আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১৫. শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৩৮০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৮০
জায়গীর প্রদান।
১৩৮৪. ইমাম তিরমিযী (রাহঃ) বলেন, আমি কুতায়বা (রাহঃ) কে বললাম, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে কায়স মারিবী (রাহঃ) কি তার সনদে আবয়ায ইবনে হাম্মাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে তিনি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর খেদমতে গিয়েছিলেন। তখন তিনি তাঁর নিকট একটি লবণের খনি জায়গীর প্রার্থনা করেন। নবী (ﷺ) সেটি তাকে জায়গীর হিসাবে দিয়েছিলেন। আবয়ায (রাযিঃ) যখন উঠে যাচ্ছিলেন তখন এই মজলিসের জনৈক ব্যক্তি নবীজীকে বলল, আপনি জানেন একে কি দিয়েছেন? একে তো আপনি একটি অফুরন্ত পানির প্রবাহ দিয়েছেন। অনন্তর নবী (ﷺ) সেটি আবয়ায থেকে ফিরিয়ে নিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে তিনি আরো জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আরাক’’ ঘাসের ভূমি কোন সীমা থেকে আবাদ করা যায়? তিনি বললেন, উটের পা যেখানে না পৌছে সেখান থেকে। - ইবনে মাজাহ ২৪৭৫

কুতায়বা তখন এটির কথা স্বীকার করলেন। বললেন, হ্যাঁ। মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে আবু উমর (রাহঃ) ......... মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহয়া ইবনে কায়স মারিবী (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই বিষয়ে ওয়াইল ও আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবয়ায ইবনে হাম্মাল (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীষটি হাসান-গারীব। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ জায়গীর প্রদান বিষয়ে এতদনুসারে আমল করেছেন। ইমাম বা ইসলামী রাষ্ট্র প্রধান যাকে উপযুক্ত মনে করেন তাকে ইচ্ছা করলে জায়গীর প্রদানের ক্ষমতা রাখেন বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْقَطَائِعِ
قَالَ قُلْتُ لِقُتَيْبَةَ بْنِ سَعِيدٍ حَدَّثَكُمْ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ ثُمَامَةَ بْنِ شُرَاحِيلَ، عَنْ سُمَىِّ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ شُمَيْرٍ، عَنْ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ، أَنَّهُ وَفَدَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَقْطَعَهُ الْمِلْحَ فَقَطَعَ لَهُ فَلَمَّا أَنْ وَلَّى قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْمَجْلِسِ أَتَدْرِي مَا قَطَعْتَ لَهُ إِنَّمَا قَطَعْتَ لَهُ الْمَاءَ الْعِدَّ . قَالَ فَانْتَزَعَهُ مِنْهُ . قَالَ وَسَأَلَهُ عَمَّا يُحْمَى مِنَ الأَرَاكِ قَالَ " مَا لَمْ تَنَلْهُ خِفَافُ الإِبِلِ " . فَأَقَرَّ بِهِ قُتَيْبَةُ وَقَالَ نَعَمْ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ قَيْسٍ الْمَأْرِبِيُّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . الْمَأْرِبُ نَاحِيَةٌ مِنَ الْيَمَنِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ وَائِلٍ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبْيَضَ بْنِ حَمَّالٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ فِي الْقَطَائِعِ يَرَوْنَ جَائِزًا أَنْ يُقْطِعَ الإِمَامُ لِمَنْ رَأَى ذَلِكَ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১৩৮১
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৮১
জায়গীর প্রদান।
১৩৮৫. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... ওয়াইল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) তাকে হাযরা মাওত এলাকায় একটি জায়গীর প্রদান করেছিলেন। মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, নযর (রাহঃ) শু‘বা (রাহঃ) থেকে এটি বর্ণনা করেছেন। এতে অতিরিক্ত আছে যে এই ভূমিটিকে জায়গীররূপে নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য ওয়াইলের সঙ্গে মুআবিয়া ইবনে হাকিম সুলামীকেও পাঠিয়েছিলেন।

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْقَطَائِعِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَلْقَمَةَ بْنَ وَائِلٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَقْطَعَهُ أَرْضًا بِحَضْرَمَوْتَ .
قَالَ مَحْمُودُ وَأَخْبَرَنَا النَّضْرُ، عَنْ شُعْبَةَ، وَزَادَ، فِيهِ وَبَعَثَ مَعَهُ مُعَاوِيَةَ لِيُقْطِعَهَا إِيَّاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান