আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
২১. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত জিহাদের বিধানাবলী - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৫৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৬১
নাফল বা গনিমতের হিস্যার অতিরিক্ত কিছু প্রদান।
১৫৬৭। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) আক্রমণের প্রথম ভাগে এক-চতুর্থাংশ এবং ফেরতী হামলা ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশ নাফল বা অতিরিক্ত প্রদান করতেন।
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস, হাবীব ইবনে মাসলামা, মা‘ন ইবনে ইয়াযীদ, ইবনে উমর, সালামা ইবনে আকওয়া‘ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি হাসান। হাদীসটি আবু সাল্লাম-জনৈক সাহাবী সূত্রেও বর্ণিত আছে।
হান্নাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর যুল ফাকার নামক তলওয়ারটি বদর যুদ্ধে নাফল হিসাবে পেয়েছিলেন। উহুদ যুদ্ধের দিন এটিকে জড়িয়ে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন।
এই হাদীসটি হাসান-গারীব। ইবনে আবু যিনাদ (রাহঃ) এর হাদীস হিসাবে এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের জানা নাই। খুমুস বা গনিমত সম্পদের একপঞ্চমাংশ থেকে নাফল বা অতিরিক্ত পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে আলিমগণের মত বিরোধ রয়েছে। মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সবকটি গাযওয়াতে ‘‘নাফল’’ প্রদান করেছেন বলে কোন রিওয়ায়াত আমাদের কাছে পৌছেনি। আমার কাছে যে রিওয়ায়াত পৌছেছে তা হল, তিনি কতক গাযওয়ায় তা দিয়েছেন।
এই বিষয়টি হল শুরু বা শেষ গনিমত হিসাবে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রদানের বিবেচনার উপর নির্ভরশীল। ইবনে মানসুর (রাহঃ) বলেন, আমি আহমাদকে বললাম, এতে তো কোন বিতর্ক নেই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দল থেকে পৃথক হয়ে যুদ্ধে যাত্রার ক্ষেত্রে এক পঞ্চমাংশের পর একচতুর্থাংশ এবং ফেরতীর সময় একপঞ্চমাংশের পর একতৃতীয়াংশ নাফল হিসাবে প্রদান করেছেন। তখন তিনি বললেন, প্রথমে সমস্ত গনিমতের এক পঞ্চমাংশ আলাদা করে নেয়া হবে। তার অবশিষ্টাংশ হতে নাফল প্রদান করা হবে এবং তা এই পরিমাণ অতিক্রম করে যেন না যায়। এই হাদীসটি ইবনুল মুসায়্যোবের কথার উপর প্রযোজ্য য়ে, ‘‘নাফল’’ দেওয়া হবে খুমুস বা একপঞ্চমাংশ থেকে। ইসহাক (রাহঃ)-ও তদ্রূপ কথা বলেছেন।
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস, হাবীব ইবনে মাসলামা, মা‘ন ইবনে ইয়াযীদ, ইবনে উমর, সালামা ইবনে আকওয়া‘ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। উবাদা (রাযিঃ)-এর হাদীসটি হাসান। হাদীসটি আবু সাল্লাম-জনৈক সাহাবী সূত্রেও বর্ণিত আছে।
হান্নাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর যুল ফাকার নামক তলওয়ারটি বদর যুদ্ধে নাফল হিসাবে পেয়েছিলেন। উহুদ যুদ্ধের দিন এটিকে জড়িয়ে তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন।
এই হাদীসটি হাসান-গারীব। ইবনে আবু যিনাদ (রাহঃ) এর হাদীস হিসাবে এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের জানা নাই। খুমুস বা গনিমত সম্পদের একপঞ্চমাংশ থেকে নাফল বা অতিরিক্ত পুরস্কার প্রদানের বিষয়ে আলিমগণের মত বিরোধ রয়েছে। মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সবকটি গাযওয়াতে ‘‘নাফল’’ প্রদান করেছেন বলে কোন রিওয়ায়াত আমাদের কাছে পৌছেনি। আমার কাছে যে রিওয়ায়াত পৌছেছে তা হল, তিনি কতক গাযওয়ায় তা দিয়েছেন।
এই বিষয়টি হল শুরু বা শেষ গনিমত হিসাবে ইমাম বা মুসলিম সরকার প্রদানের বিবেচনার উপর নির্ভরশীল। ইবনে মানসুর (রাহঃ) বলেন, আমি আহমাদকে বললাম, এতে তো কোন বিতর্ক নেই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দল থেকে পৃথক হয়ে যুদ্ধে যাত্রার ক্ষেত্রে এক পঞ্চমাংশের পর একচতুর্থাংশ এবং ফেরতীর সময় একপঞ্চমাংশের পর একতৃতীয়াংশ নাফল হিসাবে প্রদান করেছেন। তখন তিনি বললেন, প্রথমে সমস্ত গনিমতের এক পঞ্চমাংশ আলাদা করে নেয়া হবে। তার অবশিষ্টাংশ হতে নাফল প্রদান করা হবে এবং তা এই পরিমাণ অতিক্রম করে যেন না যায়। এই হাদীসটি ইবনুল মুসায়্যোবের কথার উপর প্রযোজ্য য়ে, ‘‘নাফল’’ দেওয়া হবে খুমুস বা একপঞ্চমাংশ থেকে। ইসহাক (রাহঃ)-ও তদ্রূপ কথা বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي النَّفَلِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُنَفِّلُ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ وَفِي الْقُفُولِ الثُّلُثَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَحَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَمَعْنِ بْنِ يَزِيدَ وَابْنِ عُمَرَ وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ . وَحَدِيثُ عُبَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَنَفَّلَ سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ وَهُوَ الَّذِي رَأَى فِيهِ الرُّؤْيَا يَوْمَ أُحُدٍ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي النَّفَلِ مِنَ الْخُمُسِ فَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ فِي مَغَازِيهِ كُلِّهَا وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّهُ نَفَّلَ فِي بَعْضِهَا وَإِنَّمَا ذَلِكَ عَلَى وَجْهِ الاِجْتِهَادِ مِنَ الإِمَامِ فِي أَوَّلِ الْمَغْنَمِ وَآخِرِهِ . قَالَ ابْنُ مَنْصُورٍ قُلْتُ لأَحْمَدَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ إِذَا فَصَلَ بِالرُّبُعِ بَعْدَ الْخُمُسِ وَإِذَا قَفَلَ بِالثُّلُثِ بَعْدَ الْخُمُسِ فَقَالَ يُخْرِجُ الْخُمُسَ ثُمَّ يُنَفِّلُ مِمَّا بَقِيَ وَلاَ يُجَاوِزُ هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا الْحَدِيثُ عَلَى مَا قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ النَّفَلُ مِنَ الْخُمُسِ . قَالَ إِسْحَاقُ كَمَا قَالَ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَنَفَّلَ سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ وَهُوَ الَّذِي رَأَى فِيهِ الرُّؤْيَا يَوْمَ أُحُدٍ . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ أَبِي الزِّنَادِ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي النَّفَلِ مِنَ الْخُمُسِ فَقَالَ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ لَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ فِي مَغَازِيهِ كُلِّهَا وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّهُ نَفَّلَ فِي بَعْضِهَا وَإِنَّمَا ذَلِكَ عَلَى وَجْهِ الاِجْتِهَادِ مِنَ الإِمَامِ فِي أَوَّلِ الْمَغْنَمِ وَآخِرِهِ . قَالَ ابْنُ مَنْصُورٍ قُلْتُ لأَحْمَدَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَفَّلَ إِذَا فَصَلَ بِالرُّبُعِ بَعْدَ الْخُمُسِ وَإِذَا قَفَلَ بِالثُّلُثِ بَعْدَ الْخُمُسِ فَقَالَ يُخْرِجُ الْخُمُسَ ثُمَّ يُنَفِّلُ مِمَّا بَقِيَ وَلاَ يُجَاوِزُ هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا الْحَدِيثُ عَلَى مَا قَالَ ابْنُ الْمُسَيَّبِ النَّفَلُ مِنَ الْخُمُسِ . قَالَ إِسْحَاقُ كَمَا قَالَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান