কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৯. জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৭৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৫
৬২. শত্রুর সাথে সন্ধি করা।
২৭৫৬. মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) ...... মিস্ওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হুদায়বিয়ার (সন্ধির) সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক হাজারের বেশী সাহাবী নিয়ে (মদীনা) থেকে মক্কার দিকে উমরার উদ্দেশ্যে বের হন। অবশেষে যখন তিনি যুল্-হুলায়ফা নামক স্থানে পোঁছান, তখন তিনি কুরবানীর পশুগুলো চিহ্নিত করেন, মাথার চুল মুণ্ডন করেন এবং উমরার নিয়তে ইহরাম বাঁধেন। রাবী এরূপে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
রাবী আরো বলেনঃ এই সফরে চলার সময় এক পর্যায়ে নবী করীম (ﷺ) ছানিয়া উপত্যকার নিকটে পৌছায়, যেখান থেকে মক্কায় প্রবেশ করতে হয়, সেখানে তাঁকে নিয়ে তাঁর উটটি বসে পড়ে। তখন লোকেরা (সাহাবীরা) বলতে থাকেনঃ হাল-হাল(১), কাসওয়া(২) ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পড়েছে। তারা দু‘বার এরূপ বলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ কাসওয়া ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়নি এবং এর স্বভাবও এরূপ নয়; বরং একে হাতীর গতিরোধকারী প্রতিহত করেছে।(৩)
তারপর তিনি বলেনঃ সেই সাত্তার কসম, যার কবযায় আমার প্রাণ! আল্লাহর ঘরের মর্যাদা রক্ষার জন্য আজ কুরাইশরা আমার কাছে যা চাবে, আমি তাদেরকে তাই দেব। এরপর উটকে উঠতে বলা হলে সে উঠে দাঁড়াল। তারপর তিনি রাস্তা পরিবর্তন করে হুদায়বিয়ার শেষ প্রান্তের ময়দানে একটা ঝরণার পাশে অবতরণ করেন। অতঃপর তাঁর নিকট বুদায়ল ইবনে ওরাকা খুযাঈ আসে, পরে তাঁর কাছে আসে, উরওয়া ইবনে মাসউদ। তারা নবী করীম (ﷺ) এর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে (উরওয়া) নবী (ﷺ) এর দাঁড়ি স্পর্শ করে। এ সময় মুগীরা ইবনে শো‘বা নবী (ﷺ) এর নিকট দাঁড়িয়ে ছিলেন, যার সাথে ছিল তরবারি এবং মাথায় ছিল লৌহ শিরস্ত্রাণ।
তিনি তার (উরওয়ার) হাতের উপর তরবারির বাঁট দিয়ে আঘাত করে বলেনঃ ‘‘তুমি তাঁর দাঁড়ি হতে তোমার হাত সরিয়ে নাও’’। তখন উরওয়া তার মাথা উঁচু করে বলেঃ এই ব্যক্তি কে? তাঁরা (সাহাবীগণ) বলেনঃ ইনি মুগীরা ইবনে শো‘বা। তখন উরওয়া বলেঃ ওহে ধোঁকাবাজ! আমি কি তোমার ধোকাবাযী করে অঙ্গীকার ভঙ্গের ব্যাপারে সন্ধি করে দিতে চেষ্টা করিনি? (আর ব্যাপার এই ছিল যে) মুগীরা অন্ধকার যুগে কয়েকজন ব্যক্তিকে তার সাথী হিসাবে নেন, পরে তিনি তাদের হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ নিয়ে নেন। অতঃপর তিনি নবী (ﷺ) এর নিকট হাযির হয়ে ইসলাম কবুল করেন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তো তোমার ইসলাম গ্রহণ করাকে কবুল করলাম, কিন্তু ধন-সম্পদ যা ধোঁকাবাজীর দ্বারা অর্জন করেছ, এতে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। অতঃপর [মিসওয়ার (রাযিঃ)] হাদীসটির শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
অবশেষে নবী (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে বলেনঃ লিখ, এ হলো ঐ সন্ধিপত্র, যার ভিত্তিতে মুহাম্মাদুর রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) এবং কুরাইশরা সন্ধি করছে। অতঃপর মুসাওবের (রাযিঃ) পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করেন। আলোচনাকালে সুহাঈল বলেনঃ যদি আমাদের কেহ আপনার নিকট আপনার দীন গ্রহণ করে গমন করে, তবে আপনি তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেবেন।
সন্ধিপত্র লেখা লেখির কাজ সমাপ্ত হলে নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা উঠ, তোমাদের পশুগুলোকে কুরবানী কর এবং তোমাদের মাথা মুড়িয়ে ফেল। এ সময় কয়েকজন মহিলা ইসলাম গ্রহণ করে হিজরত করে (মুসলমানদের) কাছে চলে আসেন, যাদের ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ্ নিষেধ করেন এবং তাদের দেন-মোহর (যা তারা তাদের স্বামীদের থেকে নিয়েছিল, তা) ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
অতঃপর তিনি মদীনায় ফিরে আসেন। এ সময় তাঁর নিকট আবু বাসীর নামক জনৈক কুরাইশ আসে। কুরাইশরা তাঁকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য লোক পাঠায়। তখন তিনি তাঁকে তাদের দু‘ব্যক্তির হাতে সমর্পণ করেন। তারা উভয়ে তাঁকে নিয়ে (মদীনা থেকে) বের হয়, এমনকি যখন তারা যুল হুলাইফা নামক স্থানে পৌঁছে, তখন তারা তাদের খেজুর খাওয়ার জন্য সেখানে অবতরণ করে। তখন আবু বাসীরের তাদের দু‘জনের একজনকে বলেনঃ ওহে অমুক, আল্লাহ শপথ! আমার নিকট তোমার তরবারিখানা বেশ উত্তম মনে হচ্ছে। তখন সে ব্যক্তি তার খাপ থেকে তা বের করে বললঃ আমি একে পরীক্ষা করেছি। তখন আবু বাসীর (রাযিঃ) বললেনঃ ওটা আমাকে একটু দেখাও না। তখন সে ব্যক্তি আবু বুসাইরের হাতে তা তুলে দেয়।
তখন তিনি তা দিয়ে তাকে আঘাত করেন, ফলে সে মরে যায়। দ্বিতীয় ব্যক্তি পালিয়ে যায় এবং মদীনায় গিয়ে পৌঁছে এবং সে দৌড়ে মসজিদের নববীতে প্রবেশ করে। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এই ব্যক্তি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সে বলেঃ আল্লার শপথ! আমার সাথীকে তো হত্যা করা হয়েছে এবং আমিও অবশ্য নিহত হতাম (কিন্তু পালিয়ে বেঁচেছি)। এ সময় আবু বাসীর সেখানে এসে হাযির হন এবং বলেনঃ আল্লাহ্ তো আপনার যিম্মাদরী পূর্ণ করে দিয়েছেন। কেননা, আপনি তো আমাকে (সন্ধির শর্তানুযায়ী) তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, পরে আল্লাহ্ আমাকে তাদের কবল হতে মুক্ত করেছেন।
তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এই লোক তো যুদ্ধের উত্তেজনাদাতা, তার মায়ের প্রতি অভিসম্পাত। যদি তার সাহায্যকারী কেউ থাকতো! অতঃপর তিনি (আবু বাসীর) যখন এ কথা শুনলেন, তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাকে আবার তাদের হাতে ফিরিয়ে দেবেন। তাই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সমুদ্র উপকুলে চলে যান। অতঃপর আবু জান্দাল (রাযিঃ)-ও পালিয়ে আবু বাসীর (রাযিঃ) এর সাথে মিলিত হন। এভাবে তাদের একটি বড় দল সেখানে জমায়েত হয়।
রাবী আরো বলেনঃ এই সফরে চলার সময় এক পর্যায়ে নবী করীম (ﷺ) ছানিয়া উপত্যকার নিকটে পৌছায়, যেখান থেকে মক্কায় প্রবেশ করতে হয়, সেখানে তাঁকে নিয়ে তাঁর উটটি বসে পড়ে। তখন লোকেরা (সাহাবীরা) বলতে থাকেনঃ হাল-হাল(১), কাসওয়া(২) ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পড়েছে। তারা দু‘বার এরূপ বলেন। তখন নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ কাসওয়া ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়নি এবং এর স্বভাবও এরূপ নয়; বরং একে হাতীর গতিরোধকারী প্রতিহত করেছে।(৩)
তারপর তিনি বলেনঃ সেই সাত্তার কসম, যার কবযায় আমার প্রাণ! আল্লাহর ঘরের মর্যাদা রক্ষার জন্য আজ কুরাইশরা আমার কাছে যা চাবে, আমি তাদেরকে তাই দেব। এরপর উটকে উঠতে বলা হলে সে উঠে দাঁড়াল। তারপর তিনি রাস্তা পরিবর্তন করে হুদায়বিয়ার শেষ প্রান্তের ময়দানে একটা ঝরণার পাশে অবতরণ করেন। অতঃপর তাঁর নিকট বুদায়ল ইবনে ওরাকা খুযাঈ আসে, পরে তাঁর কাছে আসে, উরওয়া ইবনে মাসউদ। তারা নবী করীম (ﷺ) এর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে। কথাবার্তা বলার এক পর্যায়ে (উরওয়া) নবী (ﷺ) এর দাঁড়ি স্পর্শ করে। এ সময় মুগীরা ইবনে শো‘বা নবী (ﷺ) এর নিকট দাঁড়িয়ে ছিলেন, যার সাথে ছিল তরবারি এবং মাথায় ছিল লৌহ শিরস্ত্রাণ।
তিনি তার (উরওয়ার) হাতের উপর তরবারির বাঁট দিয়ে আঘাত করে বলেনঃ ‘‘তুমি তাঁর দাঁড়ি হতে তোমার হাত সরিয়ে নাও’’। তখন উরওয়া তার মাথা উঁচু করে বলেঃ এই ব্যক্তি কে? তাঁরা (সাহাবীগণ) বলেনঃ ইনি মুগীরা ইবনে শো‘বা। তখন উরওয়া বলেঃ ওহে ধোঁকাবাজ! আমি কি তোমার ধোকাবাযী করে অঙ্গীকার ভঙ্গের ব্যাপারে সন্ধি করে দিতে চেষ্টা করিনি? (আর ব্যাপার এই ছিল যে) মুগীরা অন্ধকার যুগে কয়েকজন ব্যক্তিকে তার সাথী হিসাবে নেন, পরে তিনি তাদের হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ নিয়ে নেন। অতঃপর তিনি নবী (ﷺ) এর নিকট হাযির হয়ে ইসলাম কবুল করেন। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ আমি তো তোমার ইসলাম গ্রহণ করাকে কবুল করলাম, কিন্তু ধন-সম্পদ যা ধোঁকাবাজীর দ্বারা অর্জন করেছ, এতে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। অতঃপর [মিসওয়ার (রাযিঃ)] হাদীসটির শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন।
অবশেষে নবী (ﷺ) আলী (রাযিঃ)-কে বলেনঃ লিখ, এ হলো ঐ সন্ধিপত্র, যার ভিত্তিতে মুহাম্মাদুর রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) এবং কুরাইশরা সন্ধি করছে। অতঃপর মুসাওবের (রাযিঃ) পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করেন। আলোচনাকালে সুহাঈল বলেনঃ যদি আমাদের কেহ আপনার নিকট আপনার দীন গ্রহণ করে গমন করে, তবে আপনি তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেবেন।
সন্ধিপত্র লেখা লেখির কাজ সমাপ্ত হলে নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরা উঠ, তোমাদের পশুগুলোকে কুরবানী কর এবং তোমাদের মাথা মুড়িয়ে ফেল। এ সময় কয়েকজন মহিলা ইসলাম গ্রহণ করে হিজরত করে (মুসলমানদের) কাছে চলে আসেন, যাদের ফিরিয়ে দিতে আল্লাহ্ নিষেধ করেন এবং তাদের দেন-মোহর (যা তারা তাদের স্বামীদের থেকে নিয়েছিল, তা) ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
অতঃপর তিনি মদীনায় ফিরে আসেন। এ সময় তাঁর নিকট আবু বাসীর নামক জনৈক কুরাইশ আসে। কুরাইশরা তাঁকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য লোক পাঠায়। তখন তিনি তাঁকে তাদের দু‘ব্যক্তির হাতে সমর্পণ করেন। তারা উভয়ে তাঁকে নিয়ে (মদীনা থেকে) বের হয়, এমনকি যখন তারা যুল হুলাইফা নামক স্থানে পৌঁছে, তখন তারা তাদের খেজুর খাওয়ার জন্য সেখানে অবতরণ করে। তখন আবু বাসীরের তাদের দু‘জনের একজনকে বলেনঃ ওহে অমুক, আল্লাহ শপথ! আমার নিকট তোমার তরবারিখানা বেশ উত্তম মনে হচ্ছে। তখন সে ব্যক্তি তার খাপ থেকে তা বের করে বললঃ আমি একে পরীক্ষা করেছি। তখন আবু বাসীর (রাযিঃ) বললেনঃ ওটা আমাকে একটু দেখাও না। তখন সে ব্যক্তি আবু বুসাইরের হাতে তা তুলে দেয়।
তখন তিনি তা দিয়ে তাকে আঘাত করেন, ফলে সে মরে যায়। দ্বিতীয় ব্যক্তি পালিয়ে যায় এবং মদীনায় গিয়ে পৌঁছে এবং সে দৌড়ে মসজিদের নববীতে প্রবেশ করে। তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এই ব্যক্তি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সে বলেঃ আল্লার শপথ! আমার সাথীকে তো হত্যা করা হয়েছে এবং আমিও অবশ্য নিহত হতাম (কিন্তু পালিয়ে বেঁচেছি)। এ সময় আবু বাসীর সেখানে এসে হাযির হন এবং বলেনঃ আল্লাহ্ তো আপনার যিম্মাদরী পূর্ণ করে দিয়েছেন। কেননা, আপনি তো আমাকে (সন্ধির শর্তানুযায়ী) তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, পরে আল্লাহ্ আমাকে তাদের কবল হতে মুক্ত করেছেন।
তখন নবী (ﷺ) বলেনঃ এই লোক তো যুদ্ধের উত্তেজনাদাতা, তার মায়ের প্রতি অভিসম্পাত। যদি তার সাহায্যকারী কেউ থাকতো! অতঃপর তিনি (আবু বাসীর) যখন এ কথা শুনলেন, তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, তিনি তাকে আবার তাদের হাতে ফিরিয়ে দেবেন। তাই তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং সমুদ্র উপকুলে চলে যান। অতঃপর আবু জান্দাল (রাযিঃ)-ও পালিয়ে আবু বাসীর (রাযিঃ) এর সাথে মিলিত হন। এভাবে তাদের একটি বড় দল সেখানে জমায়েত হয়।
باب فِي صُلْحِ الْعَدُوِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ ثَوْرٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشَرَةَ مِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِذِي الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْىَ وَأَشْعَرَهُ وَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ قَالَ وَسَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا كَانَ بِالثَّنِيَّةِ الَّتِي يُهْبَطُ عَلَيْهِمْ مِنْهَا بَرَكَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ فَقَالَ النَّاسُ حَلْ حَلْ خَلأَتِ الْقَصْوَاءُ . مَرَّتَيْنِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا خَلأَتْ وَمَا ذَلِكَ لَهَا بِخُلُقٍ وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ " . ثُمَّ قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَسْأَلُونِي الْيَوْمَ خُطَّةً يُعَظِّمُونَ بِهَا حُرُمَاتِ اللَّهِ إِلاَّ أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا " . ثُمَّ زَجَرَهَا فَوَثَبَتْ فَعَدَلَ عَنْهُمْ حَتَّى نَزَلَ بِأَقْصَى الْحُدَيْبِيَةِ عَلَى ثَمَدٍ قَلِيلِ الْمَاءِ فَجَاءَهُ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ الْخُزَاعِيُّ ثُمَّ أَتَاهُ - يَعْنِي عُرْوَةَ بْنَ مَسْعُودٍ - فَجَعَلَ يُكَلِّمُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَكُلَّمَا كَلَّمَهُ أَخَذَ بِلِحْيَتِهِ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَائِمٌ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ السَّيْفُ وَعَلَيْهِ الْمِغْفَرُ فَضَرَبَ يَدَهُ بِنَعْلِ السَّيْفِ وَقَالَ أَخِّرْ يَدَكَ عَنْ لِحْيَتِهِ . فَرَفَعَ عُرْوَةُ رَأْسَهُ فَقَالَ مَنْ هَذَا قَالُوا الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ . فَقَالَ أَىْ غُدَرُ أَوَلَسْتُ أَسْعَى فِي غَدْرَتِكَ وَكَانَ الْمُغِيرَةُ صَحِبَ قَوْمًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَتَلَهُمْ وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ ثُمَّ جَاءَ فَأَسْلَمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَّا الإِسْلاَمُ فَقَدْ قَبِلْنَا وَأَمَّا الْمَالُ فَإِنَّهُ مَالُ غَدْرٍ لاَ حَاجَةَ لَنَا فِيهِ " . فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " اكْتُبْ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ " . وَقَصَّ الْخَبَرَ فَقَالَ سُهَيْلٌ وَعَلَى أَنَّهُ لاَ يَأْتِيكَ مِنَّا رَجُلٌ وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ إِلاَّ رَدَدْتَهُ إِلَيْنَا . فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ قَضِيَّةِ الْكِتَابِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ " قُومُوا فَانْحَرُوا ثُمَّ احْلِقُوا " . ثُمَّ جَاءَ نِسْوَةٌ مُؤْمِنَاتٌ مُهَاجِرَاتٌ الآيَةَ فَنَهَاهُمُ اللَّهُ أَنْ يَرُدُّوهُنَّ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَرُدُّوا الصَّدَاقَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَجَاءَهُ أَبُو بَصِيرٍ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ - يَعْنِي فَأَرْسَلُوا فِي طَلَبِهِ - فَدَفَعَهُ إِلَى الرَّجُلَيْنِ فَخَرَجَا بِهِ حَتَّى إِذَا بَلَغَا ذَا الْحُلَيْفَةِ نَزَلُوا يَأْكُلُونَ مِنْ تَمْرٍ لَهُمْ فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ لأَحَدِ الرَّجُلَيْنِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَرَى سَيْفَكَ هَذَا يَا فُلاَنُ جَيِّدًا . فَاسْتَلَّهُ الآخَرُ فَقَالَ أَجَلْ قَدْ جَرَّبْتُ بِهِ فَقَالَ أَبُو بَصِيرٍ أَرِنِي أَنْظُرْ إِلَيْهِ فَأَمْكَنَهُ مِنْهُ فَضَرَبَهُ حَتَّى بَرَدَ وَفَرَّ الآخَرُ حَتَّى أَتَى الْمَدِينَةَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ يَعْدُو فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ رَأَى هَذَا ذُعْرًا " . فَقَالَ قَدْ قُتِلَ وَاللَّهِ صَاحِبِي وَإِنِّي لَمَقْتُولٌ فَجَاءَ أَبُو بَصِيرٍ فَقَالَ قَدْ أَوْفَى اللَّهُ ذِمَّتَكَ فَقَدْ رَدَدْتَنِي إِلَيْهِمْ ثُمَّ نَجَّانِي اللَّهُ مِنْهُمْ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَيْلَ أُمِّهِ مِسْعَرَ حَرْبٍ لَوْ كَانَ لَهُ أَحَدٌ " . فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ عَرَفَ أَنَّهُ سَيَرُدُّهُ إِلَيْهِمْ فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى سِيفَ الْبَحْرِ وَيَنْفَلِتُ أَبُو جَنْدَلٍ فَلَحِقَ بِأَبِي بَصِيرٍ حَتَّى اجْتَمَعَتْ مِنْهُمْ عِصَابَةٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:২৭৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৬
৬২. শত্রুর সাথে সন্ধি করা।
২৭৫৭. মুহাম্মাদ ইবনে আ‘লা (রাহঃ) .... মিসওয়ার ইবনে মাখরামা ও মারওয়ান ইবনে হাকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা বলেনঃ কুরাইশরা এ কথার উপর সন্ধি করেছিল যে, দশ বছর পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ থাকবে, এ সময় মানুষেরা সুখে-শান্তিতে থাকবে, আমাদের পরস্পরের মাঝে পবিত্রতা বজায় থাকবে। আর এ সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোন চুরি-ডাকাতি হবে না।
باب فِي صُلْحِ الْعَدُوِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُمُ اصْطَلَحُوا عَلَى وَضْعِ الْحَرْبِ عَشْرَ سِنِينَ يَأْمَنُ فِيهِنَّ النَّاسُ وَعَلَى أَنَّ بَيْنَنَا عَيْبَةً مَكْفُوفَةً وَأَنَّهُ لاَ إِسْلاَلَ وَلاَ إِغْلاَلَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:২৭৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৭৬৭
৬২. শত্রুর সাথে সন্ধি করা।
২৭৫৮. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ নুফায়লী (রাহঃ) ..... হাসসান ইবনে আতিয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ মাকহুল এবং ইবনে আবু যাকারিয়া (রাহঃ) খালিদ ইবনে মা‘দানের নিকট যান এবং আমিও তাদের সাথী হই। অতঃপর তিনি যুবাইর ইবনে নুফায়ল (রাযিঃ) হতে হাদীস বর্ণনা করেন। যুবাইর (রাযিঃ) বলেনঃ তুমি আমাদের সঙ্গে নবী করীম (ﷺ) এর সাহাবী যূ-মিখবার (রাযিঃ) এর কাছে চল। তখন আমরা তাঁর নিকট উপস্থিত হই এবং জুবাইর (রাযিঃ) তাঁর নিকট সন্ধির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেন। তখন তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ অচিরেই তোমরা রোমকদের সাথে এরূপ সন্ধি করবে, যাতে পূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। পরে তোমরা এবং তারা সম্মিলিত হয়ে অপর এক শত্রুর বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবে।
باب فِي صُلْحِ الْعَدُوِّ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، قَالَ مَالَ مَكْحُولٌ وَابْنُ أَبِي زَكَرِيَّاءَ إِلَى خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ وَمِلْتُ مَعَهُمَا فَحَدَّثَنَا عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، قَالَ قَالَ جُبَيْرٌ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى ذِي مِخْبَرٍ - رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - فَأَتَيْنَاهُ فَسَأَلَهُ جُبَيْرٌ عَنِ الْهُدْنَةِ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " سَتُصَالِحُونَ الرُّومَ صُلْحًا آمِنًا وَتَغْزُونَ أَنْتُمْ وَهُمْ عَدُوًّا مِنْ وَرَائِكُمْ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: