلِيلاً ثُمَّ صَلَّى بِهِ الظُّهْرَ حِينَ كَانَ الظِّلُّ مِثْلَهُ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ حِينَ كَانَ الظِّلُّ مِثْلَيْهِ ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ بِوَقْتٍ وَاحِدٍ حِينَ غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَحَلَّ فِطْرُ الصَّائِمِ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ حِينَ ذَهَبَ سَاعَةٌ مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ " الصَّلاَةُ مَا بَيْنَ صَلاَتِكَ أَمْسِ وَصَلاَتِكَ الْيَوْمَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৩
যোহরের নামাযের শেষ সময়।
৫০৪। আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আযরামী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ গ্রীষ্মকালে যোহরের নামায আদায় করতেন যখন কোন ব্যক্তির ছায়া তিন হতে পাঁচ কদমের মধ্যে হতো এবং শীতকালে ছায়া যখন পাঁচ হতে সাত কদমের মধ্যে হতো।
آخر وقت الظهر
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَذْرَمِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبِيدَةُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ كَانَ قَدْرُ صَلاَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فِي الصَّيْفِ ثَلاَثَةَ أَقْدَامٍ إِلَى خَمْسَةِ أَقْدَامٍ وَفِي الشِّتَاءِ خَمْسَةَ أَقْدَامٍ إِلَى سَبْعَةِ أَقْدَامٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান