আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১০৯
আন্তর্জাতিক নং: ১১০৯
ইয়াতিম কুমারীকে জবরদস্তিমূলক বিয়ে দেওয়া।
১১০৯. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন (সাবালিকা) ইয়াতীম কুমারী থেকে তার বিবাহের ব্যাপারে সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। যদি সে চুপ থাকে তবে তাই তার সম্মতি বলে গণ্য হবে। আর যদি অস্বীকার করে তবে তার উপর তা কার্যকারী হবেনা।

এই বিষয়ে আবু মুসা, ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আলিমগণের ইয়াতিম কুমারী মেয়ে বিয়ের ব্যপারে মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন আলিমের অভিমত এই যে, কোন ইয়াতীম কুমারী কন্যার যদি বিয়ে দেওয়া হয়, তবে তার নিকাহ বালেগ হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। সে বালেগ হলে, তার এ বিয়ে বহাল রাখা বা বাতিল করার ইখতিয়ার থাকবে। এ হলো কোন কোন তাবিঈ ও অপরাপর আলিমের বক্তব্য।

কোন কোন আলিম বলেন, সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত ইয়াতীম কুমারী কন্যার বিয়ে জায়েজ নয়। বিবাহের ক্ষেত্রে ইখতিয়ার প্রয়োজ্য নয়। এ হলো, সুফিয়ান ছাওরী, শাফিঈ, প্রমূখ আলিমগণের অভিমত। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) বলেন, যখন ইয়তীম কণ্যার বয়স নয় বৎসর হয় আর তাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় এবং সে সম্মতি দান করে তবে এই বিয়ে এই বিয়ে জায়েয। সাবালিকা হওয়ার পর আর তার ইখতিয়ার থাকবে না। তাঁরা আয়িশা (রাযিঃ) এর ঘটনাকে দলীল হিসাবে পেশ করেন যে যখন তার বয়স নয় বৎসর হয়, তখন নবী (ﷺ) তাঁর সঙ্গে বাসর যাপন করেন। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, মেয়েদের বয়স নয় বছর হলে সে মহিলা।
باب مَا جَاءَ فِي إِكْرَاهِ الْيَتِيمَةِ عَلَى التَّزْوِيجِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الْيَتِيمَةُ تُسْتَأْمَرُ فِي نَفْسِهَا فَإِنْ صَمَتَتْ فَهُوَ إِذْنُهَا وَإِنْ أَبَتْ فَلاَ جَوَازَ عَلَيْهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَابْنِ عُمَرَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي تَزْوِيجِ الْيَتِيمَةِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْيَتِيمَةَ إِذَا زُوِّجَتْ فَالنِّكَاحُ مَوْقُوفٌ حَتَّى تَبْلُغَ فَإِذَا بَلَغَتْ فَلَهَا الْخِيَارُ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ أَوْ فَسْخِهِ . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ يَجُوزُ نِكَاحُ الْيَتِيمَةِ حَتَّى تَبْلُغَ . وَلاَ يَجُوزُ الْخِيَارُ فِي النِّكَاحِ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ إِذَا بَلَغَتِ الْيَتِيمَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَزُوِّجَتْ فَرَضِيَتْ فَالنِّكَاحُ جَائِزٌ وَلاَ خِيَارَ لَهَا إِذَا أَدْرَكَتْ . وَاحْتَجَّا بِحَدِيثِ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَنَى بِهَا وَهِيَ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ . وَقَدْ قَالَتْ عَائِشَةُ إِذَا بَلَغَتِ الْجَارِيَةُ تِسْعَ سِنِينَ فَهِيَ امْرَأَةٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান