কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৫. সুন্নাহের গুরুত্ব ও আকাঈদ অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৫৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫৮
১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের মন্দ বলা নিষেধ।
৪৫৮৬. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা আমার সাহাবীদের সম্পর্কে কোনরূপ কটুক্তি করবে না। যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন, যদি তোমাদের কেউ (তাদের পরে) উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনা (আল্লাহর রাস্তায়) খরচ করে; তবে তাঁরা দ্বীনের জন্য যে এক বা অর্ধ মুদ সম্পদ (যা খুবই নগণ্য) খরচ করেছে, তার সমান হবে না।
باب فِي النَّهْىِ عَنْ سَبِّ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَسُبُّوا أَصْحَابِي فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنْفَقَ أَحَدُكُمْ مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا مَا بَلَغَ مُدَّ أَحَدِهِمْ وَلاَ نَصِيفَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৫৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫৯
১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীদের মন্দ বলা নিষেধ।
৪৫৮৭. আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) .... আমর ইবনে আবু কুররা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হুযাইফা (রাযিঃ) মাদায়েনে ছিলেন এবং তিনি লোকদের কাছে ঐ সব হাদীস বর্ণনা করতেন, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাগাম্বিত অবস্থায় লোকদের বলতেন। যারা হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে এ ধরনের হাদীস শুনতেন, তারা সালমান (রাযিঃ)-এর কাছে গিয়ে তা বর্ণনা করতেন। তখন সালমান (রাযিঃ) বলতেনঃ হুযাইফা (রাযিঃ) যা কিছু বলেনঃ সে ব্যাপারে তিনি অভিজ্ঞ। একথা লোকেরা হুযাইফা (রাযিঃ)-এর কাছে গিয়ে বললো যে, আমরা আপনার বর্ণিত হাদীস সালমান (রাযিঃ)-এর কাছে পেশ করলে, তিনি তা সম্পর্কে সত্য বা মিথ্যা কিছুই বলেন না।
একথা শুনে হুযাইফা (রাযিঃ) সালমান (রাযিঃ)-এর কাছে যান এবং এ সময় তিনি তরকারীর ক্ষেতে ছিলেন। তিনি তাকে বলেনঃ হে সালমান! আপনি আমার বর্ণিত ঐ সব হাদীস কেন সত্যায়িত করেননি, যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শ্রবণ করেছি? তখন সালমান (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন কোন সময় রাগাম্বিত হতেন, তখন তিনি রাগান্বিত অবস্থায় সাহাবীদের সাথে কথা বলতেন। আর কখনো তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন, তখন তিনি তাদের সাথে খোশ-মেজাযে কথা বলতেন। এরপর সালমান (রাযিঃ) বলেনঃ আপনি কি এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন না, যাতে একে অন্যের প্রতি রাগ-বিরাগের সৃষ্টি হয়? আর সম্ভবতঃ এর ফলে লোকদের মাঝে মতানৈক্যের সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরো বলেনঃ আপনি এ বিষয়ে অবহিত আছেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভাষণ দেয়ার সময় বলেনঃ আমি রাগান্বিত থাকার কারণে যদি আমার উম্মতকে কোন খারাপ কথা বলে থাকি বা তার উপর লা’নত করে থাকি, (তবে তা এজন্য যে,) আমিও আদম সন্তান। আমিও সেরূপ রাগান্বিত হই, যেরূপ অন্যরা হয়ে থাকে। অবশ্য মহান আল্লাহ আমাকে সারা জাহানের আমার খারাপ উক্তি ও লা’নতকে, (যা আমি করেছি,) কিয়ামতের দিন তা ঐ ব্যক্তির জন্য রহমত স্বরূপ করে দেবেন। এরপর সালমান (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! হয় আপনি এরূপ করা থেকে বিরত থাকবেন, নয়তো আমি উমর (রাযিঃ)-কে চিঠি দিয়ে সব জানিয়ে দেব।
একথা শুনে হুযাইফা (রাযিঃ) সালমান (রাযিঃ)-এর কাছে যান এবং এ সময় তিনি তরকারীর ক্ষেতে ছিলেন। তিনি তাকে বলেনঃ হে সালমান! আপনি আমার বর্ণিত ঐ সব হাদীস কেন সত্যায়িত করেননি, যা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে শ্রবণ করেছি? তখন সালমান (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন কোন সময় রাগাম্বিত হতেন, তখন তিনি রাগান্বিত অবস্থায় সাহাবীদের সাথে কথা বলতেন। আর কখনো তিনি সন্তুষ্ট থাকতেন, তখন তিনি তাদের সাথে খোশ-মেজাযে কথা বলতেন। এরপর সালমান (রাযিঃ) বলেনঃ আপনি কি এরূপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন না, যাতে একে অন্যের প্রতি রাগ-বিরাগের সৃষ্টি হয়? আর সম্ভবতঃ এর ফলে লোকদের মাঝে মতানৈক্যের সৃষ্টি হতে পারে।
তিনি আরো বলেনঃ আপনি এ বিষয়ে অবহিত আছেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভাষণ দেয়ার সময় বলেনঃ আমি রাগান্বিত থাকার কারণে যদি আমার উম্মতকে কোন খারাপ কথা বলে থাকি বা তার উপর লা’নত করে থাকি, (তবে তা এজন্য যে,) আমিও আদম সন্তান। আমিও সেরূপ রাগান্বিত হই, যেরূপ অন্যরা হয়ে থাকে। অবশ্য মহান আল্লাহ আমাকে সারা জাহানের আমার খারাপ উক্তি ও লা’নতকে, (যা আমি করেছি,) কিয়ামতের দিন তা ঐ ব্যক্তির জন্য রহমত স্বরূপ করে দেবেন। এরপর সালমান (রাযিঃ) বলেনঃ আল্লাহর শপথ! হয় আপনি এরূপ করা থেকে বিরত থাকবেন, নয়তো আমি উমর (রাযিঃ)-কে চিঠি দিয়ে সব জানিয়ে দেব।
باب فِي النَّهْىِ عَنْ سَبِّ، أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ الثَّقَفِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ الْمَاصِرُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي قُرَّةَ، قَالَ كَانَ حُذَيْفَةُ بِالْمَدَائِنِ فَكَانَ يَذْكُرُ أَشْيَاءَ قَالَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فِي الْغَضَبِ فَيَنْطَلِقُ نَاسٌ مِمَّنْ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ حُذَيْفَةَ فَيَأْتُونَ سَلْمَانَ فَيَذْكُرُونَ لَهُ قَوْلَ حُذَيْفَةَ فَيَقُولُ سَلْمَانُ حُذَيْفَةُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُ فَيَرْجِعُونَ إِلَى حُذَيْفَةَ فَيَقُولُونَ لَهُ قَدْ ذَكَرْنَا قَوْلَكَ لِسَلْمَانَ فَمَا صَدَّقَكَ وَلاَ كَذَّبَكَ . فَأَتَى حُذَيْفَةُ سَلْمَانَ وَهُوَ فِي مَبْقَلَةٍ فَقَالَ يَا سَلْمَانُ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُصَدِّقَنِي بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَلْمَانُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْضَبُ فَيَقُولُ فِي الْغَضَبِ لِنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ وَيَرْضَى فَيَقُولُ فِي الرِّضَا لِنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِهِ أَمَا تَنْتَهِي حَتَّى تُوَرِّثَ رِجَالاً حُبَّ رِجَالٍ وَرِجَالاً بُغْضَ رِجَالٍ وَحَتَّى تُوقِعَ اخْتِلاَفًا وَفُرْقَةً وَلَقَدْ عَلِمْتَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ فَقَالَ " أَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي سَبَبْتُهُ سَبَّةً أَوْ لَعَنْتُهُ لَعْنَةً فِي غَضَبِي - فَإِنَّمَا أَنَا مِنْ وَلَدِ آدَمَ أَغْضَبُ كَمَا يَغْضَبُونَ وَإِنَّمَا بَعَثَنِي رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ - فَاجْعَلْهَا عَلَيْهِمْ صَلاَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . وَاللَّهِ لَتَنْتَهِيَنَّ أَوْ لأَكْتُبَنَّ إِلَى عُمَرَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: