কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৬৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪৫
২৫. হাওয-কাউসার সম্পর্কে।
৪৬৭০. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের সামনে (হাশরের দিন) একটা হাওয হবে, এর দু’টি তীরের দূরত্ব হবে- জারয়া থেকে আজরু নামক স্থান পর্যন্ত। (শাম দেশের দু’টি গ্রামের নাম, এ দু’টি গ্রামের মাঝে দূরত্ব হলো তিন দিনের পথের সমান।)
باب فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " إِنَّ أَمَامَكُمْ حَوْضًا مَا بَيْنَ نَاحِيَتَيْهِ كَمَا بَيْنَ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪৬
২৫. হাওয-কাউসার সম্পর্কে।
৪৬৭১. হাফস ইবনে উমর (রাহঃ) ..... যায়দ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ কোন এক সফরে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা একস্থানে অবস্থান করা কালে তিনি বলেনঃ তোমরা তাদের লক্ষ ভাগের এক ভাগও নও, যারা হাওয কাউসারের কাছে আসবে। রাবী বলেন, আমি যায়দ ইবনে আকরাম (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিঃ সেদিন কত লোক আপনারা সেখানে ছিলেন? তিনি বলেনঃ সাতশো বা আটশো লোক।
باب فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ النَّمَرِيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ : كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلْنَا مَنْزِلاً فَقَالَ : " مَا أَنْتُمْ جُزْءٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ جُزْءٍ مِمَّنْ يَرِدُ عَلَىَّ الْحَوْضَ " . قَالَ قُلْتُ : كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ قَالَ : سَبْعَمِائَةٍ أَوْ ثَمَانَمِائَةٍ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪৭
২৫. হাওয-কাউসার সম্পর্কে।
৪৬৭২. হান্নাদ ইবনে সারী (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিদ্রাচ্ছন্ন হওয়ার পর হাসি মুখে মাথা উঠিয়ে হয়তো নিজে তাদের বলেন, নয়তো সাহাবীগণ তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি হাসলেন কেন? তিনি বলেনঃ এখনই আমার উপর একটা সূরা নাযিল হয়েছে।

এরপর তিনি তা তিলাওয়াত করেনঃ অবশ্যই আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি। সুতরাং আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামায আদায় করুন এবং কুরবানী করুন। নিশ্চয় আপনার প্রতি বিদ্বেষে পোষণকারীই তো নির্বংশ।

সূরা পাঠ শেষে তিনি প্রশ্ন করেনঃ তোমরা কি জান, কাউসার কী? তারা বলেনঃ এ ব্যাপারে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল অধিক জ্ঞাত। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তা হলো একটা নহর, যা আমার রব আমাকে জান্নাতে দেয়ার ওয়াদা করেছেন। সেখানে অনেক কল্যাণ নিহিত আছে এবং সেখানে হাওয আছে, যেখানে কিয়ামতের দিন আমার উম্মত সমবেত হবে। আর এর পান পাত্র তারকারাজীর চাইতে অধিক হবে।
باب فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ : أَغْفَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِغْفَاءَةً فَرَفَعَ رَأْسَهُ مُتَبَسِّمًا، فَإِمَّا قَالَ لَهُمْ وَإِمَّا قَالُوا لَهُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ لِمَ ضَحِكْتَ فَقَالَ : " إِنَّهُ أُنْزِلَتْ عَلَىَّ آنِفًا سُورَةٌ " . فَقَرَأَ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ) حَتَّى خَتَمَهَا فَلَمَّا قَرَأَهَا قَالَ : " هَلْ تَدْرُونَ مَا الْكَوْثَرُ " . قَالُوا : اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ : " فَإِنَّهُ نَهْرٌ وَعَدَنِيهِ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فِي الْجَنَّةِ، وَعَلَيْهِ خَيْرٌ كَثِيرٌ عَلَيْهِ حَوْضٌ تَرِدُ عَلَيْهِ أُمَّتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ آنِيَتُهُ عَدَدُ الْكَوَاكِبِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪৮
২৫. হাওয-কাউসার সম্পর্কে।
৪৬৭৩. আসিম ইবনে নযর (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মি’রাজের রাতে জান্নাত পরিভ্রমণকালে নবী (ﷺ)-এর সামনে একটা নহর (নদী) আনা হয়, যার দু’পাশ ছিল নিরেট ইয়াকূতে ভরপুর। এ সময় তাঁর সঙ্গী ফিরিশতা সেখানে হাত দিয়ে একটা মশক বের করেন। তখন নবী (ﷺ) তাঁর সঙ্গী ফিরিশতাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ ইহা কি? তিনি বলেনঃ ইহা ঐ কাউসার, যা মহান আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন।
باب فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ النَّضْرِ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ : لَمَّا عُرِجَ بِنَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْجَنَّةِ - أَوْ كَمَا قَالَ - عُرِضَ لَهُ نَهْرٌ حَافَتَاهُ الْيَاقُوتُ الْمُجَيَّبُ أَوْ قَالَ الْمُجَوَّفُ، فَضَرَبَ الْمَلَكُ الَّذِي مَعَهُ يَدَهُ فَاسْتَخْرَجَ مِسْكًا فَقَالَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم لِلْمَلَكِ الَّذِي مَعَهُ : " مَا هَذَا " . قَالَ : هَذَا الْكَوْثَرُ الَّذِي أَعْطَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৪৬৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৪৯
২৫. হাওয-কাউসার সম্পর্কে।
৪৬৭৪. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... আব্দুস সালাম ইবনে আবু হাযিম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আবু বারযা (রাযিঃ)-কে উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) এর কাছে যেতে দেখি। এরপর আমার কাছে মুসলিম নামে এক ব্যক্তি, যিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বলেনঃ উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) আবু বারযা (রাযিঃ)-কে দেখে বলেনঃ দেখ! তোমাদের এ মুহাম্মাদী (মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সাহাবী) মোটা পা বিশিষ্ট। একথা শুনে আবু বারযা (রাযিঃ) বুঝতে পারেন যে (ইবনে যিয়াদ ঘৃণাভরে এরূপ উক্তি করছে।) তখন তিনি বলেনঃ আমি এরূপ খেয়াল করিনি যে, আমি এরূপ লোকদের সাথে অবস্থান করবো, যে আমাকে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর সাহাবী হওয়ার জন্য দোষারোপ করবে।

একথা শুনে উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ বলেনঃ মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সোহবত তো আপনার জন্য গৌরবের বিষয়, এটা কোন দোষের ব্যাপার নয়। এরপর তিনি বলেনঃ আমি আপনাকে এ জন্য ডেকেছি যে, আমি আপনার কাছে হাওয-কাউসার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবো। আপনি কি এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কিছু শুনেছেন? আবু বারযা (রাযিঃ) বলেনঃ হ্যাঁ, শুনেছি। এক, দুই, তিন, চার বা পাঁচবার নয়, বরং বহুবার শুনেছি। আর যে ব্যক্তি এ কথাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে, আল্লাহ তাকে সে হাওযের পানি পান করাবেন না। এরপর তিনি সেখানে থেকে রাগান্বিত হয়ে বেরিয়ে আসেন।
باب فِي الْحَوْضِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ أَبُو طَالُوتَ، قَالَ شَهِدْتُ أَبَا بَرْزَةَ دَخَلَ عَلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ زِيَادٍ فَحَدَّثَنِي فُلاَنٌ، سَمَّاهُ مُسْلِمٌ وَكَانَ فِي السِّمَاطِ فَلَمَّا رَآهُ عُبَيْدُ اللَّهِ قَالَ : إِنَّ مُحَمَّدِيَّكُمْ هَذَا الدَّحْدَاحُ، فَفَهِمَهَا الشَّيْخُ فَقَالَ مَا كُنْتُ أَحْسِبُ أَنِّي أَبْقَى فِي قَوْمٍ يُعَيِّرُونِي بِصُحْبَةِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ إِنَّ صُحْبَةَ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم لَكَ زَيْنٌ غَيْرُ شَيْنٍ ثُمَّ قَالَ : إِنَّمَا بُعِثْتُ إِلَيْكَ لأَسْأَلَكَ عَنِ الْحَوْضِ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَذْكُرُ فِيهِ شَيْئًا فَقَالَ أَبُو بَرْزَةَ : نَعَمْ لاَ مَرَّةً وَلاَ ثِنْتَيْنِ وَلاَ ثَلاَثًا وَلاَ أَرْبَعًا وَلاَ خَمْسًا، فَمَنْ كَذَّبَ بِهِ فَلاَ سَقَاهُ اللَّهُ مِنْهُ ثُمَّ خَرَجَ مُغْضَبًا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান