আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৪৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৫৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৩৫
তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমতের বিবরণ
৩৫৩৫. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ..... যির ইবনে হুবাইশ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবনে আসসাল মুরাদী (রাযিঃ) এর কাছে চামরার মোজার উপর মাসাহ করার বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য এলাম। তিনি বললেনঃ হে যির! কি উদ্দেশ্যে তোমার আগমন? আমি বললামঃ ইলমের অন্বেষণে। তিনি বললেনঃ তালেবুল ইলমের জন্য ফিরিশতারা তাদের পাখনা বিছিয়ে দেন তার ইলম সন্ধানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশে। আমি বললামঃ প্রসাব-পায়খানার পর (উযুর ক্ষেত্রে) চামড়ার মোজায় মাসাহ করার বিষয়টি আমার মনে সন্দেহের উদ্রেক হচ্ছে। আপনি নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের একজন। তাই আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করতে এলাম যে, এই বিষয়ে আপনি তাকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা যখন মুসাফির থাকি তখন যেন গোসল ফরযজনিত কারণ ব্যতীত (উযু করার) তিন দিন তিন রাত আমাদের চামড়ার মোজা না খুলি, প্রস্রাব-পায়খানা ও নিদ্রা ইত্যাদি কারণের বেলায়ও নয়।

আমি বললামঃ মুহাব্বাতের বিষয়ে তাঁকে কিছু বলতে শুনেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম।আমরা তাঁর কাছে ছিলাম এমন সময় বেদুঈন উচ্চৈস্বরে তাকে ডাক দিয়ে বললঃ হে মুহাম্মাদ! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার মত আওয়াজে উত্তর দিলেনঃ এস। আমরা তাকে বললামঃ ওহে! তোমার আওয়াজ একটু নীচু কর। কেননা তুমি তো নবী (ﷺ) এর কাছে এসেছ। আর তাঁর কাছে এরূপ করতে তোমাকে নিষেধ করা হয়েছে। সে বললঃ আল্লাহর কসম! আমি আমার আওয়াজ নীচু করতে পারব না। পরে ঐ বেদুঈন বললঃ কোন ব্যক্তি এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে বটে কিন্তু তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নি। নবী (ﷺ) বললেনঃ যে যাকে ভালবাসবে, কিয়ামতের দিন সে তার সঙ্গেই থাকবে।

যির (রাহঃ) বলেনঃ সাফওয়ান (রাযিঃ) আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করতে করতে পশ্চিম প্রান্তের (সুফিয়ানের বর্ণনায় সিরিয়ার প্রান্তে) একটি দরজার কথা উল্লেখ করলেন। এই ফটকটির প্রশস্তাতা হল চল্লিশ বা (অপর বর্ণনায়) সত্তর বছরের সওয়ারী অতিক্রম করার পথ। আল্লাহ তাআলা যেদিন থেকে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন থেকে ঐটিও সৃষ্টি করেছেন। তওবার জন্য এটি সদা উন্মুক্ত। পশ্চিম থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ করা হবে না।


(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ أَسْأَلُهُ عَنِ الْمَسْحِ، عَلَى الْخُفَّيْنِ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكَ يَا زِرُّ فَقُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ فَقَالَ إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَطْلُبُ . قُلْتُ إِنَّهُ حَكَّ فِي صَدْرِي الْمَسْحُ عَلَى الْخُفَّيْنِ بَعْدَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَكُنْتَ امْرَأً مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجِئْتُ أَسْأَلُكَ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي ذَلِكَ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كَانَ يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِيِنَ أَنْ لاَ نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ لَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . فَقُلْتُ هَلْ سَمِعْتَهُ يَذْكُرُ فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ إِذْ نَادَاهُ أَعْرَابِيٌّ بِصَوْتٍ لَهُ جَهْوَرِيٍّ يَا مُحَمَّدُ . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى نَحْوٍ مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ وَقُلْنَا لَهُ وَيْحَكَ اغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ فَإِنَّكَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَقَالَ وَاللَّهِ لاَ أَغْضُضُ . قَالَ الأَعْرَابِيُّ الْمَرْءُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . فَمَازَالَ يُحَدِّثُنَا حَتَّى ذَكَرَ بَابًا مِنْ قِبَلِ الْمَغْرِبِ مَسِيرَةُ عَرْضِهِ أَوْ يَسِيرُ الرَّاكِبُ فِي عَرْضِهِ أَرْبَعِينَ أَوْ سَبْعِينَ عَامًا قَالَ سُفْيَانُ قِبَلَ الشَّامِ خَلَقَهُ اللَّهُ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ مَفْتُوحًا يَعْنِي لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:৩৫৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৩৬
তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমতের বিবরণ
৩৫৩৬. আহমাদ ইবনে আব্দাহ দাব্বী (রাহঃ) ...... যির ইবনে হুবায়শ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি সাফওয়ান ইবনে আসসাল মুরাদী (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ কেন এসেছ? আমি বললামঃ ইলমের তালাশে। তিনি বললেনঃ আমার কাছে এই হাদীস পৌছেছে যে, ইলম তালাশকারী যা করে, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে ফিরিশতারা তাঁর জন্য তাঁদের পাখা বিছিয়ে দেন। তিনি বলেছেনঃ আমি বললামঃ চামড়ার মোজায় মাসাহ করার বিষয়ে আমার মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে। এই বিষয়ে কি আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছ থেকে কিছু সংরক্ষণ করেছেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, গোসল ফরযজনিত কারণ ব্যতীত, পায়খানা-প্রস্রাব ও নিদ্রাজনিত কারণে উযুর ব্যাপারে না ধোয়ার জন্য মুসাফির অবস্থায় তিন দিন চামড়ার মোজা না খুলতে আমাদের নর্দেশ দিয়েছেন।

আমি বললামঃ মুহাব্বাতের বিষয়ে কিছু নবী (ﷺ) থেকে সংরক্ষণ করেছেন কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, আমরা এক সফরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে ছিলাম। মজলিসের শেষদিকে অবস্থানরত এক বেদুঈন তখন চিৎকার করে তাঁকে বললঃ হে মুহাম্মাদ! হে মুহাম্মাদ! উপস্থিত লোকেরা তাকে বললঃ চুপ কর, এভাবে ডাকা নিষেধ, নবী (ﷺ) তার মত আওয়াজে জওয়াব দিলেনঃ আস। লোকটি বললঃ কোন ব্যক্তি এক সম্প্রদায়কে ভালবাসে কিন্তু সে তাদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে নি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে যাকে ভালবাসে সে তার সঙ্গে অবস্থান করবে।

যির (রাহঃ) বলেন, সাফওয়ান (রাযিঃ) আমাদের হাদীস বর্ণনা করতে থাকলেন। শেষে তিনি বর্ণনা করলেন যে, আল্লাহ তাআলা পশ্চিমে একটি তওবার দ্বার তৈরী করেছেন। এর প্রশস্ততা সত্তর বছরের পথ। পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় না ঘটা পর্যন্ত তা কখনও রুদ্ধ হবে না। আল্লাহর এই কালামে এইদিকে ইঙ্গিত রয়েছেঃ

يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا

যে দিন তোমার রবের কিছু নিদর্শনের আবির্ভাব ঘটবে, সেদিন তার ঈমান কোন কাজে আসবে না যে ব্যক্তি পূর্বে ঈমান আনেনি। (সূরা আনআম ৬ঃ ১৫৮)

হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، قَالَ أَتَيْتُ صَفْوَانَ بْنَ عَسَّالٍ الْمُرَادِيَّ فَقَالَ لِي مَا جَاءَ بِكَ قُلْتُ ابْتِغَاءَ الْعِلْمِ . قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا لِطَالِبِ الْعِلْمِ رِضًا بِمَا يَفْعَلُ . قَالَ قُلْتُ إِنَّهُ حَاكَ أَوْ قَالَ حَكَّ فِي نَفْسِي شَيْءٌ مِنَ الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِ شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا إِذَا كُنَّا سَفَرًا أَوْ مُسَافِرِينَ أُمِرْنَا أَنْ لاَ نَخْلَعَ خِفَافَنَا ثَلاَثًا إِلاَّ مِنْ جَنَابَةٍ وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ وَبَوْلٍ وَنَوْمٍ . قَالَ فَقُلْتُ فَهَلْ حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْهَوَى شَيْئًا قَالَ نَعَمْ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ فَنَادَاهُ رَجُلٌ كَانَ فِي آخِرِ الْقَوْمِ بِصَوْتٍ جَهْوَرِيٍّ أَعْرَابِيٌّ جِلْفٌ جَافٍ فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ . فَقَالَ لَهُ الْقَوْمُ مَهْ إِنَّكَ قَدْ نُهِيتَ عَنْ هَذَا . فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوًا مِنْ صَوْتِهِ هَاؤُمُ فَقَالَ الرَّجُلُ يُحِبُّ الْقَوْمَ وَلَمَّا يَلْحَقْ بِهِمْ . قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ " . قَالَ زِرٌّ فَمَا بَرِحَ يُحَدِّثُنِي حَتَّى حَدَّثَنِي أَنَّ اللَّهَ جَعَلَ بِالْمَغْرِبِ بَابًا عَرْضُهُ مَسِيرَةُ سَبْعِينَ عَامًا لِلتَّوْبَةِ لاَ يُغْلَقُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ قِبَلِهِ وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّْ : ( يومَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং:৩৫৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৩৭
তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমতের বিবরণ
৩৫৩৭. ইবরাহীম ইবনে ইয়াকুব (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ রুহ কন্ঠায় না পৌছা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা বান্দার তওবা অবশ্যই কবুল করবেন।ইবনে মাজাহ



হাদীসটি হাসান-গারিব। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَابِتِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ .
হাদীস নং:৩৫৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৫৩৮
তওবা ও ইস্তিগফারের ফযীলত এবং বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমতের বিবরণ
৩৫৩৮. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ হারিয়ে যাওয়া কোন ব্যক্তি পেলে যতখানি খুশি হয়, আল্লাহ তাআলা তোমাদের একজনের তওবায় এর চেয়ে বেশী আনন্দিত হন।ইবনে মাজাহ, মুসলিম

এ বিষয়ে ইবনে মাসউদ, নু’মান ইবনে বাশীর ও আনাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ এই সূত্রে গারীব। মাকহুল ......... আবু যর-নবী (ﷺ) থেকেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
باب فِي فَضْلِ التَّوْبَةِ وَالاِسْتِغْفَارِ وَمَا ذُكِرَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ لِعِبَادِهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَلَّهُ أَفْرَحُ بِتَوْبَةِ أَحَدِكُمْ مِنْ أَحَدِكُمْ بِضَالَّتِهِ إِذَا وَجَدَهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَأَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزِّنَادِ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ مَكْحُولٍ بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا .