আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৪০. ঈমানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:২৬১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৬১১
ঈমানের সঙ্গে ফরয কাজসমূহকে সম্পর্কিত করা।
২৬১২. কুতায়বা (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল কায়স গোত্রের এক প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর কাছে এলো। তারা বললঃ আমরা রাবীআ গোত্রের লোক। শাহরুল হারাম* ছাড়া আমরা আপনার কাছে আসতে পারি না। সুতরাং আমাদেরকে এমন কাজের আদেশ দিন যা আমরা নিজেরাও ধারণ করতে পারি এবং যারা আমাদেরকেও সেগুলোর দাওয়াত দিতে পারি।
তিনি বললেনঃ তোমাদের চারটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। এরপর তিনি এর বিবরণ দিয়ে বললেনঃ এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূর, নামায কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, আর তোমরা গণিমত হিসাবে যা লাভ কর এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ প্রদান করবে। - মুসলিম
কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু জামরা আয-যুবাঈ (রাহঃ) এর নাম হল নসর ইবনে ইমরান। শু’বা (রাহঃ)-ও আবু জামরা (রাহঃ) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এতে আরো, তোমরা কি জান, ঈমান কি? এই কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূল। এরপর তিনি পুরো হাদীসটির উল্লেখ করেন।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, আমি কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, এই চার জন উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন ফকীহের মত কাউকে আমি দেখিনি- মালিক ইবনে আনাস, লায়ছ ইবনে সা’দ, আব্বাদ মুহাল্লাবী এবং আব্দুল ওয়াহহাব ছাকাফী (রাহঃ)। কুতায়বা (রাহঃ) আরো বলেন, আমরা এতে সন্তুষ্ট যে, আব্বাদ ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) এর নিকট থেকে প্রতিদিন দু’টো হাদীস সংগ্রহ করে ফিরে আসব। আব্বাস ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) হলেন মুহাল্লাব ইবনে আবু সুফরা-এর বংশের একজন।
* আশ-শাহরুল হারাম-সম্মানিত নিষিদ্ধ মাসসমূহ যুলকাদ, যুলহাজ্জ, মুহররম, রজব এই চারটি মাসে রক্তপাত ও যুদ্ধ নিষিদ্ধ কাল। জাহিলী যুগের কাফিররাও তা মেনে চলত।
তিনি বললেনঃ তোমাদের চারটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। এরপর তিনি এর বিবরণ দিয়ে বললেনঃ এই কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূর, নামায কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, আর তোমরা গণিমত হিসাবে যা লাভ কর এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ প্রদান করবে। - মুসলিম
কুতায়বা (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু জামরা আয-যুবাঈ (রাহঃ) এর নাম হল নসর ইবনে ইমরান। শু’বা (রাহঃ)-ও আবু জামরা (রাহঃ) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এতে আরো, তোমরা কি জান, ঈমান কি? এই কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই আর আমি আল্লাহর রাসূল। এরপর তিনি পুরো হাদীসটির উল্লেখ করেন।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, আমি কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, এই চার জন উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন ফকীহের মত কাউকে আমি দেখিনি- মালিক ইবনে আনাস, লায়ছ ইবনে সা’দ, আব্বাদ মুহাল্লাবী এবং আব্দুল ওয়াহহাব ছাকাফী (রাহঃ)। কুতায়বা (রাহঃ) আরো বলেন, আমরা এতে সন্তুষ্ট যে, আব্বাদ ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) এর নিকট থেকে প্রতিদিন দু’টো হাদীস সংগ্রহ করে ফিরে আসব। আব্বাস ইবনে আব্বাদ (রাহঃ) হলেন মুহাল্লাব ইবনে আবু সুফরা-এর বংশের একজন।
* আশ-শাহরুল হারাম-সম্মানিত নিষিদ্ধ মাসসমূহ যুলকাদ, যুলহাজ্জ, মুহররম, রজব এই চারটি মাসে রক্তপাত ও যুদ্ধ নিষিদ্ধ কাল। জাহিলী যুগের কাফিররাও তা মেনে চলত।
باب مَا جَاءَ فِي إِضَافَةِ الْفَرَائِضِ إِلَى الإِيمَانِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيُّ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَدِمَ وَفْدُ عَبْدِ الْقَيْسِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا إِنَّا هَذَا الْحَىَّ مِنْ رَبِيعَةَ وَلَسْنَا نَصِلُ إِلَيْكَ إِلاَّ فِي أَشْهُرِ الْحَرَامِ فَمُرْنَا بِشَيْءٍ نَأْخُذُهُ عَنْكَ وَنَدْعُو إِلَيْهِ مَنْ وَرَاءَنَا . فَقَالَ " آمُرُكُمْ بِأَرْبَعٍ الإِيمَانِ بِاللَّهِ ثُمَّ فَسَّرَهَا لَهُمْ شَهَادَةَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامَ الصَّلاَةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ وَأَنْ تُؤَدُّوا خُمْسَ مَا غَنِمْتُمْ " .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ اسْمُهُ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ أَيْضًا وَزَادَ فِيهِ أَتَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ . سَمِعْتُ قُتَيْبَةَ بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَؤُلاَءِ الأَشْرَافِ الأَرْبَعَةِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَاللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَعَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيِّ وَعَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ . قَالَ قُتَيْبَةُ كُنَّا نَرْضَى أَنْ نَرْجِعَ مِنْ عِنْدِ عَبَّادٍ كُلَّ يَوْمٍ بِحَدِيثَيْنِ وَعَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ هُوَ مِنْ وَلَدِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَأَبُو جَمْرَةَ الضُّبَعِيُّ اسْمُهُ نَصْرُ بْنُ عِمْرَانَ . وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ أَيْضًا وَزَادَ فِيهِ أَتَدْرُونَ مَا الإِيمَانُ شَهَادَةُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ وَذَكَرَ الْحَدِيثَ . سَمِعْتُ قُتَيْبَةَ بْنَ سَعِيدٍ يَقُولُ مَا رَأَيْتُ مِثْلَ هَؤُلاَءِ الأَشْرَافِ الأَرْبَعَةِ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَاللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَعَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ الْمُهَلَّبِيِّ وَعَبْدِ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيِّ . قَالَ قُتَيْبَةُ كُنَّا نَرْضَى أَنْ نَرْجِعَ مِنْ عِنْدِ عَبَّادٍ كُلَّ يَوْمٍ بِحَدِيثَيْنِ وَعَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ هُوَ مِنْ وَلَدِ الْمُهَلَّبِ بْنِ أَبِي صُفْرَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান