কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৯. জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ২৭৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৮
জিহাদের বিধানাবলী
৬৩. দুশমনকে তাদের দলভূক্ত হওয়ার ভান করে অসতর্ক অবস্থায় হত্যা করা।
২৭৫৯. আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ...... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) জিজ্ঞাসা করেনঃ কা‘ব ইবনে আশরাফকে কে হত্যা করবে? কেননা, সে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দিয়েছে। তখন মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামা দাঁড়িয়ে বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি তাকে হত্যা করব। আপনি কি পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি? জবাবে তিনি বলেনঃ হ্যাঁ, আমি এটা-ই চাই। তখন তিনি (ইবনে মাসলামা) বলেনঃ তবে আমাকে অনুমতি দিন; যাতে আমি তার সাথে আপনার ব্যাপারে কিছু বলতে পারি। তখন তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন।
তিনি তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ এই ব্যক্তি (মুহাম্মাদ (ﷺ)) আমাদের কাছে সাদ্কা চেয়ে আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তখন সে (কা‘ব) বলেঃ এতে আর কি বিপদ, তোমরা আরো বিপদের সম্মুখীন হবে। ইবনে মাসলামা বলেনঃ আমরা তো কেবলই তাঁর অনুসরণ শুরু করেছি, কাজেই তাঁর পরিণতি কি হয় তা না দেখা পর্যন্ত আমরা তাঁকে পরিত্যাগ করবনা। এখন আমি তোমার কাছে এই ইরাদা নিয়ে এসেছি যে, তুমি আমাকে এক বা দুই ‘ওসক’ পরিমাণ খাদ্য-শস্য করয দিবে।
তখন সে (কা‘ব) জিজ্ঞাসা করেঃ এর বিনিময়ে তুমি আমার কাছে কি বন্ধক রাখবে? তখন ইবনে মাসলামা বলেনঃ তুমি আমার নিকট হতে বন্ধক হিসাবে কি রাখতে চাও? তখন সে বলেঃ তোমারদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখ। এতে তারা আশ্চর্য হয়ে বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্! তুমি আরবের সুন্দরতম পুরুয়, যদি আমরা তোমার নিকট আমাদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখি, তবে তা তো আমাদের জন্য লজ্জার কারণ হবে!
তখন কা‘ব বলেঃ তবে তোমার সন্তানদের আমার কাছে বন্ধক রাখ। তাঁরা বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্! (তুমি কি চাও) আমাদের কারও সন্তানকে এজন্য ভর্ৎসনা করা হোক যে, তাদের বলা হবে, তোমাকে এক বা দুই ওসক পরিমাণ খাদ্যের জন্য বন্ধক রাখা হয়েছিল! তখন তাঁরা বলেনঃ আমারা তোমার কাছে হাতিয়ার অর্থাৎ যুদ্ধাস্ত্র বন্ধক রাখতে চাই। তখন কা‘ব বলেঃ আচ্ছা, তা-ই রাখ।
অতঃপর (রাতের বেলা) ইবনে মাসলামা তার নিকট গিয়ে তাকে ডাকলেন। তখন কা‘ব মাথায় তাঁর নিকট খুশবু লাগিয়ে তাঁর নিকট আসে। অতঃপর ইবনে মাসলামা যখন কা‘বের নিকট গিয়ে বসলেন, তখন তার সাথে আগমনকারী তিন বা চার ব্যক্তি কা‘বের নিকট খুশবুর ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে। তখন সে (কা‘ব) বলেঃ আমার নিকট অমুক নারী আছে, যে সব নারীদের চাইতে অধিক খুশবু ব্যবহার করে। তখন ইবনে মাসলামা বলেনঃ আমাকে একটু অনুমতি দাও, যাতে আমি তোমার চুলের খুশবুর ঘ্রাণ নিতে পারি।
তখন সে (কা‘ব) বলেঃ হ্যাঁ, নিতে পার। তখন ইবনে মাসলামা কা‘বের মাথার চুলে মাঝে হাত ঢুকিয়ে তার ঘ্রাণ গ্রহণ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি কি আবার ঘ্রাণ নিব? জবাবে কা‘ব বলেঃ হ্যাঁ, নিতে পার। তখন তিনি (ইবনে মাসলামা) কা‘বের মাথার চুলের মধ্যে তাঁর হাত ঢুকিয়ে দেন এবং তাকে কাবু করে ফেলেন। আর তাঁর সাথীদের (ইশারায়) বলেনঃ তোমরা একে হত্যা কর। তখন তারা (সাথীরা) তাকে (কা‘বকে) এমনভাবে মারে যে, শেষ পর্যন্ত তারা তাকে কতল করে ফেলে।
তিনি তার কাছে উপস্থিত হয়ে বলেনঃ এই ব্যক্তি (মুহাম্মাদ (ﷺ)) আমাদের কাছে সাদ্কা চেয়ে আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছে। তখন সে (কা‘ব) বলেঃ এতে আর কি বিপদ, তোমরা আরো বিপদের সম্মুখীন হবে। ইবনে মাসলামা বলেনঃ আমরা তো কেবলই তাঁর অনুসরণ শুরু করেছি, কাজেই তাঁর পরিণতি কি হয় তা না দেখা পর্যন্ত আমরা তাঁকে পরিত্যাগ করবনা। এখন আমি তোমার কাছে এই ইরাদা নিয়ে এসেছি যে, তুমি আমাকে এক বা দুই ‘ওসক’ পরিমাণ খাদ্য-শস্য করয দিবে।
তখন সে (কা‘ব) জিজ্ঞাসা করেঃ এর বিনিময়ে তুমি আমার কাছে কি বন্ধক রাখবে? তখন ইবনে মাসলামা বলেনঃ তুমি আমার নিকট হতে বন্ধক হিসাবে কি রাখতে চাও? তখন সে বলেঃ তোমারদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখ। এতে তারা আশ্চর্য হয়ে বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্! তুমি আরবের সুন্দরতম পুরুয়, যদি আমরা তোমার নিকট আমাদের স্ত্রীদের বন্ধক রাখি, তবে তা তো আমাদের জন্য লজ্জার কারণ হবে!
তখন কা‘ব বলেঃ তবে তোমার সন্তানদের আমার কাছে বন্ধক রাখ। তাঁরা বলেনঃ সুবহানাল্লাহ্! (তুমি কি চাও) আমাদের কারও সন্তানকে এজন্য ভর্ৎসনা করা হোক যে, তাদের বলা হবে, তোমাকে এক বা দুই ওসক পরিমাণ খাদ্যের জন্য বন্ধক রাখা হয়েছিল! তখন তাঁরা বলেনঃ আমারা তোমার কাছে হাতিয়ার অর্থাৎ যুদ্ধাস্ত্র বন্ধক রাখতে চাই। তখন কা‘ব বলেঃ আচ্ছা, তা-ই রাখ।
অতঃপর (রাতের বেলা) ইবনে মাসলামা তার নিকট গিয়ে তাকে ডাকলেন। তখন কা‘ব মাথায় তাঁর নিকট খুশবু লাগিয়ে তাঁর নিকট আসে। অতঃপর ইবনে মাসলামা যখন কা‘বের নিকট গিয়ে বসলেন, তখন তার সাথে আগমনকারী তিন বা চার ব্যক্তি কা‘বের নিকট খুশবুর ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসা করতে থাকে। তখন সে (কা‘ব) বলেঃ আমার নিকট অমুক নারী আছে, যে সব নারীদের চাইতে অধিক খুশবু ব্যবহার করে। তখন ইবনে মাসলামা বলেনঃ আমাকে একটু অনুমতি দাও, যাতে আমি তোমার চুলের খুশবুর ঘ্রাণ নিতে পারি।
তখন সে (কা‘ব) বলেঃ হ্যাঁ, নিতে পার। তখন ইবনে মাসলামা কা‘বের মাথার চুলে মাঝে হাত ঢুকিয়ে তার ঘ্রাণ গ্রহণ করলেন। তিনি বললেনঃ আমি কি আবার ঘ্রাণ নিব? জবাবে কা‘ব বলেঃ হ্যাঁ, নিতে পার। তখন তিনি (ইবনে মাসলামা) কা‘বের মাথার চুলের মধ্যে তাঁর হাত ঢুকিয়ে দেন এবং তাকে কাবু করে ফেলেন। আর তাঁর সাথীদের (ইশারায়) বলেনঃ তোমরা একে হত্যা কর। তখন তারা (সাথীরা) তাকে (কা‘বকে) এমনভাবে মারে যে, শেষ পর্যন্ত তারা তাকে কতল করে ফেলে।
كتاب الجهاد
باب فِي الْعَدُوِّ يُؤْتَى عَلَى غِرَّةٍ وَيُتَشَبَّهُ بِهِمْ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الأَشْرَفِ فَإِنَّهُ قَدْ آذَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ " . فَقَامَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ فَقَالَ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُحِبُّ أَنْ أَقْتُلَهُ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَأْذَنْ لِي أَنْ أَقُولَ شَيْئًا . قَالَ " نَعَمْ قُلْ " . فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ قَدْ سَأَلَنَا الصَّدَقَةَ وَقَدْ عَنَّانَا قَالَ وَأَيْضًا لَتَمَلُّنَّهُ . قَالَ اتَّبَعْنَاهُ فَنَحْنُ نَكْرَهُ أَنْ نَدَعَهُ حَتَّى نَنْظُرَ إِلَى أَىِّ شَىْءٍ يَصِيرُ أَمْرُهُ وَقَدْ أَرَدْنَا أَنْ تُسْلِفَنَا وَسْقًا أَوْ وَسْقَيْنِ . قَالَ كَعْبٌ أَىَّ شَىْءٍ تَرْهَنُونِي قَالَ وَمَا تُرِيدُ مِنَّا قَالَ نِسَاءَكُمْ قَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ أَنْتَ أَجْمَلُ الْعَرَبِ نَرْهَنُكَ نِسَاءَنَا فَيَكُونُ ذَلِكَ عَارًا عَلَيْنَا . قَالَ فَتَرْهَنُونِي أَوْلاَدَكُمْ . قَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ يُسَبُّ ابْنُ أَحَدِنَا فَيُقَالُ رُهِنْتَ بِوَسْقٍ أَوْ وَسْقَيْنِ . قَالُوا نَرْهَنُكَ اللأْمَةَ يُرِيدُ السِّلاَحَ قَالَ نَعَمْ . فَلَمَّا أَتَاهُ نَادَاهُ فَخَرَجَ إِلَيْهِ وَهُوَ مُتَطَيِّبٌ يَنْضَخُ رَأْسُهُ فَلَمَّا أَنْ جَلَسَ إِلَيْهِ وَقَدْ كَانَ جَاءَ مَعَهُ بِنَفَرٍ ثَلاَثَةٍ أَوْ أَرْبَعَةٍ فَذَكَرُوا لَهُ قَالَ عِنْدِي فُلاَنَةُ وَهِيَ أَعْطَرُ نِسَاءِ النَّاسِ . قَالَ تَأْذَنُ لِي فَأَشُمُّ قَالَ نَعَمْ . فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي رَأْسِهِ فَشَمَّهُ قَالَ أَعُودُ قَالَ نَعَمْ فَأَدْخَلَ يَدَهُ فِي رَأْسِهِ فَلَمَّا اسْتَمْكَنَ مِنْهُ قَالَ دُونَكُمْ . فَضَرَبُوهُ حَتَّى قَتَلُوهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৬০
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৯
জিহাদের বিধানাবলী
৬৩. দুশমনকে তাদের দলভূক্ত হওয়ার ভান করে অসতর্ক অবস্থায় হত্যা করা।
২৭৬০. মুহাম্মাদ ইবনে মাখরামা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ ঈমানের দাবী এই যে, কাউকে ধোঁকা দিয়ে হত্যা করা যাবে না। কাজেই, কোন মু‘মিন কাউকে ধোঁকা দিয়ে মারবে না।
كتاب الجهاد
باب فِي الْعَدُوِّ يُؤْتَى عَلَى غِرَّةٍ وَيُتَشَبَّهُ بِهِمْ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُزَابَةَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ مَنْصُورٍ - حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ الْهَمْدَانِيُّ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الإِيمَانُ قَيَّدَ الْفَتْكَ لاَ يَفْتِكُ مُؤْمِنٌ " .
তাহকীক: