আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩৩১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩১৮
সূরা আত-তাহরীম
৩৩১৮. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ (إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا) - যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুকে পড়েছে তাই তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তাওবা কর। তবে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দিবেন। (সূরা তাহরীম ৬৬ঃ ৪) আয়াতটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যে দুইজন সহধর্মিণীর উল্লেখ করা হয়েছে। তারা কারা সে সম্পর্কে উমর (রাযিঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করার জন্য আমি অনেক দিন লালায়িত ছিলাম। শেষে উমর (রাযিঃ) একবার হজ্জ করতে গেলে আমিও তার সঙ্গে সে হজ্জে ছিলাম। একদিন তিনি উযু করছিলেন আর আমি পাত্র থেকে পানি ঢেলে দিচ্ছিলাম। আমি তাকে বললামঃ হে আমিরুল মুমিণীন! (إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا) আয়াতটিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যে দুই স্ত্রীর উল্লেখ করা হয়েছে তারা কারা?

তিনি বললেনঃ হে ইবনে আব্বাস, আশ্চর্য! যুহরী (রাহঃ) বলেন উমর (রাযিঃ) জিজ্ঞাসা্য বিষয়টি পছন্দ করেন নি, তবে তিনি বিষয়টি গোপনও করলেন না। যা হোক তিনি বললেনঃ এরা হল আয়িশা ও হাফসা। এরপর তিনি আমাকে পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করা শুরু করেন। তিনি বলেন আমরা কুরাইশী সম্প্রদায় ছিলাম স্ত্রীদের উপর প্রবল। কিন্তু মদীনায় এসে দেখতে পেলাম যে, এরা এমন এক সম্প্রদায় যাদের উপর তাদের স্ত্রীরা প্রবল। এখানে আমাদের স্ত্রীরাও তাদের আচরণ শিখতে শুরু করে। একদিন একটি বিষয়ে আমার স্ত্রীর উপর আমি রাগ করি। সে তখন আমাকে প্রত্যুত্তর দেয় তার সে প্রত্যুত্তর করাটা আমি অপছন্দ করি। তখন সে বলল আপনি মন্দ ভাবছেন কেন? আল্লাহর কসম রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সহধর্মিণীরাও তো তার কথার প্রত্যুত্তর করে থাকেন এবং তাদের কেউ কেউ দিন থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বন্ধ করে রাখেন।

উমর (রাযিঃ) বললেনঃ আমি মনে মনে বললাম তাদের যে জন এ ধরণের কাজ করে সেত লাঞ্ছিত ও ধংস হয়ে যাবে।

উমর (রাযিঃ) বলেনঃ মদীনায় আওয়ালী অঞ্চলে বানু উমাইয়ায় ছিল আমার বাস। আমার এক আনসারী প্রতিবেশী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দরবারে হাযিরী প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা পালা নির্ধারণ করে নেই। তিনি এক দিন সেখানে হাজির হতেন এবং সে দিন ওহী ও অন্যান্য বিষয়ের খবরাদি আমার কাছে নিয়ে আসতেন। আরেক দিন আমি হাযির হতাম আর তার কাছে অনুরূপ খবরাদি নিয়ে আসতাম। তখন আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল যে, গাসসানীরা আমাদেও বিরুদ্ধে লড়ার জন্য অশ্বসমূহে নাল লাগিয়ে তৈরী করে রাখছে। যাহোক আমার ঐ প্রতিবেশী একদিন ইশার সময় আমার বাড়ি আসে এবং দরজায় করাঘাত করে আমি তার কাছে বের হয়ে এলাম। তিনি বললেনঃ একটি ভীষণ ব্যাপার ঘটে গেছে।

আমি বললাম গাসসানীরা কি এসে গেছে? তিনি বললেন এর চেয়েও ভীষণ ব্যাপার। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তাঁর সহধর্মিনীদেরকে তালাক দিয়ে দিয়েছেন।

আমি মনে মনে বললাম হাফসা নিরাশ হল এবং ক্ষতিগ্রস্ত হল। আমারো ধারণা ছিল যে,এমন একটি বিষয় কোন দিন ঘটতে পারে। ফজরের নামায আদায় করে আমি কাপড়-চোপড় পরলাম। রওয়ানা হয়ে হাফসা এর কাছে পৌছলাম। সে তখন কাঁদছিল। আমি বললাম রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কি তোমাদের তালাক দিয়ে দিয়েছেন?

সে বললঃ আমি জানি না। এই তো তিনি ঐ চিলেকোঠায় আলাদা হয়ে আছেন। উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি সে দিকে গেলাম। কালোবর্ণের একটি গোলামকে সেখানে পেলাম। বললাম উমরের জন্য অনুমতি প্রার্থনা কর।

সে ভেতরে গেল। পরে আমার কছে বের হয়ে এল। বললঃ আপনার কথা তাকে বলেছি কিন্তু কিছুই বললেন না তিনি।

আমি মসজিদে চলে এলাম। মিম্বরের চারপাশে বসে কিছু লোক কাঁদছেন। আমি তাদের কাছে বসে গেলাম। কিন্তু পুনঃ আমার মনের উদ্বেগ প্রবল হয়ে উঠল। গোলামটির কাছে এলাম। বললাম উমরের জন্য অনুমতি নিয়ে এস। সে ভেতরে চলে গেল। এরপর আমার কাছে বের হয়ে এসে বললঃ আমি আপনার কথা তার কাছে উল্লেখ করেছি কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না।

আমি আবার মসজিদে চলে এলাম এবং বসে পড়লাম। পরে আবার আমার ভিতরে উদ্বেগ প্রবল হয়ে উঠল। গোলামটির কাছে এলাম এবং বললাম উমরের জন্য অনুমতি প্রার্থনা কর। সে ভিতরে গিয়ে পুনর্বার বের হয়ে এল। বলল আপনার কথা তো তাকে বললাম কিন্তু তিনি কিছুই বললেন না।

উমর (রাযিঃ) বলেন আমি পিছন ফিরে চলে এলাম। এমন সময় গোলামটি আমাকে ডাকতে লাগল। বললঃ ভিতরে যান, তিনি আপনাকে অনুমতি দিয়েছেন।

উমর (রাযিঃ) বলে আমি ভিতরে গেলাম। দেখতে পেলাম রাসূলুল্লাহ(ﷺ) একটি বুননকৃত চাটাইয়ে ঠেস দিয়ে আছেন। চাটাইয়ের দাগ পড়ে গেছে তাঁর দুই পার্শ্বদেশে।

আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনিকি আপনার সহধর্মিণীদের তালাক দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ না।

আমি বললামঃ আল্লাহু আকবার। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের অবস্থা যদি লক্ষ করতেন যে, আমরা কুরাইশী সম্প্রদায় ছিলাম স্ত্রীদের উপর প্রবল। কিন্তু মদীনায় এসে এমন এক সম্প্রদায় পেলাম যাদের উপর তাদের স্ত্রীরা প্রবল। এখানে আমাদের স্ত্রীরা তাদের আচরণ শিখাতে। একদিন কোন এক বিষয়ে আমি আমার স্ত্রীর উপর রাগ করি কিন্তু সে আমাকে প্রত্যুত্তর দেয়। আমি বিষয়টি খুবই না-পছন্দ করলাম। সে বলল আপনি কেন তা না পছন্দ করছেন? আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর সহধর্মিণীগণও তো তাঁর কথার প্রত্যুত্তর করেন এবং কোন কোন সময় তাদের কেউ কেউ দিন থেকে রাত পর্যন্ত কথাবার্তা বন্ধ করে দেন। পরে আমি হাফসাকে বললাম তোমরা কি রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কথার প্রত্যুত্তর কর? সে বললঃ হ্যাঁ আমাদের কেউ কেউ দিন থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কর্থাবর্তা বন্ধ করে থাকে।

আমি বললামঃ তোমাদের মধ্যে যে এমন কাজ করে সে তো লাঞ্ছিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর ক্রোধের কারণে তার উপর আল্লাহর ক্রোধান্বিত হওয়া থেকে তোমাদের কেউ কি নিজেকে নিরাপদ মনে কর? এমতাবস্থায় সে তো ধংস হয়ে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ(ﷺ) স্মিত হাসলেন।

আমি বললাম হাফসাকে বলেছি, রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কথার প্রত্যুত্তর করবে না এবং তার কাছে কোন কিছু চাইবে না। তোর যা মন চায় আমার কাছেই চেয়ো। তোমর যে সখী (আয়িশা) তোমার চেয়েও সুন্দরী এবং রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর নিকট অধিক প্রিয়,তার অবস্থা যেন তোমাকে ধোকায় না ফেলে। নবীজী (ﷺ) আরেক বার স্মিত হাসলেন।

আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি আরো স্বচ্ছন্দ হব? তিনি বললেন হ্যাঁ। উমর (রাযিঃ) বললেন আমি মাথা উঠালাম। সারা ঘরে তিনটা চামড়া ব্যতীত আর কিছুই নজরে পড়ল না। বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কাছে দুআ করুন। তিনি যেন আপনার উম্মতকে স্বচ্ছন্দ্য দান করেন। পারস্য ও রোমবাসীরা আল্লাহর ইবাদত করেনা অথচ তিনি তাদের কত অর্থ-বৈভব দিয়েছেন।

এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) সোজা হয়ে বসলেন। বললেন হে খাত্তাব পুত্র! তুমি কি সন্দেহে আছ নাকি? এরা তো এমন সম্প্রদায় যাদের ত্বরা করে পার্থিব জীবনেই তাদের ভাল প্রতিদান সমূহ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উমর (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ(ﷺ) কসম করেছিলেন যে, এক মাস পর্যন্ত স্ত্রীদের কাছে যাবেন না। এ কারণে আল্লাহ তাআলা তাকে সোহাগ ভরে ভৎর্সনা করেন এবং কসমের কাফফারা প্রদানের বিধান দেন।

যুহরী (রাহঃ) বলেরনঃ উরওযা বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ উনত্রিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর রাসূলুল্লাহ(ﷺ) আমার কাছে এলেন এবং আমার থেকে (থাকা না থাকার ইখতিয়ার প্রদান বিষয়টি) শুরু করেন। বললেন হে আয়িশা! আমি তোমাকে একটি বিষয় বলেছি। তোমার পিতামাতার সঙ্গে পরামর্শ ব্যতিরেকে এ ব্যাপারে কোন তাড়াহুড়া করবে না।

আয়িশা (রাযিঃ) বলেন এর পর তিনি তেলওয়াত কররেন। (يا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ)

হে রাসুল! আপনি আপনার স্ত্রীদের বলে দিন। তোমরা যদি পার্থিব জীবন এবং এর ভূষন কামনা কর তবে এস আমি তোমাদিগের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদাই দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তার রাসূল ও আখিরাত কামনা কর,তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল, আল্লাহ তাদের জন্য মহাপ্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন। (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ২৮-২৯)

আয়িশা (রাযিঃ) বলেনঃ তিনি জানতেন, কসম আল্লাহর, আমার পিতামাতা তাকে পরিত্যাগ করার পরামর্শ আমাকে কখনও দিবেন না।

আমি বললাম এ বিষয়ে আমি আমার পিতামাতার সঙ্গে কি পরামর্শ করব? আমিতো অবশ্যই আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং আখিরাতের আবাসই কামনা করি।

মা’মার (রাহঃ) বলেনঃ আইয়ুব বর্ণনা করেন যে, আয়িশা (রাযিঃ) নবী (ﷺ)কে বলেছিলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার স্ত্রীদের অবহিত করবেন না যে, আমি আপনাকে গ্রহণ করেছি। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ তাআলা তো আমাকে এক মুবাল্লিগ (বাণী প্রচারক) করে পাঠিয়েছেন কষ্টদানকারী হিসেবে আমাকে পাঠান নি।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ التَّحْرِيمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، رضى الله عنهما يَقُولُ لَمْ أَزَلْ حَرِيصًا أَنْ أَسْأَلَ عُمَرَ عَنِ الْمَرْأَتَيْنِ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اللَّتَيْنِ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّْ : (إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا ) حَتَّى حَجَّ عُمَرُ وَحَجَجْتُ مَعَهُ فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ مِنَ الإِدَاوَةِ فَتَوَضَّأَ فَقُلْتُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ مَنِ الْمَرْأَتَانِ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اللَّتَانِ قَالَ اللَّهُْ : ( إن تَتُوبَا إِلَى اللَّهِ فَقَدْ صَغَتْ قُلُوبُكُمَا وَإِنْ تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلاَهُ ) فَقَالَ لِي وَاعَجَبًا لَكَ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَكَرِهَ وَاللَّهِ مَا سَأَلَهُ عَنْهُ وَلَمْ يَكْتُمْهُ فَقَالَ لِي هِيَ عَائِشَةُ وَحَفْصَةُ قَالَ ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُنِي الْحَدِيثَ فَقَالَ كُنَّا مَعْشَرَ قُرَيْشٍ نَغْلِبُ النِّسَاءَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَجَدْنَا قَوْمًا تَغْلِبُهُمْ نِسَاؤُهُمْ فَطَفِقَ نِسَاؤُنَا يَتَعَلَّمْنَ مِنْ نِسَائِهِمْ فَتَغَضَّبْتُ عَلَى امْرَأَتِي يَوْمًا فَإِذَا هِيَ تُرَاجِعُنِي فَأَنْكَرْتُ أَنْ تُرَاجِعَنِي فَقَالَتْ مَا تُنْكِرُ مِنْ ذَلِكَ فَوَاللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيُرَاجِعْنَهُ وَتَهْجُرُهُ إِحْدَاهُنَّ الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ . قَالَ قُلْتُ فِي نَفْسِي قَدْ خَابَتْ مَنْ فَعَلَتْ ذَلِكَ مِنْهُنَّ وَخَسِرَتْ . قَالَ وَكَانَ مَنْزِلِي بِالْعَوَالِي فِي بَنِي أُمَيَّةَ وَكَانَ لِي جَارٌ مِنَ الأَنْصَارِ كُنَّا نَتَنَاوَبُ النُّزُولَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَنْزِلُ يَوْمًا فَيَأْتِينِي بِخَبَرِ الْوَحْىِ وَغَيْرِهِ وَأَنْزِلُ يَوْمًا فَآتِيهِ بِمِثْلِ ذَلِكَ . قَالَ وَكُنَّا نُحَدِّثُ أَنَّ غَسَّانَ تُنْعِلُ الْخَيْلَ لِتَغْزُوَنَا . قَالَ فَجَاءَنِي يَوْمًا عِشَاءً فَضَرَبَ عَلَىَّ الْبَابَ فَخَرَجْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ حَدَثَ أَمْرٌ عَظِيمٌ . قُلْتُ أَجَاءَتْ غَسَّانُ قَالَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ طَلَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نِسَاءَهُ . قَالَ قُلْتُ فِي نَفْسِي قَدْ خَابَتْ حَفْصَةُ وَخَسِرَتْ قَدْ كُنْتُ أَظُنُّ هَذَا كَائِنًا قَالَ فَلَمَّا صَلَّيْتُ الصُّبْحَ شَدَدْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي ثُمَّ انْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَى حَفْصَةَ فَإِذَا هِيَ تَبْكِي فَقُلْتُ أَطَلَّقَكُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ لاَ أَدْرِي هُوَ ذَا مُعْتَزِلٌ فِي هَذِهِ الْمَشْرُبَةِ . قَالَ فَانْطَلَقْتُ فَأَتَيْتُ غُلاَمًا أَسْوَدَ فَقُلْتُ اسْتَأْذِنْ لِعُمَرَ . قَالَ فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَىَّ . قَالَ قَدْ ذَكَرْتُكَ لَهُ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا . قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَإِذَا حَوْلَ الْمِنْبَرِ نَفَرٌ يَبْكُونَ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِمْ ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَجِدُ فَأَتَيْتُ الْغُلاَمَ فَقُلْتُ اسْتَأْذِنْ لِعُمَرَ . فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَىَّ فَقَالَ قَدْ ذَكَرْتُكَ لَهُ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا . قَالَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى الْمَسْجِدِ أَيْضًا فَجَلَسْتُ ثُمَّ غَلَبَنِي مَا أَجِدُ فَأَتَيْتُ الْغُلاَمَ فَقُلْتُ اسْتَأْذِنْ لِعُمَرَ . فَدَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ إِلَىَّ فَقَالَ قَدْ ذَكَرْتُكَ لَهُ فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا . قَالَ فَوَلَّيْتُ مُنْطَلِقًا فَإِذَا الْغُلاَمُ يَدْعُونِي فَقَالَ ادْخُلْ فَقَدْ أُذِنَ لَكَ فَدَخَلْتُ فَإِذَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئٌ عَلَى رَمْلٍ حَصِيرٍ قَدْ رَأَيْتُ أَثَرَهُ فِي جَنْبِهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَطَلَّقْتَ نِسَاءَكَ قَالَ لاَ . قُلْتُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَقَدْ رَأَيْتُنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَنَحْنُ مَعْشَرَ قُرَيْشٍ نَغْلِبُ النِّسَاءَ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَجَدْنَا قَوْمًا تَغْلِبُهُمْ نِسَاؤُهُمْ فَطَفِقَ نِسَاؤُنَا يَتَعَلَّمْنَ مِنْ نِسَائِهِمْ فَتَغَضَّبْتُ يَوْمًا عَلَى امْرَأَتِي فَإِذَا هِيَ تُرَاجِعُنِي فَأَنْكَرْتُ ذَلِكَ فَقَالَتْ مَا تُنْكِرُ فَوَاللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيُرَاجِعْنَهُ وَتَهْجُرُهُ إِحْدَاهُنَّ الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ . قَالَ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ أَتُرَاجِعِينَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ نَعَمْ وَتَهْجُرُهُ إِحْدَانَا الْيَوْمَ إِلَى اللَّيْلِ . فَقُلْتُ قَدْ خَابَتْ مَنْ فَعَلَتْ ذَلِكَ مِنْكُنَّ وَخَسِرَتْ أَتَأْمَنُ إِحْدَاكُنَّ أَنْ يَغْضَبَ اللَّهُ عَلَيْهَا لِغَضَبِ رَسُولِهِ فَإِذَا هِيَ قَدْ هَلَكَتْ فَتَبَسَّمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ لاَ تُرَاجِعِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ تَسْأَلِيهِ شَيْئًا وَسَلِينِي مَا بَدَا لَكِ وَلاَ يَغُرَّنَّكِ أَنْ كَانَتْ صَاحِبَتُكِ أَوْسَمَ مِنْكِ وَأَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ فَتَبَسَّمَ أُخْرَى فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَسْتَأْنِسُ قَالَ " نَعَمْ " . قَالَ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَمَا رَأَيْتُ فِي الْبَيْتِ إِلاَّ أَهَبَةً ثَلاَثَةً . قَالَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يُوَسِّعَ عَلَى أُمَّتِكَ فَقَدْ وَسَّعَ عَلَى فَارِسَ وَالرُّومِ وَهُمْ لاَ يَعْبُدُونَهُ . فَاسْتَوَى جَالِسًا فَقَالَ " أَوَفِي شَكٍّ أَنْتَ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ أُولَئِكَ قَوْمٌ عُجِّلَتْ لَهُمْ طَيِّبَاتُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا " . قَالَ وَكَانَ أَقْسَمَ أَنْ لاَ يَدْخُلَ عَلَى نِسَائِهِ شَهْرًا فَعَاتَبَهُ اللَّهُ فِي ذَلِكَ وَجَعَلَ لَهُ كَفَّارَةَ الْيَمِينِ .

قَالَ الزُّهْرِيُّ فَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ فَلَمَّا مَضَتْ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ دَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَدَأَ بِي فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ إِنِّي ذَاكِرٌ لَكِ شَيْئًا فَلاَ تَعْجَلِي حَتَّى تَسْتَأْمِرِي أَبَوَيْكِ " . قَالَتْ ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ ( يا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ ) الآيَةَ . قَالَتْ عَلِمَ وَاللَّهِ أَنَّ أَبَوَىَّ لَمْ يَكُونَا يَأْمُرَانِي بِفِرَاقِهِ فَقُلْتُ أَفِي هَذَا أَسْتَأْمِرُ أَبَوَىَّ فَإِنِّي أُرِيدُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ . قَالَ مَعْمَرٌ فَأَخْبَرَنِي أَيُّوبُ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لاَ تُخْبِرْ أَزْوَاجَكَ أَنِّي اخْتَرْتُكَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا بَعَثَنِي اللَّهُ مُبَلِّغًا وَلَمْ يَبْعَثْنِي مُتَعَنِّتًا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .