আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৭. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৩৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৭৪
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৭৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে আমরা এক যুদ্ধে ছিলাম। ফেরার সময় মদীনা যখন আমাদের দৃষ্টি গোচর হল, তখন সাহাবীরা তাকবীর ধ্বনি দিলেন এবং তাদের স্বর উচ্চ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের রব তো বধিরও নন এবং তোমাদের থেকে দুরেও নন তিনি তো আছেন তোমাদের এবং সওয়ারী উট-এর মাথার মাঝামাঝি। এরপর তিনি বললেনঃ হে আব্দুল্লাহ ইবনে কায়স! তোমাকে কি জান্নাতের একটি গুপ্ত ভাণ্ডার সম্পর্কে অবহিত করব? (তা হল) লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্।
ইবনে মাজাহ, বুখারি ও মুসলিম।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু উছমান নাহদী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে মুল্ল। আবু নাআমা সা’দী (রাহঃ) এর নাম হল আমর ইবনে ঈসা। ইসহাক ইবনে মানসুর ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
ইবনে মাজাহ, বুখারি ও মুসলিম।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু উছমান নাহদী (রাহঃ) এর নাম হল আব্দুর রহমান ইবনে মুল্ল। আবু নাআমা সা’দী (রাহঃ) এর নাম হল আমর ইবনে ঈসা। ইসহাক ইবনে মানসুর ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ حَدَّثَنَا أَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزَاةٍ فَلَمَّا قَفَلْنَا أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَكَبَّرَ النَّاسُ تَكْبِيرَةً وَرَفَعُوا بِهَا أَصْوَاتَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ رَبَّكُمْ لَيْسَ بِأَصَمَّ وَلَا غَائِبٍ هُوَ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَ رُءُوسِ رِحَالِكُمْ ثُمَّ قَالَ يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ أَلَا أُعَلِّمُكَ كَنْزًا مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو عُثْمَانَ النَّهْدِيُّ اسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُلٍّ وَأَبُو نَعَامَةَ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عِيسَى.
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حُمَيْدٍ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ حُمَيْدٍ أَبِي الْمَلِيحِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৩৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৯৭
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৩৯৭. সালিহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ....... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত নবী (ﷺ) বলেছেনঃ শয্যার আশ্রয় গ্রহণের সময় কেই যদি (নিম্নের) এই দুআটি তিনবার পাঠ করে তবে গুনাহর সংখ্যা যদিও হয় সমুদ্রের ফেনার মত, গাছের পাতার মত, মরুভূমির ঘন বালূকারাশির মত, দুনিয়ার দিবসগুলির মত তবুও আল্লাহ তাআলা তার সে সব গুনাহ মাফ করে দিবেন। দুআটি এইঃ
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি সে আল্লাহর কাছে যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। যিনি চিরঞ্জীব স্বাধিষ্ট বিশ্বধাতা। আর আমি তার কাছে তাওবা করছি।
হাদীসটি হাসান গরীব। উবাইদুল্লাহ ইবনে ওয়ালীদ ওয়াসসাফী (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্র ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি সে আল্লাহর কাছে যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। যিনি চিরঞ্জীব স্বাধিষ্ট বিশ্বধাতা। আর আমি তার কাছে তাওবা করছি।
হাদীসটি হাসান গরীব। উবাইদুল্লাহ ইবনে ওয়ালীদ ওয়াসসাফী (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে এ সূত্র ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْوَصَّافِيِّ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يَأْوِي إِلَى فِرَاشِهِ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ غَفَرَ اللَّهُ ذُنُوبَهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ وَرَقِ الشَّجَرِ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ رَمْلِ عَالِجٍ وَإِنْ كَانَتْ عَدَدَ أَيَّامِ الدُّنْيَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ الْوَصَّافِيِّ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْوَلِيدِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৩৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৯৮
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৩৯৮. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ...... হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন নিদ্রায় যেতে ইচ্ছা করতেন তখন মাথার নীচে তার হাত রাখতেন এবং বলতেনঃ
اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
হে আল্লাহ! যেদিন তোমার বান্দাদের একত্রিত করবে আথবা বলেছেন তাদের উঠাবে সেদিন তোমার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করবে।
এ হাদীসটি হাসান- সহীহ।
اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
হে আল্লাহ! যেদিন তোমার বান্দাদের একত্রিত করবে আথবা বলেছেন তাদের উঠাবে সেদিন তোমার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করবে।
এ হাদীসটি হাসান- সহীহ।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ رَأْسِهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَجْمَعُ عِبَادَكَ أَوْ تَبْعَثُ عِبَادَكَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৩৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৯৯
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৩৯৯. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ...... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বণিত তিনি বলেনঃ নিদ্রার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার ডান হাত বালিশরূপে বানিয়ে নিতেন এবং বলতেনঃ (رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ) প্রতিপালক! যেদিন তোমার বান্দাদের উঠাবে সে দিন তোমার আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করবে।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান গারীব। ছাওরী (রাহঃ) এই হাদীসটি আবু ইসহাক থেকে বারা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতদুভয়ের মাঝে অন্য কারো নাম তিনি উল্লেখ করেন নি। শুবা (রাহঃ) এটি আবু ইসহাক-আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ বারা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। আবু ইসহাক-উবাইদা-আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
হাদীসটি এ সূত্রে হাসান গারীব। ছাওরী (রাহঃ) এই হাদীসটি আবু ইসহাক থেকে বারা (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতদুভয়ের মাঝে অন্য কারো নাম তিনি উল্লেখ করেন নি। শুবা (রাহঃ) এটি আবু ইসহাক-আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ বারা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। আবু ইসহাক-উবাইদা-আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، - هُوَ السَّلُولِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، رضى الله عنهما قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَوَسَّدُ يَمِينَهُ عِنْدَ الْمَنَامِ ثُمَّ يَقُولُ " رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرَوَى الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ لَمْ يَذْكُرْ بَيْنَهُمَا أَحَدًا وَرَوَى شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ وَرَجُلٍ آخَرَ عَنِ الْبَرَاءِ . وَرَوَى إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الْبَرَاءِ وَعَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
হাদীস নং: ৩৪০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০০
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০০. আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে শয্যাগ্রহণের সময় (নিম্নের) এই দুআটি পড়তে নির্দেশ দিতেনঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَرَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَفَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ وَالظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَالْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ
হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলীর প্রভু, যমীনসমূহের প্রভু, আমাদের এবং প্রত্যেকটি বস্তুর প্রতিপালক, বীজ ও দানার উদগাতা তাওরাত ইঞ্জীল ও কুরআন অবতীর্ণকারী, তোমারই কাছে পানাহ চাই প্রতিটি মন্দ বস্তর ক্ষতি থেকে। সে নিয়ন্ত্রন তোমারই হাতে। তুমিই প্রথম, তোমার আগে কিছু নেই, তুমিই সর্বশেষ তোমার পরে আর কিছু নেই। তুমিই জাহির, তোমার উর্ধ্বে কিছু নেই তুমিই গুপ্ত তোমার চাইতে আতি গুপ্ত আর কিছু নেই। তুমি পরিশোধ করে দাও আমার ঋণ, আর তুমি আমাকে অভাবমুক্ত কর।
মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَرَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَفَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ وَالظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَالْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ
হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলীর প্রভু, যমীনসমূহের প্রভু, আমাদের এবং প্রত্যেকটি বস্তুর প্রতিপালক, বীজ ও দানার উদগাতা তাওরাত ইঞ্জীল ও কুরআন অবতীর্ণকারী, তোমারই কাছে পানাহ চাই প্রতিটি মন্দ বস্তর ক্ষতি থেকে। সে নিয়ন্ত্রন তোমারই হাতে। তুমিই প্রথম, তোমার আগে কিছু নেই, তুমিই সর্বশেষ তোমার পরে আর কিছু নেই। তুমিই জাহির, তোমার উর্ধ্বে কিছু নেই তুমিই গুপ্ত তোমার চাইতে আতি গুপ্ত আর কিছু নেই। তুমি পরিশোধ করে দাও আমার ঋণ, আর তুমি আমাকে অভাবমুক্ত কর।
মুসলিম
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَأْمُرُنَا إِذَا أَخَذَ أَحَدُنَا مَضْجَعَهُ أَنْ يَقُولَ " اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَرَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَفَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ ذِي شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهِ أَنْتَ الأَوَّلُ فَلَيْسَ قَبْلَكَ شَيْءٌ وَأَنْتَ الآخِرُ فَلَيْسَ بَعْدَكَ شَيْءٌ وَالظَّاهِرُ فَلَيْسَ فَوْقَكَ شَيْءٌ وَالْبَاطِنُ فَلَيْسَ دُونَكَ شَيْءٌ اقْضِ عَنِّي الدَّيْنَ وَأَغْنِنِي مِنَ الْفَقْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০১
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০১. ইবনে আবু উমর ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ কেউ যদি বিছানা থেকে উঠে এবং পরে আবার ফিরে আসে তবে তাহবন্দের এক কিনার দিয়ে সে যেন তিনবার ঝেড়ে নেয়। কেননা সে জানে না, সে চলে যাওয়ার পর কি পড়ে আছে পিছনে। তারপর যখন সে শোবে তখন যেন সে বলেঃ
بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
তোমার নামেই হে রব! আমার পার্শ্বদের আমি রাখছি, তোমার নামে তা উঠাব। তুমি যদি আটকিয়ে রাখ আমার প্রাণ, তবে রহম কর এর প্রতি। আর যদি ছেড়ে দাও তা,তবে হেফাযত কর এবং যেভাবে হেফাজত কর তেমার নেক বান্দাদের। আর যখন সে জাগবে তখন যেন সে বলেঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَىَّ رُوحِي وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ
সব প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমার দেহের সুস্থতা রক্ষা করেছেন। আমার রুহ আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং তাঁর যিক্রের অনুমতি আমাকে দিয়েছেন।
বুখারি ও মুসলিম
এ বিষয়ে জাবির,আয়িশা (রাযিঃ) থেকে ও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান।
بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ
তোমার নামেই হে রব! আমার পার্শ্বদের আমি রাখছি, তোমার নামে তা উঠাব। তুমি যদি আটকিয়ে রাখ আমার প্রাণ, তবে রহম কর এর প্রতি। আর যদি ছেড়ে দাও তা,তবে হেফাযত কর এবং যেভাবে হেফাজত কর তেমার নেক বান্দাদের। আর যখন সে জাগবে তখন যেন সে বলেঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَىَّ رُوحِي وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ
সব প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমার দেহের সুস্থতা রক্ষা করেছেন। আমার রুহ আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এবং তাঁর যিক্রের অনুমতি আমাকে দিয়েছেন।
বুখারি ও মুসলিম
এ বিষয়ে জাবির,আয়িশা (রাযিঃ) থেকে ও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ عَنْ فِرَاشِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ فَلْيَنْفُضْهُ بِصَنِفَةِ إِزَارِهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ فَإِنَّهُ لاَ يَدْرِي مَا خَلَفَهُ عَلَيْهِ بَعْدَهُ فَإِذَا اضْطَجَعَ فَلْيَقُلْ بِاسْمِكَ رَبِّي وَضَعْتُ جَنْبِي وَبِكَ أَرْفَعُهُ فَإِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِي فَارْحَمْهَا وَإِنْ أَرْسَلْتَهَا فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِهِ عِبَادَكَ الصَّالِحِينَ . فَإِذَا اسْتَيْقَظَ فَلْيَقُلِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي فِي جَسَدِي وَرَدَّ عَلَىَّ رُوحِي وَأَذِنَ لِي بِذِكْرِهِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَعَائِشَةَ . قَالَ حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৩
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০৩. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... ফারওয়া ইবনে নাওফাল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দিন যা আমি আমার শয্যাগ্রহণের সময় বলতে পারি। তিনি বললেনঃ ক্বুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন সূরাটি পাঠ করবে। কেননা এটি হল শিরকের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা।
শু’বা (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু ইসহাক (রাহঃ) কখনও কখনও ’একবার’ শব্দটির উল্লেখ করেছেন, আর কখনও তা উল্লেখ করেন নি। মুসা ইবনে হিযাম (রাহঃ) ......... ফারওয়া ইবনে নাওফাল তার পিতা নাওফাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এসেছিলেন। এরপর রাবী পূর্বের হাদীসটির অনুরূপ বর্ণনা করেন। এ রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ।
যুহাইর (রাহঃ) এ হাদীসটি আবু ইসহাক ফারওয়া ইবনে নাওফাল ......... তার পিতা নাওফাল (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এটি শুবা (রাহঃ) এর তুলনায় অধিক সামঞ্জস্যশীল ও অধিকতর সহীহ।
আবু ইসহাক (রাহঃ) এর শাগরিদগণ এ হাদীসটির সনদে ইযতিরাব করেছেন। অন্য সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত আছে। আব্দুর রহমান ইবনে নাওফাল (রাহঃ)-ও এটি তার পিতা নাওফাল (রাযিঃ) এর বারাতে নবী (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। এই আব্দুর রহমান হলেন ফারওয়াহ ইবনে নাওফাল এর ভাই।
শু’বা (রাহঃ) বলেনঃ রাবী আবু ইসহাক (রাহঃ) কখনও কখনও ’একবার’ শব্দটির উল্লেখ করেছেন, আর কখনও তা উল্লেখ করেন নি। মুসা ইবনে হিযাম (রাহঃ) ......... ফারওয়া ইবনে নাওফাল তার পিতা নাওফাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এসেছিলেন। এরপর রাবী পূর্বের হাদীসটির অনুরূপ বর্ণনা করেন। এ রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ।
যুহাইর (রাহঃ) এ হাদীসটি আবু ইসহাক ফারওয়া ইবনে নাওফাল ......... তার পিতা নাওফাল (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এটি শুবা (রাহঃ) এর তুলনায় অধিক সামঞ্জস্যশীল ও অধিকতর সহীহ।
আবু ইসহাক (রাহঃ) এর শাগরিদগণ এ হাদীসটির সনদে ইযতিরাব করেছেন। অন্য সূত্রেও হাদীসটি বর্ণিত আছে। আব্দুর রহমান ইবনে নাওফাল (রাহঃ)-ও এটি তার পিতা নাওফাল (রাযিঃ) এর বারাতে নবী (ﷺ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। এই আব্দুর রহমান হলেন ফারওয়াহ ইবনে নাওফাল এর ভাই।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، رضى الله عنه أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي شَيْئًا أَقُولُهُ إِذَا أَوَيْتُ إِلَى فِرَاشِي قَالَ " اقْرَأْْ : ( قلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ " . قَالَ شُعْبَةُ أَحْيَانًا يَقُولُ مَرَّةً وَأَحْيَانًا لاَ يَقُولُهَا .
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ حِزَامٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَهَذَا أَصَحُّ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى زُهَيْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَهَذَا أَشْبَهُ وَأَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ . وَقَدِ اضْطَرَبَ أَصْحَابُ أَبِي إِسْحَاقَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ قَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ هُوَ أَخُو فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ .
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ حِزَامٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَهَذَا أَصَحُّ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَى زُهَيْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَهَذَا أَشْبَهُ وَأَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ . وَقَدِ اضْطَرَبَ أَصْحَابُ أَبِي إِسْحَاقَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ قَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَوْفَلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ هُوَ أَخُو فَرْوَةَ بْنِ نَوْفَلٍ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৪
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০৪. হিশাম ইবনে ইউনুস আল-কূফী (রাহঃ) ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) তানযিল আস-সাজাদা ও তাবারাক সূরাদ্বয় পাঠ না করে ঘুমাতেন না।
ছাওরি প্রমুখ (রাহঃ) এ হাদীসটি লাঈস আবু যুবাইর-জাবির (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
যুহাইর (রাহঃ) আবুয যুবাইর (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আমি আবুয যুবাইর (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনি কি সরাসরি জাবির (রাযিঃ) থেকে হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বললেন আমি সরাসরি জাবির (রাযিঃ) থেকে এটি শুনি নাই। আমি সাফওয়ান কিংবা ইবনুস সাফওয়ান (রাহঃ) থেকে শুনেছি।
শাবাবা (রাহঃ) এটিকে মুগীরা ইবনে মুসলিম-আবুয যুবাইর-জাবির (রাযিঃ) থেকে লায়ছ (রাহঃ) এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ছাওরি প্রমুখ (রাহঃ) এ হাদীসটি লাঈস আবু যুবাইর-জাবির (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
যুহাইর (রাহঃ) আবুয যুবাইর (রাহঃ) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আমি আবুয যুবাইর (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনি কি সরাসরি জাবির (রাযিঃ) থেকে হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বললেন আমি সরাসরি জাবির (রাযিঃ) থেকে এটি শুনি নাই। আমি সাফওয়ান কিংবা ইবনুস সাফওয়ান (রাহঃ) থেকে শুনেছি।
শাবাবা (রাহঃ) এটিকে মুগীরা ইবনে মুসলিম-আবুয যুবাইর-জাবির (রাযিঃ) থেকে লায়ছ (রাহঃ) এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُونُسَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، رضى الله عنه قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ بِتَنْزِيلَ السَّجْدَةِ وَبِتَبَارَكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى سُفْيَانُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ لَيْثٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَرَوَى زُهَيْرٌ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ قَالَ قُلْتُ لَهُ سَمِعْتَهُ مِنْ جَابِرٍ قَالَ لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ جَابِرٍ إِنَّمَا سَمِعْتُهُ مِنْ صَفْوَانَ أَوِ ابْنِ صَفْوَانَ . وَرَوَى شَبَابَةُ عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ نَحْوَ حَدِيثِ لَيْثٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৫
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০৫. সালিহ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (ﷺ) সূরা আয যুমার ও বণী ইসরাঈল পাঠ না করা পর্যন্ত ঘুমাতেন না।
মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ) বলেনঃ আবু লুবাবা (রাহঃ) এর নাম হল মারওয়ান, যিনি আব্দুর রহমান ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) এর মাওলা। আর তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং তার নিকট থেকে হাম্মাদ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) হাদীস শুনেছেন।
মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ) বলেনঃ আবু লুবাবা (রাহঃ) এর নাম হল মারওয়ান, যিনি আব্দুর রহমান ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) এর মাওলা। আর তিনি আয়িশা (রাযিঃ) থেকে হাদীস শুনেছেন এবং তার নিকট থেকে হাম্মাদ ইবনে যিয়াদ (রাহঃ) হাদীস শুনেছেন।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ رضى الله عنها كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الزُّمَرَ وَبَنِي إِسْرَائِيلَ . أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ أَبُو لُبَابَةَ هَذَا اسْمُهُ مَرْوَانُ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ وَسَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ سَمِعَ مِنْهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৬
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০৬. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ..... ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে নবী (ﷺ) আল মুসাব্বিহাত সূরাগুলো পাঠ না করে ঘুমাতেন না। আর তিনি বলতেনঃ এগুলোতে এমন একটি আয়াত রয়েছে যা হাজার আয়াত থেকেও শ্রেষ্ঠ।
এ হাদীসটি হাসান- গারীব।
এ হাদীসটি হাসান- গারীব।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بِلاَلٍ، عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، رضى الله عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَنَامُ حَتَّى يَقْرَأَ الْمُسَبِّحَاتِ وَيَقُولُ " فِيهَا آيَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ آيَةٍ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪০৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৭
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪০৭. মাহমুদ ইবনে গাইলান (রাহঃ) ..... বানু হানযালার জনৈক ব্যক্তি থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি এক সফরে শাদ্দাদ ইবনে আউস (রাযিঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের যা পাঠ করতে শিখাতেন আমি কি তা তোমাদের শিখাব,তা হলঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الأَمْرِ وَأَسْأَلُكَ عَزِيمَةَ الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَقَلْبًا سَلِيمًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ إِنَّكَ أَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ
হে আল্লাহ! আমি চাই তোমার কাছে দীনী বিষয়ে আবিচলতা, আর চাই হিদায়াতের উপর দৃঢ় সংকল্পতা, আমি যাচঞা করি তোমার কাছে নিআমতসমূহের শুকরগুযারী এবং তোমার উত্তম ইবাদত আর প্রার্থন করি তোমার কাছে সত্যবাদী যবান আর কলুষমুক্ত অন্তর। পানাহ চাই তোমার কাছে তুমি যা জান সে সব বিষয়ের মন্দ থেকে। আর চাই তোমার কাছে তুমি যা জান সে সব বিষয়ের কল্যাণ। ক্ষমা চাই তোমার কাছে সে সব পাপের যা তুমি জান। তুমিই তো অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত।
তিনি আরো বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন মুসলিম যখন শয্যাগ্রহণ করে আর সে আল্লাহর কিতাবের কোন সূরা পাঠ করে তখন আল্লাহ তাআলা তার জন্য একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। ফলে যে সময় সে জাগ্রত হোক না কেন কষ্টদায়ক কোন জিনিস তার কাছেও পৌছতে পারবে না।
এ হাদীসটিকে এ সূত্রেই কেবল আমরা জানি। রাবী আবুল আলা (রাহঃ) এর নাম হল ইয়াযীদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الأَمْرِ وَأَسْأَلُكَ عَزِيمَةَ الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَقَلْبًا سَلِيمًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ إِنَّكَ أَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ
হে আল্লাহ! আমি চাই তোমার কাছে দীনী বিষয়ে আবিচলতা, আর চাই হিদায়াতের উপর দৃঢ় সংকল্পতা, আমি যাচঞা করি তোমার কাছে নিআমতসমূহের শুকরগুযারী এবং তোমার উত্তম ইবাদত আর প্রার্থন করি তোমার কাছে সত্যবাদী যবান আর কলুষমুক্ত অন্তর। পানাহ চাই তোমার কাছে তুমি যা জান সে সব বিষয়ের মন্দ থেকে। আর চাই তোমার কাছে তুমি যা জান সে সব বিষয়ের কল্যাণ। ক্ষমা চাই তোমার কাছে সে সব পাপের যা তুমি জান। তুমিই তো অদৃশ্য সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত।
তিনি আরো বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ কোন মুসলিম যখন শয্যাগ্রহণ করে আর সে আল্লাহর কিতাবের কোন সূরা পাঠ করে তখন আল্লাহ তাআলা তার জন্য একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। ফলে যে সময় সে জাগ্রত হোক না কেন কষ্টদায়ক কোন জিনিস তার কাছেও পৌছতে পারবে না।
এ হাদীসটিকে এ সূত্রেই কেবল আমরা জানি। রাবী আবুল আলা (রাহঃ) এর নাম হল ইয়াযীদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে শিখখীর।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ بْنِ الشِّخِّيرِ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ بَنِي حَنْظَلَةَ قَالَ صَحِبْتُ شَدَّادَ بْنَ أَوْسٍ رضى الله عنه فِي سَفَرٍ فَقَالَ أَلاَ أُعَلِّمُكَ مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا أَنْ نَقُولَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِي الأَمْرِ وَأَسْأَلُكَ عَزِيمَةَ الرُّشْدِ وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ وَأَسْأَلُكَ لِسَانًا صَادِقًا وَقَلْبًا سَلِيمًا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ مِمَّا تَعْلَمُ إِنَّكَ أَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ . قَالَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَأْخُذُ مَضْجَعَهُ يَقْرَأُ سُورَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ إِلاَّ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ مَلَكًا فَلاَ يَقْرَبُهُ شَيْءٌ يُؤْذِيهِ حَتَّى يَهُبَّ مَتَى هَبَّ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَالْجُرَيْرِيُّ هُوَ سَعِيدُ بْنُ إِيَاسٍ أَبُو مَسْعُودٍ الْجُرَيْرِيُّ وَأَبُو الْعَلاَءِ اسْمُهُ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১০
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪১০. আহমাদ ইবনে মানী (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এমন দুটো অভ্যাস রয়েছে যদি কোন মুসলিম সে দুটো আয়ত্ব করতে পারে তবে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। জেনে রাখ, এ দুটো আভ্যাস খুবই সহজ কিন্তু এ আনুসারে আমলকারীর সংখ্যা খুবই কম। প্রত্যেক নামাযের পর দশবার সুবহানাল্লাহ দশবার আলহামদু লিল্লাহ দশবার আল্লাহু আকবার পাঠ করবে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হাতের সাহায্যে তা গণনা করতে দেখেছি। নবী (ﷺ) বলেনঃ যবানে তো মোট হয় একশত পঞ্চাশবার আর মীযানের পাল্লায় হবে এক হাজার পাঁচশতবার।
আর যখন শয্যাগ্রহণ করবে তখন সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করবে একশতবার। এ যবানে তো হল একশ কিন্তু মীযানের পাল্লায় হবে হাজার। তোমাদের মাঝে এমন কে আছে যে রাত দিনে দু’ হাজার পাঁচশ গুনাহ করে! সাহাবীগণ বললেন আমরা এ দুটো অভ্যাস কেন আয়ত্ব করতে পারব না ?
নবীজী বললেনঃ তোমাদের একজন যখন নামাযে থাকে তখন শয়তান আসে আর তাকে বলতে থাকে এটা মনে কর ওটা মনে কর। এমন কি সে নামায শেষ করে ফেলে। হয়তো সে কারণে সে তা আয়ত্ত করতে পারে না। ফলে তার শয্যাগ্রহণের সময় সে আসে এবং তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে। শেষে সে ঘুমিয়ে যায়।
ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা ও ছাওরী (রাহঃ) এই হাদীসটি আতা ইবনুস সাইব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আ’মাশ (রাহঃ)-ও এটি আতা ইবনুস সাইব (রাহঃ) থেকে সংক্ষিপ্তাকারে রিওয়ায়াত করেছেন। এ বিষয়ে যায়দ ইবনে ছাবিত আনাস ও আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে হাতের সাহায্যে তা গণনা করতে দেখেছি। নবী (ﷺ) বলেনঃ যবানে তো মোট হয় একশত পঞ্চাশবার আর মীযানের পাল্লায় হবে এক হাজার পাঁচশতবার।
আর যখন শয্যাগ্রহণ করবে তখন সুবহানাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পাঠ করবে একশতবার। এ যবানে তো হল একশ কিন্তু মীযানের পাল্লায় হবে হাজার। তোমাদের মাঝে এমন কে আছে যে রাত দিনে দু’ হাজার পাঁচশ গুনাহ করে! সাহাবীগণ বললেন আমরা এ দুটো অভ্যাস কেন আয়ত্ব করতে পারব না ?
নবীজী বললেনঃ তোমাদের একজন যখন নামাযে থাকে তখন শয়তান আসে আর তাকে বলতে থাকে এটা মনে কর ওটা মনে কর। এমন কি সে নামায শেষ করে ফেলে। হয়তো সে কারণে সে তা আয়ত্ত করতে পারে না। ফলে তার শয্যাগ্রহণের সময় সে আসে এবং তাকে ঘুম পাড়াতে থাকে। শেষে সে ঘুমিয়ে যায়।
ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা ও ছাওরী (রাহঃ) এই হাদীসটি আতা ইবনুস সাইব (রাহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আ’মাশ (রাহঃ)-ও এটি আতা ইবনুস সাইব (রাহঃ) থেকে সংক্ষিপ্তাকারে রিওয়ায়াত করেছেন। এ বিষয়ে যায়দ ইবনে ছাবিত আনাস ও আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَلَّتَانِ لاَ يُحْصِيهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلاَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ أَلاَ وَهُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ عَشْرًا وَيَحْمَدُهُ عَشْرًا وَيُكَبِّرُهُ عَشْرًا " . قَالَ فَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَالَ " فَتِلْكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ وَخَمْسُمِائَةٍ فِي الْمِيزَانِ وَإِذَا أَخَذْتَ مَضْجَعَكَ تُسَبِّحُهُ وَتُكَبِّرُهُ وَتَحْمَدُهُ مِائَةً فَتِلْكَ مِائَةٌ بِاللِّسَانِ وَأَلْفٌ فِي الْمِيزَانِ فَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ أَلْفَيْنِ وَخَمْسَمِائَةِ سَيِّئَةٍ " . قَالُوا وَكَيْفَ لاَ يُحْصِيهَا قَالَ " يَأْتِي أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ وَهُوَ فِي صَلاَتِهِ فَيَقُولُ اذْكُرْ كَذَا اذْكُرْ كَذَا . حَتَّى يَنْفَتِلَ فَلَعَلَّهُ أَنْ لاَ يَفْعَلَ وَيَأْتِيهِ وَهُوَ فِي مَضْجَعِهِ فَلاَ يَزَالُ يُنَوِّمُهُ حَتَّى يَنَامَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ هَذَا الْحَدِيثَ . وَرَوَى الأَعْمَشُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ مُخْتَصَرًا . وَفِي الْبَابِ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَأَنَسٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهم .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১১
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪১১. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল আ’লা সানআনী (রাহঃ) .... আব্দু্ল্লাহ ইবনে আমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আঙ্গুলের নীচে তাসবিহ গণনা করতে দেখেছি।
আ’মাশ (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি হাসান-গরীব।
আ’মাশ (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি হাসান-গরীব।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَثَّامُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، رضى الله عنهما قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُ التَّسْبِيحَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الأَعْمَشِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৪১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১২
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪১২. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে সামুরা আহমাসী আল কূফী (রাহঃ) ..... কা’ব ইবনে উজরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ (নামায) পরর্বতী এমন কতগুলো কালেমা আছে যে ব্যক্তি এগুলো পাঠ করবে,সে বিফল হবে না। প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ,৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহহু আকবার পাঠ করবে।
মুসলিম,
হাসানটি হাসান। বর্ণনাকারি আমর ইবনে কায়েস মূলাঈ
আস্থাযোগ্য ও হাফিজুল হাদীস। শু’বা (রাহঃ) এই হাদীসটি হাকাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এটিকে মারফু করেন নি। মনসুর ইবনে মু’তামির (রাহঃ) এটি হাকাম (রাহঃ) থেকে মারফূ রূপে বর্ণনা করেছেন।
মুসলিম,
হাসানটি হাসান। বর্ণনাকারি আমর ইবনে কায়েস মূলাঈ
আস্থাযোগ্য ও হাফিজুল হাদীস। শু’বা (রাহঃ) এই হাদীসটি হাকাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি এটিকে মারফু করেন নি। মনসুর ইবনে মু’তামির (রাহঃ) এটি হাকাম (রাহঃ) থেকে মারফূ রূপে বর্ণনা করেছেন।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ الأَحْمَسِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ قَيْسٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مُعَقِّبَاتٌ لاَ يَخِيبُ قَائِلُهُنَّ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيَحْمَدُهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَيُكَبِّرُهُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَعَمْرُو بْنُ قَيْسٍ الْمُلاَئِيُّ ثِقَةٌ حَافِظٌ . وَرَوَى شُعْبَةُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الْحَكَمِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَرَوَاهُ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ عَنِ الْحَكَمِ وَرَفَعَهُ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৩
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪১৩. ইয়াহয়া ইবনে খালাফ (রাহঃ) ...... যায়দ ইবনে ছাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমাদেরকে প্রত্যেক নামাযের পর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পাঠ করার র্নিদেশ দেয়া হয়েছে। বর্ণনাকারি বলেন, জনৈক আনসারি ব্যক্তি স্বপ্নে বলেলনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি তোমাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রত্যেক নামাযের পর সুবাহানাল্লাহ ৩৩ বার আলহামদুলিল্লহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার পড়বে? বললেনঃ হ্যাঁ। বললেনঃ পঁচিশবার পড় এবং তার সঙ্গে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়। পরদিন বিষয়টি নবী (ﷺ) এর সামনে বলা হলে তিনি বললেনঃ কর।
ইবনে খুজাইমাহ
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি সহীহ।
ইবনে খুজাইমাহ
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি সহীহ।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، رضى الله عنه قَالَ أُمِرْنَا أَنْ نُسَبِّحَ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَنَحْمَدَهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَنُكَبِّرَهُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ . قَالَ فَرَأَى رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فِي الْمَنَامِ فَقَالَ أَمَرَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُسَبِّحُوا فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدُوا اللَّهَ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُكَبِّرُوا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ قَالَ نَعَمْ . قَالَ فَاجْعَلُوا خَمْسًا وَعِشْرِينَ وَاجْعَلُوا التَّهْلِيلَ مَعَهُنَّ فَغَدَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَحَدَّثَهُ فَقَالَ " افْعَلُوا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৬
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪১৬. ইসহাক ইবনে মানমূর (রাহঃ) ..... রাবীআ ইবনে কাব আল-আসলামী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি নবী (ﷺ) এর দরজার পার্শ্বে রাত অতিবাহিত করতাম। তার উযুর পানি আমি দিতাম। রাতে অনেক্ষণ আমি শুনতাম, তিনি বলছেনঃ সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ। রাতের বহুক্ষণ শুনতাম তিনি বলছেনঃ আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।
ইবনে মাজাহ , মুসলিম,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইবনে মাজাহ , মুসলিম,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ وَعَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ قَالُوا حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ كَعْبٍ الأَسْلَمِيُّ، قَالَ كُنْتُ أَبِيتُ عِنْدَ بَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأُعْطِيهِ وَضُوءَهُ فَأَسْمَعُهُ الْهَوِيَّ مِنَ اللَّيْلِ يَقُولُ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . وَأَسْمَعُهُ الْهَوِيَّ مِنَ اللَّيْلِ يَقُولُ " الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৪১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪১৭
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এ বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪১৭. উমর ইবনে ইসমাঈল ইবনে মুজালিদ ইবনে সাঈদ হামদানী (রাহঃ) ..... হুযাইফা ইবনে ইয়ামান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন শুতে ইচ্ছা করতেন তখন পাঠ করতেনঃ
(اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا) - হে আল্লাহ! তোমার নামে ঘুমাই আবার জীবিত হই।
আর যখন ঘুম থেকে জাগতেন তখন তিনি বলতেনঃ (الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَا نَفْسِي بَعْدَ مَا أَمَاتَهَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ) - সব তারীফ আল্লাহর যিনি আমার প্রাণ যিন্দা করেছেন নিদ্রারূপ মৃত্যু দানের পর। আর তারই দিকে তো আমাদের উথান।
ইবনে মাজাহ , বুখারি,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
(اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا) - হে আল্লাহ! তোমার নামে ঘুমাই আবার জীবিত হই।
আর যখন ঘুম থেকে জাগতেন তখন তিনি বলতেনঃ (الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَا نَفْسِي بَعْدَ مَا أَمَاتَهَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ) - সব তারীফ আল্লাহর যিনি আমার প্রাণ যিন্দা করেছেন নিদ্রারূপ মৃত্যু দানের পর। আর তারই দিকে তো আমাদের উথান।
ইবনে মাজাহ , বুখারি,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، رضى الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَنَامَ قَالَ " اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا " . وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَا نَفْسِي بَعْدَ مَا أَمَاتَهَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং: ৩৪২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪২৭
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এই বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪২৭. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) .... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে তিনি বলেন নবী (ﷺ) যখন তার ঘর থেকে বের হতেন তখন বলতেনঃ
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نَضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ نُظْلَمَ أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا
আল্লাহর নামে আল্লাহর উপরই করেছি ভরসা। হে আল্লাহ! আমরা পানাহ চাই তোমারই (অনিচ্ছাবশতঃ) পদস্খলন থেকে বা পথভ্রষ্টতা থেকে বা অত্যাচার করা থেকে বা অত্যাচারিত হওয়া থেকে বা মূর্খতা প্রদর্শন থেকে বা আমাদের উপর মূর্খ আচারণ হওয়া থেকে।
ইবনে মাজাহ,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نَضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ نُظْلَمَ أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا
আল্লাহর নামে আল্লাহর উপরই করেছি ভরসা। হে আল্লাহ! আমরা পানাহ চাই তোমারই (অনিচ্ছাবশতঃ) পদস্খলন থেকে বা পথভ্রষ্টতা থেকে বা অত্যাচার করা থেকে বা অত্যাচারিত হওয়া থেকে বা মূর্খতা প্রদর্শন থেকে বা আমাদের উপর মূর্খ আচারণ হওয়া থেকে।
ইবনে মাজাহ,
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ قَالَ " بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ اللَّهُمَّ إِنَّا نَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نَزِلَّ أَوْ نَضِلَّ أَوْ نَظْلِمَ أَوْ نُظْلَمَ أَوْ نَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيْنَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
হাদীস নং: ৩৪৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৪
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এই বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪৪৪. আব্দুল্লাহ ইবনে আবু যিয়াদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে এসে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি সফরের ইচ্ছা করছি আমাকে কিছু পাথেয় দান করুন।
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে পাথেয় হিসাবে তাকওয়া দান করুন।
লোকটি বললঃ আরও কিছু বাড়িয়ে দান করুন।
তিনি বললেনঃ তোমার গুনাহ মাগফিরাত দান করুন।
লোকটি বললঃ আপনার জন্য আমার পিতা মাতা কুরবান আরো বৃদ্ধি করুন।
তিনি বললেনঃ যেখানেই তুমি থাকনা কেন তোমার জন্য আল্লাহ তাআলা কল্যাণ সহজলভ্য করে দিন।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- গারীব।
তিনি বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাকে পাথেয় হিসাবে তাকওয়া দান করুন।
লোকটি বললঃ আরও কিছু বাড়িয়ে দান করুন।
তিনি বললেনঃ তোমার গুনাহ মাগফিরাত দান করুন।
লোকটি বললঃ আপনার জন্য আমার পিতা মাতা কুরবান আরো বৃদ্ধি করুন।
তিনি বললেনঃ যেখানেই তুমি থাকনা কেন তোমার জন্য আল্লাহ তাআলা কল্যাণ সহজলভ্য করে দিন।
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- গারীব।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ سَفَرًا فَزَوِّدْنِي . قَالَ " زَوَّدَكَ اللَّهُ التَّقْوَى " . قَالَ زِدْنِي . قَالَ " وَغَفَرَ ذَنْبَكَ " . قَالَ زِدْنِي بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي . قَالَ " وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
হাদীস নং: ৩৪৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪৪৫
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত যাবতীয় দোয়া-জিকির
এই বিষয়ে আরেকটি পরিচ্ছেদ
৩৪৪৫. মুসা ইবনে আব্দুর রহমান কিন্দী কূফী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক ব্যক্তি বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি সফরের ইরাদা করছি, আমাকে কিছু নসিহত করুন। তিনি বললেন আল্লাহর তাকওয়া আবলম্বন করবে। প্রত্যেক উঁচু স্থানে উঠার সময় আল্লাহু আকবার বলবে। লোকটি যখন ফিরে যাচ্ছিল তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! তার জন্য দূরত্ব হ্রাস করে দিন এবং তার জন্য সফর সহজ করে দিন।
ইবনে মজাহ
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান।
ইবনে মজাহ
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান।
أبواب الدعوات عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْكِنْدِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أُسَافِرَ فَأَوْصِنِي . قَالَ " عَلَيْكَ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالتَّكْبِيرِ عَلَى كُلِّ شَرَفٍ " . فَلَمَّا أَنْ وَلَّى الرَّجُلُ قَالَ " اللَّهُمَّ اطْوِ لَهُ الأَرْضَ وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
তাহকীক: