আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৫
অনুরূপ আরেকটি অধ্যায়।
১১১৫. ইবনে আবু উমর (রাহঃ) .... আবুল আজফা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, সাবধান, তোমরা উচ্চ হারে মোহর নির্ধারণ করবে না। কেননা, উচ্চহারে মোহর নির্ধারণ করা যদি দুনিয়ার কোন সম্মান বা আল্লাহর কাছে কোনরূপ তাকওয়াজনক বিষয় হত, তবে আল্লাহর নবী (ﷺ)-ই তোমাদের চাইতে বেশী এর উদ্যোগী হতেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর কোন স্ত্রীর বিবাহে বা তাঁর কোন কন্যাকে বিবাহ দিতে গিয়ে বার উকিয়া স্বর্ণ মুদ্রার অধিক মোহর নির্ধারণ করেছেন বলে আমি জানি না। - ইবনে মাজাহ

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ওয়াবী আবুল আজফা সুলামী-এর নাম হলো হারাম। আলিমগণের মতে চল্লিশ দিরহামে হলো এক উকিয়া। সুতরাং বার উকিয়া হলো চারশ’ আশি দিরহাম।*

* অবশ্য উম্মুল মুমিনীন উন্মু হাবীবা (রাযিঃ) ছিলেন এর ব্যতিক্রম। তাঁর মোহর ছিল চার হাজার দিরহাম। তবে তা নবী (ﷺ) নির্ধারণ করেন নি, বরং হাবশার মুসলিম বাদশাহ নাজাশী তা নির্ধারণ করেছিলেন এবং নিজে থেকে তা পরিশোধ করে দিয়েছিলেন।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَلاَ لاَ تُغَالُوا صَدُقَةَ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ لَكَانَ أَوْلاَكُمْ بِهَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عَلِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَكَحَ شَيْئًا مِنْ نِسَائِهِ وَلاَ أَنْكَحَ شَيْئًا مِنْ بَنَاتِهِ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيُّ اسْمُهُ هَرَمٌ . وَالأُوقِيَّةُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا وَثِنْتَا عَشْرَةَ أُوقِيَّةً أَرْبَعُمِائَةٍ وَثَمَانُونَ دِرْهَمًا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:১১১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৫
দাসীকে আযাদ করে বিবাহ করা।
১১১৬. কুতায়বা (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাফিয়্যা (রাযিঃ)কে আযাদ করে দিয়েছিলেন (এবং বিয়ে করেছিলেন), এবং তাঁর আযাদীকে তার মোহর সাব্যস্ত করেছিলেন। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম

এই বিষয়ে সাফিয়্যা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কোন কোন সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে। এ হলো ইমাম শাফিঈ আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত। অপর কতক আলিম আযাদ করাকেই মোহর হিসাবে সাব্যস্ত করা যাইজ রাখেননি। (তাঁদের মতে) আযাদ করা ছাড়া অন্য কোন বস্তুকে মোহর সাব্যস্ত করতে হবে। প্রথম অভিমতটি অধিক সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّجُلِ يَعْتِقُ الأَمَةَ ثُمَّ يَتَزَوَّجُهَا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ صَفِيَّةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ . وَكَرِهَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُجْعَلَ عِتْقُهَا صَدَاقَهَا حَتَّى يَجْعَلَ لَهَا مَهْرًا سِوَى الْعِتْقِ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান