আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

২১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৫৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৬২
যে ব্যক্তি কোন শত্রুকে হত্যা করবে তার জন্য হবে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান।
১৫৬৮। আনসারী (রাহঃ) ......... আবু কাদাতা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি (শত্রু) কাউকে হত্যা করবে আর এ বিষয়ে যদি তার প্রমাণ থাকে তবে তার জন্য হবে নিহত ব্যক্তির অস্ত্র-সস্ত্র ও মাল-সামান। আবু দাউদ ২৪৩, নাসাঈ

হাদীসটিতে আরো কাহিনী রয়েছে। ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) থেকে উক্ত সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই বিষয়ে আওফ ইবনে মালিক, খালিদ ইবনে ওয়ালীদ, আনাস ও সামুরা (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান-সহীহ। রাবী আবু মুহাম্মাদ (রাহঃ) হলেন আবু কাতাদা (রাহঃ)-এর আযদকৃত গোলাম নাফি। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এতদনুসারে আমল করেছেন। এ হল আওযাঈ, শাফিঈ ও আহমাদ (রাহঃ)-এর অভিমত। কতক আলিম বলেন, ইমাম বা খালীফা সালাব বা নিহত শত্রুর মাল-সামান থেকেও খুমুস বা একপঞ্চমাংশ রাখার ক্ষমতা রাখেন।

ছাওরী (রাহঃ) বলেন, নাফল হল, ইমামের এই মর্মে ঘোষণা প্রদান যে, যুদ্ধে যে যা হস্তগত করবে তা তার এবং যে ব্যক্তি কোন শত্রুকে নিহত করবে তার জন্য নিহত ব্যক্তির মাল-সামান ও অস্ত্র-সস্ত্র। তা জায়েয এবং এতে খুমুস নেই। ইসহাক (রাহঃ) বলেন, সালাব বা নিহত ব্যক্তির মাল-সামান ও অস্ত্রসস্ত্র হবে হত্যাকারীর। কিন্তু সম্পদের পরিমাণ যদি অনেক হয় আর ইমাম যদি মনে করেন তা থেকে খুমুস নিবেন তবে তা পারেন। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এইরূপ করেছিলেন।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ قَتَلَ قَتِيلاً فَلَهُ سَلَبُهُ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَأَنَسٍ، وَسَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو مُحَمَّدٍ هُوَ نَافِعٌ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الأَوْزَاعِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لِلإِمَامِ أَنْ يُخْرِجَ مِنَ السَّلَبِ الْخُمُسَ . وَقَالَ الثَّوْرِيُّ النَّفَلُ أَنْ يَقُولَ الإِمَامُ مَنْ أَصَابَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ وَمَنْ قَتَلَ قَتِيلاً فَلَهُ سَلَبُهُ فَهُوَ جَائِزٌ وَلَيْسَ فِيهِ الْخُمُسُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ السَّلَبُ لِلْقَاتِلِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ شَيْئًا كَثِيرًا فَرَأَى الإِمَامُ أَنْ يُخْرِجَ مِنْهُ الْخُمُسَ كَمَا فَعَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান