আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ

الجامع الكبير للترمذي

১০. জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১০১১
আন্তর্জাতিক নং: ১০১১
জানাযার পিছনে চলা।
১০১১. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ...... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমরা রাসূল (ﷺ) কে জানাযার পিছনে চলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেন, দৌড়ে চলার চেয়ে কিছুটা কম দ্রুত চলবে। যদি সে ভাল লোক হয়ে থাকে তবে তো তাকে শীঘ্র শীঘ্র স্বস্থানে পৌছে দিলে। আর সে খারাপ লোক হয়ে থাকলে তবে শীঘ্র এক জন জাহান্নামীকে বিদূরিত করে দিলে। জানাযাকে অনুসরণ করা হবে। তা কাউকে অনুসরণ করবে না। যে ব্যক্তি এর আগে আগে যাবে সে এর (সাওয়াবের) অন্তর্ভূক্ত নয়। - ইবনে মাজাহ

ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি এই সূত্র ছাড়া আমরা কিছু জানি না। আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল আল-বুখারী (রাহঃ) কে আবু মাজিদ বর্ণিত এই রিওয়ায়াতটিকে যঈফ বলতে শুনেছি। মুহাম্মাদ হুমায়দী- ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, ইয়াহয়া (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলঃ এই আবু মাজিদ কে? তিনি বললেন, একটি পাখি উড়ে এসে আমাদেরকে হাদীস শুনিয়েছে (অর্থাৎ বর্ণনাকারী অপরিচিত ব্যক্তি) কোন কোন সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদীস অনুসারে আমলের অভিমত দিয়েছেন। তাঁরা জানায়ার পিছনে চলা আফযল বলে মনে করেন। এ হলো ইমাম ছাওরী ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। আবু মাজিদ একজন অখ্যাত রাবী। ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে তার দুটি রিওয়ায়াত রয়েছে। বানু তায়মিল্লাহ এর ইমাম ইয়াহয়া ছিকা রাবী। তার কুনিয়াত হলো আবুল হারিছ। তাঁকে ইয়াহয়া আল-জাবির এবং ইয়াহয়া আল-মুজবিরও বলা হয়। তিনি ছিলেন কুফী। তার বরাতে শুবা সুফইয়ার ছাওরী, আবুল আহওয়াস ও সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রাহঃ)-ও রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْمَشْىِ خَلْفَ الْجَنَازَةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يَحْيَى، إِمَامِ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ عَنْ أَبِي مَاجِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ سَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْمَشْىِ خَلْفَ الْجَنَازَةِ فَقَالَ " مَا دُونَ الْخَبَبِ فَإِنْ كَانَ خَيْرًا عَجَّلْتُمُوهُ وَإِنْ كَانَ شَرًّا فَلاَ يُبَعَّدُ إِلاَّ أَهْلُ النَّارِ الْجَنَازَةُ مَتْبُوعَةٌ وَلاَ تَتْبَعُ وَلَيْسَ مِنْهَا مَنْ تَقَدَّمَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ يُعْرَفُ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يُضَعِّفُ حَدِيثَ أَبِي مَاجِدٍ هَذَا . وَقَالَ مُحَمَّدٌ قَالَ الْحُمَيْدِيُّ قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ قِيلَ لِيَحْيَى مَنْ أَبُو مَاجِدٍ هَذَا قَالَ طَائِرٌ طَارَ فَحَدَّثَنَا . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا رَأَوْا أَنَّ الْمَشْىَ خَلْفَهَا أَفْضَلُ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَإِسْحَاقُ . قَالَ إِنَّ أَبَا مَاجِدٍ رَجُلٌ مَجْهُولٌ لاَ يُعْرَفُ إِنَّمَا يُرْوَى عَنْهُ حَدِيثَانِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ . وَيَحْيَى إِمَامُ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ ثِقَةٌ يُكْنَى أَبَا الْحَارِثِ وَيُقَالُ لَهُ يَحْيَى الْجَابِرُ وَيُقَالُ لَهُ يَحْيَى الْمُجْبِرُ أَيْضًا وَهُوَ كُوفِيٌّ رَوَى لَهُ شُعْبَةُ وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَأَبُو الأَحْوَصِ وَسُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ .