কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
كتاب السنن للإمام أبي داود
৭. তালাক - ডিভোর্স অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২২৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ২২৪৫
১৭১. লিআন।[১]
২২৩৯. উবাইদুল্লাহ্ ইবনে মাসলামা আল্ কা‘নবী ..... ইবনে শিহাব (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহল ইবনে সা‘দ আস সাঈদী তাকে খবর দিয়েছেন যে, উওয়াইমির ইবনে আশকার আল্ আজলানী (রাযিঃ) আসিম ইবনে আদীর নিকট আগমন করেন এবং বলেন, হে আসিম! আমাকে বলুন, যদি কেউ স্ত্রীর সাথে কোন অপরিচিত লোককে এক বিছানায় দেখে সে কি তাকে হত্যা করবে? আর কিসাস্ (বদলা) হিসাবে কি তোমরা তাকে হত্যা করবে নাকি করবে না? তুমি এ সম্পর্কে আমার জন্য হে আসিম! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে একটু জিজ্ঞাসা করো।
আসিম এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করলে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা শুনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং তাকে দোষারোপ করেন। এমনকি আসিম রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) হতে যা শ্রবণ করেন তা তার জন্য খুবই ভয়ানক মনে হয়। এরপর আসিম তার পরিবার-পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করলে উওয়াইমির তাঁর নিকট গমন করেন এবং বলেন, হে আসিম! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তোমাকে কী বলেছেন? আসিম বলেন, তুমি আমার নিকট কোনো ভাল বিষয় নিয়ে আগমন করোনি। আমি ঐ মহিলা সম্পর্কে রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) কে যে প্রশ্ন করেছিলাম তাতে তিনি অসুন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এতদশ্রবণে উয়াইমির বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তার (মহিলার) সম্পর্কে এ প্রশ্নটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হবো না। উওয়াইমের এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট গমন করেন, যখন তিনি মানুষের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে অপরিচিত কোনো লোক পায়, তবে এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? সে কি তাকে হত্যা করবে? আর এজন্য কি তাকে কিসাস্ হিসাবে হত্যা করবেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা তোমার ও তোমার স্ত্রীর জন্য কুরআন (আয়াত) নাযিল করেছেন। তুমি যাও এবং তাকে (স্ত্রীকে) নিয়ে এসো।
রাবী সাহল বলেন, তারা উভয়ে একে অপরের প্রতি শপথ করে ব্যভিচারের দোষারোপ করতে থাকে এবং আমিও অন্যান্য লোকদের সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট ছিলাম। তারপর তারা যখন অভিসম্পাত ও দোষারোপ করা হতে বিরত হয়, তখন উয়াইমির বলে, যদি এখন আমি তাকে আমার নিকট রাখি, তবে ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তার ব্যাপারে আমি লোকদের নিকট মিথ্যুক প্রতিপন্ন হবো। উওয়াইমির নবী করীম (ﷺ) এর অনুমতি প্রদানের পূর্বে তাকে (স্ত্রীকে) তিন তালাক প্রদান করেন। রাবী ইবনে শিহাব বলেন, আর তাদের মধ্যকার এ বিচ্ছেদ, শপথ করে ব্যভিচারের অপবাদকারীদের জন্য সুন্নত স্বরূপ হয়ে যায়। (কারণ, এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর মৌন সম্মতি ছিল।
[১] স্বামী যদি স্ত্রীর বিরুদ্ধে যিনার অভিযোগ আনে এবং এর অনুকূলে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকে তবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে আদালতের সামনে সূরা নূর-এ বর্ণিত বিশেষ পন্থায় পাঁচবার হলফ করতে হয়। আইনের পরিভাষায় একে লি'আন বলে
আসিম এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করলে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা শুনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং তাকে দোষারোপ করেন। এমনকি আসিম রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) হতে যা শ্রবণ করেন তা তার জন্য খুবই ভয়ানক মনে হয়। এরপর আসিম তার পরিবার-পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করলে উওয়াইমির তাঁর নিকট গমন করেন এবং বলেন, হে আসিম! রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তোমাকে কী বলেছেন? আসিম বলেন, তুমি আমার নিকট কোনো ভাল বিষয় নিয়ে আগমন করোনি। আমি ঐ মহিলা সম্পর্কে রাসূলূল্লাহ্ (ﷺ) কে যে প্রশ্ন করেছিলাম তাতে তিনি অসুন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এতদশ্রবণে উয়াইমির বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তার (মহিলার) সম্পর্কে এ প্রশ্নটি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হবো না। উওয়াইমের এমন সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট গমন করেন, যখন তিনি মানুষের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যদি কেউ তার স্ত্রীর সাথে অপরিচিত কোনো লোক পায়, তবে এ সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? সে কি তাকে হত্যা করবে? আর এজন্য কি তাকে কিসাস্ হিসাবে হত্যা করবেন? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ্ তাআলা তোমার ও তোমার স্ত্রীর জন্য কুরআন (আয়াত) নাযিল করেছেন। তুমি যাও এবং তাকে (স্ত্রীকে) নিয়ে এসো।
রাবী সাহল বলেন, তারা উভয়ে একে অপরের প্রতি শপথ করে ব্যভিচারের দোষারোপ করতে থাকে এবং আমিও অন্যান্য লোকদের সাথে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট ছিলাম। তারপর তারা যখন অভিসম্পাত ও দোষারোপ করা হতে বিরত হয়, তখন উয়াইমির বলে, যদি এখন আমি তাকে আমার নিকট রাখি, তবে ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তার ব্যাপারে আমি লোকদের নিকট মিথ্যুক প্রতিপন্ন হবো। উওয়াইমির নবী করীম (ﷺ) এর অনুমতি প্রদানের পূর্বে তাকে (স্ত্রীকে) তিন তালাক প্রদান করেন। রাবী ইবনে শিহাব বলেন, আর তাদের মধ্যকার এ বিচ্ছেদ, শপথ করে ব্যভিচারের অপবাদকারীদের জন্য সুন্নত স্বরূপ হয়ে যায়। (কারণ, এতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর মৌন সম্মতি ছিল।
[১] স্বামী যদি স্ত্রীর বিরুদ্ধে যিনার অভিযোগ আনে এবং এর অনুকূলে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকে তবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে আদালতের সামনে সূরা নূর-এ বর্ণিত বিশেষ পন্থায় পাঁচবার হলফ করতে হয়। আইনের পরিভাষায় একে লি'আন বলে
باب فِي اللِّعَانِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عُوَيْمِرَ بْنَ أَشْقَرَ الْعَجْلاَنِيَّ جَاءَ إِلَى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّ فَقَالَ لَهُ يَا عَاصِمُ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ . فَسَأَلَ عَاصِمٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا حَتَّى كَبُرَ عَلَى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلَى أَهْلِهِ جَاءَهُ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ لَهُ يَا عَاصِمُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عَاصِمٌ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ قَدْ كَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتُهُ عَنْهَا . فَقَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللَّهِ لاَ أَنْتَهِي حَتَّى أَسْأَلَهُ عَنْهَا . فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ وَسَطَ النَّاسِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِهِ رَجُلاً أَيَقْتُلُهُ فَتَقْتُلُونَهُ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَدْ أُنْزِلَ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ قُرْآنٌ فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا " . قَالَ سَهْلٌ فَتَلاَعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا فَرَغَا قَالَ عُوَيْمِرٌ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا . فَطَلَّقَهَا عُوَيْمِرٌ ثَلاَثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانَتْ تِلْكَ سُنَّةَ الْمُتَلاَعِنَيْنِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান