কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৪. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
হাদীস নং: ৪৪৮৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৬
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৮৮. ইসহাক ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সব আঙ্গুল সমান, এর দিয়াত হলো, দশ-দশটি উট।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سُلَيْمَانَ - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ غَالِبٍ التَّمَّارِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَصَابِعُ سَوَاءٌ عَشْرٌ عَشْرٌ مِنَ الإِبِلِ " .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৭
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৮৯. আবু ওয়ালীদ (রাহঃ) .... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ সব আঙ্গুল সমান, তখন আমি বলিঃ প্রত্যেক আঙ্গুলের দিয়াত কি দশ-দশটি উট? তিনি বলেনঃ হ্যাঁ।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ غَالِبٍ التَّمَّارِ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ أَوْسٍ، عَنِ الأَشْعَرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَصَابِعُ سَوَاءٌ " . قُلْتُ عَشْرٌ عَشْرٌ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ غَالِبٍ قَالَ سَمِعْتُ مَسْرُوقَ بْنَ أَوْسٍ وَرَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي غَالِبٌ التَّمَّارُ بِإِسْنَادِ أَبِي الْوَلِيدِ وَرَوَاهُ حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي صَفِيَّةَ عَنْ غَالِبٍ بِإِسْنَادِ إِسْمَاعِيلَ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪৪৯০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৮
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯০. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এটি এবং ওটি অর্থাৎ কনিষ্ঠা এবং অনামিকা; দু’টি আঙ্গুলই সমান।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي ح، وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذِهِ وَهَذِهِ سَوَاءٌ " . قَالَ يَعْنِي الإِبْهَامَ وَالْخِنْصَرَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৯
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯১. আব্বাস আনবারী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সব আঙ্গুল সমান এবং সব দাঁত সমান দিয়াতের ব্যাপারে। তা সামনের দাঁত হোক বা পেছনের। আর এটি এবং ওটি ও সমান-সমান অর্থাৎ কনিষ্ঠা ও অনামিকা আঙ্গুলও সমান।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنِي شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَصَابِعُ سَوَاءٌ وَالأَسْنَانُ سَوَاءٌ الثَّنِيَّةُ وَالضِّرْسُ سَوَاءٌ هَذِهِ وَهَذِهِ سَوَاءٌ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ عَنْ شُعْبَةَ بِمَعْنَى عَبْدِ الصَّمَدِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَاهُ الدَّارِمِيُّ عَنِ النَّضْرِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬০
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯২. মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ দাঁত এবং আঙ্গুলই দিয়াতের ব্যাপারে সমান সমান।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحَسَنِ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الأَسْنَانُ سَوَاءٌ وَالأَصَابِعُ سَوَاءٌ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬১
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯৩. আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাত ও পায়ের আঙ্গুলসমূহকে মর্যাদার দিক দিয়ে সমান বলে উল্লেখ করেছেন।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ أَبَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ، عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَصَابِعَ الْيَدَيْنِ وَالرِّجْلَيْنِ سَوَاءً .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬২
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯৪. হুদাইবা ইবনে খালিদ (রাহঃ) .... আমর ইবনে শু’আয়ব (রাহঃ) তার পিতা থেকে এবং তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একদা নবী করীম (ﷺ) তাঁর ভাষণে বলেনঃ আঙ্গুলের জন্য দিয়াত হলো, দশ-দশটি উট। এ সময় তিনি তাঁর পিঠ কাবা ঘরের সাথে ঠেশ দিয়ে রাখেন।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي خُطْبَتِهِ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْكَعْبَةِ " فِي الأَصَابِعِ عَشْرٌ عَشْرٌ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬৩ - ৪৫৬৪
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯৫. যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ..... আমর ইবনে শু’আয়েব (রাহঃ) তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ দাঁতের দিয়াত হলো পাঁচটি উট।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আমার গ্রন্থে শায়বান (রাহঃ) সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছি; কিন্তু আমি তা তার থেকে শুনিনি। এরপর আবু বকর নামক আমাদের একজন সাথী আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, যিনি আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য। তিনি শায়াবান (রাহঃ) হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে রাশীদ (রাহঃ) হতে, সুলাইমান ইবনে মুসা (রাহঃ) হতে, আমর ইবনে শু’আয়েব (রাহঃ) হতে, তিনি তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভুলবশত হত্যার জন্য বস্তীবাসীদের উপর চারশো দীনার অথবা এর সম-মূল্যের দিরহাম দিয়াত স্বরূপ ধার্য করেন। আর এই মূল্য ছিল-উটের মূল্যের উপর স্থির কৃত।
তিনি দুষ্প্রাপ্যতার সময় উটের মূল্য বাড়িয়ে দিতেন, আর আমদানী বেশী হওয়ার কারণে যখন তার দাম কমে যেত, তখন তিনি দিয়াতের জন্য ধার্যকৃত মূল্যমান কমিয়ে দিতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানার দিয়াতের পরিমাণ চারশো দীনার হতে আটশো দীনার পর্যন্ত পৌছাতো; যার মূল্যমান রূপার হিসাবে আট হাজার দিরহাম হতো। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গরুর মালিকদের উপর দিয়াত হিসাবে দু’শো গরু নির্ধারণ করেন এবং যাদের উপর বকরীর দিয়াত ওয়াজিব হতো, তিনি তাদের দু’হাজার বকরী দেয়ার নির্দেশ দিতেন।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কারো নাক কাটা যায়, তবে এর ফলে সে পূর্ণ দিয়াত পাবে। আর যদি কেবল নাকের মাথা কাটা যায় তবে সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। অর্থাৎ পঞ্চাশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা, অথবা একশো গরু বা এক হাজার বকরী। আর কারো এক হাত কাটা গেলে, সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। এভাবে এক পা কাটা গেলে, সে ও অর্ধেক দিয়াত পাবে। আর যদি কারো মাথায় যখম হয়, তবে তাকে এজন্য দিয়াতের এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতে হবে; যথাঃ তেত্রিশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা। গরু ও বকরীর ক্ষেত্রে নির্দেশ এরূপই এবং পেটের দিয়াতের নির্দেশও এরূপ। আর আঙ্গুলের ব্যাপারে, প্রতিটি আঙ্গুলের জন্য বিনিময় হলো- দশটি উট এবং দাঁতের ব্যাপারে প্রতিটি দাঁতের বিনিময় হলো- পাঁচটি উট যা দিয়াত স্বরূপ আদায় করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ মহিলার দিয়াত তার আত্মীয়দের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারা হবে ঐ ধরনের লোক, যারা নিকটাত্মীদের মাঝে বণ্টনের পর তার অধিকারী হবে। আর যদি কোন মহিলা নিহত হয়, তবে তার দিয়াত, তার উত্তরাধিকারিগণের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারাই হত্যাকারীর নিকট হতে ’কিসাস’ গ্রহণ করবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ হত্যাকারীর উত্তরাধিকারিগণ তার সম্পদের অধিকারী হবে না। আর যদি নিহত ব্যক্তির কোন ওয়ারিছ না থাকে, তবে এর পরবর্তী নিকটাত্মীয়গণ এর অধিকারী হবে এবং হত্যাকারী ব্যক্তি কোন সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে না।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ আমার গ্রন্থে শায়বান (রাহঃ) সূত্রে একটি হাদীস বর্ণনা করেছি; কিন্তু আমি তা তার থেকে শুনিনি। এরপর আবু বকর নামক আমাদের একজন সাথী আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, যিনি আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য। তিনি শায়াবান (রাহঃ) হতে, তিনি মুহাম্মাদ ইবনে রাশীদ (রাহঃ) হতে, সুলাইমান ইবনে মুসা (রাহঃ) হতে, আমর ইবনে শু’আয়েব (রাহঃ) হতে, তিনি তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা থেকে এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ভুলবশত হত্যার জন্য বস্তীবাসীদের উপর চারশো দীনার অথবা এর সম-মূল্যের দিরহাম দিয়াত স্বরূপ ধার্য করেন। আর এই মূল্য ছিল-উটের মূল্যের উপর স্থির কৃত।
তিনি দুষ্প্রাপ্যতার সময় উটের মূল্য বাড়িয়ে দিতেন, আর আমদানী বেশী হওয়ার কারণে যখন তার দাম কমে যেত, তখন তিনি দিয়াতের জন্য ধার্যকৃত মূল্যমান কমিয়ে দিতেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর যামানার দিয়াতের পরিমাণ চারশো দীনার হতে আটশো দীনার পর্যন্ত পৌছাতো; যার মূল্যমান রূপার হিসাবে আট হাজার দিরহাম হতো। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গরুর মালিকদের উপর দিয়াত হিসাবে দু’শো গরু নির্ধারণ করেন এবং যাদের উপর বকরীর দিয়াত ওয়াজিব হতো, তিনি তাদের দু’হাজার বকরী দেয়ার নির্দেশ দিতেন।
রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কারো নাক কাটা যায়, তবে এর ফলে সে পূর্ণ দিয়াত পাবে। আর যদি কেবল নাকের মাথা কাটা যায় তবে সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। অর্থাৎ পঞ্চাশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা, অথবা একশো গরু বা এক হাজার বকরী। আর কারো এক হাত কাটা গেলে, সে অর্ধেক দিয়াত পাবে। এভাবে এক পা কাটা গেলে, সে ও অর্ধেক দিয়াত পাবে। আর যদি কারো মাথায় যখম হয়, তবে তাকে এজন্য দিয়াতের এক-তৃতীয়াংশ প্রদান করতে হবে; যথাঃ তেত্রিশটি উট বা এর সম-মূল্যের সোনা বা রূপা। গরু ও বকরীর ক্ষেত্রে নির্দেশ এরূপই এবং পেটের দিয়াতের নির্দেশও এরূপ। আর আঙ্গুলের ব্যাপারে, প্রতিটি আঙ্গুলের জন্য বিনিময় হলো- দশটি উট এবং দাঁতের ব্যাপারে প্রতিটি দাঁতের বিনিময় হলো- পাঁচটি উট যা দিয়াত স্বরূপ আদায় করতে হবে।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ মহিলার দিয়াত তার আত্মীয়দের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারা হবে ঐ ধরনের লোক, যারা নিকটাত্মীদের মাঝে বণ্টনের পর তার অধিকারী হবে। আর যদি কোন মহিলা নিহত হয়, তবে তার দিয়াত, তার উত্তরাধিকারিগণের মাঝে বন্টিত হবে এবং তারাই হত্যাকারীর নিকট হতে ’কিসাস’ গ্রহণ করবে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরো বলেছেনঃ হত্যাকারীর উত্তরাধিকারিগণ তার সম্পদের অধিকারী হবে না। আর যদি নিহত ব্যক্তির কোন ওয়ারিছ না থাকে, তবে এর পরবর্তী নিকটাত্মীয়গণ এর অধিকারী হবে এবং হত্যাকারী ব্যক্তি কোন সম্পদের উত্তরাধিকারী হবে না।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ أَبُو خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونُ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فِي الأَسْنَانِ خَمْسٌ خَمْسٌ " .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ شَيْبَانَ، - وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ - فَحَدَّثْنَاهُ أَبُو بَكْرٍ، - صَاحِبٌ لَنَا ثِقَةٌ - قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَوِّمُ دِيَةَ الْخَطَإِ عَلَى أَهْلِ الْقُرَى أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ يُقَوِّمُهَا عَلَى أَثْمَانِ الإِبِلِ فَإِذَا غَلَتْ رَفَعَ فِي قِيمَتِهَا وَإِذَا هَاجَتْ رُخْصًا نَقَصَ مِنْ قِيمَتِهَا وَبَلَغَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ أَرْبَعِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى ثَمَانِمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ ثَمَانِيَةَ آلاَفِ دِرْهَمٍ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَهْلِ الْبَقَرِ مِائَتَىْ بَقَرَةٍ وَمَنْ كَانَ دِيَةُ عَقْلِهِ فِي الشَّاءِ فَأَلْفَىْ شَاةٍ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْعَقْلَ مِيرَاثٌ بَيْنَ وَرَثَةِ الْقَتِيلِ عَلَى قَرَابَتِهِمْ فَمَا فَضَلَ فَلِلْعَصَبَةِ " . قَالَ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الأَنْفِ إِذَا جُدِعَ الدِّيَةَ كَامِلَةً وَإِنْ جُدِعَتْ ثَنْدُوَتُهُ فَنِصْفُ الْعَقْلِ خَمْسُونَ مِنَ الإِبِلِ أَوْ عَدْلُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوْ مِائَةُ بَقَرَةٍ أَوْ أَلْفُ شَاةٍ وَفِي الْيَدِ إِذَا قُطِعَتْ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الرِّجْلِ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ الْعَقْلِ ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ مِنَ الإِبِلِ وَثُلْثٌ أَوْ قِيمَتُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوِ الْبَقَرِ أَوِ الشَّاءِ وَالْجَائِفَةُ مِثْلُ ذَلِكَ وَفِي الأَصَابِعِ فِي كُلِّ أُصْبُعٍ عَشْرٌ مِنَ الإِبِلِ وَفِي الأَسْنَانِ فِي كُلِّ سِنٍّ خَمْسٌ مِنَ الإِبِلِ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَقْلَ الْمَرْأَةِ بَيْنَ عَصَبَتِهَا مَنْ كَانُوا لاَ يَرِثُونَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ مَا فَضَلَ عَنْ وَرَثَتِهَا فَإِنْ قُتِلَتْ فَعَقْلُهَا بَيْنَ وَرَثَتِهَا وَهُمْ يَقْتُلُونَ قَاتِلَهُمْ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ لِلْقَاتِلِ شَىْءٌ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَارِثٌ فَوَارِثُهُ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ وَلاَ يَرِثُ الْقَاتِلُ شَيْئًا " . قَالَ مُحَمَّدٌ هَذَا كُلُّهُ حَدَّثَنِي بِهِ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ شَيْبَانَ، - وَلَمْ أَسْمَعْهُ مِنْهُ - فَحَدَّثْنَاهُ أَبُو بَكْرٍ، - صَاحِبٌ لَنَا ثِقَةٌ - قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُقَوِّمُ دِيَةَ الْخَطَإِ عَلَى أَهْلِ الْقُرَى أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ يُقَوِّمُهَا عَلَى أَثْمَانِ الإِبِلِ فَإِذَا غَلَتْ رَفَعَ فِي قِيمَتِهَا وَإِذَا هَاجَتْ رُخْصًا نَقَصَ مِنْ قِيمَتِهَا وَبَلَغَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا بَيْنَ أَرْبَعِمِائَةِ دِينَارٍ إِلَى ثَمَانِمِائَةِ دِينَارٍ أَوْ عَدْلَهَا مِنَ الْوَرِقِ ثَمَانِيَةَ آلاَفِ دِرْهَمٍ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَهْلِ الْبَقَرِ مِائَتَىْ بَقَرَةٍ وَمَنْ كَانَ دِيَةُ عَقْلِهِ فِي الشَّاءِ فَأَلْفَىْ شَاةٍ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْعَقْلَ مِيرَاثٌ بَيْنَ وَرَثَةِ الْقَتِيلِ عَلَى قَرَابَتِهِمْ فَمَا فَضَلَ فَلِلْعَصَبَةِ " . قَالَ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الأَنْفِ إِذَا جُدِعَ الدِّيَةَ كَامِلَةً وَإِنْ جُدِعَتْ ثَنْدُوَتُهُ فَنِصْفُ الْعَقْلِ خَمْسُونَ مِنَ الإِبِلِ أَوْ عَدْلُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوْ مِائَةُ بَقَرَةٍ أَوْ أَلْفُ شَاةٍ وَفِي الْيَدِ إِذَا قُطِعَتْ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الرِّجْلِ نِصْفُ الْعَقْلِ وَفِي الْمَأْمُومَةِ ثُلُثُ الْعَقْلِ ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ مِنَ الإِبِلِ وَثُلْثٌ أَوْ قِيمَتُهَا مِنَ الذَّهَبِ أَوِ الْوَرِقِ أَوِ الْبَقَرِ أَوِ الشَّاءِ وَالْجَائِفَةُ مِثْلُ ذَلِكَ وَفِي الأَصَابِعِ فِي كُلِّ أُصْبُعٍ عَشْرٌ مِنَ الإِبِلِ وَفِي الأَسْنَانِ فِي كُلِّ سِنٍّ خَمْسٌ مِنَ الإِبِلِ وَقَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَقْلَ الْمَرْأَةِ بَيْنَ عَصَبَتِهَا مَنْ كَانُوا لاَ يَرِثُونَ مِنْهَا شَيْئًا إِلاَّ مَا فَضَلَ عَنْ وَرَثَتِهَا فَإِنْ قُتِلَتْ فَعَقْلُهَا بَيْنَ وَرَثَتِهَا وَهُمْ يَقْتُلُونَ قَاتِلَهُمْ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ لِلْقَاتِلِ شَىْءٌ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ وَارِثٌ فَوَارِثُهُ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ وَلاَ يَرِثُ الْقَاتِلُ شَيْئًا " . قَالَ مُحَمَّدٌ هَذَا كُلُّهُ حَدَّثَنِي بِهِ سُلَيْمَانُ بْنُ مُوسَى عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬৫
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯৬. মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... আমর ইবনে শু’আয়ব (রাহঃ) তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ গুপ্তহত্যার অপরাধ ইচ্ছাকৃত হত্যার ন্যায়, যা কঠিন অপরাধ। কিন্তু তার হত্যাকারীকে কতল করা যাবে না।
রাবী খলীল (রাহঃ) ইবনে রাশীদ হতে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, গুপ্তহত্যা একটি শয়তানী- ফিতনা স্বরূপ; যার ফলে মানুষেরা পরস্পর মারামারিতে লিপ্ত হয়; অথচ এর হত্যাকারীর পরিচয় জানা যায় না। আর সাধারণত এরূপ হত্যা হাতিয়ার ছাড়াই হয়ে থাকে।
রাবী খলীল (রাহঃ) ইবনে রাশীদ হতে এরূপ অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, গুপ্তহত্যা একটি শয়তানী- ফিতনা স্বরূপ; যার ফলে মানুষেরা পরস্পর মারামারিতে লিপ্ত হয়; অথচ এর হত্যাকারীর পরিচয় জানা যায় না। আর সাধারণত এরূপ হত্যা হাতিয়ার ছাড়াই হয়ে থাকে।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ بِلاَلٍ الْعَامِلِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ رَاشِدٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ، - يَعْنِي ابْنَ مُوسَى - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " عَقْلُ شِبْهِ الْعَمْدِ مُغَلَّظٌ مِثْلُ عَقْلِ الْعَمْدِ وَلاَ يُقْتَلُ صَاحِبُهُ " . قَالَ وَزَادَنَا خَلِيلٌ عَنِ ابْنِ رَاشِدٍ " وَذَلِكَ أَنْ يَنْزُوَ الشَّيْطَانُ بَيْنَ النَّاسِ فَتَكُونَ دِمَاءٌ فِي عِمِّيَّا فِي غَيْرِ ضَغِينَةٍ وَلاَ حَمْلِ سِلاَحٍ " .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪৪৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬৬
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯৭. আবু কামিল (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হাড়ে যখম হলে এর দিয়াত হবে পাঁচটি উট।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ أَنَّ خَالِدَ بْنَ الْحَارِثِ، حَدَّثَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنَا حُسَيْنٌ، - يَعْنِي الْمُعَلِّمَ - عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فِي الْمَوَاضِحِ خَمْسٌ " .
হাদীস নং: ৪৪৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৬৭
নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায়
১৮. অঙ্গ-প্রতঙ্গের দিয়াত সস্পর্কে।
৪৪৯৮. মাহমুদ ইবনে খালিদ (রাহঃ) ..... আমর ইবনে শু’আয়েব (রাহঃ) তার পিতা হতে এবং তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চোখের ব্যাপারে, যা স্বস্থানে অবস্থিত থাকা সত্ত্বেও এর দৃষ্টি শক্তি বিনষ্ট হয়ে যায়, এজন্য দিয়াতের এক-তৃতীয়াংশ নির্ধারণ করেছেন।
كتاب الديات
باب دِيَاتِ الأَعْضَاءِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ - حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي الْعَلاَءُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْعَيْنِ الْقَائِمَةِ السَّادَّةِ لِمَكَانِهَا بِثُلُثِ الدِّيَةِ .
তাহকীক: