আল জামিউল কাবীর- ইমাম তিরমিযী রহঃ
الجامع الكبير للترمذي
৮. নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৮০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৪
ইতিকাফকারী প্রয়োজনে বের হতে পারে কি না?
৮০২. আবু মুসআব মাদানী (রাহঃ) ...... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) যখন ইতিকাফে বসতেন, তিনি তাঁর মাথা আমার দিকে ঝুঁকিয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম। তিনি মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না। - ইবনে মাজাহ
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীসটিকে একাধিক রাবী মালিক ইবনে আনাস ইবনে শিহাব উরওয়া-আমরা-আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে উরওয়া ও আমরা-আয়িশা (রাযিঃ) এর সনদে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। এই হাদীসটিকে একাধিক রাবী মালিক ইবনে আনাস ইবনে শিহাব উরওয়া-আমরা-আয়িশা (রাযিঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে উরওয়া ও আমরা-আয়িশা (রাযিঃ) এর সনদে বর্ণনা করেছেন।
باب الْمُعْتَكِفُ يَخْرُجُ لِحَاجَتِهِ أَمْ لاَ
حَدَّثَنَا أَبُو مُصْعَبٍ الْمَدَنِيُّ، قِرَاءَةً عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اعْتَكَفَ أَدْنَى إِلَىَّ رَأْسَهُ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلاَّ لِحَاجَةِ الإِنْسَانِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . هَكَذَا رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ وَعَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ . وَالصَّحِيحُ عَنْ عُرْوَةَ وَعَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৮০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৮০৫
ইতিকাফকারী প্রয়োজনে বের হতে পারে কি না?
৮০৩. কুতায়বা (রাহঃ) আমাকে উক্ত রিওয়ায়াতটি লাঈস (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে যে, ইতিকাফকারী ব্যক্তি মানবীয় প্রয়োজনে সে অবশ্যই বের হতে পারবে। তবে রোগী দেখা, জুমআ ও জানাযার নামাযে ইতিকাফরত ব্যক্তি হাযির হতে পারবে কিনা এ-ই বিষয়ে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন সাহাবী ও অপরাপর আলিমের মত হল, যদি ইতিকাফের সময় শর্ত করে থাকে তবে সে রোগী দেখতে, জানাযা অনুসরণ করতে এবং জুমআর নামাযে হাযির হতে পারবে। এ হল ইমাম সুফিয়ান সাওরী ও ইবনে মুবারক (রাহঃ) এর অভিমত।
কোন কোন আলিম বলেন, উল্লিখিত কোন কাজ সে করতে পারবে না। ইতিকাফকারী ব্যক্তি যদি এমন শহরে বাস করে যেখানে জুমআর নামায হয় সেখানে সে জামি’ মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও ইতিকাফ করবে না। তাঁরা ইতিকাফস্থল ছেড়ে জুমআর জন্য বের হওয়াও পছন্দ করেন না। আবার জুমআ পরিত্যাগ করাও জায়িজ বলে মনে করেন না। সুতরাং তারা বলেন, জামি মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ করবে না যাতে মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফস্থল থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন না পড়ে। কেননা মানবী প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া তাদের মতে ইতিকাফ ভঙ্গের কারণ হিসাবে গণ্য। এ হল ইমাম মালিক ও শাফেঈ (রাহঃ) এর অভিমত।
ইমাম আহমাদ (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) এর হাদীসের আলোকে সে রোগী দেখতে ও জানাযায় শরীক হতে বের হতে পারবে না। ইমাম ইসহাক (রাহঃ) বলেন, যদি সে পূর্বেই এই বিষয়ে নিজে নিজে শর্ত করে নেয় তবে সে জানাযায় শরীক হতে ও রোগীকে দেখতে যেতে পারবে।
আলিমগণের এই হাদীস অনুসারে আমল রয়েছে যে, ইতিকাফকারী ব্যক্তি মানবীয় প্রয়োজনে সে অবশ্যই বের হতে পারবে। তবে রোগী দেখা, জুমআ ও জানাযার নামাযে ইতিকাফরত ব্যক্তি হাযির হতে পারবে কিনা এ-ই বিষয়ে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। কোন কোন সাহাবী ও অপরাপর আলিমের মত হল, যদি ইতিকাফের সময় শর্ত করে থাকে তবে সে রোগী দেখতে, জানাযা অনুসরণ করতে এবং জুমআর নামাযে হাযির হতে পারবে। এ হল ইমাম সুফিয়ান সাওরী ও ইবনে মুবারক (রাহঃ) এর অভিমত।
কোন কোন আলিম বলেন, উল্লিখিত কোন কাজ সে করতে পারবে না। ইতিকাফকারী ব্যক্তি যদি এমন শহরে বাস করে যেখানে জুমআর নামায হয় সেখানে সে জামি’ মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও ইতিকাফ করবে না। তাঁরা ইতিকাফস্থল ছেড়ে জুমআর জন্য বের হওয়াও পছন্দ করেন না। আবার জুমআ পরিত্যাগ করাও জায়িজ বলে মনে করেন না। সুতরাং তারা বলেন, জামি মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ করবে না যাতে মানবীয় প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফস্থল থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন না পড়ে। কেননা মানবী প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া তাদের মতে ইতিকাফ ভঙ্গের কারণ হিসাবে গণ্য। এ হল ইমাম মালিক ও শাফেঈ (রাহঃ) এর অভিমত।
ইমাম আহমাদ (রাহঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) এর হাদীসের আলোকে সে রোগী দেখতে ও জানাযায় শরীক হতে বের হতে পারবে না। ইমাম ইসহাক (রাহঃ) বলেন, যদি সে পূর্বেই এই বিষয়ে নিজে নিজে শর্ত করে নেয় তবে সে জানাযায় শরীক হতে ও রোগীকে দেখতে যেতে পারবে।
باب الْمُعْتَكِفُ يَخْرُجُ لِحَاجَتِهِ أَمْ لاَ
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَعَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا اعْتَكَفَ الرَّجُلُ أَنْ لاَ يَخْرُجَ مِنِ اعْتِكَافِهِ إِلاَّ لِحَاجَةِ الإِنْسَانِ وَاجْتَمَعُوا عَلَى هَذَا أَنَّهُ يَخْرُجُ لِقَضَاءِ حَاجَتِهِ لِلْغَائِطِ وَالْبَوْلِ . ثُمَّ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَشُهُودِ الْجُمُعَةِ وَالْجَنَازَةِ لِلْمُعْتَكِفِ فَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنْ يَعُودَ الْمَرِيضَ وَيُشَيِّعَ الْجَنَازَةَ وَيَشْهَدَ الْجُمُعَةَ إِذَا اشْتَرَطَ ذَلِكَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَابْنِ الْمُبَارَكِ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ لَهُ أَنْ يَفْعَلَ شَيْئًا مِنْ هَذَا وَرَأَوْا لِلْمُعْتَكِفِ إِذَا كَانَ فِي مِصْرٍ يُجَمَّعُ فِيهِ أَنْ لاَ يَعْتَكِفَ إِلاَّ فِي مَسْجِدِ الْجَامِعِ لأَنَّهُمْ كَرِهُوا الْخُرُوجَ لَهُ مِنْ مُعْتَكَفِهِ إِلَى الْجُمُعَةِ وَلَمْ يَرَوْا لَهُ أَنْ يَتْرُكَ الْجُمُعَةَ فَقَالُوا لاَ يَعْتَكِفُ إِلاَّ فِي مَسْجِدِ الْجَامِعِ حَتَّى لاَ يَحْتَاجُ إِلَى أَنْ يَخْرُجَ مِنْ مُعْتَكَفِهِ لِغَيْرِ قَضَاءِ حَاجَةِ الإِنْسَانِ لأَنَّ خُرُوجَهُ لِغَيْرِ قَضَاءِ حَاجَةِ الإِنْسَانِ قَطْعٌ عِنْدَهُمْ لِلاِعْتِكَافِ . وَهُوَ قَوْلُ مَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ يَعُودُ الْمَرِيضَ وَلاَ يَتْبَعُ الْجَنَازَةَ عَلَى حَدِيثِ عَائِشَةَ . وَقَالَ إِسْحَاقُ إِنِ اشْتَرَطَ ذَلِكَ فَلَهُ أَنْ يَتْبَعَ الْجَنَازَةَ وَيَعُودَ الْمَرِيضَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান