আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

৪৬. কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৩২৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩২৯৯
সূরা আল-মুজাদালা
৩২৯৯. আব্দ ইবনে হুমায়দ ও হাসান ইবনে আলী হুলওয়ানী (রাহঃ) .... সালামা ইবনে সাখর আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন এক পুরুষ যাকে এত রতি শক্তি দেওয়া হয়েছে যা আর অন্য কাউকে দেওয়া হয়নি। রমযান মাস আসলে তা আতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য আমি আমার স্ত্রী সঙ্গে যিহার করে। কেননা আমার আশঙ্কা হয় যে, কোন রাত্রে যদি স্ত্রী সঙ্গত হয়ে পড়ি, তবে হয়তো দিনের আগমন পর্যন্ত তা চলতে থাকবে আর এদিকে আমি আমাকে স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারব না। একদিন রাতে আমার স্ত্রী আমাকে খেদমত করছিল। হঠাৎ তার শরীরের এমন কিছু আমার সামনে উদ্ভাসিত হয়ে পড়ে যে, (আর ধৈর্য ধারণ করতে পারলাম না) আমি তার উপর চেপে বসি। সকাল হয়ে এলে আমি ভোরেই আমার কওমের লোকদের কাছে যাই এবং তাদেরকে আমার বিষয়ে আবহিত করে বলি, তোমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে আমাকে নিয়ে চল এবং তাকে আমার বিষয়টি অবহিত কর।

তারা বললঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা তা করবোনা। আমাদের আশঙ্কা হয় আমাদের বিষয় হয়তো কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়ে যাবে বা রাসূলুল্লাহ(ﷺ) হয়তো আমাদের বিষয়ে এমন কোন কথা বলে বসবেন যার লজ্বা সবসময়ের জন্য আমাদের উপর থেকে যাবে। বরং তুমি নিজেই তার কাছে যাও এবং তোমার যা ভাল মনে হয় তা কর।

সালামা ইবনে সাখর (রাযিঃ) বলেন, এর পর আমি নিজেই বেরিয়ে গেলাম এবং নবীজী(ﷺ) এর কাছে এসে আমার বিষয়টি তাকে অবহিত করলাম।

তিনি বললেনঃ তুমিই সে কাজ করেছ?

আমি বললামঃ আমিই সে অপরাধী।

তিনি বললেনঃ তুমি সে কাজ করেছঃ

আমি বললামঃ আমিই সে অপরাধী।

তিনি আবার বললেনঃ তুমিই সে কাজ করেছ?

আমি বললামঃ আমিই সে অপরাধী। আমি এইত আমি এখানে হাযির। আমার বিষয় আপনি আল্লাহর বিধান জারী করুন। আমি সে বিষয় ধৈর্য্য ধরব।

তিনি বললেনঃ একটা গোলাম আযাদ কর।

আমি আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে থাপ্পড় মেরে বললামঃ সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করছেন, আমার এ গর্দানটি ছাড়া আমি আর কারো গর্দানের মালিক নই।

তিনি বললেনঃ দুই মাস রোযা পালন কর।

আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! যে মুসীবতে পড়লাম তাকি রোযা ছাড়া আন্য আর কোন কারণে ছিল?

তিনি বললেনঃ ষাট জন মিসকীনকে খাদ্য দাও।

আমি বললামঃ কসম সে সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন, আজকের এরাতটিও তো আমরা ভুখা কাটিয়েছি। রাতের খাবার বলতেও কিছু ছিল না আমাদের।

তিনি বললেনঃ বানু যুরায়কের সাদ্‌কা প্রদানকারীর কাছে যাও এবং তাকে বল, তোমাকে সেই সাদ্‌কা দিয়ে দিতে তা থেকে তুমি এক ওয়াসাক (ষাট সা’) খাদ্য ষাট জন মিসকীনকে তোমার পক্ষ থেকে আহার করাও। আর বাকীটা তুমি ও তোমার পরিবারের আহার্যের ব্যাবস্থা কর।

সালামা ইবনে সাখর (রাযিঃ) বলেন, এর পর আমি আমার কওমে ফিরে এলাম। তাদের বললামঃ তোমাদের কাছে তো কেবল সংকীর্ণতা ও খারাফ পরামর্শই পেলাম আর রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর কাছে পেলাম উদারতা এবং বরকত ও শুভাশীষ। তোমাদের সাদ্‌কা সমূহ আমার কাছে দিয়ে দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এর পর তারা আমার কাছে তা দিয়েদিল।
بَابٌ: وَمَنْ سُورَةِ الْمُجَادَلَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً قَدْ أُوتِيتُ مِنْ جِمَاعِ النِّسَاءِ مَا لَمْ يُؤْتَ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ رَمَضَانُ تَظَاهَرْتُ مِنَ امْرَأَتِي حَتَّى يَنْسَلِخَ رَمَضَانُ فَرَقًا مِنْ أَنْ أُصِيبَ مِنْهَا فِي لَيْلَتِي فَأَتَتَابَعَ فِي ذَلِكَ إِلَى أَنْ يُدْرِكَنِي النَّهَارُ وَأَنَا لاَ أَقْدِرُ أَنْ أَنْزِعَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَوَثَبْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ خَبَرِي فَقُلْتُ انْطَلِقُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُخْبِرُهُ بِأَمْرِي . فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نَفْعَلُ نَتَخَوَّفُ أَنْ يَنْزِلَ فِينَا قُرْآنٌ أَوْ يَقُولَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقَالَةً يَبْقَى عَلَيْنَا عَارُهَا وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ فَاصْنَعْ مَا بَدَا لَكَ . قَالَ فَخَرَجْتُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرِي . فَقَالَ " أَنْتَ بِذَاكَ " . قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ . قَالَ " أَنْتَ بِذَاكَ " . قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ . قَالَ " أَنْتَ بِذَاكَ " . قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا ذَا فَأَمْضِ فِيَّ حُكْمَ اللَّهِ فَإِنِّي صَابِرٌ لِذَلِكَ . قَالَ " أَعْتِقْ رَقَبَةً " . قَالَ فَضَرَبْتُ صَفْحَةَ عُنُقِي بِيَدِي فَقُلْتُ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ غَيْرَهَا . قَالَ " صُمْ شَهْرَيْنِ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ أَصَابَنِي مَا أَصَابَنِي إِلاَّ فِي الصِّيَامِ . قَالَ " فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا " . قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا هَذِهِ وَحْشَى مَا لَنَا عَشَاءٌ . قَالَ " اذْهَبْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ عَنْكَ مِنْهَا وَسْقًا سِتِّينَ مِسْكِينًا ثُمَّ اسْتَعِنْ بِسَائِرِهِ عَلَيْكَ وَعَلَى عِيَالِكَ " . قَالَ فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّعَةَ وَالْبَرَكَةَ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ فَادْفَعُوهَا إِلَىَّ فَدَفَعُوهَا إِلَىَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . قَالَ مُحَمَّدٌ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ عِنْدِي مِنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ . قَالَ وَيُقَالُ سَلَمَةُ بْنُ صَخْرٍ وَسَلْمَانُ بْنُ صَخْرٍ . وَفِي الْبَابِ عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ ثَعْلَبَةَ وَهِيَ امْرَأَةُ أَوْسِ بْنِ الصَّامِتِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৩০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩০০
সূরা আল-মুজাদালা
৩৩০০. সুফিয়ান ইবনে ওয়াকী (রাহঃ) .... আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বললেনঃ যখন নাযিল হলঃ

يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً

হে মুমিনগণ! তোমরা রাসূলের সঙ্গে চুপি চুপি কথা বলতে চাইলে সাদ্‌কা প্রধান করবে (সূরা মুজাদালা ৫৮ঃ ১২)। নবী (ﷺ) আমাকে বললেনঃ তুমি কি ভাবছ? এক দিনার করে দিতে পারবে? আমি বললামঃ এর ক্ষমতা নেই আমার।

তিনি বললেন তা হলে অর্ধ দীনার। আমি বললাম তাতেও আমি সক্ষম নই। তিনি বললেন তবে কত পার? আমি বললাম একটা যব পরিমাণ পারি। তিনি বললেন তুমি তো খুব গরীব। তখন নাযিল হলঃ (أأَشْفَقْتُمْ أَنْ تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَاتٍ) - তোমরা কি চুপি চুপি কথা বলার পূর্বে সাদ্‌কা প্রধানকে কষ্ট কর মনে কর? তোমরা যখন সাদ্‌কা দিতে পারলে না আর আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করে দিলেন। সুতারং তোমরা নামায আদায় কর। যাকাত দাও এবং আল্লাহ এবং তার রাসুলের অনুগত্য কর। তোমরা যা কর আল্লাহ তা সম্যক অবগত। (সূরা মুজাদালা ৫৮ঃ ১৩) আলী (রাযিঃ) বলেনঃ আমার কারণে আল্লাহ তাআলা এই উম্মতকে এই বিধান সহজ করে দিলেন।
بَابٌ: وَمَنْ سُورَةِ الْمُجَادَلَةِ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ الثَّقَفِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَلْقَمَةَ الأَنْمَارِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : (يا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نَاجَيْتُمُ الرَّسُولَ فَقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَةً ) . قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا تَرَى دِينَارًا " . قُلْتُ لاَ يُطِيقُونَهُ . قَالَ " فَنِصْفُ دِينَارٍ " . قُلْتُ لاَ يُطِيقُونَهُ . قَالَ " فَكَمْ " . قُلْتُ شَعِيرَةٌ . قَالَ " إِنَّكَ لَزَهِيدٌ " . قَالَ فَنَزَلَتْ : (أأَشْفَقْتُمْ أَنْ تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَىْ نَجْوَاكُمْ صَدَقَاتٍ ) الآيَةَ . قَالَ فَبِي خَفَّفَ اللَّهُ عَنْ هَذِهِ الأُمَّةِ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ شَعِيرَةٌ يَعْنِي وَزْنَ شَعِيرَةٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَبُو الْجَعْدِ اسْمُهُ رَافِعٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৩৩০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩০১
সূরা আল-মুজাদালা
৩৩০১. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক বার এক ইয়াহুদী নবী (ﷺ) ও সাহাবীদের কছে এসে বললঃ আসসামু আলাইকুম (আস-সাম অর্থ মৃত্যু,ধ্বংস। কিন্তু ইহুদীটি এমন ভাবে এর উচ্চারণ করলো যে, সাহাবীগণ মনে করলেন সে বুঝি আসসালামু বলেছে) তারা এর জবাব দিলেন। নবী(ﷺ) বললেনঃ এ কি বলেছে তোমরা কি তা বুঝতে পেরেছ?

সাহাবীরা বলল আল্লাহ এবং তার রাসুলই ভাল জানেন। হে আল্লাহর নবী! এত সালাম করেছে। তিনি বললেন না সে ত অমুক কথা বলেছে। ইহুদীটিকে ফিরিয়ে নিয়ে এস। সাহাবীরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন। নবীজী (ﷺ) তাকে বললেনঃ তুমি কি আমাদেরকে আসসামু আলাইকুম বলেছিলে?

সে বলল হ্যাঁ। তখন নবীজী (ﷺ) বললেনঃ কোন কিতাবী ব্যক্তি (ইহুদী বা খৃষ্টান) যদি তোমাদের সালাম দেয় তবে তোমরা এর উত্তরে বলবেঃ ’আলাইকা মা কুলতা’ তুমি যা বলেছ তাই তোমার উপর আপতিত হোক। আনন্তর তিনি পাঠ করলেনঃ

وإِذَا جَاءُوكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللَّهُ

এরা যখন তোমাদের নিকট আসে তখন তারা তোমাকে এমন কথা দ্বারা আভিবাধন করে যাদ্বারা আল্লাহ তোমাকে আভিবাদন করেন নি। তারা মনে মনে বলে আমরা যা বলি এর জন্য আল্লাহ আমাদের না জানি শাস্তি দিয়ে দেন। জাহান্নামই এদের যথাযোগ্য শাস্তি। যেখানে তারা প্রবেশ করবে। কত নিকৃষ্ট সেই আবাস। (সূরা মুজাদালা ৫৮ঃ ৮)।
بَابٌ: وَمَنْ سُورَةِ الْمُجَادَلَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنْ شَيْبَانَ، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ يَهُودِيًّا، أَتَى عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ فَقَالَ السَّامُ عَلَيْكُمْ فَرَدَّ عَلَيْهِ الْقَوْمُ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ تَدْرُونَ مَا قَالَ هَذَا " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ سَلَّمَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ . قَالَ " لاَ وَلَكِنَّهُ قَالَ كَذَا وَكَذَا رُدُّوهُ عَلَىَّ " . فَرَدُّوهُ قَالَ " قُلْتَ السَّامُ عَلَيْكُمْ " . قَالَ نَعَمْ . قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ " إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقُولُوا عَلَيْكَ " . قَالَ " عَلَيْكَ مَا قُلْتَ " . قَالَ : (وإِذَا جَاءُوكَ حَيَّوْكَ بِمَا لَمْ يُحَيِّكَ بِهِ اللَّهُ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .