আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১৫. শাসনকার্য পরিচালনা ও আদালত-বিচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১৩৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭০
কোন জমির সীমা নির্ধারণ ও বণ্টন কার্য সম্পাদনের পর আর শুফ’আর হক নেই।
১৩৭৪. আব্দ ইবনে হুমায়দ (রাহঃ) ...... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সীমা নির্ধারণ ও পথ পরিবর্তন সাধনের পর আর শুফআ এর হক নেই। - ইবনে মাজাহ, বুখারি
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। কেউ কেউ এটিকে আবু সালামা-নবী (ﷺ) সূত্রে মুরসালরূপেও বর্ণনা করেছেন। উমর ইবনুল খাত্তাব, উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) সহ কতক সাহাবী এই হাদীস অনুসারে আমল করেছেন। উমর ইবনে আব্দুল আযীয প্রমুখ কতক তাবীঈ (রাহঃ)-এরও এই অভিমত। ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ আনসারী, রাবীআ ইবনে আবু আব্দুর রহমান, মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) সহ মদীনাবাসী আলিমদেরও এই অভিমত।ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর বক্তব্যও এ-ই। তাঁরা মূল ভূমিতে শরীক ছাড়া কাউকে শুফআর অধিকার দেন না। প্রতিবেশী যদি শরীক না হয় তবে তার শুফআ নাই।
কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম বলেন, প্রতিবেশরীরও শুফআর হক আছে, তারা নবী (ﷺ) থেকে মারফুরূপে বর্ণিত নিম্নের হাদীসটিকে দলীল হিসাবে পেশ করেন। নবী (ﷺ) বলেন, কোন বাড়ীর প্রতিবেশী -ই বাড়িটির অধিকতর হকদার। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী তার ‘সাকাব’’ অর্থাৎ শুফআর অধিক হকদার। এ হল ইমাম ছাওরী, ইবনে মুবারক ও কূফাবাসী আলিমগণের অভিমত।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। কেউ কেউ এটিকে আবু সালামা-নবী (ﷺ) সূত্রে মুরসালরূপেও বর্ণনা করেছেন। উমর ইবনুল খাত্তাব, উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) সহ কতক সাহাবী এই হাদীস অনুসারে আমল করেছেন। উমর ইবনে আব্দুল আযীয প্রমুখ কতক তাবীঈ (রাহঃ)-এরও এই অভিমত। ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ আনসারী, রাবীআ ইবনে আবু আব্দুর রহমান, মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) সহ মদীনাবাসী আলিমদেরও এই অভিমত।ইমাম শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর বক্তব্যও এ-ই। তাঁরা মূল ভূমিতে শরীক ছাড়া কাউকে শুফআর অধিকার দেন না। প্রতিবেশী যদি শরীক না হয় তবে তার শুফআ নাই।
কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম বলেন, প্রতিবেশরীরও শুফআর হক আছে, তারা নবী (ﷺ) থেকে মারফুরূপে বর্ণিত নিম্নের হাদীসটিকে দলীল হিসাবে পেশ করেন। নবী (ﷺ) বলেন, কোন বাড়ীর প্রতিবেশী -ই বাড়িটির অধিকতর হকদার। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেশী তার ‘সাকাব’’ অর্থাৎ শুফআর অধিক হকদার। এ হল ইমাম ছাওরী, ইবনে মুবারক ও কূফাবাসী আলিমগণের অভিমত।
باب مَا جَاءَ إِذَا حُدَّتِ الْحُدُودُ وَوَقَعَتِ السِّهَامُ فَلاَ شُفْعَةَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا وَقَعَتِ الْحُدُودُ وَصُرِّفَتِ الطُّرُقُ فَلاَ شُفْعَةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ مُرْسَلاً عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ وَبِهِ يَقُولُ بَعْضُ فُقَهَاءِ التَّابِعِينَ مِثْلُ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَغَيْرِهِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مِنْهُمْ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الأَنْصَارِيُّ وَرَبِيعَةُ بْنُ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ يَرَوْنَ الشُّفْعَةَ إِلاَّ لِلْخَلِيطِ وَلاَ يَرَوْنَ لِلْجَارِ شُفْعَةً إِذَا لَمْ يَكُنْ خَلِيطًا . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمُ الشُّفْعَةُ لِلْجَارِ . وَاحْتَجُّوا بِالْحَدِيثِ الْمَرْفُوعِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " جَارُ الدَّارِ أَحَقُّ بِالدَّارِ " . وَقَالَ " الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِهِ " . وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান