আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮০৬
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৬
রমযান মাসের কিয়াম।
৮০৪. হান্নাদ (রাহঃ) ...... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে আমরা রোযা পালন করেছি। তিনি রমযান মাসে আমাদের নিয়ে (নফল) নামায আদায় করেননি। অবশেষে সাত দিন বাকী থাকতে তিনি আমাদের নিয়ে নামায দাঁড়ালেন। এমনকি রাতের এক তৃতীয়াংশ এতে অতিবাহিত হয়ে গেল। এরপর আর ষষ্ঠ রাত আমাদের নিয়ে নামাযে দাড়ালেন না। কিন্তু প্রথম রাত থাকতে আবার আমাদের নিয়ে নামাযে দাড়ালেন। এমকি এতে অর্ধেক রাত অতিবাহিত হয়ে গেল। আমরা তাঁকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের অবশিষ্ট রাতটিও যদি নফল আদায় করে অতিবাহিত করে দিতেন। তিনি বললেন, কেউ যদি ইমামের সঙ্গে (ফরয) নামাযে দাঁড়ায় এবং ইমামের শেষ করা পর্যন্ত তাঁর সাথে দাড়ায় তবে তার জন্য সারারাত (নফল) নামায আদায়ের সাওয়াব লেখা হয়।
এরপর তিন মাসের তিন রাত অবশিষ্ঠ থাকা পর্যন্ত আমাদের নিয়ে নামাযে দাড়ালেন না। তৃতীয় (২৭শে) রাত থাকতে আবার তিনি আমাদের নিয়ে নামাযে দাড়ালেন। এই রাত তিনি তাঁর পরিজন ও স্ত্রীগণকেও ডেকে তুললেন। অনন্তর তিনি এত দীর্ঘক্ষণ নামায আদায় করলেন যে আমাদের ফালাহ এর ব্যাপারে এর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়ে গেল। রাবী জুবাইর ইবনে নুফায়র (রাহঃ) বলেন যে, আমি আবু বকর (রাযিঃ) কে বললামঃ ফালাহ কি? তিনি বললেন, সাহরী খাওয়া। - ইবনে মাজাহ
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। রমযানের কিয়াম সম্পর্কে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, বিতরসহ এর রাকআত সংখ্যা একচল্লিশ। এ হল মদীনাবাসীদের অভিমত এবং মদীনা বাসীদেরও এইরূপ আমল রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত আলী ও উমর (রাযিঃ) প্রমূখ সাহাবায় কিরাম থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত অনুযায়ী রাক'আত সংখ্যা হল বিশ। সুফিয়ান সাওরী, ইবনে মুবারক ও শাফেঈ (রাহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) বলেন, আমাদের নগর মক্কায়ও এই ধরণের আমল দেখেছি। তাঁরা বিশ রাকআত নামায আদায় করেন। আহমাদ (রাহঃ) বলেন, এই বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। তিনি এই ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। ইসহাক বলেন, উবাই ইবনে কাব (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতের আদেশে আমরা এক চল্লিশ রাকআতের অভিমতটি গ্রহণ করি। ইবনে মুবারক, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) রমযান মাসে ইমামের সঙ্গে নামায আদায় করা পছন্দীয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। হাফিজুল কুরআন হলে তার জন্য একা নামায আদায় করা উত্তম বলে ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) অভিমত দিয়েছেন।
এরপর তিন মাসের তিন রাত অবশিষ্ঠ থাকা পর্যন্ত আমাদের নিয়ে নামাযে দাড়ালেন না। তৃতীয় (২৭শে) রাত থাকতে আবার তিনি আমাদের নিয়ে নামাযে দাড়ালেন। এই রাত তিনি তাঁর পরিজন ও স্ত্রীগণকেও ডেকে তুললেন। অনন্তর তিনি এত দীর্ঘক্ষণ নামায আদায় করলেন যে আমাদের ফালাহ এর ব্যাপারে এর আশঙ্কা সৃষ্টি হয়ে গেল। রাবী জুবাইর ইবনে নুফায়র (রাহঃ) বলেন যে, আমি আবু বকর (রাযিঃ) কে বললামঃ ফালাহ কি? তিনি বললেন, সাহরী খাওয়া। - ইবনে মাজাহ
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। রমযানের কিয়াম সম্পর্কে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন আলিম বলেন, বিতরসহ এর রাকআত সংখ্যা একচল্লিশ। এ হল মদীনাবাসীদের অভিমত এবং মদীনা বাসীদেরও এইরূপ আমল রয়েছে। অধিকাংশ আলিমের অভিমত আলী ও উমর (রাযিঃ) প্রমূখ সাহাবায় কিরাম থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াত অনুযায়ী রাক'আত সংখ্যা হল বিশ। সুফিয়ান সাওরী, ইবনে মুবারক ও শাফেঈ (রাহঃ) এর অভিমত। ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) বলেন, আমাদের নগর মক্কায়ও এই ধরণের আমল দেখেছি। তাঁরা বিশ রাকআত নামায আদায় করেন। আহমাদ (রাহঃ) বলেন, এই বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের রিওয়ায়াত বর্ণিত আছে। তিনি এই ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। ইসহাক বলেন, উবাই ইবনে কাব (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতের আদেশে আমরা এক চল্লিশ রাকআতের অভিমতটি গ্রহণ করি। ইবনে মুবারক, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ) রমযান মাসে ইমামের সঙ্গে নামায আদায় করা পছন্দীয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। হাফিজুল কুরআন হলে তার জন্য একা নামায আদায় করা উত্তম বলে ইমাম শাফেঈ (রাহঃ) অভিমত দিয়েছেন।
باب مَا جَاءَ فِي قِيَامِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ صُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يُصَلِّ بِنَا حَتَّى بَقِيَ سَبْعٌ مِنَ الشَّهْرِ فَقَامَ بِنَا حَتَّى ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ لَمْ يَقُمْ بِنَا فِي السَّادِسَةِ وَقَامَ بِنَا فِي الْخَامِسَةِ حَتَّى ذَهَبَ شَطْرُ اللَّيْلِ فَقُلْنَا لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ نَفَّلْتَنَا بَقِيَّةَ لَيْلَتِنَا هَذِهِ فَقَالَ " إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَةٍ " . ثُمَّ لَمْ يُصَلِّ بِنَا حَتَّى بَقِيَ ثَلاَثٌ مِنَ الشَّهْرِ وَصَلَّى بِنَا فِي الثَّالِثَةِ وَدَعَا أَهْلَهُ وَنِسَاءَهُ فَقَامَ بِنَا حَتَّى تَخَوَّفْنَا الْفَلاَحَ . قُلْتُ لَهُ وَمَا الْفَلاَحُ قَالَ السُّحُورُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ فَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يُصَلِّيَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ رَكْعَةً مَعَ الْوِتْرِ . وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَهُمْ بِالْمَدِينَةِ . وَأَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ عَلَى مَا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ وَعَلِيٍّ وَغَيْرِهِمَا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عِشْرِينَ رَكْعَةً . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ وَهَكَذَا أَدْرَكْتُ بِبَلَدِنَا بِمَكَّةَ يُصَلُّونَ عِشْرِينَ رَكْعَةً . وَقَالَ أَحْمَدُ رُوِيَ فِي هَذَا أَلْوَانٌ . وَلَمْ يَقْضِ فِيهِ بِشَيْءٍ . وَقَالَ إِسْحَاقُ بَلْ نَخْتَارُ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ رَكْعَةً عَلَى مَا رُوِيَ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ . وَاخْتَارَ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ الصَّلاَةَ مَعَ الإِمَامِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ . وَاخْتَارَ الشَّافِعِيُّ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ وَحْدَهُ إِذَا كَانَ قَارِئًا . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَالنُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ .