আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৮৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৮৬৮
হজ্ব - উমরার অধ্যায়
তাওয়াফকারীর জন্য তাওয়াফের ক্ষেত্রে আসর ও ফজরের পরে সালাতুত তাওয়াফ আদায় করা।
৮৬৯. আবু উম্মার ও আলী ইবনে খাশরাম (রাহঃ) ..... জুবাইর ইবনে মুতঈম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, হে বনু আব্দ মানাফ! রাত ও দিনের যে সময় ইচ্ছা বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করতে এবং নামায আদায় করতে কাউকে তোমরা বাধা দিও না। - ইবনে মাজাহ
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস ও আবু যর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ইবনে মুতঈম (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু নাজীহ এই রিওয়ায়াত আব্দুল্লাহ ইবনে বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন। মক্কা শরীফে বাদ আসর ও বাদ ফজর নামায আদায় সম্পর্কে ইমামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কিছু সংখ্যক আলিম বলেন, আসর ও ফজরের পরে নামায ও তাওয়াফে কোন দোষ নেই। এ হলো ইমাম শাফেঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। তারা নবী (ﷺ) এর এই হাদীসটি প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। অপর কিছু সংখ্যক আলিম বলেন, কেউ যদি আসরের পরে তাওয়াফ করে তবে সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সে সালাতুত তাওয়াফ আদায় করবে না। এমনিভাবে যদি কেউ ফজরের পর তাওয়াফ করে তবে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত সে সালাতুল তাওয়াফ আদায় করবে না। তারা উমর (রাযিঃ) এর একটি ঘটনা দ্বারা এর দলীল পেশ করেন। একদিন তিনি ফজরের নামাযের পর তাওয়াফ করলেন। কিন্তু নামায আদায় করলেন না। মক্কা থেকে যী তুওয়া নামক স্থানে গিয়ে সেখানে নেমে সূর্যোদয়ের পর সালাতুত তাওয়াফ আদায় করেন। এ হল ইমাম সুফিয়ান সাওরী ও মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) এর অভিমত।
এই বিষয়ে ইবনে আব্বাস ও আবু যর (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ইবনে মুতঈম (রাযিঃ) বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। আব্দুল্লাহ ইবনে আবু নাজীহ এই রিওয়ায়াত আব্দুল্লাহ ইবনে বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন। মক্কা শরীফে বাদ আসর ও বাদ ফজর নামায আদায় সম্পর্কে ইমামদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কিছু সংখ্যক আলিম বলেন, আসর ও ফজরের পরে নামায ও তাওয়াফে কোন দোষ নেই। এ হলো ইমাম শাফেঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) এর অভিমত। তারা নবী (ﷺ) এর এই হাদীসটি প্রমাণ হিসাবে পেশ করেন। অপর কিছু সংখ্যক আলিম বলেন, কেউ যদি আসরের পরে তাওয়াফ করে তবে সূর্য অস্ত না যাওয়া পর্যন্ত সে সালাতুত তাওয়াফ আদায় করবে না। এমনিভাবে যদি কেউ ফজরের পর তাওয়াফ করে তবে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত সে সালাতুল তাওয়াফ আদায় করবে না। তারা উমর (রাযিঃ) এর একটি ঘটনা দ্বারা এর দলীল পেশ করেন। একদিন তিনি ফজরের নামাযের পর তাওয়াফ করলেন। কিন্তু নামায আদায় করলেন না। মক্কা থেকে যী তুওয়া নামক স্থানে গিয়ে সেখানে নেমে সূর্যোদয়ের পর সালাতুত তাওয়াফ আদায় করেন। এ হল ইমাম সুফিয়ান সাওরী ও মালিক ইবনে আনাস (রাহঃ) এর অভিমত।
أبواب الحج عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الصُّبْحِ لِمَنْ يَطُوفُ
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ، وَعَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهْ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ لاَ تَمْنَعُوا أَحَدًا طَافَ بِهَذَا الْبَيْتِ وَصَلَّى أَيَّةَ سَاعَةٍ شَاءَ مِنْ لَيْلٍ أَوْ نَهَارٍ " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي ذَرٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهْ أَيْضًا . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الصُّبْحِ بِمَكَّةَ فَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ بَأْسَ بِالصَّلاَةِ وَالطَّوَافِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَبَعْدَ الصُّبْحِ . وَهُوَ قَوْلُ الشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا طَافَ بَعْدَ الْعَصْرِ لَمْ يُصَلِّ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَكَذَلِكَ إِنْ طَافَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ لَمْ يُصَلِّ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ . وَاحْتَجُّوا بِحَدِيثِ عُمَرَ أَنَّهُ طَافَ بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ فَلَمْ يُصَلِّ وَخَرَجَ مِنْ مَكَّةَ حَتَّى نَزَلَ بِذِي طُوًى فَصَلَّى بَعْدَ مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ .
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: