আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৬. নিহতের রক্তপণ সংক্রান্ত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৪০৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৫
কিসাস গ্রহণ ও ক্ষমা প্রদানে নিহত ব্যক্তির ওলীর অধিকার।
১৪০৯. মাহমুদ ইবনে গায়লান ও ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে মক্কা বিজয় দান করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লোকদের মাঝে দাঁড়ালেনঃ প্রথমে আল্লাহর হামদ ও ছানা করে বললেনঃ কারো কেউ যদি নিহত হয় তবে তার দুটির একটি গ্রহণ করার ইখতিয়ার রয়েছেঃ হয়ত (হত্যাকারীকে) মাফ করে দিবে, নয়ত হত্যা করবে। - ইবনে মাজাহ ২৬২৪
এই বিষয়ে ওয়াইল ইবনে হুজর, আনাস ও আবু শুরায়হ খুওয়ায়লিদ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
এই বিষয়ে ওয়াইল ইবনে হুজর, আনাস ও আবু শুরায়হ খুওয়ায়লিদ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ وَلِيِّ الْقَتِيلِ فِي الْقِصَاصِ وَالْعَفْوِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَيَحْيَى بْنُ مُوسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مَكَّةَ قَامَ فِي النَّاسِ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا أَنْ يَعْفُوَ وَإِمَّا أَنْ يَقْتُلَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي شُرَيْحٍ خُوَيْلِدِ بْنِ عَمْرٍو .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১৪০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৬
কিসাস গ্রহণ ও ক্ষমা প্রদানে নিহত ব্যক্তির ওলীর অধিকার।
১৪১০. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আবু শুরায়হ কা‘বী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ তাআলাই মক্কাকে ‘হারাম’ ঘোষণা করেছেন। কোন মানূষ একে হারামরূপে নির্ধারণ করেনি। যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিনে ঈমান রাখে সে যেন এতে কোন রক্ত প্রবাহিত না করে, কোন বৃক্ষ কর্তন না করে। (আমার যুদ্ধ করা দেখে) কোন সুযোগ গ্রহণ করতে গিয়ে বলে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর জন্য তো ‘মক্কা’ হালাল করা হয়েছিল, তবে (জেনে রাখ), আল্লাহ তাআলা আমার জন্য তা হালাল করেছিলেন, অন্যান্য লোকের জন্য হালাল করেননি। আর আমার জন্যও তা দিনের কিছুক্ষণের জন্য মাত্র হালাল করা হয়েছিল। এরপর তা কিয়ামত দিবস পর্যন্ত হারাম। তারপর (তিনি বললেন) হে খুযাআ সম্প্রদায়, তোমরা হুযায়ল গোত্রের এই লোকটিকে হত্যা করেছ। আমি তার দিয়াত আদায় করব। তবে আজকের পর কারো যদি কেউ নিহত হয়, তবে পরিজনদের এই দু’ইটার মধ্যে একটির অধিকার থাকবে-হয়ত (হত্যাকারীকে) হত্যা করবে নয়ত দিয়াত গ্রহণ করবে।
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটিও (১৪০৯) হাসান-সহীহ। শায়বান (রাহঃ)ও এটিকে ইয়াহয়া ইবনে আবী কাছীর থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু শুরায়হ খুযাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, কারো যদি কেউ নিহত হয় তবে সে (কিসাসরূপে হত্যাকারীকে) হত্যা করতে পারে, অথবা কিসাস ক্ষমা করে সে দিয়াত গ্রহণ করতে পারে। কতক আলিমের মাযহাব এ হাদীস অনুসারে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটিও (১৪০৯) হাসান-সহীহ। শায়বান (রাহঃ)ও এটিকে ইয়াহয়া ইবনে আবী কাছীর থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবু শুরায়হ খুযাঈ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন যে, কারো যদি কেউ নিহত হয় তবে সে (কিসাসরূপে হত্যাকারীকে) হত্যা করতে পারে, অথবা কিসাস ক্ষমা করে সে দিয়াত গ্রহণ করতে পারে। কতক আলিমের মাযহাব এ হাদীস অনুসারে। এ হল ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ وَلِيِّ الْقَتِيلِ فِي الْقِصَاصِ وَالْعَفْوِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَ مَكَّةَ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يَسْفِكَنَّ فِيهَا دَمًا وَلاَ يَعْضِدَنَّ فِيهَا شَجَرًا فَإِنْ تَرَخَّصَ مُتَرَخِّصٌ فَقَالَ أُحِلَّتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَإِنَّ اللَّهَ أَحَلَّهَا لِي وَلَمْ يُحِلَّهَا لِلنَّاسِ وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ ثُمَّ هِيَ حَرَامٌ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ثُمَّ إِنَّكُمْ مَعْشَرَ خُزَاعَةَ قَتَلْتُمْ هَذَا الرَّجُلَ مِنْ هُذَيْلٍ وَإِنِّي عَاقِلُهُ فَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ بَعْدَ الْيَوْمِ فَأَهْلُهُ بَيْنَ خِيرَتَيْنِ إِمَّا أَنْ يَقْتُلُوا أَوْ يَأْخُذُوا الْعَقْلَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرَوَاهُ شَيْبَانُ أَيْضًا عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ مِثْلَ هَذَا . - وَرُوِيَ عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَلَهُ أَنْ يَقْتُلَ أَوْ يَعْفُوَ أَوْ يَأْخُذَ الدِّيَةَ " . وَذَهَبَ إِلَى هَذَا بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং:১৪০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০৭
কিসাস গ্রহণ ও ক্ষমা প্রদানে নিহত ব্যক্তির ওলীর অধিকার।
১৪১১. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর যুগে জনৈক ব্যক্তি নিহত হয়। তখন হত্যাকারীকে নিহত ব্যক্তির ওলীগণের হাতে অর্পণ করা হয়। হত্যাকারী বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লার কসম, আমি তাকে হত্যা করতে চাইনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ যদি তার কথায় সত্যবাদী হয়ে থাকে আর এমতাবস্থায় যদি তুমি তাকে হত্যা কর তবে তুমি জাহান্নামে প্রবেশ করবে। তখন সে লোকটি (হত্যা করা)-কে ছেড়ে দিল। লোকটি একটি চামড়ার রশি দিয়ে পিছন দিকে হাত মোড়ে বাধা ছিল। সে ঐ চামড়ার রশিটি ছেচড়িয়ে বের হয়ে গেল। তখন থেকে তার নাম হয়ে যায় নাসআ বা চামড়ার রশিওয়ালা। - ইবনে মাজাহ ২৬৯০
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي حُكْمِ وَلِيِّ الْقَتِيلِ فِي الْقِصَاصِ وَالْعَفْوِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قُتِلَ رَجُلٌ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدُفِعَ الْقَاتِلُ إِلَى وَلِيِّهِ فَقَالَ الْقَاتِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ قَتْلَهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا إِنَّهُ إِنْ كَانَ صَادِقًا فَقَتَلْتَهُ دَخَلْتَ النَّارَ " . فَخَلَّى عَنْهُ الرَّجُلُ . قَالَ وَكَانَ مَكْتُوفًا بِنِسْعَةٍ . قَالَ فَخَرَجَ يَجُرُّ نِسْعَتَهُ . قَالَ فَكَانَ يُسَمَّى ذَا النِّسْعَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالنِّسْعَةُ حَبْلٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান