কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ

كتاب السنن للإمام أبي داود

২. নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৯
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৪৯৯. মুহাম্মাদ ইবনে মনসুর .... আব্দুল্লাহ্ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শিংগা ধ্বনি করে লোকদের নামাযের জন্য একত্র করার নির্দেশ প্রদান করেন তখন একদা আমি স্বপ্নে দেখি যে, এক ব্যক্তি শিংগা হাতে নিয়ে যাচ্ছে। আমি তাকে বলি, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি কি শিংগা বিক্রয় বরবে? সে বলে, তুমি শিংগা দিয়ে কি করবে? আমি বলি, আমি তার সাহায্যে নামাযের জামাআতে লোকদের ডাকব। সে বলল, আমি কি এর উত্তম কোন সন্ধান তোমাকে দেব না? আমি বলি, হ্যাঁ। রাবী বলেন, তখন সে বলল, তুমি এইরূপ শব্দ উচ্চারণ করবেঃ

“আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশ্হাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।”

রাবী রলেন! অতঃপর ঐ স্থান হতে ঐ ব্যক্তি একটু দুরে সরে গিয়ে দাঁড়ায় এবং বলে- তুমি যখন নামায পড়তে দাঁড়াবে তখন বলবেঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্; কাদ কামাতিস্ সালাহ্; কাদ কামাতিস্-সালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”। অতঃপর ভোর বেলা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হয়ে তাঁর নিকট আমার স্বপ্নের বর্ণনা করি। নবী (ﷺ) বলেন এটা অবশ্যই সত্য স্বপ্ন। অতঃপর তিনি বলেনঃ তুমি বিলালকে ডেকে তোমার সাথে নাও এবং তুমি যেরূপ স্বপ্ন দেখেছ- তদ্রূপ তাকে শিক্ষা দাও যাতে সে (বিলাল) ঐরূপে-আযান দিতে পারে। কেননা তাঁর কন্ঠস্বর তোমার স্বরের চাইতে অধিক উচ্চ।

অতঃপর আমি বিলাল (রাযিঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়াই এবং তাকে আযানের শব্দগুলি শিক্ষা দিতে থাকি এবং তিনি উচ্চারণ পূর্বক আযান দিতে থাকেন। বিলালের এই আযান ধ্বনি উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) নিজ আবাসে বসে শুনতে পান। তা শুনে উমর (রাযিঃ) এত দ্রুত পদে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খিদ্মতে আগমন করেন যে, তাঁর গায়ের চাঁদর মাটিতে হেচঁড়িয়ে যাচ্ছিলো। তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকটে উপস্থিত হয়ে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর শপথ! যে মহান সত্তা আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন, আমিও ঐরূপ স্বপ্ন দেখেছি যেরূপ অন্যরা দেখেছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَنْصُورٍ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَبْدِ رَبِّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ لَمَّا أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّاقُوسِ يُعْمَلُ لِيُضْرَبَ بِهِ لِلنَّاسِ لِجَمْعِ الصَّلاَةِ طَافَ بِي وَأَنَا نَائِمٌ رَجُلٌ يَحْمِلُ نَاقُوسًا فِي يَدِهِ فَقُلْتُ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَتَبِيعُ النَّاقُوسَ قَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ فَقُلْتُ نَدْعُو بِهِ إِلَى الصَّلاَةِ . قَالَ أَفَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى مَا هُوَ خَيْرٌ مِنْ ذَلِكَ فَقُلْتُ لَهُ بَلَى . قَالَ فَقَالَ تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ قَالَ ثُمَّ اسْتَأْخَرَ عَنِّي غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ قَالَ وَتَقُولُ إِذَا أَقَمْتَ الصَّلاَةَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ فَلَمَّا أَصْبَحْتُ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ بِمَا رَأَيْتُ فَقَالَ " إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٌّ إِنْ شَاءَ اللَّهُ فَقُمْ مَعَ بِلاَلٍ فَأَلْقِ عَلَيْهِ مَا رَأَيْتَ فَلْيُؤَذِّنْ بِهِ فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ " . فَقُمْتُ مَعَ بِلاَلٍ فَجَعَلْتُ أُلْقِيهِ عَلَيْهِ وَيُؤَذِّنُ بِهِ - قَالَ - فَسَمِعَ ذَلِكَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ فِي بَيْتِهِ فَخَرَجَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ وَيَقُولُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ مَا رَأَى . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَلِلَّهِ الْحَمْدُ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَكَذَا رِوَايَةُ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ وَقَالَ فِيهِ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ " . وَقَالَ مَعْمَرٌ وَيُونُسُ عَنِ الزُّهْرِيِّ فِيهِ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ " . لَمْ يُثَنِّيَا .
হাদীস নং:৫০০
আন্তর্জাতিক নং: ৫০০
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০০. মুসাদ্দাদ ..... মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল মালিক ইবনে আবু মাহযুরা থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণিত। রাবী বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলি, আমাকে আযানের নিয়ম-পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা দিন। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি আমার মাথার সম্মুখভাগে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেনঃ তুমি বলবেঃ আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকরার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, তা উচ্চ স্বরে বলবে। অতঃপর আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্ বলার সময় গলার স্বর নীচু করবে।

অতঃপর উচ্চ কন্ঠে বলবেঃ আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, অতঃপর বলবেঃ হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সলাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্। অতঃপর ফজরের নামাযের আযানের সময় বলবেঃ আস্-সালাতু খাইরুম্ মিনান্ নাওম, আস্-সালাতু খাইরুম্ মিনান্ নাওম অতঃপর বলবেঃ আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي سُنَّةَ الأَذَانِ . قَالَ فَمَسَحَ مُقَدَّمَ رَأْسِي وَقَالَ " تَقُولُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ تَرْفَعُ بِهَا صَوْتَكَ ثُمَّ تَقُولُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ تَخْفِضُ بِهَا صَوْتَكَ ثُمَّ تَرْفَعُ صَوْتَكَ بِالشَّهَادَةِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ فَإِنْ كَانَ صَلاَةَ الصُّبْحِ قُلْتَ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫০১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০১
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০১. আল্-হাসান ইবনে আলী ...... আবু মাহযূরা (রাযিঃ) থেকে এই সনদে নবী (ﷺ)-এর পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। এই হাদীসের মধ্যে আস্-সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম, সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম”- ফজরের প্রথম আযানের মধ্যে বর্ণিত।
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، وَعَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ السَّائِبِ، أَخْبَرَنِي أَبِي وَأُمُّ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْخَبَرِ وَفِيهِ " الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فِي الأُولَى مِنَ الصُّبْحِ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَحَدِيثُ مُسَدَّدٍ أَبْيَنُ قَالَ فِيهِ قَالَ وَعَلَّمَنِي الإِقَامَةَ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ " وَإِذَا أَقَمْتَ الصَّلاَةَ فَقُلْهَا مَرَّتَيْنِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ أَسَمِعْتَ " . قَالَ فَكَانَ أَبُو مَحْذُورَةَ لاَ يَجُزُّ نَاصِيَتَهُ وَلاَ يَفْرِقُهَا لأَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَسَحَ عَلَيْهَا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫০২
আন্তর্জাতিক নং: ৫০২
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০২. আল্-হাসান ইবনে আলী ..... ইবনে মুহায়রিয (রাহঃ) আবু মাহযূরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁকে উনিশ শব্দে আযান এবং সতের শব্দে ইকামত শিক্ষা দিয়েছেন। আযানের শব্দগুলি নিম্নরূপঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদদার রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।”

আর ইকামতের শব্দগুলি হলঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্; হাইয়া আলাল-ফালাহ্; কাদ কামাতিস্ সালাহ্; কাদ কামাতিস্-সালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্”। আবু মাহযূরা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত। হাদীসটি তাঁর নিকট রক্ষিত কিতাবে এভাবে উল্লেখ আছে।
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، وَسَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، وَحَجَّاجٌ، - وَالْمَعْنَى وَاحِدٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا عَامِرٌ الأَحْوَلُ، حَدَّثَنِي مَكْحُولٌ، أَنَّ ابْنَ مُحَيْرِيزٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا مَحْذُورَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَهُ الأَذَانَ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً وَالإِقَامَةَ سَبْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً الأَذَانُ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَالإِقَامَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . كَذَا فِي كِتَابِهِ فِي حَدِيثِ أَبِي مَحْذُورَةَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৩
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০৩. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার .... আবু মাহযূরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, স্বয়ং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে আযানের নিম্নোক্ত শব্দণ্ডলি শিক্ষা দেন। তিনি আমাকে বলেনঃ তুমি বল, “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্। অতঃপর তিনি বলেনঃ তোমার কন্ঠস্বর দীর্ঘায়িত করে পুনরায় বলঃ আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।”
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، - يَعْنِي عَبْدَ الْعَزِيزِ - عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، قَالَ أَلْقَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ فَقَالَ " قُلِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ - مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ - قَالَ ثُمَّ ارْجِعْ فَمُدَّ مِنْ صَوْتِكَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৪
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০৪. আন-নুফায়লী ...... আবু মাহযূরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে আযানের নিম্নোক্ত শব্দগুলি একটি একটি করে শিক্ষা দেনঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্; হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাস্-সালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, হাইয়া আলাল-ফালাহ্, রাবী বলেন, ফজরের নামাযে এরূপ বলতেন, আস্- সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম।”
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، قَالَ سَمِعْتُ جَدِّي عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ أَبِي مَحْذُورَةَ، يَذْكُرُ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مَحْذُورَةَ، يَقُولُ أَلْقَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَذَانَ حَرْفًا حَرْفًا " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ " . قَالَ وَكَانَ يَقُولُ فِي الْفَجْرِ الصَّلاَةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৫
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০৫. মুহাম্মাদ ইবনে দাউদ .... আবু মাহযূরা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহ্ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে আযান শিক্ষা দেন। তিনি বলতেনঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার; আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, অতঃপর হাদীসের অবশিষ্ট অংশ আব্দুল মালিকের সূত্রে বর্ণিত ইবনে জুরাজের হাদীসের অনুরূপ।

মালেক ইবনে দীনার (রাহঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ আছে যে, তিনি বলেছেন, আমি ইবনে আবু মাহযূরাকে বলি- আপনার পিতা-রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে যেরূপ আযান শিক্ষা করেন- তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তখন তিনি বলেন, “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, এইরূপে আযানের শেষ পর্যন্ত। জাফর ইবনে সুলাইমানের হাদীসেও অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি তাঁর হাদীসে এরূপ উল্লেখ করেছেন যে, আল্লাহু আকরার, আল্লাহু আকবার, শব্দাটি উচ্চস্বরে দীর্ঘায়িত করে বলবে।
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ الإِسْكَنْدَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا زِيَادٌ، - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - عَنْ نَافِعِ بْنِ عُمَرَ، - يَعْنِي الْجُمَحِيَّ - عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَيْرِيزٍ الْجُمَحِيِّ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَّمَهُ الأَذَانَ يَقُولُ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ " . ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ أَذَانِ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ وَمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَفِي حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ أَبِي مَحْذُورَةَ قُلْتُ حَدِّثْنِي عَنْ أَذَانِ أَبِيكَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ فَقَالَ " اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ " . قَطُّ وَكَذَلِكَ حَدِيثُ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنِ ابْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ عَنْ عَمِّهِ عَنْ جَدِّهِ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " ثُمَّ تَرَجَّعْ فَتَرَفَّعْ صَوْتَكَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:৫০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০৬. আমর ইবনে মারযূক .... ইবনে আবু লায়লা (রাহঃ) বলেন, নামাযের ব্যাপারে (কিবলার) পরিবর্তন তিনবার সাধিত হয়েছে। রাবী বলেন, আমাদের সাথীরা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেনঃ মুসলমানগণ একত্রিত হয়ে জামাআতে নামায আদায় করায় আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। আমি প্রথমাবস্থায় এরূপ চিন্তা করি যে, লোকদের নামাযের আহবানের জন্য বাড়ীতে বাড়ীতে কিছু লোক প্রেরণ করি আমি এরূপও ইরাদা করি যে, লোকদেরকে জামাআতে আনার জন্য কিছু সংখ্যক লোককে (মহল্লার) উঁচু স্থানে উঠিয়ে দিব, যারা তাদেরকে নামাযের জন্য আহবান করবে, অথবা তারা শিংগা ধ্বনির মাধ্যমে লোকদেরকে জামাআতে আহবান করার চিন্তাও করেছিল।

রাবী বলেন, এমতাবস্থায় আনসারদের মধ্য হতে একজন এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! লোকদেরকে জামাআতে-হাযির করার ব্যাপারে আপনাকে উৎকণ্ঠিত দেখার পর রাতে আমি স্বপ্নে দেখি যে এক ব্যক্তি দুটি হলুদ বর্ণের কাপড় পরিধাণ করে মসজিদের সম্মুখে আযান দিচ্ছেন। আযান শেযে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর তিনি ইকামত দেন এবং এখানে তিনি আযানের শব্দের সাথে “কাদ কামাতিস-সালাহ” শব্দটি যোগ করেন। অতঃপর তিনি বলেন- মানুষের মিথ্যা অপবাদের ভয় যদি আমার না থাকত তবে নিশ্চয়ই আমি বলতাম, আমি তা জাগ্রত অবস্থায় দেখেছি- স্বপ্নে নয়।

তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ্ তাআলা তোমাকে উত্তম স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তুমি বিলালকে নির্দেশ দাও যেন সে আযান দেয়। তখন উমর (রাযিঃ) বলেন, আমিও ইতিপূর্বে তার অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু আমার আগেই অনুরূপ স্বপ্নের কথা ব্যক্ত হওয়ার কারণে আমি তা প্রকাশ করতে সংকোচ বোধ করি। রাবী বলেন, ইসলামের প্রারম্ভিক যুগে যখন নামাযের হুকুম-আহকাম পরির্ণভাবে নাযিল হয় নাই তখন সাহাবায়ে কিরামদের মধ্য হতে যারা নামায আরম্ভের পরে আসতেন তারা জিজ্ঞাসা করতেন- নামাযের কতটুকু আদায় করা হয়েছে। অতঃপর তাদের অবহিত করা হত। যারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে প্রথম হতে নামাযে শরীক হতেন তারা এক অবস্থায় থাকতেন এবং যারা পরে আসতেন তাদের কেউ দাঁড়ান, বসা বা রুকুর অবস্থায় থাকতেন।

ইবনুল মুছান্না, আমর, হুসায়েন, ইবনে আবু লায়লা হতে বর্ণনা করেছেন যে, একদা মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) জামাআত শুরু হওয়ার পর মসজিদে আসেন। শোবা- হুসায়েন হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আমি তাকে এক অবস্হায় দেখতে পাই নাই- হতে, অনুরূপভাবে তোমরা কর ......... পর্যন্ত বর্ণনা করেন। ইমাম আবু দাউদ (রাহঃ) বলেন, অতঃপর আমি আমরের হাদীস বর্ণনা করি রাবী বলেন, মুআয (রাযিঃ) মসজিদে আগমনের পর উপস্থিত সাহাবীগণ তাকে ইশরা করে বলেন ...।

শোবা বলেন, আমি হুসায়েনের নিকট শুনেছি, মুআয (রাযিঃ) বলেন, আমি তাকে নামাযের মধ্যে যে অবস্থায় পাই সে অবস্থায় তাঁর সাথে নামায আরম্ভ করব। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন বলেনঃ মুআয তোমাদের জন্য একটি উত্তম সুন্নত সৃষ্টি করেছে (অর্থাৎ সর্বপ্রথম ইমামের সাথে কিরূপে নামায আদায় করতে হয়, তা ভালভাবে দেখিয়েছেন। তিনি নবী (ﷺ) এর সাথে প্রাপ্ত নামায জামাআতে আদায়ের পর অবশিষ্ট নামায পরে আদায় করেন)। অতঃপর নবী (ﷺ) বলেনঃ তোমরাও এরূপ করবে। রাবী বলেন, আমাদের সাথীরা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর মদীনায় আসার পর তাদেরকে প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখার নির্দেশ দেন। অতঃপর রমযানের রোযার আয়াত নাযিল হয় সাহাবীদের ইতিপূর্বে রোযা রাখার অভ্যাস না থাকায় তা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়।

অতঃপর যারা রোযা রাখতে অক্ষম তাঁরা মিসকীনদের আহার করাতেন। অতঃপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ(فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ) “তোমাদের মধ্যে যারা রমযান মাস পাবে তারা যেন অবশ্যই রোযা রাখে।” মুসাফির ও রোগগ্রস্ত ব্যক্তির জন্যই কেবলমাত্র রমযান মাসের রোযা না রাখার অনুমতি ছিল (কিন্তু অন্য সময়ে এর কাযা আদায় করতে হত)। এভাবে তাদেরকে রমযানের রোযা রাখার নির্দেশ দেয়া হয় ইসলামের প্রথম যুগে রোযার নিয়ম এইরূপ ছিল যে, ইফতারের পর খাওয়ার পূর্বে কোন ব্যক্তি যদি কোন কারণ বশত ঘুমিয়ে পড়ত তবে তার জন্য পরের দিন সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোনরূপ খাদ্য গ্রহণ নাজায়েয ছিল।

এক রাতে উমর (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রীর নিকট সহবাসের ইচ্ছা প্রকাশ করলে তিনি বলেন, আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন উমর (রাযিঃ) এরূপ ধারণা করেন যে, তাঁর স্ত্রী মিথ্যা বাহানা করে তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অতঃপর তিনি তাঁর সাথে সঙ্গম করেন। অপরপক্ষে একজন আনসার সাহাবী ঘরে ফিরে খাদ্য চাইলে তাঁর পরিবারের লোকেরা বলেন, ধৈর্য ধরুন, আমরা খাবার প্রস্তুত করে আনছি। ইত্যবসরে তিনি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন পরের দিন ভোরে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ (أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ) “রমযান মাসের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের বিবিদের সাথে সঙ্গম হালাল করা হয়ছে।”
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ - قَالَ - وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَقَدْ أَعْجَبَنِي أَنْ تَكُونَ صَلاَةُ الْمُسْلِمِينَ - أَوْ قَالَ الْمُؤْمِنِينَ - وَاحِدَةً حَتَّى لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أَبُثَّ رِجَالاً فِي الدُّورِ يُنَادُونَ النَّاسَ بِحِينِ الصَّلاَةِ وَحَتَّى هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رِجَالاً يَقُومُونَ عَلَى الآطَامِ يُنَادُونَ الْمُسْلِمِينَ بِحِينِ الصَّلاَةِ حَتَّى نَقَسُوا أَوْ كَادُوا أَنْ يَنْقُسُوا " . قَالَ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لَمَّا رَجَعْتُ - لِمَا رَأَيْتُ مِنَ اهْتِمَامِكَ - رَأَيْتُ رَجُلاً كَأَنَّ عَلَيْهِ ثَوْبَيْنِ أَخْضَرَيْنِ فَقَامَ عَلَى الْمَسْجِدِ فَأَذَّنَ ثُمَّ قَعَدَ قَعْدَةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ يَقُولُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ وَلَوْلاَ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى أَنْ تَقُولُوا - لَقُلْتُ إِنِّي كُنْتُ يَقْظَانًا غَيْرَ نَائِمٍ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى " لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا " . وَلَمْ يَقُلْ عَمْرٌو " لَقَدْ أَرَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَمُرْ بِلاَلاً فَلْيُؤَذِّنْ " . قَالَ فَقَالَ عُمَرُ أَمَا إِنِّي قَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى وَلَكِنِّي لَمَّا سُبِقْتُ اسْتَحْيَيْتُ . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا جَاءَ يَسْأَلُ فَيُخْبَرُ بِمَا سُبِقَ مِنْ صَلاَتِهِ وَإِنَّهُمْ قَامُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَيْنِ قَائِمٍ وَرَاكِعٍ وَقَاعِدٍ وَمُصَلٍّ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى قَالَ عَمْرٌو وَحَدَّثَنِي بِهَا حُصَيْنٌ عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى حَتَّى جَاءَ مُعَاذٌ . قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ فَقَالَ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلَى قَوْلِهِ كَذَلِكَ فَافْعَلُوا . قَالَ أَبُو دَاوُدَ ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ قَالَ فَجَاءَ مُعَاذٌ فَأَشَارُوا إِلَيْهِ - قَالَ شُعْبَةُ وَهَذِهِ سَمِعْتُهَا مِنْ حُصَيْنٍ - قَالَ فَقَالَ مُعَاذٌ لاَ أَرَاهُ عَلَى حَالٍ إِلاَّ كُنْتُ عَلَيْهَا . قَالَ فَقَالَ إِنَّ مُعَاذًا قَدْ سَنَّ لَكُمْ سُنَّةً كَذَلِكَ فَافْعَلُوا . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ أَمَرَهُمْ بِصِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ثُمَّ أُنْزِلَ رَمَضَانُ وَكَانُوا قَوْمًا لَمْ يَتَعَوَّدُوا الصِّيَامَ وَكَانَ الصِّيَامُ عَلَيْهِمْ شَدِيدًا فَكَانَ مَنْ لَمْ يَصُمْ أَطْعَمَ مِسْكِينًا فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ( فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ) فَكَانَتِ الرُّخْصَةُ لِلْمَرِيضِ وَالْمُسَافِرِ فَأُمِرُوا بِالصِّيَامِ . قَالَ وَحَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا قَالَ وَكَانَ الرَّجُلُ إِذَا أَفْطَرَ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يَأْكُلَ لَمْ يَأْكُلْ حَتَّى يُصْبِحَ . قَالَ فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَرَادَ امْرَأَتَهُ فَقَالَتْ إِنِّي قَدْ نِمْتُ فَظَنَّ أَنَّهَا تَعْتَلُّ فَأَتَاهَا فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرَادَ الطَّعَامَ فَقَالُوا حَتَّى نُسَخِّنَ لَكَ شَيْئًا فَنَامَ فَلَمَّا أَصْبَحُوا أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ ( أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ) .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৭
৩২. আযানের নিয়ম সম্পর্কে।
৫০৭. ইবনুল মুসান্না .... মুআয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নামাযের ব্যাপারে কিবলার পরিবর্তন তিনবার সাধিত হয়েছে এবং রোযার ব্যাপারে নিয়ম পদ্ধতিও তিনবার পরিবর্তিত হয়েছে। রাবী নসর এ সম্পর্কে একটি বিস্তারিত হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইবনুল মুছান্না তা সংক্ষিপ্তাকারে নামাযের ব্যাপারে এরূপ বর্ণনা করেছেন, মুসলমানদের কিব্লা ছিল বায়তুল মুকাদ্দাস। রাবী বলেন, তৃতীয় অবস্থা এই যে, নবী (ﷺ) মদীনায় আসার পর দীর্ঘ তের মাস বায়তুল মুকাদ্দেসের দিকে মুখ ফিরিয়ে নামায আদায় করেন। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াত নামিল করেনঃ “আমি তোমাকে তোমার চেহারা সব সময় আকাশের প্রতি ফিরান অবস্থায় অবলোকন করছি। এমতাবস্থায় আমি তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিব যা তুমি পছন্দ কর। এখন তুমি তোমার চেহারা মসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং অতঃপর তোমরা যেখানেই অবস্থান কর- তোমাদের চেহারা ঐ স্থানের দিকে ফিরাও।” অতএব আল্লাহ্ পাক তাকে কাবার দিকে ফিরিয়ে দেন। এভাবে তাঁর বর্ণনা শেষ হয়েছে।

অতঃপর আনসার গোত্রীয় সাহাবী আব্দুল্লাহ্ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) আগমন করেন। তিনি কিবলামুখী হয়ে বলেনঃ “আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২ বার), আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্ (২ বার), হাইয়া আলাস্-সালাহ্ (২ বার), হাইয়া আলাল-ফালাহ্ (২ বার), আল্লাহু আকবার (২ বার), লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (১ বার), অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ পরে আযানের শব্দগুলির পুনরাবৃত্তি করেন এবং তন্মধ্যে হাইয়া আলাল-ফালাহ্ শব্দটির পরে দুইবার - কাদ্ কামাতিস-সালাহ” ঝক্যটি উচ্চারণ করেন। রাবী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আব্দুল্লাহ্ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) -কে বলেন তুমি বিলালকে এর তালকীন (শিক্ষা) দাও।

অতঃপর বিলাল (রাযিঃ) উক্ত শব্দ দ্বারা আযান দেন। অতঃপর রাবী রোযা সম্পর্কে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) প্রতি মাসে তিনদিন করে এবং আশূরার রোযা রাখতেন। অতঃপর এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর ফরয করা হয়েছিল- যেন তোমরা খোদাভীরু হও। নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সফরে থাকে বা রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে- তবে পরবর্তী সময়ে তাকে এর কাযা আদায় করতে হবে। এবং যারা রোযা রাখতে অক্ষম তারা প্রত্যেক রোযার পরিবর্তে ফিদ্য়া হিসেবে একজন মিস্কীনকে খাদ্য দান করবে”-(সূরা বাকারাঃ ১৮৪)।”

অতঃপর যারা ইচছা করত রোযা রাখত এবং যারা ইচ্ছা করত রোযার পরিবর্তে প্রত্যহ একজন মিসকিনকে খাদ্য প্রদান করলেই চলত। অতঃপর এই হুকুম পরিবর্তিত হয় এবং আল্লাহ্ তাআলার তরফ হতে এই আয়াত নাযিল হয়ঃ “রমযান মাসেই কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে যা মানুষের দিশারী এবং হিদায়াতের নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্যকারী। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রমযান মাস পাবে সে যেন অবশ্যই ঐ মাসে রোষা রাখে। আর যারা সফরে থাকবে বা রোগগ্রস্ত হবে তারা পরবর্তী সময়ে তার কাযা আদায় করবে”- (সূরা বাকারাঃ ১৮৫)।

এই আয়াত দ্বারা রোযার মাস প্রাপ্ত ব্যক্তির উপর রোযা রাখা ফরয করা হয়েছে। মুসাফিরকে পরে রোযার কাযা আদায় করতে হবে। অক্ষম ব্যক্তি- যারা রোযা রাখতে অক্ষম তারা রোযার পরিবর্তে মিসকিনকে প্রত্যহ খাদ্যদান করবে।
باب كَيْفَ الأَذَانُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، ح وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْمُهَاجِرِ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ أُحِيلَتِ الصَّلاَةُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَأُحِيلَ الصِّيَامُ ثَلاَثَةَ أَحْوَالٍ وَسَاقَ نَصْرٌ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ وَاقْتَصَّ ابْنُ الْمُثَنَّى مِنْهُ قِصَّةَ صَلاَتِهِمْ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ قَطُّ قَالَ الْحَالُ الثَّالِثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَصَلَّى - يَعْنِي نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ - ثَلاَثَةَ عَشَرَ شَهْرًا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ ( قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَحَيْثُ مَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ) فَوَجَّهَهُ اللَّهُ تَعَالَى إِلَى الْكَعْبَةِ . وَتَمَّ حَدِيثُهُ وَسَمَّى نَصْرٌ صَاحِبَ الرُّؤْيَا قَالَ فَجَاءَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ وَقَالَ فِيهِ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ مَرَّتَيْنِ حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ مَرَّتَيْنِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ثُمَّ أَمْهَلَ هُنَيَّةً ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مِثْلَهَا إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ زَادَ بَعْدَ مَا قَالَ " حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ " . قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقِّنْهَا بِلاَلاً " . فَأَذَّنَ بِهَا بِلاَلٌ وَقَالَ فِي الصَّوْمِ قَالَ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَصُومُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَيَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنَ قَبْلِكُمْ ) إِلَى قَوْلِهِ ( طَعَامُ مِسْكِينٍ ) فَكَانَ مَنْ شَاءَ أَنْ يَصُومَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَنْ يُفْطِرَ وَيُطْعِمَ كُلَّ يَوْمٍ مِسْكِينًا أَجْزَأَهُ ذَلِكَ وَهَذَا حَوْلٌ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ ) إِلَى ( أَيَّامٍ أُخَرَ ) فَثَبَتَ الصِّيَامُ عَلَى مَنْ شَهِدَ الشَّهْرَ وَعَلَى الْمُسَافِرِ أَنْ يَقْضِيَ وَثَبَتَ الطَّعَامُ لِلشَّيْخِ الْكَبِيرِ وَالْعَجُوزِ اللَّذَيْنِ لاَ يَسْتَطِيعَانِ الصَّوْمَ وَجَاءَ صِرْمَةُ وَقَدْ عَمِلَ يَوْمَهُ وَسَاقَ الْحَدِيثَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান