আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৯. হজ্ব - উমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৯
মক্কার মর্যাদা ও সম্মান প্রসঙ্গে।
৮০৭. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ...... আবু শুরায়হ আল-আদাবী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনার গভর্ণর আমর ইবনে সাঈদ যখন (আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইরের বিরুদ্ধে) মক্কায় সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করছিল তখন তিনি তাকে বললেন, হে আমির! আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি একটি হাদীস আপনার কাছে বর্ণনা করছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এই হাদীসটি মক্কা বিজয়ের পর দিন এরশাদ করেছিলেন। যখন তিনি এ কথা বলছিলেন, তখন আমার কর্ণদ্বয় তা শুনছিল, আমার হৃদয় তা সংরক্ষণ করছিল এবং আমার চক্ষুদয় তা প্রত্যক্ষ করছিল, তিনি আল্লাহর হামদ করলেন, তাঁর প্রশংসা করলেন; পরে বললেনঃ মক্কাকে আল্লাহ তাআলা নিজে ‘‘হারাম’’ করে দিয়েছেন। কোন মানুষ তাকে ‘হারাম’ করেনি। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান রাখে তার জন্য হালাল নয় এখানে রক্ত প্রবাহিত করা, এখানকার কোন বৃক্ষ কর্তন করা।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক এখানে যুদ্ধ করার ওসীলাধরে কেউ যদি এখানে কোনরূপ যুদ্ধভিযান চালানোর অবকাশ খোঁজে তাকে তোমরা বলে দিবে, আল্লাহ তাআলা কেবল তাঁর রাসূল কেই বিশেষ করে এর অনুমতি দিয়েছেন। তোমাকে এর অনুমতি দেননি। আমাকেও কেবল দিনের কিছুক্ষণের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। গতকাল যেমন তা হারাম ছিল আজ তেমনিভাবে তা হারাম হওয়ার বিধান প্রত্যার্পিত হয়েছে। তোমাদের উপস্থিত জন অনুপস্থিত জনকে পৌছিয়ে দিও। - বুখারি, মুসলিম
আবু শুরায়হ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার এই কথা শোনে আমর ইবনে সাঈদ তখন কি বলেছিল? তিনি বললেন, সে বলেছিল, হে আবু শুরায়হ! এই হাদীস সম্পর্কে আমি আপনার চেয়ে অধিক অবহিত। ‘‘হারাম’’ শরীফ কোন অবাধ্যচারী, পলাতক খুনী এবং পলাতক অপরাধীকে আশ্রয় দেয় না।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, بخربة -এর স্থলে بِخِزْيَةٍ ও বর্ণিত আছে। এই বিষয়ে আবু হুরায়রা ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু শুরায়হ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু শুরায়হ আল-খুযাঈ (রাযিঃ) এর নাম হল খুওয়ালিদ ইবনে আমর আল-আদাবী আল-কা‘ব। ولا فارا بخربة এর بخربة অর্থ অপরাধী। বাক্যটির মর্ম হল, কোন অপরাধ করে বা খুন করে যদি কেউ হারাম শরীফে আশ্রয় নেয় তবে ঐ স্থানে তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হয় না।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক এখানে যুদ্ধ করার ওসীলাধরে কেউ যদি এখানে কোনরূপ যুদ্ধভিযান চালানোর অবকাশ খোঁজে তাকে তোমরা বলে দিবে, আল্লাহ তাআলা কেবল তাঁর রাসূল কেই বিশেষ করে এর অনুমতি দিয়েছেন। তোমাকে এর অনুমতি দেননি। আমাকেও কেবল দিনের কিছুক্ষণের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। গতকাল যেমন তা হারাম ছিল আজ তেমনিভাবে তা হারাম হওয়ার বিধান প্রত্যার্পিত হয়েছে। তোমাদের উপস্থিত জন অনুপস্থিত জনকে পৌছিয়ে দিও। - বুখারি, মুসলিম
আবু শুরায়হ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার এই কথা শোনে আমর ইবনে সাঈদ তখন কি বলেছিল? তিনি বললেন, সে বলেছিল, হে আবু শুরায়হ! এই হাদীস সম্পর্কে আমি আপনার চেয়ে অধিক অবহিত। ‘‘হারাম’’ শরীফ কোন অবাধ্যচারী, পলাতক খুনী এবং পলাতক অপরাধীকে আশ্রয় দেয় না।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, بخربة -এর স্থলে بِخِزْيَةٍ ও বর্ণিত আছে। এই বিষয়ে আবু হুরায়রা ও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, আবু শুরায়হ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবু শুরায়হ আল-খুযাঈ (রাযিঃ) এর নাম হল খুওয়ালিদ ইবনে আমর আল-আদাবী আল-কা‘ব। ولا فارا بخربة এর بخربة অর্থ অপরাধী। বাক্যটির মর্ম হল, কোন অপরাধ করে বা খুন করে যদি কেউ হারাম শরীফে আশ্রয় নেয় তবে ঐ স্থানে তার উপর শাস্তি প্রয়োগ করা হয় না।
باب مَا جَاءَ فِي حُرْمَةِ مَكَّةَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْعَدَوِيِّ، أَنَّهُ قَالَ لِعَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ وَهُوَ يَبْعَثُ الْبُعُوثَ إِلَى مَكَّةَ ائْذَنْ لِي أَيُّهَا الأَمِيرُ أُحَدِّثْكَ قَوْلاً قَامَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْغَدَ مِنْ يَوْمِ الْفَتْحِ سَمِعَتْهُ أُذُنَاىَ وَوَعَاهُ قَلْبِي وَأَبْصَرَتْهُ عَيْنَاىَ حِينَ تَكَلَّمَ بِهِ أَنَّهُ حَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ مَكَّةَ حَرَّمَهَا اللَّهُ وَلَمْ يُحَرِّمْهَا النَّاسُ وَلاَ يَحِلُّ لاِمْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ يَسْفِكَ فِيهَا دَمًا أَوْ يَعْضِدَ بِهَا شَجَرَةً فَإِنْ أَحَدٌ تَرَخَّصَ بِقِتَالِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا فَقُولُوا لَهُ إِنَّ اللَّهَ أَذِنَ لِرَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَأْذَنْ لَكَ وَإِنَّمَا أَذِنَ لِي فِيهِ سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ وَقَدْ عَادَتْ حُرْمَتُهَا الْيَوْمَ كَحُرْمَتِهَا بِالأَمْسِ وَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ " .
فَقِيلَ لأَبِي شُرَيْحٍ مَا قَالَ لَكَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَنَا أَعْلَمُ مِنْكَ بِذَلِكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُرْوَى وَلاَ فَارًّا بِخِزْيَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي شُرَيْحٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيُّ اسْمُهُ خُوَيْلِدُ بْنُ عَمْرٍو وَهُوَ الْعَدَوِيُّ وَهُوَ الْكَعْبِيُّ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ " وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ " يَعْنِي الْجِنَايَةَ يَقُولُ مَنْ جَنَى جِنَايَةً أَوْ أَصَابَ دَمًا ثُمَّ لَجَأَ إِلَى الْحَرَمِ فَإِنَّهُ يُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ .
فَقِيلَ لأَبِي شُرَيْحٍ مَا قَالَ لَكَ عَمْرُو بْنُ سَعِيدٍ قَالَ أَنَا أَعْلَمُ مِنْكَ بِذَلِكَ يَا أَبَا شُرَيْحٍ إِنَّ الْحَرَمَ لاَ يُعِيذُ عَاصِيًا وَلاَ فَارًّا بِدَمٍ وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَيُرْوَى وَلاَ فَارًّا بِخِزْيَةٍ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي شُرَيْحٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو شُرَيْحٍ الْخُزَاعِيُّ اسْمُهُ خُوَيْلِدُ بْنُ عَمْرٍو وَهُوَ الْعَدَوِيُّ وَهُوَ الْكَعْبِيُّ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ " وَلاَ فَارًّا بِخَرْبَةٍ " يَعْنِي الْجِنَايَةَ يَقُولُ مَنْ جَنَى جِنَايَةً أَوْ أَصَابَ دَمًا ثُمَّ لَجَأَ إِلَى الْحَرَمِ فَإِنَّهُ يُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: