আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪৪. কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৩ টি
হাদীস নং: ২৯১০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১০
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১০. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করবে তার নেকী হবে। আর নেকী হয় দশ গুণ হিসাবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম মিলে একটি হয়ফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ, এবং মীম আরেকটি হরফ।
হাদীসটি এই সূত্রে হাসান সহীহ-গারীব। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমার কাছে তথ্য আছে যে, নবী (ﷺ) এর জীবদ্দশাতেই মুহাম্মাদ ইবনে কুরাযী (রাহঃ) এর জন্ম হয়েছে।
এই হাদীসটি অন্যভাবেও ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে। আবুল আহওয়াস (রাহঃ) এটি আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে কোন কোন রাবী এটি মারফূ’রূপে রিওয়ায়াত করেছেন আর কোন কোন রাবী মাউকুফ রূপে রিওয়ায়াত করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব কুরাযী (রাহঃ) এর কুনিয়ত হল আবু হামযা।
হাদীসটি এই সূত্রে হাসান সহীহ-গারীব। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমার কাছে তথ্য আছে যে, নবী (ﷺ) এর জীবদ্দশাতেই মুহাম্মাদ ইবনে কুরাযী (রাহঃ) এর জন্ম হয়েছে।
এই হাদীসটি অন্যভাবেও ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত আছে। আবুল আহওয়াস (রাহঃ) এটি আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে কোন কোন রাবী এটি মারফূ’রূপে রিওয়ায়াত করেছেন আর কোন কোন রাবী মাউকুফ রূপে রিওয়ায়াত করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব কুরাযী (রাহঃ) এর কুনিয়ত হল আবু হামযা।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا لاَ أَقُولُ الم حَرْفٌ وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ " . وَيُرْوَى هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَرَوَاهُ أَبُو الأَحْوَصِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَفَعَهُ بَعْضُهُمْ وَوَقَفَهُ بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . سَمِعْتُ قُتَيْبَةَ بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ بَلَغَنِي أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ وُلِدَ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ يُكْنَى أَبَا حَمْزَةَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১১
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১১. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... আবু উমামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ দু’রাকআত নামায অপেক্ষা আর কিছুতে আল্লাহ্ তাআলা বান্দার প্রতি অধিক মুতাওজ্জিহ হন না। বান্দা যতক্ষণ নামাযে থাকে ততক্ষণ তার মাথার উপর নেকী বর্ষিত হয়। আল্লাহর নিজের থেকে যা বহির্গত সেই বস্তু আবু নযর বলেন, অর্থাৎ কুরআনের মত আর কিছুর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর এত নৈকট্য লাভ করতে পারে না।
হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। ইবনে মুবারক (রাহঃ) বকর ইবনে খুনায়স-এর সমালোচনা করেছেন এবং শেষে তাকে বর্জন করেছেন। যায়দ ইবনে আরতাত ......... জুবাইর ইবনে নুফায়র সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে।
হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। ইবনে মুবারক (রাহঃ) বকর ইবনে খুনায়স-এর সমালোচনা করেছেন এবং শেষে তাকে বর্জন করেছেন। যায়দ ইবনে আরতাত ......... জুবাইর ইবনে নুফায়র সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে এই হাদীসটি বর্ণিত আছে।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا أَذِنَ اللَّهُ لِعَبْدٍ فِي شَيْءٍ أَفْضَلَ مِنْ رَكْعَتَيْنِ يُصَلِّيهِمَا وَإِنَّ الْبِرَّ لَيُذَرُّ عَلَى رَأْسِ الْعَبْدِ مَا دَامَ فِي صَلاَتِهِ وَمَا تَقَرَّبَ الْعِبَادُ إِلَى اللَّهِ بِمِثْلِ مَا خَرَجَ مِنْهُ " . قَالَ أَبُو النَّضْرِ يَعْنِي الْقُرْآنَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَبَكْرُ بْنُ خُنَيْسٍ قَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَتَرَكَهُ فِي آخِرِ أَمْرِهِ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ .
وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯১২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১২
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১২. ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) .... জুবাইর ইবনে নুফায়র (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহর নিজের থেকে উদ্ভূত যে জিনিস অর্থাৎ কুরআন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কোন জিনিস নিয়ে তোমরা আল্লাহর কাছে প্রত্যার্পণ করতে পারবে না।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكُمْ لَنْ تَرْجِعُوا إِلَى اللَّهِ بِأَفْضَلَ مِمَّا خَرَجَ مِنْهُ " . يَعْنِي الْقُرْآنَ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৩
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৩. আহমদ ইবনে মানী’ (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যার ভিতরে কুরআনের কিছু নেই সে বিরান ঘরের মত।
(আবু ঈসা বলেন)এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الَّذِي لَيْسَ فِي جَوْفِهِ شَيْءٌ مِنَ الْقُرْآنِ كَالْبَيْتِ الْخَرِبِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৪
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৪. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কুরআনের শিক্ষা লাভকারীকে বলা হবে, পড়, আরোহণ কর আর দুনিয়াতে যেভাবে ধীরে ধীরে পাঠ করতে সেভাবে ধীরে ধীরে পাঠ করে যাও। অতএব যে আয়াতে তোমার পাঠ শেষ হবে সেখানে হবে তোমার মনযিল।আবু দাউদ
হাদীসটি হাসান-সহীহ। বুন্দার (রাহঃ) আসিম (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনূরূপ বর্ণনা করেন।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। বুন্দার (রাহঃ) আসিম (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনূরূপ বর্ণনা করেন।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، وَأَبُو نُعَيْمٍ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ اقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَأُ بِهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৫
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৫. নসর ইবনে আলী জাহযামী (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুল (ﷺ) বলেছেন, কিয়ামতের দিন কুরআন অধিকারী ব্যক্তি এসে বলবেঃ হে পরওয়ারদিগার অলংকৃত করুন। তখন তাকে সম্মানের তাজ পরান হবে। সে আবার বলবেঃ হে পরওয়ারদিগার আরো দিন। তাকে তখন সম্মানের পোশাক পরানো হবে। সে আবার বলবেঃ হে পরওয়ারদিগার তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। তখন তিনি সন্তুষ্ট হবেন। তখন বলা হবেঃ পড় আর উপরে আরোহণ করতে থাক। এক একটি আয়াতের বদলায় এক একটি নেকী (মর্যাদা) বৃদ্ধি করে দেওয়া হবে।
(আবু ঈসা বলেন)এই হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এটি মারফূ’রূপে বর্ণনা করা হয়নি। আমাদের মতে আব্দুস সামাদ ......... শু’বা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ।
(আবু ঈসা বলেন)এই হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এটি মারফূ’রূপে বর্ণনা করা হয়নি। আমাদের মতে আব্দুস সামাদ ......... শু’বা (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَجِيءُ الْقُرْآنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَقُولُ يَا رَبِّ حَلِّهِ فَيُلْبَسُ تَاجَ الْكَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ زِدْهُ فَيُلْبَسُ حُلَّةَ الْكَرَامَةِ ثُمَّ يَقُولُ يَا رَبِّ ارْضَ عَنْهُ فَيَرْضَى عَنْهُ فَيُقَالُ لَهُ اقْرَأْ وَارْقَ وَتُزَادُ بِكُلِّ آيَةٍ حَسَنَةً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ عَنْ شُعْبَةَ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ عَنْ شُعْبَةَ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১৬
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৬
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৬. আব্দুল ওয়াহহাব ইবনে হাকাম ওয়াররাক বাগদাদী (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার উম্মতের সাওয়াবসমূহ আমার সামনে পেশ করা হয়। এমনকি সমজিদ থেকে যে খড় খুটাটুকুও যে ব্যক্তি বের করেছে তাও আমার সামনে উপস্থাপিত করা হয়। আমার উম্মতের গুনাহসমূহও আমার সামনে পেশ করা হয়। কুরআনের কোন সূরা বা আয়াত তাকে প্রদান করার পরও যে ব্যক্তি তা ভুলে যায় তদপেক্ষা বড় গুনাহ্ আর কিছুই আমি দেখিনি।
এই হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের আর কিছু জানা নেই। মুহাম্মাদ ইবনে ইসামাঈল বুখারী (রাহঃ) এর সঙ্গে আমি এ হাদীসটি সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি এটি চিনলেন না এবং এটিকে গারীব বলে মনে করেছেন। মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের কারো নিকট থেকে মুত্তালিব ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে হানতাব সরাসরি কিছু শুনেছেন বলে আমি জানি না। তবে তাঁর নিম্নের এই বক্তব্যটির কথা ভিন্নঃ
তিনি বলেন নবী (ﷺ) এর খুতবায় যিনি হাযির ছিলেন এমন একজন আমাকে বর্ণনা করেছেন।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, কোন সাহাবী থেকে মুত্তালিব (রাহঃ) সরাসরি কিছু শুনেছেন বলে আমরা জানি না। আব্দুল্লহ্ (রাহঃ) আরো বলেনঃ আনাস (রাযিঃ) থেকে মুত্তালিব (রাহঃ) এর সরাসরি হাদীস শ্রবণের বিষয়টি আলী ইবনে মাদীনী (রাহঃ) প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এই হাদীসটি গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের আর কিছু জানা নেই। মুহাম্মাদ ইবনে ইসামাঈল বুখারী (রাহঃ) এর সঙ্গে আমি এ হাদীসটি সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি এটি চিনলেন না এবং এটিকে গারীব বলে মনে করেছেন। মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এর সাহাবীদের কারো নিকট থেকে মুত্তালিব ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে হানতাব সরাসরি কিছু শুনেছেন বলে আমি জানি না। তবে তাঁর নিম্নের এই বক্তব্যটির কথা ভিন্নঃ
তিনি বলেন নবী (ﷺ) এর খুতবায় যিনি হাযির ছিলেন এমন একজন আমাকে বর্ণনা করেছেন।
আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, কোন সাহাবী থেকে মুত্তালিব (রাহঃ) সরাসরি কিছু শুনেছেন বলে আমরা জানি না। আব্দুল্লহ্ (রাহঃ) আরো বলেনঃ আনাস (রাযিঃ) থেকে মুত্তালিব (রাহঃ) এর সরাসরি হাদীস শ্রবণের বিষয়টি আলী ইবনে মাদীনী (রাহঃ) প্রত্যাখ্যান করেছেন।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ الْحَكَمِ الْوَرَّاقُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَجِيدِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عُرِضَتْ عَلَىَّ أُجُورُ أُمَّتِي حَتَّى الْقَذَاةِ يُخْرِجُهَا الرَّجُلُ مِنَ الْمَسْجِدِ وَعُرِضَتْ عَلَىَّ ذُنُوبُ أَمَّتِي فَلَمْ أَرَ ذَنْبًا أَعْظَمَ مِنْ سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ أَوْ آيَةٍ أُوتِيهَا رَجُلٌ ثُمَّ نَسِيَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ وَذَاكَرْتُ بِهِ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَلَمْ يَعْرِفْهُ وَاسْتَغْرَبَهُ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَلاَ أَعْرِفُ لِلْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَنْطَبٍ سَمَاعًا مِنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ قَوْلَهُ حَدَّثَنِي مَنْ شَهِدَ خُطْبَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ لاَ نَعْرِفُ لِلْمُطَّلِبِ سَمَاعًا مِنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَأَنْكَرَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ أَنْ يَكُونَ الْمُطَّلِبُ سَمِعَ مِنْ أَنَسٍ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৭
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৭. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তিনি এক কুরআন পাঠকারীর পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেনঃ সে কুরআন পড়ে পড়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা করছিল। তা দেখে তিনি ইন্না লিল্লাহ্... পড়লেন। পরে বললেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে যেন আল্লাহর কাছেই কেবল যাচঞা করে। অচিরেই এমন একদল লোকের আবির্ভব ঘটবে যারা কুরআন পড়বে এবং এর ওসীলা দিয়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইবে।
মাহমুদ (রাহঃ) বলেনঃ খায়ছামা বসরী-যার বরাতে জাবির জু’ফী হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তিনি খায়ছামা ইবনে আব্দুর রহমান নন।এই খায়ছামা (রাহঃ) হলেন একজন বসরী শায়খ। তাঁর কুনিয়াত হল আবু নসর। তিনি আনাস ইবনে মালিক, (রাযিঃ) সূত্রে একাধীক হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই খায়ছামা (রাহঃ) থেকে জাবির জু’ফীও হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
মাহমুদ (রাহঃ) বলেনঃ খায়ছামা বসরী-যার বরাতে জাবির জু’ফী হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তিনি খায়ছামা ইবনে আব্দুর রহমান নন।এই খায়ছামা (রাহঃ) হলেন একজন বসরী শায়খ। তাঁর কুনিয়াত হল আবু নসর। তিনি আনাস ইবনে মালিক, (রাযিঃ) সূত্রে একাধীক হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই খায়ছামা (রাহঃ) থেকে জাবির জু’ফীও হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَى قَاصٍّ يَقْرَأُ ثُمَّ سَأَلَ فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَلْيَسْأَلِ اللَّهَ بِهِ فَإِنَّهُ سَيَجِيءُ أَقْوَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَسْأَلُونَ بِهِ النَّاسَ " . وَقَالَ مَحْمُودٌ وَهَذَا خَيْثَمَةُ الْبَصْرِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْهُ جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ وَلَيْسَ هُوَ خَيْثَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَخَيْثَمَةُ هَذَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ يُكْنَى أَبَا نَصْرٍ قَدْ رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَحَادِيثَ وَقَدْ رَوَى جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ عَنْ خَيْثَمَةَ هَذَا أَيْضًا أَحَادِيثَ «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَاكَ».
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৮
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৮. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল ওয়াসিতী (রাহঃ) ..... সুহায়ব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কুরআনে উদ্ধৃত হারাম কাজকে হালাল মনে করে সে কুরআনের উপর ঈমান আনেনি।
মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে সিনান (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এই সনদে তিনি মুজাহিদ-সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-এর উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের সমার্থক কোন রিওয়ায়াত নেই। ইনি যঈফ। আবুল মুবারক (রাহঃ) হলেন অজ্ঞাত। এই হাদীসটির সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। ওয়াকী’-এর রিওয়ায়াতের বিরোধিতা রয়েছে।
মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ) বলেনঃ আবু ফারওয়া ইয়াযীদ ইবনে সিনান রাহবী-এর হাদীস বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। তবে তাঁর পুত্র মুহাম্মাদ তার বরাতে যে রিওয়ায়াত করেছেন সেগুলোর কথা ভিন্ন। কেননা তিনি তার বরাতে বহু মুনকার রিওয়ায়াত করেছেন।
মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে সিনান (রাহঃ) তাঁর পিতা সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এই সনদে তিনি মুজাহিদ-সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ)-এর উল্লেখ করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতের সমার্থক কোন রিওয়ায়াত নেই। ইনি যঈফ। আবুল মুবারক (রাহঃ) হলেন অজ্ঞাত। এই হাদীসটির সনদ তেমন শক্তিশালী নয়। ওয়াকী’-এর রিওয়ায়াতের বিরোধিতা রয়েছে।
মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ) বলেনঃ আবু ফারওয়া ইয়াযীদ ইবনে সিনান রাহবী-এর হাদীস বর্ণনায় কোন অসুবিধা নেই। তবে তাঁর পুত্র মুহাম্মাদ তার বরাতে যে রিওয়ায়াত করেছেন সেগুলোর কথা ভিন্ন। কেননা তিনি তার বরাতে বহু মুনকার রিওয়ায়াত করেছেন।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَبُو فَرْوَةَ، يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ عَنْ أَبِي الْمُبَارَكِ، عَنْ صُهَيْبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا آمَنَ بِالْقُرْآنِ مَنِ اسْتَحَلَّ مَحَارِمَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَقَدْ خُولِفَ وَكِيعٌ فِي رِوَايَتِهِ . وَقَالَ مُحَمَّدٌ أَبُو فَرْوَةَ يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ الرُّهَاوِيُّ لَيْسَ بِحَدِيثِهِ بَأْسٌ إِلاَّ رِوَايَةَ ابْنِهِ مُحَمَّدٍ عَنْهُ فَإِنَّهُ يَرْوِي عَنْهُ مَنَاكِيرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ سِنَانٍ عَنْ أَبِيهِ هَذَا الْحَدِيثَ فَزَادَ فِي هَذَا الإِسْنَادِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ صُهَيْبٍ وَلاَ يُتَابَعُ مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ عَلَى رِوَايَتِهِ وَهُوَ ضَعِيفٌ وَأَبُو الْمُبَارَكِ رَجُلٌ مَجْهُولٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯১৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৯
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৯. হাসান ইবনে আরাফা (রাহঃ) ...... উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, প্রকাশ্যে কুরআন পাঠকারী প্রকাশ্যে সাদ্কা প্রদানকারীর মত। আর গোপনে কুরআন পাঠকারী গোপনে সাদ্কা প্রদানকারীর মত।আবু দাউদ
এই হাদীসটি হাসান-গারীব। হাদীসটির মর্ম হল, প্রকাশ্যে কুরআন তিলাওয়াতকারী অপেক্ষা গোপনে কুরআন তিলাওয়াকারী উত্তম। কেননা আলিমগণের মতে প্রকাশ্যে সাদ্কা প্রদান অপেক্ষা গোপনে সাদ্কা করা উত্তম।
আলিমগণের মতে এর হিকমত হল, পাঠক যেন অহংকার থেকে বেঁচে থাকে সে জন্য এই কথা বলা হয়েছে। কেননা প্রকাশ্যে আমলকারীর ক্ষেত্রে অহংকারের যতটা আশঙ্কা থাকে গোপনে আমলকারীর ক্ষেত্রে ততটা আশঙ্কা থাকে না।
এই হাদীসটি হাসান-গারীব। হাদীসটির মর্ম হল, প্রকাশ্যে কুরআন তিলাওয়াতকারী অপেক্ষা গোপনে কুরআন তিলাওয়াকারী উত্তম। কেননা আলিমগণের মতে প্রকাশ্যে সাদ্কা প্রদান অপেক্ষা গোপনে সাদ্কা করা উত্তম।
আলিমগণের মতে এর হিকমত হল, পাঠক যেন অহংকার থেকে বেঁচে থাকে সে জন্য এই কথা বলা হয়েছে। কেননা প্রকাশ্যে আমলকারীর ক্ষেত্রে অহংকারের যতটা আশঙ্কা থাকে গোপনে আমলকারীর ক্ষেত্রে ততটা আশঙ্কা থাকে না।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ مُرَّةَ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْجَاهِرُ بِالْقُرْآنِ كَالْجَاهِرِ بِالصَّدَقَةِ وَالْمُسِرُّ بِالْقُرْآنِ كَالْمُسِرِّ بِالصَّدَقَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الَّذِي يُسِرُّ بِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ أَفْضَلُ مِنَ الَّذِي يَجْهَرُ بِقِرَاءَةِ الْقُرْآنِ لأَنَّ صَدَقَةَ السِّرِّ أَفْضَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ صَدَقَةِ الْعَلاَنِيَةِ وَإِنَّمَا مَعْنَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لِكَىْ يَأْمَنَ الرَّجُلُ مِنَ الْعُجْبِ لأَنَّ الَّذِي يُسِرُّ الْعَمَلَ لاَ يُخَافُ عَلَيْهِ الْعُجْبُ مَا يُخَافُ عَلَيْهِ مِنْ عَلاَنِيَتِهِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯২০
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২০
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯২০. সালিহ ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূরা বনী ইসরাঈল এবং যুমার তিলাওয়াত না করা পর্যন্ত নবী (ﷺ) ঘুমাতেন না।
হাদীসটি হাসান-গারীব। আবু লুবাবা (রাহঃ) হলেন বাসরাবাসী শায়খ। তাঁর বরাতে হাম্মাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) একাধিক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। কথিত আছে, তাঁর নাম হল মারওয়ান। মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) উক্ত বিষয়টি তাঁর কিতাবুত তারীখে বর্ণনা করেছেন।
হাদীসটি হাসান-গারীব। আবু লুবাবা (রাহঃ) হলেন বাসরাবাসী শায়খ। তাঁর বরাতে হাম্মাদ ইবনে যায়দ (রাহঃ) একাধিক হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। কথিত আছে, তাঁর নাম হল মারওয়ান। মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) উক্ত বিষয়টি তাঁর কিতাবুত তারীখে বর্ণনা করেছেন।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي لُبَابَةَ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَنَامُ عَلَى فِرَاشِهِ حَتَّى يَقْرَأَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَالزُّمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَأَبُو لُبَابَةَ شَيْخٌ بَصْرِيٌّ قَدْ رَوَى عَنْهُ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ غَيْرَ حَدِيثٍ وَيُقَالُ اسْمُهُ مَرْوَانُ . أَخْبَرَنِي بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ فِي كِتَابِ التَّارِيخِ .
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯২১
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২১
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯২১. আলী ইবনে হুজর (রাহঃ) ..... ইরবায ইবনে সারিয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) নিদ্রাগমনের পূর্বে মুসাব্বিহাত সূরাসমূহ পাঠ করতেন। এগুলোর মাঝে এমন একটি আয়াত আছে, যে আয়াতটি এক হাজার আয়াত অপেক্ষা উত্তম।
(আবু ঈসা বলেন)এই হাদীসটি হাসান-গারীব।
(আবু ঈসা বলেন)এই হাদীসটি হাসান-গারীব।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بِلاَلٍ، عَنْ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ الْمُسَبِّحَاتِ قَبْلَ أَنْ يَرْقُدَ وَيَقُولُ " إِنَّ فِيهِنَّ آيَةً خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ آيَةٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯২২
আন্তর্জাতিক নং: ২৯২২
কুরআনে কারীমের ফযীলত ও আদব
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯২২. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালে তিনবার পাঠ করবেঃ
أَعُوذُ بِاللهِ السَّمِيعِ العَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
এরপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। যাঁরা বিকাল পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দুআ করতে থাকেন। এই দিন যদি সে মারা যায় তবে তার শহীদী মৃত্যু হয়। আর যদি বিকালে পাঠ করে তবুও ঐ ফযীলতই হবে।
أَعُوذُ بِاللهِ السَّمِيعِ العَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
এরপর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে আল্লাহ্ তাআলা তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। যাঁরা বিকাল পর্যন্ত তার জন্য রহমতের দুআ করতে থাকেন। এই দিন যদি সে মারা যায় তবে তার শহীদী মৃত্যু হয়। আর যদি বিকালে পাঠ করে তবুও ঐ ফযীলতই হবে।
أبواب فضائل القرآن عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ طَهْمَانَ أَبُو الْعَلاَءِ الْخَفَّافُ، حَدَّثَنِي نَافِعُ بْنُ أَبِي نَافِعٍ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَالَ حِينَ يُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ وَقَرَأَ ثَلاَثَ آيَاتٍ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْحَشْرِ وَكَّلَ اللَّهُ بِهِ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ مَاتَ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ مَاتَ شَهِيدًا وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي كَانَ بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: