কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
২১. (হালাল-হারাম) পানীয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৩৬৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯০
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৪৮. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... ইবনে উমর এবং ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁরা বলেনঃ আমরা এরূপ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শরাবের পাত্র দুব্বা, হানতাম, মুযাফফাত এবং নাকীর ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।[১]
[১] চারটি পাত্রের নাম, যা দিয়ে তৎকালে মদ তৈরী করা হতো। দুব্বা-কদুর খোল দিয়ে তৈরী হাতাম-সবুজ লাঘার তৈরী মটকা; মুযাফ্ফাত-শীশার তৈরী বিশেষ ধরনের পাত্র এবং নকীর-কাঠের তৈরী বিশেষ পাত্র। এসব পাত্রে মদ তৈরী করা হতো। (অনুবাদক)
[১] চারটি পাত্রের নাম, যা দিয়ে তৎকালে মদ তৈরী করা হতো। দুব্বা-কদুর খোল দিয়ে তৈরী হাতাম-সবুজ লাঘার তৈরী মটকা; মুযাফ্ফাত-শীশার তৈরী বিশেষ ধরনের পাত্র এবং নকীর-কাঠের তৈরী বিশেষ পাত্র। এসব পাত্রে মদ তৈরী করা হতো। (অনুবাদক)
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا مَنْصُورُ بْنُ حَيَّانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ قَالاَ نَشْهَدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ وَالنَّقِيرِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯১
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৪৯. মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ...... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’নবীজ-জার’-কে হারাম করেছেন। তখন আমি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করিঃ ইবনে উমর (রাযিঃ) কি বলেন, তা কি আপনি শুনেছেন? তিনি বলেনঃতিনি [ইবনে উমর (রাযিঃ)] কী বলেন? তখন আমি বলিঃ তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ’নাবীয-জার’-কে হারাম করেছেন। তখন আমি জিজ্ঞাসা করিঃ ’জার’ শব্দের অর্থ কি? তিনি বলেনঃ ’জার’ ঐ পাত্র, যা মাটি দ্বারা তৈরী করা হয়। (অর্থাৎ মাটির তৈরী মটকা, যার মধ্যে খেজুর, আংগুর ইত্যাদি পঁচিয়ে মদ তৈরী করা হয়।)
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَمُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ يَعْلَى، - يَعْنِي ابْنَ حَكِيمٍ - عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، يَقُولُ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبِيذَ الْجَرِّ فَخَرَجْتُ فَزِعًا مِنْ قَوْلِهِ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبِيذَ الْجَرِّ فَدَخَلْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقُلْتُ أَمَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ ابْنُ عُمَرَ قَالَ وَمَا ذَاكَ قُلْتُ قَالَ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبِيذَ الْجَرِّ . قَالَ صَدَقَ حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَبِيذَ الْجَرِّ . قُلْتُ مَا الْجَرُّ قَالَ كُلُّ شَىْءٍ يُصْنَعُ مِنْ مَدَرٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৬৫০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯২
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫০. সুলাইমান ইবনে হারব (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলে যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা রাবীআ গোত্রের লোক, আমাদের ও আপনার মাঝে অন্তরায় সৃষ্টিকারী হল মুযার গোত্রের লোকেরা। সে জন্য আমরা সম্মানিত মাস[১] ব্যতীত আপনার নিকট উপস্থিত হতে পারি না। আপনি আমাদের এমন কিছু নির্দেশ দেন, যা আমরা নিজেরা আমল করবো এবং অন্য লোকদের নিকট তা পৌছে দেব। তিনি বলেনঃ আমি তোমাদের চারটি জিনিসের নির্দেশ দিচ্ছি এবং অপর চারটি জিনিস থেকে নিষেধ করছি। (আমি যা করার নির্দেশ দিচ্ছি, তা),
(১) আল্লাহর প্রতি এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। এ বলে তিনি তাঁর হাত দিয়ে একের প্রতি ইশারা করেন।
রাবী মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) এরূপ বলেন যে, আল্লাহর উপর ঈমান আনা। এরপর এর ব্যাখ্যায় তাদের বলেনঃ এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল; (২) নামায কায়েম করা; (৩) যাকাত আদায় করা এবং (৪) গনিমতের মাল হতে এক পঞ্চমাংশ প্রদান করা।
আর আমি তোমাদের নিষেধ করছিঃ (১) কদুর খোল দ্বারা তৈরী পাত্র হতে; (২) সবুজ লাখার তৈরী পাত্র হতে; (৩) শীশার তৈরী বিশেষ পাত্র এবং (৪) কাঠের তৈরী পাত্র ব্যবহার করা হতে।[২]
ইবনে উবাইদ ’মুকীরের’ স্থানে ’নাকীর’ বলেছেন এবং মুসাদ্দাদ ’মুকীর’ এবং ’নাকীর’ বলেছেন, মুযাফফাত বলেন নি। ইমাম আবু দাউদ (রাযিঃ) বলেনঃ আবু জামরার নাম হলো নসর ইবনে ইমরান।
[১] যিল্কাদ, যিলহাজ্জ, মুহাররম ও সফর-এ চারটি মাসকে সম্মানিত মাস বলা হয়।
[২] বস্তুত ইসলামের প্রথম যুগেও উক্ত চার ধরনের পাত্রে মদপান করা হতো। এজন্য নবী (সা.) এ চার ধরনের পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেন, যাতে পাত্রের কারণে মদের খেয়াল ও না আসে, যা হারাম হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী কালে নবী (সা.) এ পাত্রগুলি ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। কেননা, পাত্রের তো কোন দোষ নেই, তাই সব ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে (অনুবাদক)।
(১) আল্লাহর প্রতি এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। এ বলে তিনি তাঁর হাত দিয়ে একের প্রতি ইশারা করেন।
রাবী মুসাদ্দাদ (রাহঃ) বলেনঃ নবী (ﷺ) এরূপ বলেন যে, আল্লাহর উপর ঈমান আনা। এরপর এর ব্যাখ্যায় তাদের বলেনঃ এরূপ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল; (২) নামায কায়েম করা; (৩) যাকাত আদায় করা এবং (৪) গনিমতের মাল হতে এক পঞ্চমাংশ প্রদান করা।
আর আমি তোমাদের নিষেধ করছিঃ (১) কদুর খোল দ্বারা তৈরী পাত্র হতে; (২) সবুজ লাখার তৈরী পাত্র হতে; (৩) শীশার তৈরী বিশেষ পাত্র এবং (৪) কাঠের তৈরী পাত্র ব্যবহার করা হতে।[২]
ইবনে উবাইদ ’মুকীরের’ স্থানে ’নাকীর’ বলেছেন এবং মুসাদ্দাদ ’মুকীর’ এবং ’নাকীর’ বলেছেন, মুযাফফাত বলেন নি। ইমাম আবু দাউদ (রাযিঃ) বলেনঃ আবু জামরার নাম হলো নসর ইবনে ইমরান।
[১] যিল্কাদ, যিলহাজ্জ, মুহাররম ও সফর-এ চারটি মাসকে সম্মানিত মাস বলা হয়।
[২] বস্তুত ইসলামের প্রথম যুগেও উক্ত চার ধরনের পাত্রে মদপান করা হতো। এজন্য নবী (সা.) এ চার ধরনের পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেন, যাতে পাত্রের কারণে মদের খেয়াল ও না আসে, যা হারাম হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী কালে নবী (সা.) এ পাত্রগুলি ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন। কেননা, পাত্রের তো কোন দোষ নেই, তাই সব ধরনের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে (অনুবাদক)।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ - وَقَالَ مُسَدَّدٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَهَذَا، حَدِيثُ سُلَيْمَانَ قَالَ - قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا هَذَا الْحَىَّ مِنْ رَبِيعَةَ قَدْ حَالَ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ كُفَّارُ مُضَرَ وَلَسْنَا نَخْلُصُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي شَهْرٍ حَرَامٍ فَمُرْنَا بِشَىْءٍ نَأْخُذُ بِهِ وَنَدْعُو إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا . قَالَ " آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ وَأَنْهَاكُمْ عَنْ أَرْبَعٍ الإِيمَانُ بِاللَّهِ وَشَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . وَعَقَدَ بِيَدِهِ وَاحِدَةً . وَقَالَ مُسَدَّدٌ الإِيمَانُ بِاللَّهِ ثُمَّ فَسَّرَهَا لَهُمْ شَهَادَةَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامُ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءُ الزَّكَاةِ وَأَنْ تُؤَدُّوا الْخُمُسَ مِمَّا غَنِمْتُمْ وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالْمُزَفَّتِ وَالْمُقَيَّرِ " . وَقَالَ ابْنُ عُبَيْدٍ النَّقِيرِ مَكَانَ الْمُقَيَّرِ . وَقَالَ مُسَدَّدٌ وَالنَّقِيرِ وَالْمُقَيَّرِ وَلَمْ يَذْكُرِ الْمُزَفَّتِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَبُو جَمْرَةَ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ الضُّبَعِيُّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৩
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫১. ওয়াহাব ইবনে বাকীয়্যা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিদের বলেন যে, আমি তোমাদের কাঠের তৈরী পাত্র, শীশার তৈরী পাত্র, লাখার তৈরী পাত্র, কদুর খোল দ্বারা তৈরী পাত্র এবং কর্তিত মশক দ্বারা তৈরী পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করছি। বরং তিনি বলেনঃ মশকের পানি পান করবে এবং তার মুখ বেঁধে রাখবে।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ نُوحِ بْنِ قَيْسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِوَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ " أَنْهَاكُمْ عَنِ النَّقِيرِ وَالْمُقَيَّرِ وَالْحَنْتَمِ وَالدُّبَّاءِ وَالْمَزَادَةِ الْمَجْبُوبَةِ وَلَكِنِ اشْرَبْ فِي سِقَائِكَ وَأَوْكِهْ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৪
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫২. মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে আব্দুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিদের সম্পর্কে এরূপ বর্ণিত আছে যে, তারা জিজ্ঞাসা করেছিলঃ হে আল্লাহর নবী! আমরা কোন কোন পাত্রে পান করবো? তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ চামড়ার তৈরী মশক দ্বারা পান করবে, যার মুখ বাঁধা যায়।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، وَسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي قِصَّةِ وَفْدِ عَبْدِ الْقَيْسِ قَالُوا فِيمَ نَشْرَبُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَلَيْكُمْ بِأَسْقِيَةِ الأَدَمِ الَّتِي يُلاَثُ عَلَى أَفْوَاهِهَا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৫
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫৩. ওয়াহাব ইবনে বাকীয়্যা (রাহঃ) ..... আবু কামূস যায়দ ইবনে আলী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আব্দুল কায়স গোত্রের যে প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট গিয়েছিল, তাদের একজন আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। রাবী আওফ (রাহঃ) বলেনঃ আমার ধারণা, তাঁর নাম ছিল কায়স ইবনে নু’মান। নবী (ﷺ) তাদের বলেনঃ তোমরা কাঠের তৈরী পাত্র, শীশার তৈরী পাত্র, লাখার তৈরী পাত্র এবং কদুর খোলে তৈরী পাত্রে পান করবে না; বরং তোমরা এমন চামড়ার মশকে পান করবে, যার মুখ বাঁধা যায়। আর নাবীযের মধ্যে যদি তীব্রতা আসে, তবে এর সাথে পানি মিশিয়ে এর তীব্রতা হ্রাস করবে। যদি এতেও তার তীব্রতা হ্রাস না পায়, তবে তা ঢেলে ফেলে দেবে।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ أَبِي الْقَمُوصِ، زَيْدِ بْنِ عَلِيٍّ حَدَّثَنِي رَجُلٌ، كَانَ مِنَ الْوَفْدِ الَّذِينَ وَفَدُوا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ يَحْسِبُ عَوْفٌ أَنَّ اسْمَهُ قَيْسُ بْنُ النُّعْمَانِ فَقَالَ " لاَ تَشْرَبُوا فِي نَقِيرٍ وَلاَ مُزَفَّتٍ وَلاَ دُبَّاءٍ وَلاَ حَنْتَمٍ وَاشْرَبُوا فِي الْجِلْدِ الْمُوكَإِ عَلَيْهِ فَإِنِ اشْتَدَّ فَاكْسِرُوهُ بِالْمَاءِ فَإِنْ أَعْيَاكُمْ فَأَهْرِيقُوهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৩৬৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৬
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল কায়স গোত্রের লোকেরা জিজ্ঞাসা করেছিলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কোন পাত্রে পান করবো? তিনি বলেনঃ তোমরা কদুর খোলে তৈরী পাত্রে, শীশার তৈরী পাত্রে এবং কাঠের তৈরী পাত্রে পান করবে না। বরং তোমরা মশকের মধ্যে নাবীয ভিজিয়ে রাখবে। তখন তাঁরা জিজ্ঞাসা করেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! মশকের মধ্যে ভিজিয়ে রাখার কারণে যদি নাবীযের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়? তিনি বলেনঃ তবে তাতে আরো পানি মিশাবে। পরে তাঁরা আবার এরূপ জিজ্ঞাসা করলে তিনি তাদের তৃতীয় অথবা চতুর্থবারের জিজ্ঞাসার জবাবে বলেনঃ এমতাবস্থায় তোমরা নাবীয ঢেলে ফেলে দেবে। এরপর নবী (ﷺ) আরো বলেনঃ সব ধরনের নেশা সৃষ্টিকারী বস্তুই হারাম।
রাবী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেনঃ আমি আলী ইবনে বুযায়মা (রাযিঃ)-কে কুবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ কুবার অর্থ হলো-ঢোল, যার দু’মুখ আবৃত অর্থাৎ তবলা।
রাবী সুফিয়ান (রাহঃ) বলেনঃ আমি আলী ইবনে বুযায়মা (রাযিঃ)-কে কুবা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেনঃ কুবার অর্থ হলো-ঢোল, যার দু’মুখ আবৃত অর্থাৎ তবলা।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، حَدَّثَنِي قَيْسُ بْنُ حَبْتَرٍ النَّهْشَلِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ، قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فِيمَ نَشْرَبُ قَالَ " لاَ تَشْرَبُوا فِي الدُّبَّاءِ وَلاَ فِي الْمُزَفَّتِ وَلاَ فِي النَّقِيرِ وَانْتَبِذُوا فِي الأَسْقِيَةِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنِ اشْتَدَّ فِي الأَسْقِيَةِ قَالَ " فَصُبُّوا عَلَيْهِ الْمَاءَ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ لَهُمْ فِي الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ " أَهْرِيقُوهُ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ عَلَىَّ أَوْ حُرِّمَ الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْكُوبَةُ " . قَالَ " وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ " . قَالَ سُفْيَانُ فَسَأَلْتُ عَلِيَّ بْنَ بَذِيمَةَ عَنِ الْكُوبَةِ قَالَ الطَّبْلُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৭
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫৫. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ..... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কদুর খোলে তৈরী পাত্র, লাখার তৈরী পাত্র, কাঠের তৈরী পাত্র এবং যবের তৈরী শরাব পান করতে নিষেধ করেছেন।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ سُمَيْعٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلِيٍّ، عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ نَهَانَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ وَالْجِعَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৮
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫৬. আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ..... ইবনে বুরায়দা (রাহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ আমি তোমাদের তিনটি বস্তু হতে নিষেধ করেছিলাম, এখন আমি তোমাদের সেগুলো ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছি। আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা কবর যিয়ারত করতে পার। কেননা, এর ফলে মৃত্যুর কথা ম্মরণ হয়। আর আমি তোমাদের চামড়ার মশক ব্যতীত অন্য পাত্রে পান করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু ছাড়া যে কোন পান-পাত্র ব্যবহার করতে পার। আর আমি তোমাদের তিন দিনের অধিক কুরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা যতদিন খুশী তা খেতে পার এবং তোমাদের সফরের সময় এর দ্বারা উপকৃত হতে পার।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا مُعَرِّفُ بْنُ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَهَيْتُكُمْ عَنْ ثَلاَثٍ وَأَنَا آمُرُكُمْ بِهِنَّ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا فَإِنَّ فِي زِيَارَتِهَا تَذْكِرَةً وَنَهَيْتُكُمْ عَنِ الأَشْرِبَةِ أَنْ تَشْرَبُوا إِلاَّ فِي ظُرُوفِ الأَدَمِ فَاشْرَبُوا فِي كُلِّ وِعَاءٍ غَيْرَ أَنْ لاَ تَشْرَبُوا مُسْكِرًا وَنَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِي أَنْ تَأْكُلُوهَا بَعْدَ ثَلاَثٍ فَكُلُوا وَاسْتَمْتِعُوا بِهَا فِي أَسْفَارِكُمْ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৬৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৯৯
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫৭. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দিল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেন, তখন আনসার সাহাবীরা বলেনঃ এর ব্যবহার তো আমাদের জন্য অপরিহার্য। তখন তিনি বলেনঃ এখন আমি তোমাদের এগুলো ব্যবহার করতে নিষেধ করবো না।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مَنْصُورٌ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ لَمَّا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الأَوْعِيَةِ قَالَ قَالَتِ الأَنْصَارُ إِنَّهُ لاَ بُدَّ لَنَا . قَالَ " فَلاَ إِذًا " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০০
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫৮. মুহাম্মাদ ইবনে জা’ফর (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লাখার তৈরী পাত্র, রৌগণ কাঠের তৈরী পাত্র এবং কাঠের তৈরী পাত্র সম্পর্কে উল্লেখ করেন, (যার ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল)। তখন জনৈক আরাবী বলেনঃ এখন তো আমাদের কাছে আর কোন পান-পাত্রই থাকলো না। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ তবে তোমরা উক্ত পাত্রে হালাল বস্তু পান করতে পার।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ زِيَادِ بْنِ فَيَّاضٍ، عَنْ أَبِي عِيَاضٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَوْعِيَةَ الدُّبَّاءَ وَالْحَنْتَمَ وَالْمُزَفَّتَ وَالنَّقِيرَ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ إِنَّهُ لاَ ظُرُوفَ لَنَا . فَقَالَ " اشْرَبُوا مَا حَلَّ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০১
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৫৯. হাসান ইবনে আলী (রাহঃ) ..... শুরায়ক (রাহঃ) উপরোক্ত হাদীসের সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু পরিহার করবে।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، - يَعْنِي ابْنَ عَلِيٍّ - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، بِإِسْنَادِهِ قَالَ " اجْتَنِبُوا مَا أَسْكَرَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৩৬৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭০২
৪৩৫. মদের পাত্র সম্পর্কে।
৩৬৬০. আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ...... জাবির ইবনে আব্দিল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য মশকে নাবীয ভিজিয়ে রাখা হতো। আর যদি মশক না পাওয়া যেত, তবে পাথরের কোন বড় পাত্রে তা ভিজানো হতো।
باب فِي الأَوْعِيَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَانَ يُنْبَذُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سِقَاءٍ فَإِذَا لَمْ يَجِدُوا سِقَاءً نُبِذَ لَهُ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান