আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
১০. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:১০৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭১
কবরের আযাব।
১০৭১. আবু সালামা ইয়াহয়া ইবনে খালাফ বসরী (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে যখন কবরে রাখা হয় তখন দুইজন কালোবর্ণের ও নীল চক্ষু বিশিষ্ট ফিরিশতা তার কাছে আসেন, একজনকে বলা হয় ‘আল-মুনকার’’ আর অপরজনকে বলা হয় ‘আন-নাকীর’’। তাঁরা বলেন, এই ব্যক্তি (নবী (ﷺ)) সম্পর্কে তুমি কি বলতে? সে তখন (দুনিয়াতে) তাঁকে যা বলত ত-ই বলবে যে, ইনি হলেন আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূলঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি কোন ইলাহ নেই আল্লাহ্ ছাড়া, আর মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও তাঁর রাসূল।
তার পর তাঁরা বলবেন আমরা জানতাম যে তুমি এই কথা বলবে। এরপর তার কবর সত্তর গজ প্রশস্ত করে দেওয়া হবে এবং তার জন্যে এটি আলোকিত করে দেওয়া হবে। এরপর তাকে বলা হবে তুমি ঘুমিয়ে পড়। ঐ ব্যক্তি বলবে, আমি আমার পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে যেতে চাই যাতে এই খবরটি তাদের দিতে পারি। তখন ফিরিশতা দুইজন বলবেন, নয়া দুলহার মত তুমি ঘুমিয়ে থাক। যাকে তার পরিবারের সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তি ছাড়া জাগায় না। অবশেষে আল্লাহ্ তাআলা তাকে তার এই শয্যা থেকে উত্থিত করবেন। আর মৃত্যু ব্যক্তি যদি মুনাফিক হয় তবে সে (ফিরিশতাদের প্রশ্নের উত্তরে) বলবে, আমি তো জানিনা, তবে লোকদের যা বলতে শুনেছি আমিও তাই বলেছি। ফিরিশতারা বলবে, আমরা জানতাম তুমি এই ধরণেরই কথা বলবে। এরপর যমীনকে বলা হবে একে চাপ দাও। তখন যমীন তাকে চাপ দিবে। ফলে তার পিঞ্জরাস্থিসমূহ একটার ভিতর অন্যটা ঢুকে পড়বে। এভাবে সে আযাব ভোগ করতে থাকবে, অবশেষে তাকে আল্লাহ্ ত’আলা তার এ শয্যা থেকে উত্থিত করবেন।
এই বিষয়ে আলী, যায়দ ইবনে ছাবিত, ইবনে আব্বাস, বারা ইবনে আযিব, আবু আইয়ুব, আনাস, জাবির, আয়িশা ও আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এরা সকলেই কবরের আযাব সম্পর্কে নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব।
তার পর তাঁরা বলবেন আমরা জানতাম যে তুমি এই কথা বলবে। এরপর তার কবর সত্তর গজ প্রশস্ত করে দেওয়া হবে এবং তার জন্যে এটি আলোকিত করে দেওয়া হবে। এরপর তাকে বলা হবে তুমি ঘুমিয়ে পড়। ঐ ব্যক্তি বলবে, আমি আমার পরিবার-পরিজনের নিকট ফিরে যেতে চাই যাতে এই খবরটি তাদের দিতে পারি। তখন ফিরিশতা দুইজন বলবেন, নয়া দুলহার মত তুমি ঘুমিয়ে থাক। যাকে তার পরিবারের সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তি ছাড়া জাগায় না। অবশেষে আল্লাহ্ তাআলা তাকে তার এই শয্যা থেকে উত্থিত করবেন। আর মৃত্যু ব্যক্তি যদি মুনাফিক হয় তবে সে (ফিরিশতাদের প্রশ্নের উত্তরে) বলবে, আমি তো জানিনা, তবে লোকদের যা বলতে শুনেছি আমিও তাই বলেছি। ফিরিশতারা বলবে, আমরা জানতাম তুমি এই ধরণেরই কথা বলবে। এরপর যমীনকে বলা হবে একে চাপ দাও। তখন যমীন তাকে চাপ দিবে। ফলে তার পিঞ্জরাস্থিসমূহ একটার ভিতর অন্যটা ঢুকে পড়বে। এভাবে সে আযাব ভোগ করতে থাকবে, অবশেষে তাকে আল্লাহ্ ত’আলা তার এ শয্যা থেকে উত্থিত করবেন।
এই বিষয়ে আলী, যায়দ ইবনে ছাবিত, ইবনে আব্বাস, বারা ইবনে আযিব, আবু আইয়ুব, আনাস, জাবির, আয়িশা ও আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এরা সকলেই কবরের আযাব সম্পর্কে নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا قُبِرَ الْمَيِّتُ - أَوْ قَالَ أَحَدُكُمْ أَتَاهُ مَلَكَانِ أَسْوَدَانِ أَزْرَقَانِ يُقَالُ لأَحَدِهِمَا الْمُنْكَرُ وَالآخَرُ النَّكِيرُ فَيَقُولاَنِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هَذَا الرَّجُلِ فَيَقُولُ مَا كَانَ يَقُولُ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ وَرَسُولُهُ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ . فَيَقُولاَنِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ هَذَا . ثُمَّ يُفْسَحُ لَهُ فِي قَبْرِهِ سَبْعُونَ ذِرَاعًا فِي سَبْعِينَ ثُمَّ يُنَوَّرُ لَهُ فِيهِ ثُمَّ يُقَالُ لَهُ نَمْ . فَيَقُولُ أَرْجِعُ إِلَى أَهْلِي فَأُخْبِرُهُمْ فَيَقُولاَنِ نَمْ كَنَوْمَةِ الْعَرُوسِ الَّذِي لاَ يُوقِظُهُ إِلاَّ أَحَبُّ أَهْلِهِ إِلَيْهِ . حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ . وَإِنْ كَانَ مُنَافِقًا قَالَ سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ فَقُلْتُ مِثْلَهُ لاَ أَدْرِي . فَيَقُولاَنِ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ أَنَّكَ تَقُولُ ذَلِكَ . فَيُقَالُ لِلأَرْضِ الْتَئِمِي عَلَيْهِ . فَتَلْتَئِمُ عَلَيْهِ . فَتَخْتَلِفُ فِيهَا أَضْلاَعُهُ فَلاَ يَزَالُ فِيهَا مُعَذَّبًا حَتَّى يَبْعَثَهُ اللَّهُ مِنْ مَضْجَعِهِ ذَلِكَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَزَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَالْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ وَأَبِي أَيُّوبَ وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ وَعَائِشَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ كُلُّهُمْ رَوَوْا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي عَذَابِ الْقَبْرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:১০৭২
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭২
কবরের আযাব।
১০৭২. হান্নাদ (রাহঃ) ..... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির সামনে তার মূল বাসস্থানকে তুলে ধরা হবে। সে যদি জান্নাতী হয় তবে জান্নাতের বাসস্থান আর যদি সে জাহান্নামী হয় তবে জাহান্নামের বাসস্থান। পরে বলা হবে, এ-ই তোমার স্থান। অবশেষে আল্লাহ তাআলা তোমাকে কিয়ামতের দিন উত্থিত করবেন। - বুখারি, মুসলিম
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي عَذَابِ الْقَبْرِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا مَاتَ الْمَيِّتُ عُرِضَ عَلَيْهِ مَقْعَدُهُ بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ فَإِنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَمِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَمِنْ أَهْلِ النَّارِ ثُمَّ يُقَالُ هَذَا مَقْعَدُكَ حَتَّى يَبْعَثَكَ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান