আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১১৪
অনুরূপ আরেকটি অধ্যায়।
১১১৪. হাসান ইবনে আলী খাললাল (রাহঃ) ...... সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কাছে জনৈকা মহিলা এসে বলল, আমি আপনার জন্য আমাকে হেবা করলাম। মহিলাটি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তখন এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার যদি প্রয়োজন না থাকে তবে এই মহিলাকে আমার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, একে মোহর দেয়ার মত তোমার কাছে কিছু আছে কি? লোকটি বলল, এই লুঙ্গিটি ছাড়া আমার কাছে কিছুই নাই। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তোমার লুঙ্গিটি যদি একে দিয়ে দাও তবে তো তোমার (ঘরে) বসে থাকতে হবে। তোমার নিজের তো কোন লুঙ্গি থাকবে না। সুতরাং (মোহরের জন্য) অন্য কিছু তালাশ কর। লোকটি বলল, কিছুই তো পাচ্ছি না। তিনি বললেন, তালাশ কর। লোহার আংটি হলেও (নিয়ে এস)। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি তালাশ করে কিছুই পেলনা। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা্) বললেন, তোমার কাছে কুরআনের কিছু অংশ আছে কি? লোকটি কতগুলো সূরার নাম উল্লেখ করে বললঃ হ্যাঁ, অমুক সূরা, অমুক সূরা। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, তোমার কাছে কুরআনের যা আছে তার কারণে এই মহিলাকে তোমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলাম। - ইবনে মাজাহ, বুখারি, মুসলিম

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) এই হাদীস অনুসারে অভিমত প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, কারো যদি মোহর প্রদানের মত কিছু না থাকে আর সে কোন মহিলাকে কুরআনের কোন সূরা মোহরের বিনিময়ে বিয়ে করে তবে সে বিয়ে জায়েয। আর ঐ ব্যক্তি এই মহিলাকে কুরআনের সেই সূরা শিখিয়ে দিবে। কোন কোন আলিম বলেন, এমতাবস্থায় বিয়ে জায়েয হবে। তবে মহিলাকে মোহরে মিছল* দিতে হবে এ হলো কুফাবাসী উলামা, আহমদ, ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।

ইবনে আবু উমর (রাহঃ) .... আবুল আজফা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, সাবধান, তোমরা উচ্চ হারে মোহর নির্ধারণ করবে না। কেননা, উচ্চহারে মোহর নির্ধারণ করা যদি দুনিয়ার কোন সম্মান বা আল্লাহর কাছে কোনরূপ তাকওয়াজনক বিষয় হত, তবে আল্লাহর নবী (ﷺ)-ই তোমাদের চাইতে বেশী এর উদ্যোগী হতেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁর কোন স্ত্রীর বিবাহে বা তাঁর কোন কন্যাকে বিবাহ দিতে গিয়ে বার উকিয়া স্বর্ণ মুদ্রার অধিক মোহর নির্ধারণ করেছেন বলে আমি জানি না। - ইবনে মাজাহ

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। ওয়াবী আবুল আজফা সুলামী-এর নাম হলো হারাম। আলিমগণের মতে চল্লিশ দিরহামে হলো এক উকিয়া। সুতরাং বার উকিয়া হলো চারশ’ আশি দিরহাম।*

* অবশ্য উম্মুল মুমিনীন উন্মু হাবীবা (রাযিঃ) ছিলেন এর ব্যতিক্রম। তাঁর মোহর ছিল চার হাজার দিরহাম। তবে তা নবী (ﷺ) নির্ধারণ করেন নি, বরং হাবশার মুসলিম বাদশাহ নাজাশী তা নির্ধারণ করেছিলেন এবং নিজে থেকে তা পরিশোধ করে দিয়েছিলেন।

*বিবাহিত মহিলার পিতৃপুরুষদের দিক থেকে নিকট আত্মীয়া যেমন ফুফু, বোন, ইত্যাদির সম পরিমাণ মোহরকে মোহরে মিছল বলে।
باب مِنْهُ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي حَازِمِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ إِنِّي وَهَبْتُ نَفْسِي لَكَ . فَقَامَتْ طَوِيلاً فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَزَوِّجْنِيهَا إِنْ لَمْ تَكُنْ لَكَ بِهَا حَاجَةٌ . فَقَالَ " هَلْ عِنْدَكَ مِنْ شَيْءٍ تُصْدِقُهَا " . فَقَالَ مَا عِنْدِي إِلاَّ إِزَارِي هَذَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِزَارَكَ إِنْ أَعْطَيْتَهَا جَلَسْتَ وَلاَ إِزَارَ لَكَ فَالْتَمِسْ شَيْئًا " قَالَ مَا أَجِدُ . قَالَ " فَالْتَمِسْ وَلَوْ خَاتَمًا مِنْ حَدِيدٍ " . قَالَ فَالْتَمَسَ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْءٌ " . قَالَ نَعَمْ سُورَةُ كَذَا وَسُورَةُ كَذَا . لِسُوَرٍ سَمَّاهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " زَوَّجْتُكَهَا بِمَا مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ الشَّافِعِيُّ إِلَى هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ شَيْءٌ يُصْدِقُهَا وَتَزَوَّجَهَا عَلَى سُورَةٍ مِنَ الْقُرْآنِ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ وَيُعَلِّمُهَا سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ النِّكَاحُ جَائِزٌ وَيَجْعَلُ لَهَا صَدَاقَ مِثْلِهَا . وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَلاَ لاَ تُغَالُوا صَدُقَةَ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ لَكَانَ أَوْلاَكُمْ بِهَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عَلِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَكَحَ شَيْئًا مِنْ نِسَائِهِ وَلاَ أَنْكَحَ شَيْئًا مِنْ بَنَاتِهِ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيُّ اسْمُهُ هَرَمٌ . وَالأُوقِيَّةُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا وَثِنْتَا عَشْرَةَ أُوقِيَّةً أَرْبَعُمِائَةٍ وَثَمَانُونَ دِرْهَمًا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান