আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১১. নবীজী ﷺ থেকে বিবাহ শাদী সম্পর্কিত বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১১০৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১০৩
সাক্ষী ছাড়া বিবাহ হয় না।
১১০৩. ইউসুফ ইবনে হাম্মাদ আল-বসরী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেন, তারা হলো ব্যভিচারিনী যারা সাক্ষী ছাড়া নিজেরাই নিজেদের বিবাহ করে নেয়।

ইউসুফ ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, তাফসীর অধ্যায় প্রসঙ্গে আব্দুল আ’লা এই রিওয়ায়াতটিকে মারফূরূপে এবং কিতাবুত তালাকে মারফূ’ না করে মাউকুফরূপে রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ الْمَعْنِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْبَغَايَا اللاَّتِي يُنْكِحْنَ أَنْفُسَهُنَّ بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ " . قَالَ يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ رَفَعَ عَبْدُ الأَعْلَى هَذَا الْحَدِيثَ فِي التَّفْسِيرِ وَأَوْقَفَهُ فِي كِتَابِ الطَّلاَقِ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
হাদীস নং:১১০৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১০৪
সাক্ষী ছাড়া বিবাহ হয় না।
১১০৪. কুতায়বা (রাহঃ) ...... সাঈদ (রাহঃ) থেকে অনূরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এটিকে মারফুরূপে বর্ণনা করেন নি। আর তা-ই অধিকতর সহীহ।

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি মাহফুজ বা সংরক্ষিত নয়। আব্দুল আলা-সাঈদ-কাতাদা (রাহঃ) সূত্র ছাড়া এটি মারফূরূপে কেউ রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আব্দুল আলা-সাঈদ (রাহঃ) সূত্রে এটি মাউকুফরূপেও বর্ণিত হয়েছে। আর সহীহ হলো ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও মাওকূপরূপে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এই বিষয়ে ইমরান ইবনে হুসাইন, আনাস, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। সাহাবী এবং তাঁদের পরবর্তী যুগের তাবিঈ ও অন্যান্য আলিমগণের আমল এই হাদীস অনুসারে রয়েছে। তাঁরা বলেন, সাক্ষী ছাড়া বিবাহ হয় না।

আমাদের জানা মতে পূর্ববর্তী আলিমগণের মাঝে এই বিষয়ে কোন মতবিরোধ নেই। তবে পরবর্তী যুগের কিছু সংখ্যক আলিম মতবিরোধ করেছেন। এই আলিমগণের মতবিরোধ হলো এক জনের পর আরেক জন সাক্ষী হওয়ার ব্যপারে। অধিকাংশ কূফাবাসী ও অপরাপর আলিম বলেন বিবাহের আকদের সময় একসঙ্গে দুই জন সাক্ষী না হলে বিবাহ জায়েজ হবে না। মদীনাবাসী কতক আলিমের মতে এক সঙ্গে না হয়, একজনের পর একজন সাক্ষী হলেও তা জায়েজ হবে। যদি তারা এর ঘোষণা করে। এ হলো ইমাম মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ)-এর অভিমত। মদীনাবাসীদের বর্ণনানুসারে ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ)-এর বক্তব্যও অনুরূপ। কতক আলিম বলেন, একজন পুরূষ ও দুইজন মহিলার সাক্ষেও বিবাহ জায়েজ আছে। এ হলো ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রাহঃ)-এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ . وَهَذَا أَصَحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَيْرُ مَحْفُوظٍ لاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَفَعَهُ إِلاَّ مَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ مَرْفُوعًا . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى عَنْ سَعِيدٍ هَذَا الْحَدِيثُ مَوْقُوفًا وَالصَّحِيحُ مَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَوْلُهُ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ هَكَذَا رَوَى أَصْحَابُ قَتَادَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِبَيِّنَةٍ . وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ نَحْوَ هَذَا مَوْقُوفًا . وَفِي هَذَا الْبَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا لاَ نِكَاحَ إِلاَّ بِشُهُودٍ . لَمْ يَخْتَلِفُوا فِي ذَلِكَ مَنْ مَضَى مِنْهُمْ إِلاَّ قَوْمًا مِنَ الْمُتَأَخِّرِينَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَإِنَّمَا اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي هَذَا إِذَا شَهِدَ وَاحِدٌ بَعْدَ وَاحِدٍ فَقَالَ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهِمْ لاَ يَجُوزُ النِّكَاحُ حَتَّى يَشْهَدَ الشَّاهِدَانِ مَعًا عِنْدَ عُقْدَةِ النِّكَاحِ . وَقَدْ رَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ إِذَا أُشْهِدَ وَاحِدٌ بَعْدَ وَاحِدٍ فَإِنَّهُ جَائِزٌ إِذَا أَعْلَنُوا ذَلِكَ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَغَيْرِهِ . هَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ فِيمَا حَكَى عَنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ يَجُوزُ شَهَادَةُ رَجُلٍ وَامْرَأَتَيْنِ فِي النِّكَاحِ . وَهُوَ قَوْلُ أَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .