কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৩৪. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৪৪৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৪৭ - ৪৫৪৮
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮০. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন ভাষণ দেন। তিনি তিনবার তাকবীর পাঠের পর বলেনঃ আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইল্লাহ নেই, তিনি এক। তিনি তাঁর ওয়াদা পূরণ করেছেন এবং তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন। রাবী বলেনঃ আমি হাদীসের এ অংশটুকু রাবী মুসাদ্দাদ (রাহঃ) থেকে সগ্রহ করেছি।
এরপর নবী (ﷺ) বলেনঃ জেনে রাখ! জাহিলী যুগের যে সব ফযীলতের বিষয় আলোচিত হয়ে থাকে, অথবা যে সব খুন ও মালের দাবী আছে, তা সবই আমার পায়ের নীচে; (অর্থাৎ তা সবই বাতিল ঘোষিত হলো)। অবশ্য হাজীদের পানি পান করানো এবং আল্লাহর ঘরের খিদমতের দায়িত্ব পূর্ববৎ বহাল থাকবে, (অর্থাৎ বনু হাশিম ও বনু শায়রা এ দু’টি কাজ করে যাবে)।
নবী (ﷺ) আরো বলেনঃ শুনে রাখ। অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার ন্যায়, যা চাবুক বা লাঠির দ্বারা সংঘটিত হয়। এর দিয়াতের পরিমাণ হলে- একশো উট; যার চল্লিশটি হবে গর্ভবতী এবং অবশিষ্টগুলো হবে সেরূপ, যা আগের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তবে মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসটি পরিপূর্ণ।
মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... খালিদ (রাহঃ) থেকে এ সনদ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণিত।
এরপর নবী (ﷺ) বলেনঃ জেনে রাখ! জাহিলী যুগের যে সব ফযীলতের বিষয় আলোচিত হয়ে থাকে, অথবা যে সব খুন ও মালের দাবী আছে, তা সবই আমার পায়ের নীচে; (অর্থাৎ তা সবই বাতিল ঘোষিত হলো)। অবশ্য হাজীদের পানি পান করানো এবং আল্লাহর ঘরের খিদমতের দায়িত্ব পূর্ববৎ বহাল থাকবে, (অর্থাৎ বনু হাশিম ও বনু শায়রা এ দু’টি কাজ করে যাবে)।
নবী (ﷺ) আরো বলেনঃ শুনে রাখ। অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার ন্যায়, যা চাবুক বা লাঠির দ্বারা সংঘটিত হয়। এর দিয়াতের পরিমাণ হলে- একশো উট; যার চল্লিশটি হবে গর্ভবতী এবং অবশিষ্টগুলো হবে সেরূপ, যা আগের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তবে মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বর্ণিত হাদীসটি পরিপূর্ণ।
মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... খালিদ (রাহঃ) থেকে এ সনদ পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণিত।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُسَدَّدٌ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ أَوْسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ يَوْمَ الْفَتْحِ بِمَكَّةَ فَكَبَّرَ ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ " لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ صَدَقَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ " . إِلَى هَا هُنَا حَفِظْتُهُ عَنْ مُسَدَّدٍ ثُمَّ اتَّفَقَا " أَلاَ إِنَّ كُلَّ مَأْثُرَةٍ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تُذْكَرُ وَتُدْعَى مِنْ دَمٍ أَوْ مَالٍ تَحْتَ قَدَمَىَّ إِلاَّ مَا كَانَ مِنْ سِقَايَةِ الْحَاجِّ وَسِدَانَةِ الْبَيْتِ " . ثُمَّ قَالَ " أَلاَ إِنَّ دِيَةَ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ مَا كَانَ بِالسَّوْطِ وَالْعَصَا مِائَةٌ مِنَ الإِبِلِ مِنْهَا أَرْبَعُونَ فِي بُطُونِهَا أَوْلاَدُهَا " . وَحَدِيثُ مُسَدَّدٍ أَتَمُّ .
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ مَعْنَاهُ .
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ خَالِدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ مَعْنَاهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৪৯
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮১. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এরূপ বর্ণনা করেছেন, যেরূপ উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন কাবা শরীফের সিঁড়ির উপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন, অথবা এর চৌকাঠের উপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَعْنَاهُ قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ أَوْ فَتْحِ مَكَّةَ عَلَى دَرَجَةِ الْبَيْتِ أَوِ الْكَعْبَةِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَذَا رَوَاهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ أَيْضًا عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَوَاهُ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو مِثْلَ حَدِيثِ خَالِدٍ وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ يَعْقُوبَ السَّدُوسِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَوْلُ زَيْدٍ وَأَبِي مُوسَى مِثْلُ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحَدِيثِ عُمَرَ رضى الله عنه .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫০
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮২. নুফায়লী (রাহঃ) ..... মুজাহিদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উমর (রাযিঃ) অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত ত্রিশটি হিককা, ত্রিশটি জাযা’আ এবং চল্লিশটি উট যাদের বয়স ছয় থেকে নয় বছরের মধ্যে আদায় করার নির্দেশ দেন।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَضَى عُمَرُ فِي شِبْهِ الْعَمْدِ ثَلاَثِينَ حِقَّةً وَثَلاَثِينَ جَذَعَةً وَأَرْبَعِينَ خَلِفَةً مَا بَيْنَ ثَنِيَّةٍ إِلَى بَازِلِ عَامِهَا .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৪৪৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫১
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮৩. হান্নাদ (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত পশু দ্বারা তিনভাগে আদায় করতে হবে; যথাঃ তেত্রিশটি হিককা, তেত্রিশটি জাযা’আ, চৌত্রিশটি ছানীয়া (আট-দশ বছর বয়সের উট); যাদের সবই গর্ভবতী হবে।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، رضى الله عنه أَنَّهُ قَالَ فِي شِبْهِ الْعَمْدِ أَثَلاَثٌ ثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ حِقَّةً وَثَلاَثٌ وَثَلاَثُونَ جَذَعَةً وَأَرْبَعٌ وَثَلاَثُونَ ثَنِيَّةً إِلَى بَازِلِ عَامِهَا كُلُّهَا خَلِفَةٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫২
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮৪. হান্নাদ (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত চারভাগে আদায় করতে হবে; যথা- পঁচিশটি হিককা, পঁচিশটি জাযা’আ, পঁচিশটি বিনতে লাবুন এবং পঁচিশটি বিনতে মাখায আদায় করতে হবে।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
وَبِهِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، وَالأَسْوَدِ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فِي شِبْهِ الْعَمْدِ خَمْسٌ وَعِشْرُونَ حِقَّةً وَخَمْسٌ وَعِشْرُونَ جَذَعَةً وَخَمْسٌ وَعِشْرُونَ بَنَاتِ لَبُونٍ وَخَمْسٌ وَعِشْرُونَ بَنَاتِ مَخَاضٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৩
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮৫. হান্নাদ (রাহঃ) .... আসিম ইবনু দামরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আলী (রাযিঃ) বলেছেন, অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত সম্পর্কে এরূপ বলেছেন যে, পঁচিশটি হিককা, তেত্রিশটি জাযা’আ, পঁচিশটি বিনতে লাবুন এবং পঁচিশটি বিনতে মাখায দিয়াত হিসাবে আদায় করতে হবে।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
-حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ ضَمْرَةَ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ رضى الله عنه فِي الْخَطَإِ أَرْبَاعًا خَمْسٌ وَعِشْرُونَ حِقَّةً وَخَمْسٌ وَعِشْرُونَ جَذَعَةً وَخَمْسٌ وَعِشْرُونَ بَنَاتِ لَبُونٍ وَخَمْسٌ وَعِشْرُونَ بَنَاتِ مَخَاضٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৪
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮৬. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) ...... উছমান ইবনে আফফান ও যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত সম্পর্কে বলেনঃ চল্লিশটি জাযা’আ, ত্রিশটি হিককা ও ত্রিশটি বিনতে লাবুন - দিয়াতস্বরূপ দিতে হবে। তাঁরা ভুলবশত হত্যার দিয়াত সম্পর্কে বলেনঃ ত্রিশটি হিককা, ত্রিশটি বিনতে লাবুন, বিশটি বনু লাবুন (উট) এবং বিশটি বিনতে মাখায উট আদায় করতে হবে।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ، عَنْ أَبِي عِيَاضٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، فِي الْمُغَلَّظَةِ أَرْبَعُونَ جَذَعَةً خَلِفَةً وَثَلاَثُونَ حِقَّةً وَثَلاَثُونَ بَنَاتِ لَبُونٍ وَفِي الْخَطَإِ ثَلاَثُونَ حِقَّةً وَثَلاَثُونَ بَنَاتِ لَبُونٍ وَعِشْرُونَ بَنُو لَبُونٍ ذُكُورٍ وَعِشْرُونَ بَنَاتِ مَخَاضٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৪৪৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৫৫
১৭. অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত, ভুলবশত হত্যার দিয়াতের অনুরূপ।
৪৪৮৭. মুহাম্মাদ ইবনে মুছান্না (রাহঃ) .... যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) অনিচ্ছাকৃত হত্যার দিয়াত সম্পর্কে সেরূপ বলেছেনঃ যেরূপ উপরোক্ত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু উবাইদ ও অন্যান্যরা এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, যখন উট বা উটনীর বয়স চার বছর হয়, তখন তাদের বলা হয়, হিক এবং হিককা। কেননা, এ সময় সে ভার বহনের যোগ্য হয় এবং তার উপর সওয়ার হওয়া যায়। এরপর যখন তার বয়স পাঁচ বছর হয়, তখন উটকে জাযা’আ এবং উটনীকে জাযা’আতুন বলা হয়। পরে তাদের বয়স যখন ছয় বছর হয়, তখন তাদের সামনের দাঁত বের হয়, তখন তাদের ছানী বা ছানীয়া বলা হয়। আর উটের বয়স যখন সাত বছর হয়, তখন তাদের রুবা’আ ও রুবা’ইয়্যা বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন আট বছর হয়, এবং রুবা’ইয়্যা পরবর্তী দাঁত নির্গত হয়, তখন তাদের সাকীসুন ও সাদেসুন বলা হয়। আর উটের বয়স যখন ন’বছর হয়, তখন তার পিঠে কুঁজ দেখা দেয়, তখন তাদের বাযিল - এক বছরের, বাযিল - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন দশ বছর হয়, তখন তাদের মুখলিফ - এক বছরের, মুখলিফ - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়।
নযর ইবনে শুমায়ল (রাহঃ) বলেনঃ এক বছর উটনীকে - বিনতে মাখায, দু’বছর বয়সের উটনীকে বিনতে লাবুন, তিন বছর বয়সের উটনীকে হিককা, চার বছর বয়সের উটনীকে জাযা’আ, পাঁচ বছর বয়সের উটনীকে ছানীয়া, ছয় বছর বয়সের উটনীকে রাবু’আ, সাত বছর বয়সের উটনীকে সাদীস এবং আট বছর উটনীকে বাযিল বলা হয়।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু হাতিম ও আছমা’ঈ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, জাযা’আ হলো একটা সময় মাত্র, এটি বিশেষ কোন বয়সের নাম নয়। রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উট বলা হয়। রাবী আবু উবাইদা (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটনী গর্ভবতী হয়, তখন তাকে ’খিলফা’ বলা হয় এবং দশমাস যখন পূর্ণ হয়, তখন সে উটনীকে ’আশরাউ’ বলা হয়।
রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের সামনের দাঁত রেব হয়, তখন তাকে ’মুছান্না’ এবং যখন তার রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উটরূপে আখ্যায়িত করা হয়।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু উবাইদ ও অন্যান্যরা এরূপ বর্ণনা করেছেন যে, যখন উট বা উটনীর বয়স চার বছর হয়, তখন তাদের বলা হয়, হিক এবং হিককা। কেননা, এ সময় সে ভার বহনের যোগ্য হয় এবং তার উপর সওয়ার হওয়া যায়। এরপর যখন তার বয়স পাঁচ বছর হয়, তখন উটকে জাযা’আ এবং উটনীকে জাযা’আতুন বলা হয়। পরে তাদের বয়স যখন ছয় বছর হয়, তখন তাদের সামনের দাঁত বের হয়, তখন তাদের ছানী বা ছানীয়া বলা হয়। আর উটের বয়স যখন সাত বছর হয়, তখন তাদের রুবা’আ ও রুবা’ইয়্যা বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন আট বছর হয়, এবং রুবা’ইয়্যা পরবর্তী দাঁত নির্গত হয়, তখন তাদের সাকীসুন ও সাদেসুন বলা হয়। আর উটের বয়স যখন ন’বছর হয়, তখন তার পিঠে কুঁজ দেখা দেয়, তখন তাদের বাযিল - এক বছরের, বাযিল - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়। এরপর উটের বয়স যখন দশ বছর হয়, তখন তাদের মুখলিফ - এক বছরের, মুখলিফ - দু’বছরের, এভাবে বলা হয়।
নযর ইবনে শুমায়ল (রাহঃ) বলেনঃ এক বছর উটনীকে - বিনতে মাখায, দু’বছর বয়সের উটনীকে বিনতে লাবুন, তিন বছর বয়সের উটনীকে হিককা, চার বছর বয়সের উটনীকে জাযা’আ, পাঁচ বছর বয়সের উটনীকে ছানীয়া, ছয় বছর বয়সের উটনীকে রাবু’আ, সাত বছর বয়সের উটনীকে সাদীস এবং আট বছর উটনীকে বাযিল বলা হয়।
ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু হাতিম ও আছমা’ঈ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, জাযা’আ হলো একটা সময় মাত্র, এটি বিশেষ কোন বয়সের নাম নয়। রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উট বলা হয়। রাবী আবু উবাইদা (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটনী গর্ভবতী হয়, তখন তাকে ’খিলফা’ বলা হয় এবং দশমাস যখন পূর্ণ হয়, তখন সে উটনীকে ’আশরাউ’ বলা হয়।
রাবী আবু হাতিম (রাহঃ) বলেনঃ যখন উটের সামনের দাঁত রেব হয়, তখন তাকে ’মুছান্না’ এবং যখন তার রুবা’ঈ দাঁত বের হয়, তখন তাকে রুবা’আ উটরূপে আখ্যায়িত করা হয়।
باب دِيَةِ الْخَطَإِ شِبْهِ الْعَمْدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، فِي الدِّيَةِ الْمُغَلَّظَةِ فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ وَعَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ إِذَا دَخَلَتِ النَّاقَةُ فِي السَّنَةِ الرَّابِعَةِ فَهُوَ حِقٌّ وَالأُنْثَى حِقَّةٌ لأَنَّهُ يَسْتَحِقُّ أَنْ يُحْمَلَ عَلَيْهِ وَيُرْكَبَ فَإِذَا دَخَلَ فِي الْخَامِسَةِ فَهُوَ جَذَعٌ وَجَذَعَةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي السَّادِسَةِ وَأَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَثَنِيَّةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي السَّابِعَةِ فَهُوَ رَبَاعٌ وَرَبَاعِيَةٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي الثَّامِنَةِ وَأَلْقَى السِّنَّ الَّذِي بَعْدَ الرَّبَاعِيَةِ فَهُوَ سَدِيسٌ وَسَدَسٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي التَّاسِعَةِ وَفَطَرَ نَابُهُ وَطَلَعَ فَهُوَ بَازِلٌ فَإِذَا دَخَلَ فِي الْعَاشِرَةِ فَهُوَ مُخْلِفٌ ثُمَّ لَيْسَ لَهُ اسْمٌ وَلَكِنْ يُقَالُ بَازِلُ عَامٍ وَبَازِلُ عَامَيْنِ وَمُخْلِفُ عَامٍ وَمُخْلِفُ عَامَيْنِ إِلَى مَا زَادَ . وَقَالَ النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ بِنْتُ مَخَاضٍ لِسَنَةٍ وَبِنْتُ لَبُونٍ لِسَنَتَيْنِ وَحِقَّةٌ لِثَلاَثٍ وَجَذَعَةٌ لأَرْبَعٍ وَالثَّنِيُّ لِخَمْسٍ وَرَبَاعٌ لِسِتٍّ وَسَدِيسٌ لِسَبْعٍ وَبَازِلٌ لِثَمَانٍ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ أَبُو حَاتِمٍ وَالأَصْمَعِيُّ وَالْجَذُوعَةُ وَقْتٌ وَلَيْسَ بِسِنٍّ . قَالَ أَبُو حَاتِمٍ قَالَ بَعْضُهُمْ فَإِذَا أَلْقَى رَبَاعِيَتَهُ فَهُوَ رَبَاعٌ وَإِذَا أَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَقَالَ أَبُو عُبَيْدٍ إِذَا أُلْقِحَتْ فَهِيَ خَلِفَةٌ فَلاَ تَزَالُ خَلِفَةً إِلَى عَشْرَةِ أَشْهُرٍ فَإِذَا بَلَغَتْ عَشْرَةَ أَشْهُرٍ فَهِيَ عُشَرَاءُ . قَالَ أَبُو حَاتِمٍ إِذَا أَلْقَى ثَنِيَّتَهُ فَهُوَ ثَنِيٌّ وَإِذَا أَلْقَى رَبَاعِيَتَهُ فَهُوَ رَبَاعٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: