আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১১০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১১০৮
কুমারী ও অকুমারী মহীলাদের অনুমতি গ্রহণ।
১১০৮. কুতায়বা (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, অকুমারী মেয়ে নিজের ব্যপারে তার ওলীর অপেক্ষা অধিক হকদার। কুমারীর বেলায় তার বিষয়ে তার নিকট থেকে অনুমতি নিতে হবে। আর তার চুপ থাকা অনুমতি। - ইবনে মাজাহ, মুসলিম
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা ও সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এ হাদীসটি মালিক ইবনে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ওলী ছাড়াই বিবাহ জায়েয হওয়ার বিষয়ে কেউ কেউ এই হাদীসটিকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। বস্তুত: তাঁরা যে বিষয়ে দলীল গ্রহণ করেছেন এ হাদীসে তা প্রমাণিত হয় না। কেননা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে একাধিক সনদে নবী (ﷺ)-এর থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, ওলী ব্যতিরেকে বিবাহ হয় না। নবী (ﷺ)-এর ওফাতের পর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এরূপ ফতওয়া দিয়েছেন। "অকুমারী মেয়ে নিজের বিষয়ে তার ওলী অপেক্ষা অধিকতর হকদার’’ এই হাদীসটির মর্ম অধিকাংশ আলিমের মতে এই যে, ওলী তাকে তার সন্তুষ্টি ও তার স্পষ্ট নির্দেশ ব্যতীত বিবাহ দিতে পারে না। যদি সে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয় তবে খানসা বিনতে খিযাম (রাযিঃ) এর হাদীসের ভিত্তিতে এই বিয়ে বাতিল। খানসাকে তাঁর পিতা অকুমারী অবস্থায় বিয়ে দিয়েছিলেন, আর তিনি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তখন নবী (ﷺ) এই বিবাহ বাতিল করে দেন।
এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা ও সুফিয়ান ছাওরী (রাহঃ) এ হাদীসটি মালিক ইবনে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ওলী ছাড়াই বিবাহ জায়েয হওয়ার বিষয়ে কেউ কেউ এই হাদীসটিকে প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। বস্তুত: তাঁরা যে বিষয়ে দলীল গ্রহণ করেছেন এ হাদীসে তা প্রমাণিত হয় না। কেননা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে একাধিক সনদে নবী (ﷺ)-এর থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেছেন, ওলী ব্যতিরেকে বিবাহ হয় না। নবী (ﷺ)-এর ওফাতের পর ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এরূপ ফতওয়া দিয়েছেন। "অকুমারী মেয়ে নিজের বিষয়ে তার ওলী অপেক্ষা অধিকতর হকদার’’ এই হাদীসটির মর্ম অধিকাংশ আলিমের মতে এই যে, ওলী তাকে তার সন্তুষ্টি ও তার স্পষ্ট নির্দেশ ব্যতীত বিবাহ দিতে পারে না। যদি সে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয় তবে খানসা বিনতে খিযাম (রাযিঃ) এর হাদীসের ভিত্তিতে এই বিয়ে বাতিল। খানসাকে তাঁর পিতা অকুমারী অবস্থায় বিয়ে দিয়েছিলেন, আর তিনি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। তখন নবী (ﷺ) এই বিবাহ বাতিল করে দেন।
باب مَا جَاءَ فِي اسْتِئْمَارِ الْبِكْرِ وَالثَّيِّبِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا وَالْبِكْرُ تُسْتَأْذَنُ فِي نَفْسِهَا وَإِذْنُهَا صُمَاتُهَا " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ . وَقَدِ احْتَجَّ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِجَازَةِ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا احْتَجُّوا بِهِ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ " وَهَكَذَا أَفْتَى بِهِ ابْنُ عَبَّاسٍ بَعْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِوَلِيٍّ . وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " الأَيِّمُ أَحَقُّ بِنَفْسِهَا مِنْ وَلِيِّهَا " . عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ الْوَلِيَّ لاَ يُزَوِّجُهَا إِلاَّ بِرِضَاهَا وَأَمْرِهَا فَإِنْ زَوَّجَهَا فَالنِّكَاحُ مَفْسُوخٌ عَلَى حَدِيثِ خَنْسَاءَ بِنْتِ خِذَامٍ حَيْثُ زَوَّجَهَا أَبُوهَا وَهِيَ ثَيِّبٌ فَكَرِهَتْ ذَلِكَ فَرَدَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نِكَاحَهُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান